ড. ফাহমিদা খাতুন
অভিযোগ প্রমাণিত হলে টিউলিপকে এমপি পদও ছাড়তে হবে: ফাহমিদা খাতুন
যুক্তরাজ্যের ট্রেজারি মিনিস্টারের পদ থেকে টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ অবধারিত ছিল বলে জানিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। এমনকি অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) পদও ছাড়তে হতে পারে বলে দাবি করেছেন তিনি।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) সেমিনার কক্ষে ‘প্রবাসী আয় বৃদ্ধিতে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার ও আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দলের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. ফাহমিদা বলেন, ‘টিউলিপ আরেকটি দেশের রাজনৈতিক দলের সদস্য। তিনি বাংলাদেশের নাগরিক নন, এমনকি কমন সিটিজেনও নন। তিনি কীভাবে প্রধানমন্ত্রী খালার সঙ্গে রাশিয়া গিয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন?’
আরও পড়ুন: ভর্তুকি ও মূল্য বাড়ানো সত্ত্বেও ২০২৫ সালে বাড়বে পিডিবির লোকসান: সিপিডি
এই গবেষকের মতে, ‘পারিপার্শ্বিক তথ্যের ভিত্তিতে টিউলিপের পদত্যাগ অবধারিত ছিল। আর্থিক কেলেঙ্কারিসহ তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছিল। তিনি পদত্যাগ করতে দেরি করে ফেলেছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে এমপি পদ থেকেও সরে দাঁড়াতে হবে। এমনকি লেবার পার্টির সদস্যপদও হারাতে পারেন।
এ সময় প্রবাসীদের সেবায় বিদেশি হাইকমিশন ও ব্যাংকগুলোকে আরও আন্তরিক হতে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এয়ারপোর্টের প্রবাসী লাউঞ্জে যে বার্গার দেওয়া হচ্ছে, তা তারা খেতে অভ্যস্ত কিনা সেটা বুঝতে হবে। প্রবাসীরা সোনার হরিণ। তাদের সঠিকভাবে লালন-পালন করা প্রয়োজন। তাদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে হবে।’
৩২০ দিন আগে
বাজেট অবাস্তব, এভাবে মূল্যস্ফীতি রোধ করা সম্ভব নয়: সিপিডি
থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বৃহস্পতিবার এক তাৎক্ষণিক বিবৃতিতে এই বাজেটকে উচ্চাভিলাষী ও অবাস্তব বলে অভিহিত করেছে।
চলমান সংকটের প্রেক্ষাপটে বাজেটে ঘোষিত সামষ্টিক অর্থনৈতিক অনুমানগুলো অলীক ও অপ্রাপ্য।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, বাজেটে যেসব পদক্ষেপ ঘোষণা করা হয়েছে তা দিয়ে মূল্যস্ফীতি রোধ ও মূল্যবৃদ্ধি রোধ করা অসম্ভব।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, কিন্তু ৩৮টি সেবা পাওয়ার জন্য যাদের আয় করযোগ্য আয়ের নিচে নেমে আসে তাদের ওপর ন্যূনতম ২ হাজার টাকা ধার্য করাটা অযৌক্তিক।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো আমদানি করি তা থেকে শুল্ক অব্যাহতি দেওয়ার জন্য বাজেটে পর্যাপ্ত উদ্যোগ নেই।’
তবে সিপিডি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য পৃথক করদাতাদের জন্য বিদ্যমান ৩ লাখ টাকা থেকে করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়িয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা করার প্রস্তাবের প্রশংসা করেছে।
আরও পড়ুন: ৭৫ হাজার কোটি টাকার কম রাজস্বে বাড়বে বাজেট ঘাটতি: সিপিডি
সম্পত্তি কর থেকে ৬ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত কর আদায় করা যাবে: সিপিডি
১৫০০ কোটি টাকার নিরাপত্তা তহবিল অযোগ্য সুবিধাভোগীদের জন্য ব্যয়: সিপিডি‘র জরিপ
৯১৭ দিন আগে