বাজেটে
টোপ নয়, রাঘববোয়ালদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে বাজেটে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের সম্পদ নতুন করে লুটপাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মাছ ধরার জন্য টোপ ব্যবহার করার বিষয়ে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'বাজেট দেখলেই বোঝা যাবে, রাঘববোয়ালদের জন্য খাবারের আয়োজন করা হয়েছে।’
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতামতের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুন বাজেট দেশের ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই করবে না।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগকে রক্ষা করতে, ক্ষমতায় রাখতে সব প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন বেনজীর: ফখরুল
তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি সাধারণ মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় সংকট, কারণ দ্রব্যমূল্যের আকাশছোঁয়া দাম তাদের জীবন অসহনীয় করে তুলেছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার বিধান রেখে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন।
বাজেটে কালো টাকা বৈধ করার সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কালো টাকা আগে বৈধ পথে আনতে হবে।
তিনি বলেন, ‘নামমাত্র (ট্যাক্স) দিয়ে প্রথমে অর্থ একটি উপযুক্ত জায়গায় (ব্যাংকিং চ্যানেলে) আনতে হবে। তাহলে তাদের (কালো টাকার মালিকদের) নিয়মিত কর দিতে হবে। মাছ ধরতে হলে টোপ ব্যবহার করতে হবে।’
মাছ ধরতে টোপ ব্যবহার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য হাস্যকর বলে মন্তব্য করেন ফখরুল।
তিনি প্রশ্ন করেন, ‘এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে আপনি আর কতদিন মানুষকে ধোঁকা দিতে পারবেন?’
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ-রব)।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে সিরাজুল আলম খানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান মির্জা ফখরুল।
সিরাজুল আলমের মৃত্যুর পর শোকবার্তা না দেয়ায় আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করেন তিনি। ‘ভেবে দেখুন, তারা কতটা অকৃতজ্ঞ হতে পারে। এমন একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার মৃত্যুর পরও তারা কোনো শোক প্রকাশ করেনি। একই কারণে তারা জিয়াউর রহমানকে সহ্য করতে পারছে না।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এক ভয়াবহ সংকটে পড়েছে, তার অস্তিত্বকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। ‘সরকার ক্ষমতা দখল করে দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার বাংলাদেশের জনগণকে শোষণ ও নিপীড়ন করছে এবং প্রতিনিয়ত দেশের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে। ‘আমরা সবাই বাংলাদেশের এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চাই।’
গণতন্ত্র ও ভোটদান এবং জনগণের হারানো অধিকার ফিরিয়ে আনতে সব ভুল বোঝাবুঝি ও সিদ্ধান্ত পরিহার করে সব রাজনৈতিক দল ও সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নতুন বাজেটে দুর্নীতির আশঙ্কা আরও বেশি: ফখরুল
লুটপাটের নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এই বাজেট: ফখরুল
৬ মাস আগে
দুর্যোগের ঝুঁকি কমাতে বাংলাদেশের বাজেটের ১১ শতাংশ বরাদ্দ করা হয়: প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগের ঝুঁকি কমাতে বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটের ১১ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কৌশলটি দুর্যোগ সংক্রান্ত স্থায়ী আদেশ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য জাতীয় পরিকল্পনা ২০২১-২০২৫ এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০২১ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত চতুর্থ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় জাতীয় বাজেটের প্রায় ৯ থেকে ১১ শতাংশ দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বরাদ্দ করা হয়।'
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘের সদরদপ্তরে দুইদিনব্যাপী দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস সম্পর্কিত এক উচ্চ পর্যায়ের আন্তর্জাতিক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক বৈঠকের প্রথম দিনে প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নিজেদের অর্জন, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যত প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন। দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বিনিয়োগকে তিনি ব্যয় হিসেবে মনে করেন না।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে উপকূলের ৬ জেলায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে বিশ্বে বাংলাদেশের রোল মডেল হয়ে ওঠা এবং গত ৭ বছর জাতীয় বাজেটের ৮ দশমিক ৮ শতাংশ দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস খাতে সরকারের বরাদ্দ দেয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, করোনা মহামারির ভেতর বাংলাদেশ ২০২০ সালে পাঁচবার বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের মতো দুর্যোগ দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিয়েছে।
ডা. এনামুর রহমান বলেন, 'ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ২০০৭ সালে যেখানে মৃত্যুর হার ছিল ৩ দশমিক ১০ সেখানে ২০২০ সালে সেটি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে শূন্য দশমিক ২০ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে। দুর্যোগে প্রাণহানি একক সংখ্যায় নেমে এসেছে। ২০০৫ থেকে ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা এবং বাসস্থানের ক্ষয়ক্ষতি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।'
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস সম্পর্কিত উচ্চ পর্যায়ের আন্তর্জাতিক বৈঠকটি আগামী শুক্রবার (১৯ মে) শেষ হবে।
এই বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান ৫ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: দুর্যোগ মোকাবিলায় টেলিযোগাযোগ সেবা খুবই গুরুত্বপূর্ণ: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
উপকূলীয় ১৩ জেলায় আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: ত্রাণপ্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে