রকেট
নাসার পরীক্ষামূলক চন্দ্রাভিযান: দ্বিতীয় প্রচেষ্টাও ব্যর্থ, পরবর্তী চেষ্টা কয়েক সপ্তাহ পর
মার্কিন মহাকাশ সংস্থার (নাসা) শনিবারের পরীক্ষামূলক চন্দ্রাভিযান রকেট উৎক্ষেপণ বিপজ্জনক জ্বালানি ত্রুটির কারণে আবারও বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ট্যাংকের জ্বালানি নির্গতজনিত সমস্যার কারণে উৎক্ষেপণ নিয়ন্ত্রকদের দ্বিতীয় প্রচেষ্টাও কয়েক সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখতে হচ্ছে। যা মাস পর্যন্তও গড়াতে পারে বলে তারা মনে করছেন।
৩২২ ফুট উঁচু স্পেস লঞ্চ সিস্টেম নাসার এ পর্যন্ত নির্মিত শক্তিশালী রকেটটির সোমবারের চেষ্টাতেও হাইড্রোজেন জ্বালানি ত্রুটি দেখা দেয়। তবে তা তুলনামূলক কম ছিল। তবে একই সমস্যা এ বছরের শুরুর দিকে পরীক্ষামূলক চেষ্টাটি বড় আকারের ছিল।
নাসার কর্মকর্তাদের মতে, আরও মেরামত ও সিস্টেম আপডেটের জন্য মিশন ব্যবস্থাপকরা রকেটটিকে লঞ্চ প্যাডে রেখেছে। যেখানে নানা পরীক্ষা চালিয়ে দেখা হবে। এ কাজ করতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে।
মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে দুই সপ্তাহের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় পরবর্তী পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ চেষ্টা সেপ্টেম্বরের শেষে বা অক্টোবরে করা হতে পারে। নাসা আপাতত অক্টোবরের শুরুতে নির্ধারিত আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে একটি বেশি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত স্পেসএক্স মহাকাশচারী ফ্লাইট নিয়ে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: নাসা: ইঞ্জিন ত্রুটি সাড়ার পর শনিবার নতুন চন্দ্রযান রকেট উৎক্ষেপণের লক্ষ্য নির্ধারণ
নাসার প্রশাসক বিল নেলসন জোর দিয়ে জানিয়েছেন, নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে। কারণ পরীক্ষামূলক এই চেষ্টার ওপর নির্ভর করছে পরবর্তীতে নভোচারীদের সশরীরে চাঁদে পা রাখার সফলতা।
তিনি বলেন, ‘শুধু মনে রাখবেন যে এটি সঠিক না হওয়া পর্যন্ত আমরা উৎক্ষেপণ করছি না।’
উৎক্ষেপণ পরিচালক চার্লি ব্ল্যাকওয়েল-থম্পসন ও তার দল ভোরবেলায় স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেটে প্রায় ১০ লাখ গ্যালন জ্বালানি ঢালা শুরু করতেই নিচের দিকে ইঞ্জিন অংশে জ্বালানি নির্গতজনিত সমস্যা দেখা দেয়।
গ্রাউন্ড কন্ট্রোলাররা পূর্বে ছোট ছিদ্রগুলো যেভাবে বন্ধ করেছিল সেভাবে চেষ্টা করে দেখে। সরবরাহ লাইনের একটি সীলের চারপাশে ফাঁক বন্ধ করার আশায় অতি ঠান্ডা তরল হাইড্রোজেনের প্রবাহ বন্ধ করে পুনরায় চালু করে দেখেছেন তারা। তারা দুবার চেষ্টা করেছিল এবং লাইনের মধ্য দিয়ে হিলিয়ামও প্রবাহিত করেছিল। তবুও সমাধা হয়নি।
আরও পড়ুন: নাসার পরীক্ষামূলক চন্দ্রাভিযান: জ্বালানি ত্রুটির কারণে রকেট উৎক্ষেপণে বাধা
