বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত
অটিজম সচেতনতায় দক্ষিণ এশিয়ায় অগ্রগামী বাংলাদেশ: মিয়ানমারে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত
মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মো. মনোয়ার হোসেন বলেছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের বর্তমান আঞ্চলিক পরিচালক এবং নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিসঅর্ডার ও অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় অটিজম বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ইয়াঙ্গুনে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
মনোয়ার হোসেন আরও বলেন, সায়মা ওয়াজেদের নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ ২০১১ সালে ঢাকায় অটিজম বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করে। এরপর ২০১৭ সালে থিম্পুতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সম্মেলন আয়োজনে সহযোগিতা করে।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার দেশে অটিজম ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কল্যাণে প্রয়োজনীয় আইন ও বিধি প্রণয়নসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে। তিনি গত এক দশকে জাতিসংঘসহ সারা বিশ্বে অটিজম সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সায়মা ওয়াজেদের সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করেন।
দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘বেঁচে থাকা থেকে সমৃদ্ধির পথে যাত্রা’ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রাষ্ট্রদূত প্রাসঙ্গিক টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাগুলো যথা, স্বাস্থ্য ও সুস্থতা (লক্ষ্য ৩), মানসম্মত শিক্ষা (লক্ষ্য ৪), অন্তর্ভুক্তিমূলক চাকরির সুযোগ (লক্ষ্য ৮) এবং অটিজমসহ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিকাশের ক্ষেত্রে অসমতা হ্রাস (লক্ষ্য ১০) করার আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে সুইডেন দূতাবাস, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, মায়ানমার স্পেশাল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন এবং একজন অভিভাবকের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
প্রাথমিক পর্যায়ে অটিজম শনাক্তকরণ এবং ত্বরিত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা, বৈষম্য প্রতিরোধ এবং চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় যত্নশীল থাকা এবং সংশ্লিষ্ট শিশুর পিতামাতাকে সমর্থনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোচনা করেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে কূটনীতিক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফের প্রতিনিধিরা, শিক্ষাবিদ, ইউনিভার্সিটি অব পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব এডুকেশনের রেক্টর, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, মিয়ানমার অটিজম অ্যাসোসিয়েশন, বিশেষ শিশু গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত বেসরকারি সংস্থাসমূহ, দূতাবাসের কর্মকর্তা, বাংলাদেশ কমিউনিটির প্রতিনিধি, প্রতিবন্ধী শিশু ও তাদের অভিভাবকরা ছিলেন।
দিবসটির অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০২৪: ‘বেঁচে থাকা থেকে সমৃদ্ধির পথে যাত্রা’ বিষয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের উপস্থাপনা, ভিডিও ডকুমেন্টারি পরিবেশন এবং প্রশ্নোত্তর পর্ব।
এ উপলক্ষে গতকাল রাতে দূতাবাস নীল আলোয় আলোকিত করা হয়।
৮ মাস আগে
উজবেকিস্তানের ট্যুরিজম কমিটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক অনুষ্ঠিত
উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম ও দেশটির ট্যুরিজম কমিটির চেয়ারম্যান উমিদ সাডাইয়েভের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবারের (৫ ফেব্রুয়ারি) বৈঠকে উভয়ই বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যে পর্যটন সুযোগ ও সম্ভাবনা নিয়ে মত বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: হিলি সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক অনুষ্ঠিত
পর্যটন ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বৈচিত্র্যতা ও প্রাচুর্যতার প্রতি আলোকপাত করে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম বাংলাদেশের পর্যটন আকর্ষণসমূহ বর্ণনা করেন।
বিশেষ করে রাষ্ট্রদূত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, সুন্দরবন ও ইউনেস্কো হ্যরিটিজ সাইটগুলোর উল্লেখ করেন, যা উজবেকিস্তানের পর্যটকদের জন্য আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারে বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।
পর্যটন সহযোগিতাকে ত্বরান্তিত করার জন্য তিনি দু’দেশের মধ্যে সরাসরি যোগযোগ স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং ঢাকা-তাসখন্দ রুটে উজবেকিস্তান এয়ারলাইন্স চালুর বিষয়ে চেয়ারম্যানের সমর্থন কামনা করেন।
এর ফলে পর্যটক বিনিময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা দু’দেশের মধ্যেকার বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পর্ক উন্নয়নে ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে রাষ্ট্রদূত মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: বকেয়া পাওনা আদায়ে টেলিটক-বিটিসিএল-বিটিআরসির বৈঠক অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যেকার ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সেতুবন্ধনের কথা উল্লেখ করে উজবেকিস্তানের ট্যুরিজম কমিটির চেয়ারম্যান সাডাইয়েভ বলেন, পর্যটন দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে এক নতুন মাত্রা ও গতি যোগ করতে পারে।
তিনি পর্যটন খাতে উজবেকিস্তান সরকার প্রদত্ত বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন। অতি দ্রুততার সঙ্গে বাংলাদেশ-উজবেকিস্তানের মধ্যে পর্যটন সহযোগিতা বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের জন্য তিনি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
পর্যটন খাতে সম্পর্ক সম্প্রসারণের মধ্যে দিয়ে দু’দেশের জনগনের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্ব আরও গভীর ও শক্তিশালী হবে- এ আশাবাদ প্রকাশের মধ্যে দিয়ে বৈঠকের সমাপ্তি হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও ভারত নৌ সচিব পর্যায়ের বৈঠক শুরু মঙ্গলবার
১০ মাস আগে
ভ্যাটিকানের পোপের কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
ভ্যাটিকান,১৪ মে (ইউএনবি)- ভ্যাটিকানে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সুফিউর রহমান ক্যাথলিক খ্রিস্টানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু পোপ ফ্রান্সিসের কাছেঅনাবাসী রাষ্ট্রদূত হিসেবে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
শনিবার (১৩ মে) ভ্যাটিকান সিটির এপোস্টলিক প্রাসাদে এক আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে এ পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ছাড়াও আরও চারটি দেশের রাষ্ট্রদূতেরা পোপের কাছে তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেন। পরিচয়পত্র গ্রহণের পর পোপ নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতগণের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।
পোপ তার বক্তব্যে সুদান, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো, লেবানন, ইউক্রেন, জেরুজালেম ও বিশেষত মিয়ানমারে চলমান সংঘর্ষ ও অস্থিতিশীলতায় নিরীহ বেসামরিক জনগণের দুর্ভোগ, অস্ত্র উৎপাদন ও ক্রয়ের প্রতিযোগিতা, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট প্রতিকূলতাসহ বর্তমান বিশ্বের নানা চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেন। নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিত্বের পাশাপাশি বিশ্ববাসীর জন্য আশার আলো হয়ে বিশ্বশান্তি ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করার জন্য নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতগণকে আহ্বান জানান পোপ।
রাষ্ট্রদূত সুফিউর রহমান পোপকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছাবার্তা পৌঁছে দেন।
এছাড়াও রাষ্ট্রদূত সুফিউর শুক্রবার ভ্যাটিকানের সেক্রেটারি ফর রিলেশনস (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) আর্চবিশপ রিচার্ড গ্যালাঘার এর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে ভ্যাটিকানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এদিন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ভ্যাটিকানের বিকল্প সেক্রেটারি অফ স্টেট (বিকল্প প্রধানমন্ত্রী) আর্চবিশপ এডগার পেনা পেরার সঙ্গেও বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ, আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে অগ্রগতি এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সমৃদ্ধ ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ এবং প্রগতিশীল দেশ গঠনে সরকারের দৃঢ় প্রত্যয় ও উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন এবং এতে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী বাংলাদেশিদের অবদানের প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা প্রদানে খ্রিস্টান মিশনারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অবদান তুলে ধরেন। আর্চবিশপ পেনা পেরা (বিকল্প প্রধানমন্ত্রী) বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চমৎকার পরিবেশ বিরাজ করছে বলে উল্লেখ করেন।
রোহিঙ্গাদের নিজদেশে প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্যে গৃহীত পাইলট স্কিম গ্রহণের প্রেক্ষিত বর্ণনা করে বিশ্ববাসীর অব্যাহত সমর্থনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত।
১ বছর আগে