বিজিবি-বিএসএফ
ধামইরহাট সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক
নওগাঁর ধামইরহাটের বস্তাবর সীমান্তে ভারতের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি)বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ওই উপজেলার বস্তাবর সীমান্ত চৌকি (বিওপি) সংলগ্ন শূন্য রেখায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ১২৩ ব্যাট্যালিয়নের শিবরামপুর কোম্পানি কমান্ডারের সঙ্গে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ১৪ ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) বস্তাবর বিওপির কোম্পানির কমান্ডারের সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: সীমান্ত অপরাধ দমনে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শুক্রবার রাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির ১৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, `বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে সম্মত হয়েছে বিএসএফ। সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া বা রাস্তা হবে কি না তা বিজিবি-বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
তিনি বলেন, ‘বিএসএফ বলেছেন তারা সীমান্তের শূন্য রেখা থেকে ১৫০ গজের মধ্যে তারা কোনো বেড়া বা স্থাপনা করবে না। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে ১৫০ গজের মধ্যে বেড়া বা স্থাপনা করার চেষ্টা করলে বিজিবি প্রতিহত করবে।’
বিজিবি ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, ধামইরহাট উপজেলার বস্তাবর সীমান্তে প্রায় ৬০০ গজের মধ্যে দুই দেশের কোনো বেড়া নেই।
গত বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিজিবির সঙ্গে কোনো সমঝোতা ছাড়াই সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে ভারতীয় সীমান্তে বিএসএফের সদস্য ও কিছু নির্মাণশ্রমিকের কার্যক্রম চোখে পড়ে। ওই এলাকায় তারা গাছপালা কাটছিলেন এবং এক্সকাভেটর (খননযন্ত্র) দিয়ে মাটি কাটার কাজ করছিলেন।
আইন অনুযায়ী সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে ১৫০ গজের মধ্যে ফসল চাষ ব্যতীত সীমান্তবর্তী কোনো দেশ তাদের সীমানায় বেড়া কিংবা কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে না। কিন্তু বিএসএফের সদস্যরা আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে সীমান্তে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা করেন।
জানতে পেরে বিজিবি সদস্যরা তাদের বাধা দেন। পরে কাজ না করেই ফিরে যান বিএসএফের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: টেকনাফে বিজিবি-বিজিপির মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত
৮১ দিন আগে
বিজিবি-বিএসএফ বৈঠকে ২০০ একর জমি বাংলাদেশকে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে পদ্মা নদীর ভাঙনে ভারতীয় সীমান্তে বিলীন হওয়া প্রায় ২০০ একর জমির মালিকানা ফিরে পেতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি মালিকেরা।
রবিবার অনুষ্ঠিত দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সৌজন্য বৈঠকে বিবাদমান জমি নিয়ে আলোচনায় পুনরায় জরিপ করে মালিকানা প্রকৃত মালিকদের বুঝিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান। তিনি বলেন, ‘বিবাদমান জমি পুনরায় জরিপ করে প্রকৃত মালিকদের ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
বিবাদমান জমিগুলো ভারত সীমান্তে দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পদ্মা নদীঘেঁষা চল্লিশ পাড়া এলাকায়।
স্থানীয়রা জানান, পদ্মা নদীর ভাঙনে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে চল্লিশপাড়া বর্ডার আউট পোস্টের (বিওপি) পিলার ১৫৭ /এমপি থেকে ৮৫ / ১০-এস এলাকা পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার সীমানা এলোমেলো হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: সীমান্ত অপরাধ দমনে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি উভয় দেশের সার্ভেয়ার, বিজিবি ও বিএসএফের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের আনুমানিক ২০০ একর জমি এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের আনুমানিক ৪০ একর জমির গরমিল পাওয়া যায়। গতকাল রবিবার দুপুরে বিএসএফের আহ্বানে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে দৌলতপুর উপজেলার মহিষকুন্ডির জামালপুর বিওপির সীমান্ত পিলার ১৫২ /৭-এস থেকে আনুমানিক ১৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিবাদমান জমি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও সীমান্তে হত্যা বন্ধ ও মাদক পাচার রোধে গুরুত্বারোপ করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিজিবির পক্ষে কুষ্টিয়ার বিজিবি ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান এবং বিএসএফের পক্ষে রওশনবাগ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট বিক্রম দেব সিং নেতৃত্ব দেন।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব মুর্শেদ রহমান বলেন, ‘গত ১০ ফেব্রুয়ারি সার্ভেতে বাংলাদেশের পাওনা প্রায় ২০০ একর জমি ও ভারতের পাওনা প্রায় ৪০ একর জমির গরমিল পাওয়া গেছে। যা আগামী অক্টোবর মাসে সুবিধাজনক সময়ে উভয় দেশের সার্ভেয়ার, বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে পুনরায় জরিপ করে জমির প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করতে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডাররা ঐকমত্যে পৌঁছেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘মূলত সীমান্তের বিবাদমান অংশটি নদী এলাকায়। পদ্মার ভাঙন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দুই দেশের সঠিক সীমানা নির্ধারণে জটিলতা ছিল। দুই দেশের প্রচেষ্টায় তা সমাধানে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। দ্রুত সঠিক সীমানা নির্ধারণ করা হবে। তবে জমি বুঝে না পাওয়া পর্যন্ত কেউ তা ব্যবহার করতে পারবে না।’
সীমান্তে বিএসএফকে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার বিষয়ে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বলে জানান মাহবুব মুর্শেদ। তিনি বলেন, ‘নিরীহ বাংলাদেশি নাগরিকদের সীমান্তে আটক না করা, ভারত থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য ও নিষিদ্ধ কোনো পণ্য যাতে বাংলাদেশে পাচার হতে না পারে এবং আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে সীমান্তবর্তী জনসাধারণ যাতে অবৈধভাবে দুই দেশের সীমান্তের পূজামণ্ডপে যাওয়া-আসা করতে না পারে সেসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিজিবি-বিএসএফ সম্মেলন: সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার অঙ্গীকার
১৯৮ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় সীমান্ত সম্পর্ক উন্নয়নে বিজিবি-বিএসএফের প্রীতি ভলিবল ম্যাচ
সীমান্ত সম্পর্ক উন্নয়নে ভারত ও বাংলাদেশের দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে প্রীতি ভলিবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় জয়নগর সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর মধ্যে উক্ত প্রীতি ভলিবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার (২২ মে) বিকালে জয়নগর সীমান্তের ৭৭নং পিলারের বাংলাদেশের ভেতরে শূন্য রেখায় এ প্রীতি ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।
ম্যাচে বিএসএফ ২-১ সেটে বিজিবিকে পরাজিত করেছে। এই ভলিবল প্রতিযোগিতা দেখতে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলো থেকে শত শত নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোররা ভিড় জমায়। তারা করতালিসহ বিভিন্ন স্লোগানে দুই দেশের খেলোয়াড়দের উৎসাহ যোগায়।
আরও পড়ুন: হিলি সীমান্তে মিষ্টি উপহার দিয়ে বিজিবি ও বিএসএফের ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়
৬৮০ দিন আগে