ব্ল্যাকওয়েল-থম্পসন তিন থেকে চার ঘণ্টার ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর অবশেষে থামিয়ে দেয়।
মিশন ম্যানেজার মাইক সারাফিন সাংবাদিকদের বলেন, ঠিক কি কারণে সমস্যাটি হয়েছে তা এখন নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। তবে সকালে হাইড্রোজেন লাইনের অসাবধানতাবশত অত্যধিক চাপের কারণে কেউ একজন ভুল ভাল ঘুড়ানোর কারণে হতে পারে।
সারাফিন বলেন, ‘এটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য ছিদ্র ছিল না। নির্গত হাইড্রোজেন দুই বা তিনবার দাহ্য সীমা অতিক্রম করেছে।’
চাঁদে নভোচারীদের ক্যাপসুল পাঠানোর জন্য ইতোমধ্যেই নাসা অনেক বছর অপেক্ষা করেছে। ছয় সপ্তাহের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন সফল হলেই ২০২৪ সালে চাঁদের কক্ষপথ দিয়ে রকেট প্রদক্ষিণ করতে পারবে এবং ২০২৫ সালে নভোচারী চাঁদে পা রাখতে পারবে। এর আগে মানুষ চাঁদে পা রেখেছিল ৫০ বছর আগে।
হাজার হাজার দর্শনার্থী যারা ফ্লোরিডার উপকূলে ভিড় জমিয়েছিল তারা হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যায়।
উল্লেখ্য, গ্রীক পুরাণ অনুসারে ৪১০ কোটি মার্কিন ডলারের এই পরীক্ষামূলক অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে আর্টেমিস।
আরও পড়ুন: নাসার পরীক্ষামূলক চন্দ্রাভিযান: শনিবার উৎক্ষেপণের দ্বিতীয় চেষ্টা
২ বছর আগে
নাসা: ইঞ্জিন ত্রুটি সাড়ার পর শনিবার নতুন চন্দ্রযান রকেট উৎক্ষেপণের লক্ষ্য নির্ধারণ
মার্কিন মহাকাশ সংস্থা (নাসা) আজ (শনিবার) পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের জন্য নতুন চন্দ্রযান রকেটটি উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। সোমবারের প্রথম চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর ইঞ্জিন ট্যাংকের ছিদ্রজনিত সমস্যা ও ইঞ্জিনের একটি খারাপ সেন্সর ঠিক করা হয়েছে।
৩২২ ফুট উচ্চতার নাসার এ যাবৎকালের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেটটি কেনেডি স্পেস সেন্টারের স্টেশনেই নভোচারীবিহীন দাঁড়িয়ে আছে। নাসার ব্যবস্থাপকরা তাদের পরিকল্পনায় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এবং অনুকূল আবহাওয়ার পূর্বাভাসের কথা জানিয়েছেন। তাই কেনেডি স্পেস সেন্টারে রকেটটির উৎক্ষেপণের ঘড়ি আবার শুরু করা হয়েছে।
নাসার প্রশাসক বিল নেলসন জানিয়েছেন, তিনি এই দ্বিতীয় উৎক্ষেপণ চেষ্টায় যেতে আগের চেয়েও আত্মবিশ্বাসী। কারণ প্রকৌশলীরা প্রথম চেষ্টা থেকে সবকিছু জেনে নিয়েছে।
নভোচারী জেসিকা মেয়ারও তাই মনে করেন। নাসার প্রাথমিক চন্দ্রাভিযানের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জেসিকার নাম রয়েছে।
আরও পড়ুন: নাসার পরীক্ষামূলক চন্দ্রাভিযান: শনিবার উৎক্ষেপণের দ্বিতীয় চেষ্টা
শুক্রবার জেসিকা এপিকে বলেছেন, ‘এই যাত্রার জন্য আমরা সবাই উত্তেজিত। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আমরা তখনই যাব যখন আমরা প্রস্তুত এবং আমরা এটিকে ঠিকভাবে পাব। কারণ পরের মিশনে মানুষ থাকবে। আমিও থাকতে পারি, অথবা আমার বন্ধুদের মধ্যে কেউ।’
