ড. আহসান এইচ মনসুর
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা
তারল্য সংকটে পড়া কয়েকটি ব্যাংককে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা তারল্য সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সদর দপ্তরের জাহাঙ্গীর আলম সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই পদক্ষেপের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করেন গভর্নর।
ব্যাংকিং খাতে তারল্য বাড়াতে টাকা না ছাপানোর সিদ্ধান্ত থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক সাময়িকভাবে সরে এসেছে বলে স্বীকার করেছেন ড. মনসুর।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর মুডির অবনমন অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রতিফলন নয়: বাংলাদেশ ব্যাংক
তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই পদক্ষেপ সাময়িক। এটি খাতটির স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এবং আর্থিক প্রবাহ বজায় রাখার জন্য নেওয়া হয়েছে। ‘কঠোর আর্থিক নীতি অপরিবর্তিত রয়েছে এবং বাজারে অতিরিক্ত তারল্য কমানোর জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
নতুনভাবে সংযোজন করা তহবিলের সম্ভাব্য অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগের বিষয়ে গভর্নর বলেন, বর্তমান পদক্ষেপগুলো সাম্প্রতিক অতীতে যা দেখা গিয়েছিল তার পুনরাবৃত্তি নয়। সেসময় অর্থ মুদ্রণের ফলে অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল।
ড. মনসুর বলেন, 'চুরির সুযোগ দূর করে স্বচ্ছ ও নিরাপদে তহবিল বরাদ্দের বিষয়টি এবার নিশ্চিত করেছি আমরা।’
আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির ওপরও জোর দেন গভর্নর।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ব্যাংকে প্রত্যেক মানুষের আমানত নিরাপদ ও সুরক্ষিত। আমানতকারীদের আস্থা ধরে রাখতে অবিরাম প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘ব্যাংকগুলোতে নগদ অর্থের সাময়িক ঘাটতি মেটাতে গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় অর্থ উত্তোলনের সুযোগ করে দিতে তারল্য সহায়তা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ সহায়তা সহজতর করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের অস্থায়ী প্রয়োজন মেটাতে সাময়িকভাবে অর্থ মুদ্রণ করবে।’
ব্যাংকে সব আমানত সুরক্ষিত রয়েছে বলে জনগণকে আশ্বস্ত করেছেন গভর্নর। জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়া বা অযথা অর্থ উত্তোলন না করার আহ্বান জানান তিনি।
বাজারে প্রবর্তিত অতিরিক্ত তারল্য মুদ্রাস্ফীতির চাপ রোধে বিভিন্ন ধরনের বন্ডের মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে এস আলম গ্রুপের হুঁশিয়ারি
৩ সপ্তাহ আগে
রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দৃঢ় রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ও মৌলিক সংস্কার প্রয়োজন: পিআরআই
প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ এবং পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) এর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, শুধুমাত্র শক্তিশালী রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মৌলিক সংস্কারই বাংলাদেশের কর-জিডিপি অনুপাতকে উন্নত করতে পারে। রবিবার প্রাক-বাজেট প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঋণের সুদ পরিশোধ, পেনশন সুবিধা এবং সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে ৩ লাখ কোটি টাকার বেশি বাজেট ব্যয় হয়েছে।
মনসুর বলেন, সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বিদ্যমান রাজস্ব ও কর নীতির ব্যর্থতার কারণে রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা এবং অর্জনের মধ্যে ব্যবধান প্রতি অর্থবছরে বাড়ছে।
এই অর্থনীতিবিদ জানান, ব্যাংক, এনবিআর এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং নিয়ন্ত্রকদের ব্যাপক সংস্কার ছাড়া এই খাতে আইএমএফের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা একেবারেই অসম্ভব।
একটি উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, গত ৯ মাসে প্রায় ৩৩ শতাংশ আমদানি কমিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছে। বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণের কারণে এমনটা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন পিআরআই-এর চেয়ারম্যান ড. জাইদী সাত্তার এবং পিআরআই এর গবেষণা পরিচালক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক।
১ বছর আগে