ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩’র জন্য বাংলাদেশের স্কোয়াড নির্বাচনের পর থেকেই আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বাংলাদেশ দলের ওপেনার তামিম ইকবালকে দল থেকে বাদ দেওয়ার পরই মূলত এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
অবশেষে মুখ খুললেন তামিম ইকবাল। বুধবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের পোস্ট করা একটি ভিডিওতে তামিম তার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ না করা এবং তার ফিটনেস সম্পর্কিত সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে কথা বলেছেন।
তার ভক্ত ও জনসাধারণের সত্য জানার প্রয়োজন আছে বলেও মনে করেন তিনি।
তামিম জানান, আফগানিস্তানের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচে টপ অর্ডারে নিজের পদ ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়ার পর তাকে বাদ দিতে বলা হয়েছিল।
তবে কে তাকে লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন তা প্রকাশ করেননি তিনি।
এর আগে বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা দাবি করেছিলেন, তামিমকে বাদ দেওয়া হয়েছে এটা বলা ঠিক হবে না; বরং তিনি নিজেই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।
বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণার পর বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন জানান, ফিটনেস নিয়ে শঙ্কার কারণে তামিমকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ ২০২৩: ভারতের উদ্দেশে রওনা দিল বাংলাদেশ দল
বিষয়টি কিছুটা অস্বস্তির কথা উল্লেখ করে তামিম বলেন, 'আমি এখনো ইনজুরিতে পড়িনি। যেহেতু চার থেকে পাঁচ মাস পর ক্রিকেটে ফিরেছি, তাই কিছুটা ব্যথা হওয়াটাই স্বাভাবিক।
তিনি বলেন, নিউ জিল্যান্ড সিরিজের শেষ ম্যাচের আগে ফিজিও তার ফিটনেস মূল্যায়ন করেছিলেন এবং নিশ্চিত করেছিলেন যে তিনি ব্যথা অনুভব করলেও তিনি নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত। তবে বিশ্রাম নিলে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচের আগে আরও ভালোভাবে ফিরে আসতে পারবে। ফলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচ না খেলার সিদ্ধান্ত নেন তামিম।
জনসমক্ষে ফিজিওর রিপোর্ট নিয়ে বিতর্ক করার চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তামিম বলেন, 'ফিজিও রিপোর্টে বলা হয়নি যে আমি খেলতে পারব না।’
তামিম বলেন, বিসিবির একজন 'প্রভাবশালী ব্যক্তি' তাকে ফোন করে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে না খেলার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
তামিম বলেন, 'আমি তাকে বলেছিলাম, প্রথম ম্যাচ থেকে আমরা এখনও ১২-১৩ দিন দূরে রয়েছি এবং ততক্ষণে আমি আরও ভালো হয়ে যাব। এরপর তিনি আমাকে প্রথম ম্যাচে খেলতে চাইলে লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করতে বলেন। আমি এটা ভালোভাবে মেনে নিতে পারিনি। আমি রেগে গিয়েছিলাম এবং সেই অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলাম।
টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ানোর যৌক্তিকতা তুলে ধরে তামিম বলেন, 'আমি তাকে বলেছি, ওপেনার হিসেবে আমার ১৭ বছরের ইতিহাস থাকা সত্ত্বেও যদি তারা আমাকে নিচে ব্যাট করাতে চায়, তাহলে তাদের উচিত আমাকে বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ দেওয়া।’
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ স্কোয়াডের বাইরে থাকার সিদ্ধান্ত তামিম নিজেই নিয়েছেন: মাশরাফি