রকেটটিতে যে চারটি ইঞ্জিন রয়েছে তার একটি উৎক্ষেপণের আগে ইঞ্জিন চালু করার সময় পর্যাপ্ত ঠান্ডা হচ্ছিল না। হানিকাটের মতে হাইড্রোজেন জ্বালানির তাপমাত্রা প্রয়োজন ছিল মাইনাস ২৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কিন্তু তার চেয়েও পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপমাত্রা দেখাচ্ছিল। তবে অন্য ইঞ্জিনগুলো ঠিক ছিল।
রকেটটির প্রোগ্রাম ম্যানেজার জন হানিকাট বলেন, ‘আমরা নিজেদেরকে নিশ্চিত করতে পেরেছি যে ইঞ্জিনগুলোতে জ্বালানি হিসেবে ভালো মানের তরল হাইড্রোজেন রয়েছে।’
আরও পড়ুন: নাসার পরীক্ষামূলক চন্দ্রাভিযান: জ্বালানি ত্রুটির কারণে রকেট উৎক্ষেপণে বাধা
হানিকাট আরও বলেন, শনিবার সকালে ইঞ্জিন জ্বালানি দিয়ে ভর্তি করা হলে উৎক্ষেপণ দল সময়ের আগেই ইঞ্জিন পরখ করে দেখবে। সমস্যা তৈরি করা সেন্সরটি যদি আবারও অতিরিক্ত তাপমাত্রার পাঠ দেয় তবুও অন্যান্য সেন্সর থেকে ইঞ্জিনের তাপ ব্যবস্থা সম্পর্কে জানা যাবে এবং এর ফলে সমস্যা হলে উৎক্ষেপণ বন্ধ করতে হবে কি-না তা জানা যাবে।
নেলসন বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত জটিল মেশিন ও সিস্টেম, সেখানে রয়েছে লাখ লাখ যন্ত্রাংশ। প্রকৃতপক্ষে এখানে ঝুঁকি রয়েছে। কিন্তু এই ঝুঁকিগুলো কি গ্রহণযোগ্য নয়? আমি বিষয়টি বিশেষজ্ঞদের ওপর ছেড়ে দিয়েছি। আমার ভূমিকা হচ্ছে তাদের মনে করিয়ে দেয়া যে আপনি এমন কোনো সুযোগ গ্রহণ করবেন না যা গ্রহণযোগ্য ঝুঁকি নয়।’
গ্রীক পুরাণ অনুসারে ৪১০ কোটি মার্কিন ডলারের এই পরীক্ষামূলক অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে আর্টেমিস। যার সফলতার ওপর নির্ভর করছে নভোচারীদের ২০২৪ সালে চাঁদের কক্ষপথে প্রদক্ষিণ এবং ২০২৫ সালে চাঁদে অবতরণ।
আরও পড়ুন: ৫০ বছর পর চাঁদে রকেট পাঠাচ্ছে নাসা
২ বছর আগে
নাসার পরীক্ষামূলক চন্দ্রাভিযান: জ্বালানি ত্রুটির কারণে রকেট উৎক্ষেপণে বাধা
জ্বালানি ট্যাংকে ছিদ্র থাকার কারণে সোমবার মার্কিন মহাকাশ সংস্থার (নাসা) পরীক্ষামূলক চন্দ্রাভিযানের রকেট উৎক্ষেপণ বাধাগ্রস্ত হয়।
ত্রুটি টের পেয়ে উৎক্ষেপণ নিয়ন্ত্রণ কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা সঙ্গে সঙ্গে ট্যাংকটি বন্ধ করে দেন।
উপকূলে বজ্রপাতের কারণে ইতোমধ্যে তাদের ঘণ্টাখানেক দেরি হয়ে যায়। এরপর ফের পুরো প্রক্রিয়া চালু করলে অ্যালার্ম বেজে ওঠায় আবারও তাদের থামতে হয়।
মহাকাশ সংস্থাটির দাবি ৩২২ ফুট এই রকেটটি এপর্যন্ত নাসার তৈরি সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট। এমনকি ‘স্যাটার্ন ভি’ নামের যে রকেটটিতে করে অর্ধ শতাব্দী আগে নভোচারীরা চাঁদে গিয়েছিল সেটির চেয়েও শক্তিশালী।
এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ যদি সফল হয় তাহলে রকেটে নভোচারী বিশিষ্ট ক্যাপসুল (কক্ষ) স্থাপন করা হবে। যা ৫০ বছরের মধ্যে প্রথমবার চাঁদের কক্ষপথ (লুনার অরবিট) প্রদক্ষিণ করবে।
আরও পড়ুন: ৫০ বছর পর চাঁদে রকেট পাঠাচ্ছে নাসা
পরীক্ষামূলক এই উৎক্ষেপণ প্রস্তুতিতে নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টারে অবস্থিত রকেটটির ক্যাপসুলে কোনো নভোচারী ছিল না। এর পরিবর্তে মানব আকৃতির তিনটি ডামি রাখা হয়েছিল। আশা করা হচ্ছে সেগুলো ছয় সপ্তাহ স্থায়ী হবে।
এখনও কোনো উৎক্ষেপণ না করা হলেও স্পেস লঞ্চ সিস্টেম দেখতে হাজার হাজার মানুষ ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের উপকূলে ভিড় করছে।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস তার স্বামীর সঙ্গে ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোতে এসেছিলেন নতুন ইতিহাসের সাক্ষী হতে। কিন্তু উৎক্ষেপণে বাধা পড়ায় তাদের যাত্রা বাতিল করতে হয়।
জানা যায়, আগামী শুক্রবারের আগে পরবর্তী উৎক্ষেপণ চেষ্টা করা হবে না।
আরও পড়ুন: ৭ ঘণ্টার স্পেসওয়াক শেষ করলেন নাসার দুই নভোচারী
২ বছর আগে
৫০ বছর পর চাঁদে রকেট পাঠাচ্ছে নাসা
আগামী সপ্তাহে নতুন চন্দ্রাভিযান রকেট প্রকাশ করতে যাচ্ছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা, যা পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের প্রস্তুতি নেবে। তবে আপাতত রকেটটিতে কোনো নভোচারী থাকবে না।
৩২২ ফুট উঁচু রকেটটি প্রাথমিকভাবে খালি ক্যাপসুল (নভোচারীদের জন্য) নিয়ে দূরবর্তী চন্দ্র কক্ষপথ দিয়ে প্রদক্ষিণের চেষ্টা করবে। নাসার বিখ্যাত ‘অ্যাপোলো’-এর ৫০ বছর পর এই চেষ্টা করা হবে। পুরো পরিকল্পনায় বড় আকারের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে।
সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৪ সাল নাগাদ নভোচারীরা চাঁদের চারপাশ প্রদক্ষিণ করতে পারবে এবং ২০২৫ সালে চাঁদের পৃষ্ঠে নামতে সক্ষম হবে।
সোমবার সকালে নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে বিষয়টি জানানো হয়। নাসার কর্মকর্তারা সতর্ক করেন, ছয় সপ্তাহব্যাপী পরীক্ষামূলক এই উড্ডয়ন ঝুঁকিপূর্ণ। কোনো বিষয় ব্যর্থ হলে সময় কমিয়ে আনতে হতে পারে।
আরও পড়ুন: মহাকাশের প্রথম রঙিন ছবি প্রকাশ করেছে নাসা
বুধবার নাসার প্রশাসক বিল নেলসন এপিকে বলেন, ‘আমরা ঝুঁকি নিবো এবং পরীক্ষা চালাবো। আমরা যতটা পারি নিরাপদ করার জন্য কোনো নভোচারীকে রাখছি না।’
জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পেস পলিসি ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা (অবসরপ্রাপ্ত) জন লংসডন বলেন, যদি কোনো ব্যত্যয় ঘটে তাহলে ক্রম বর্ধমান খরচ ও দুটি উড্ডয়নের মাঝে দীর্ঘ বিরতি পুরো প্রক্রিয়া কঠিন করে তুলবে।
তিনি আরও বলেন, চাঁদ, মঙ্গল ও এর চেয়েও বড় কোনো অভিযানের টেকসই পদক্ষেপ হতে যাচ্ছে এটি। তবে বড়ধরনের ত্রুটির সম্মুখীন হলে যুক্তরাষ্ট্র কি চালিয়ে নিতে প্রস্তুত থাকবে?
