মাওলানা ইয়াহিয়া
হেফাজত নেতা মাওলানা ইয়াহিয়া আর নেই
হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমীর ও আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মইনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক হযরত মাওলানা ইয়াহিয়া ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেঊন)।
শুক্রবার (৩ জুন) দিবাগত রাত দেড়টায় ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সার আক্রান্ত ছিলেন।
মৃত্যুকালে মাওলানা ইয়াহিয়ার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।
মাওলানা ইয়াহইয়ার ছেলে মাওলানা মোহাম্মদ জুনাইদ রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: হেফাজত নেতা মামুনুল হক গ্রেপ্তার
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে অসুস্থ হয়ে পড়লে চট্টগ্রাম নগরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মাওলানা ইয়াহিয়াকে। অবস্থার অবনতি হলে রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া তিনি ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।
হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক হিসেবে ২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মাওলানা ইয়াহিয়া দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আবদুস সালামকে মহাপরিচালক ও ইয়াহিয়াকে সহকারী পরিচালক ঘোষণার পরপরই আবদুস সালাম অসুস্থ হয়ে পড়েন বৈঠকে। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মুফতি আবদুস সালামের জানাজার পরপরই সেদিন ইয়াহিয়াকে মহাপরিচালক ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: টাকা আত্মসাৎ মামলায় চট্টগ্রামে হেফাজত নেতা কারাগারে
কর্মজীবন-
১৯৭৩ সালে তিনি শিক্ষাজীবন শেষ করে হাটহাজারীর গড়দুয়ারা মাদরাসায় শিক্ষকতা শুরু করেন। গড়দুয়ারা মাদরাসায় ১০ বছর শিক্ষকতার পরে তিন বছর মাদার্শা মাদরাসা ও হাজী ইউনুস সাহেব (রহ.) প্রতিষ্ঠিত ইছাপুর ফয়জিয়া তাজবিদুল কুরআন মাদরাসায় ছয় বছর শিক্ষকতা করেন। হাটহাজারী মাদরাসার মজলিশে শূরার ডাকে ১৯৯১ সালে উম্মুল মাদারিস খ্যাত হাটহাজারী মাদরাসায় যোগ দেন।
শিক্ষকতার শুরু থেকে আজ অবধি তার মেধা, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা দিয়ে দক্ষতার সঙ্গে উর্দুখানা থেকে তাফসির জামাত পর্যন্ত সব বিভাগের বিভিন্ন কিতাবের পাঠদান করে আসছেন।
২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর হাটহাজারী মাদরাসায় অনুষ্ঠিত মজলিশে শূরার বৈঠকে মসলিশে এদারির (মাদরাসা পরিচালনা বোর্ড) সদস্য নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
খেলাফত লাভ-
হাটহাজারী মাদরাসায় অধ্যায়নকালে শুধু জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমেই তৃপ্ত হননি বরং আধ্যাত্মিক সাধনার জন্যও অস্থির ছিলেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি তাসবিহ তাহলিল আদায়ে সুষ্ঠু নিয়ম, উন্নত চরিত্রের অধিকারী, ইখলাস ও আমল-আখলাক দেখে শায়খুল ইসলাম হযরত হুসাইন আহমদ মাদানীর (রাহ.) খলিফা আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহ.) চার তরিকার খেলাফত দান করে বাইয়াত ও মুরিদ করার অনুমতি প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের আরও ৭ কর্মী-সমর্থক গ্রেপ্তার
১ বছর আগে