উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম ও দেশটির ট্যুরিজম কমিটির চেয়ারম্যান উমিদ সাডাইয়েভের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবারের (৫ ফেব্রুয়ারি) বৈঠকে উভয়ই বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যে পর্যটন সুযোগ ও সম্ভাবনা নিয়ে মত বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: হিলি সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক অনুষ্ঠিত
পর্যটন ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বৈচিত্র্যতা ও প্রাচুর্যতার প্রতি আলোকপাত করে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম বাংলাদেশের পর্যটন আকর্ষণসমূহ বর্ণনা করেন।
বিশেষ করে রাষ্ট্রদূত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, সুন্দরবন ও ইউনেস্কো হ্যরিটিজ সাইটগুলোর উল্লেখ করেন, যা উজবেকিস্তানের পর্যটকদের জন্য আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারে বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।
পর্যটন সহযোগিতাকে ত্বরান্তিত করার জন্য তিনি দু’দেশের মধ্যে সরাসরি যোগযোগ স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং ঢাকা-তাসখন্দ রুটে উজবেকিস্তান এয়ারলাইন্স চালুর বিষয়ে চেয়ারম্যানের সমর্থন কামনা করেন।
এর ফলে পর্যটক বিনিময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা দু’দেশের মধ্যেকার বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পর্ক উন্নয়নে ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে রাষ্ট্রদূত মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: বকেয়া পাওনা আদায়ে টেলিটক-বিটিসিএল-বিটিআরসির বৈঠক অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যেকার ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সেতুবন্ধনের কথা উল্লেখ করে উজবেকিস্তানের ট্যুরিজম কমিটির চেয়ারম্যান সাডাইয়েভ বলেন, পর্যটন দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে এক নতুন মাত্রা ও গতি যোগ করতে পারে।
তিনি পর্যটন খাতে উজবেকিস্তান সরকার প্রদত্ত বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন। অতি দ্রুততার সঙ্গে বাংলাদেশ-উজবেকিস্তানের মধ্যে পর্যটন সহযোগিতা বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের জন্য তিনি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
পর্যটন খাতে সম্পর্ক সম্প্রসারণের মধ্যে দিয়ে দু’দেশের জনগনের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্ব আরও গভীর ও শক্তিশালী হবে- এ আশাবাদ প্রকাশের মধ্যে দিয়ে বৈঠকের সমাপ্তি হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও ভারত নৌ সচিব পর্যায়ের বৈঠক শুরু মঙ্গলবার