একক অভিযানের খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি। এক দশক আগে নানা পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি থেকে শুরু করে ২০২৫ সালে চাঁদে অবতরণ পর্যন্ত সব মিলিয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: ভারতীয় চন্দ্রযানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে নাসা
২ বছর আগে
ইউক্রেনে মাঝারি রকেট সিস্টেম পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: বাইডেন
ইউক্রেনে মাঝারি রকেট সিস্টেম পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বাইডেন প্রশাসন মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে যে এটি ইউক্রেনকে স্বল্প সংখ্যক উচ্চ-প্রযুক্তিসম্পন্ন মাঝারি-ধরনের রকেট সিস্টেম সহায়তা দিবে।
ইউক্রেনীয় নেতারা ডনবাস অঞ্চলে রাশিয়ার অগ্রগতি স্থগিত করতে এ সহায়তা চেয়েছিল।
বুধবার প্রশাসনের দুই সিনিয়র কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, রকেট সিস্টেমগুলি ইউক্রেনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিরাপত্তা সহায়তার ৭০০ মার্কিন মিলিয়ন কিস্তির অংশ যার মধ্যে হেলিকপ্টার, জ্যাভলিন অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক অস্ত্র সিস্টেম, কৌশলগত যানবাহন, খুচরা যন্ত্রাংশ ইত্যাদি থাকবে।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার তেল আমদানি ৯০ শতাংশ কমাতে একমত ইইউ
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত এক প্রবন্ধে জো বাইডেন নিশ্চিত করেছেন যে তিনি ইউক্রেনীয়দের আরও উন্নত রকেট সিস্টেম এবং যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যা যুদ্ধক্ষেত্রে লক্ষ্যগুলোকে আরও সুনির্দিষ্টভাবে আঘাত করতে সক্ষম করবে।
প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতে, ইউক্রেনীয়রা মার্কিন কর্মকর্তাদের আশ্বস্ত করেছে তারা রাশিয়ার ভূখণ্ডে রকেট ছুড়বে না। তবে উন্নত রকেট সিস্টেম ইউক্রেনের বাহিনীকে ইউক্রেনের অভ্যন্তরে রাশিয়ান সম্পদ লক্ষ্যবস্তুতে আরও নির্ভুলতা দেবে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির একজন কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: পূর্ব ইউক্রেনের সর্বশেষ মুক্ত শহরে রুশ হামলা জোরদার
২ বছর আগে
কাবুলে ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে লক্ষ্য করে রকেট হামলা, আহত ১০
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে লক্ষ্য করে একটি শক্তিশালী রকেট বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। দেশটির একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
ছোট ছোট বিস্ফোরণের পাশাপাশি এসময় ছোট অস্ত্রের আওয়াজও শোনা যায়। তবে আহতরা বিস্ফোরণে নাকি গুলির আঘাতে আহত হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।
তাতক্ষণিক কেউ এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
আরও পড়ুনঃ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরের কাছে হামলা
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মিরওয়াইস স্টানেকজাই বলেন, বিস্ফোরণটি ঘটেছে শেরপুর এলাকায় যেটা কিনা শহরের অন্যতম সুরক্ষিত এলাকা। এখানে বেশ কয়েকজন সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তার বাড়ি রয়েছে।
স্টানেকজাই বলেন, হামলাটি ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিসমিল্লাহ খান মোহাম্মাদীর গেস্টহাউসকে লক্ষ্য করে করা গেছে। তার দল জমিয়তে ইসলামী জানিয়েছে মন্ত্রী হামলার সময় সেখানে ছিলেন না এবং তার পরিবারকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ তালেবান হামলায় আফগানিস্তানে ১০ সেনা নিহত
দলের একজন নেতা এবং সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ইউনুস কানুনি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা একটি বার্তায় মন্ত্রী এবং তার পরিবার নিরাপদ আছে বলে আশ্বস্ত করেছেন ।
ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী কাবুলে সাম্প্রতিক কিছু হামলার দাবি করেছে কিন্তু অধিকাংশই দাবিহীন রয়ে গেছে, হামলায় সরকার তালেবানকে এবং তালেবান সরকারকে দায়ী করে আসছে।
৩ বছর আগে
পৃথিবীতে আসার মুহূর্তে চীনের রকেটের অধিকাংশ পুড়ে যায়
চীনের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, রবিবার মধ্য রাতের দিকে পৃথিবীতে প্রবেশের সময়েই চীনের সবচেয়ে বড় রকেটটির ধ্বংসাবশেষের অধিকাংশই পুড়ে যায়। রকেটটির ধ্বংসাবশেষ মালদ্বীপের ওপর দিয়ে ভারত মহাসাগরে এসে পড়ে।
রকেটের ধ্বংসাবশেষ শনাক্ত করতে সক্ষম হওয়া হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাকাশ গবেষক জনাথন ম্যাকডোয়েল টুইটারে বলেন, ‘পরিসংখ্যানগতভাবে রকেটের ধ্বংসাবশেষ সাগরে এসে পড়াটা ভাল দিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বলা যেতে পারে চীন তাদের চেষ্টায় সফল....কিন্তু এটা ছিল ঝুঁকিপূর্ণ এবং বেপরোয়া কাজ।’
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বলছে, শনিবার (৮ মে) স্থানীয় সময় রাত ৭টা ২৪ মিনিটে রকেটটির পুনরায় পৃথিবীতে প্রবেশ করে। তবে পুনরায় প্রবেশ করার আগেই এর অধিকাংশ অংশ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: মহাকাশে চীনের প্রথম প্রাইভেট রকেট পাঠানোর চেষ্টা ব্যর্থ
কিন্তু মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার কর্মকর্তা বিল নেলসন এক বিবৃতিতে বলেন, এটা পরিষ্কার যে চীন তাদের রকেটের ধ্বংসাবশেষ ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থ হয়েছে।
সাধারণত রকেটের ধ্বংসাবশেষ মহাশূন্যে ভ্রমণ না করে পৃথিবীতে চলে আসে এবং জলভাগে এসে পড়ে। কিন্তু গত ২৯ এপ্রিল চীনের হাইনান দ্বীপ থেকে উৎক্ষেপণ করা লং মার্চ ৫বি রকেটটি মহাশূন্যে হারিয়ে যায়।
৩ বছর আগে
মোবাইল ব্যাংকিং: মনোপলি নয়, সুস্থ প্রতিযোগিতা চায় সরকার
মোবাইল ব্যাংকিং সেবাকে (এমএফএস) কেন্দ্র করে প্রতিযোগিতা কমিশনের উদ্দেশে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘আপনারা মনিটরিং করবেন, যেকোনও মূল্যে মনোপলি হতে দেবেন না। মনোপলি হলে তারা মনস্টার হয়ে যায়, তখন তাদের ঠেকানো জরুরি হয়ে পড়ে।’
শনিবার (৮ মে) টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত এক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
‘প্রতিযোগিতা ও অংশীদারিত্বে প্রেক্ষাপট: প্রসঙ্গ এমএফএস’ শীর্ষক আলোচনায় দেশের অর্থনৈতিক খাতের নীতি-নির্ধারক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, চীনের মতো দেশে আলিবাবা’র মতো জায়ান্টের মনোপলি ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়োজন পড়েছে।
এ সময় প্রতিযোগিতা কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করবেন না। কারণ মানুষ অভিযোগ করার প্রক্রিয়াকে ভয় পায়, ভয় পায় হেনস্তা হওয়ারও। তাই কেউ যেন এমএফএস বাজারে মনোপলি করতে না পারে, সে বিষয়টি আপনারা লক্ষ্য রাখবেন।
এমএফএস’র চার্জ নির্ধারণের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘চার্জ নির্ধারণের বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেউ ২০ টাকা, কেউ ১৪ টাকা নিচ্ছে। আমি এমএফএস’র সর্বোচ্চ চার্জ নির্ধারণ করার পক্ষে, সর্বনিম্ন চার্জ নির্ধারণের পক্ষে না। কারণ সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা থাকলে কেউ বেশি নিতে পারবে না। তাতে জনগণ উপকৃত হবে।’
এ সময় তিনি এমএফএস-এ ইন্টারঅপারেবিলিটি না হওয়াকে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা বলেও উল্লেখ করেন। ইন্টারঅপারেবিলিটি কেন দেয়া যাচ্ছে না, তা নিয়ে তিনি বিষ্ময় প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার বলেন, দেশে এমএফএস বাজারে একটি একচ্ছত্র ব্যবসা চলছিল। সেটা ভাংতে পেরেছে ‘নগদ’। প্রতিযোগিতা অবশ্যই থাকতে হবে। অনেকটা কমে গেলেও এখনো মনোপলি আছে।
আরও পড়ুন: মোবাইল ব্যাংকিং: সেন্ড মানি ফ্রিসহ সার্ভিস চার্জ কমানোর দাবি
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ক্যাশ আউট চার্চ হাজারে সর্বোচ্চ ১৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল। অথচ সেখানে এখন ২০ টাকা নেয়া হচ্ছে। দেড় টাকা নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করছে না, কিন্তু দেড় টাকায় তো হাজার হাজার কোটি টাকা হয়ে যায়। এটা সরাসরি চুরি করা হচ্ছে। এ সময় তিনি এমএফএস-এর চার্জ কমানোর ওপর গুরুত্বরোপ করেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পিএসডি বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক বদিউজ্জামান দিদার বলেন, আমরা ২০১১-১২ সালে একটা সেইলিং দিয়েছিলাম যে, যেন এর ওপরে না যায়। এর সাথে অনেকগুলো পক্ষ জড়িত। ইউএসএসডি-এর পরিবর্তে অ্যাপে যখন পুরো মার্কেট চলে আসবে, তখন আমরা এটা করতে পারব।
প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, বাজারের বর্তমানে যারা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছেন, তারা কেউ ফাউল প্লে করছে কিনা, তা দেখার দায়িত্ব সরকারের। বাংলাদেশ ব্যাংক যে সার্ভিস চার্জটি নির্ধারণ করে দিয়েছে, ১৮ টাকার ওপরে না নেয়ার। এটা যদি না মানা হয়, তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক জানান, হাজারে ২০ টাকা চার্জ সারা পৃথিবীর কোথাও নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক সেন্ড মানি ফ্রি করার নির্দেশনা দিয়েছে, আমরা প্রথম থেকে ফ্রি রেখেছি। সেন্ড মানিতে আসলে কোনো খরচ নেই।
তিনি বলেন, আমরা কিন্তু ইনোভেশন নিয়ে এসেছি। ডিজিটাল কেওয়াইসি ও *১৬৭# এর মাধ্যমে মানুষ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো এমএফএস সেবা ‘নগদ’ ব্যবহার করে টাকা সাশ্রয় করছে। সরকার ৫০০ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছে। এই বাজারে প্রতিযোগিতা থাকলে গ্রাহকেরা উপকৃত হবে। সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে পারলে এমএফএস-এ প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে।
ডাচ-বাংলা ব্যাংক ও রকেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মো: শিরিন বলেন, বলা হয় এমএফএস বাজারে ১৫টি প্রতিষ্ঠান আছে। আমার মতে ২-৩টা ছাড়া বাকি কেউ আছে বলে আমি মনে করি না। মনোপলি হওয়ার পরে ৮০ শতাংশ শেয়ার ছিল। এখন নতুন একটি অপারেটরের কারণে ৭০ শতাংশে এসেছে। আগে প্রোপার কেওয়াইসি মেনে গ্রাহক তৈরি করা হয়নি। এসব কারণে মনোপলি দাড়িয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, আপনারা এভাবে যদি প্রাইস রাখেন, তাহলে সব গ্রাহক চলে যাবে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে। সে কারণে প্রাইস কমাতে হবে। এখন সময় এসেছে প্রাইসিং নিয়ে কথা বলার ও প্রাইস কমানো।
রবি আজিয়াটা লিমিটেডের এমডি ও সিইও এবং এমটবের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, শুরু থেকে আমরা এমএফএসগুলো চালু রাখতে সহযোগিতা করেছি। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের এমএফএস এমন থাকবে না। যখন ডিজিটাল কারেন্সি চলে আসবে, তখন কোনো ডিস্ট্রিবিউটর থাকবে না। আরও কিছু খরচ কমানোর সুযোগ আছে। খরচ কমালে গ্রাহকদের জন্য ভালো হবে।
আলোচনায় বিকাশ-এর চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মিজানুর রশীদ বলেন, ‘সহজলভ্যতা দিতে গিয়ে আমরা এই চার্জ নিচ্ছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের নেতৃত্বে নতুন কোনো রেট যদি আমরা দেশের জনগণের কল্যাণে নির্ধারণ করি, তাহলে সেটা যেন ব্যবসাবান্ধব হয়। অর্থাৎ সেই রেট যেন অপারেটরগুলোর জন্যও ভালো হয়।’
টিআরএনবি-এর সভাপতি রাশেদ মেহেদীর সভাপতিত্বে আলোচনায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দে।
এ ছাড়া বিআইবিএম-এর সহযোগী অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান আলম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইফতেখার জোনায়েদ প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।
৩ বছর আগে
হবিগঞ্জের জাতীয় উদ্যান সাতছড়ি থেকে ১৮টি রকেট লঞ্চার উদ্ধার
হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১৮টি ট্যাংক বিধ্বংসি রকেট লঞ্চার উদ্ধার করেছে।
৩ বছর আগে
মঙ্গল গ্রহে অনুসন্ধান শুরু করতে যাচ্ছে চীন
চলতি বছরের জুলাই থেকে প্রথমবারের মতো মঙ্গল গ্রহে অনুসন্ধান শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে চীন।
৪ বছর আগে