বাণিজ্য চুক্তি
চীনের আপত্তির মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ান বাণিজ্য চুক্তি সই
চীনের আপত্তির মধ্যেই বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি সই করেছে।
দুই দেশের সরকার জানায়, ২১ শতকের বাণিজ্যে মার্কিন-তাইওয়ানের উদ্যোগ শুল্ক, বিনিয়োগ এবং অন্যান্য নিয়মনীতির উন্নতির মাধ্যমে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে।
উচ্চ-প্রযুক্তি শিল্পের কেন্দ্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের মধ্যে সম্পর্ক বজায় রাখে এমন বেসরকারি সংস্থার কর্মচারীরা এই চুক্তি সই করে। এ দুই দেশের মধ্যে কোনো আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, তবে তাদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে।
ডেপুটি ইউএসটিআর সারাহ বিয়াঞ্চি চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ককে শক্তিশালী ও গভীর করার উদ্দেশ্যে এই চুক্তি করা হয়েছে।’
চীন সরকার ওয়াশিংটনকে তাইওয়ান বিষয়ক চুক্তি লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করেছে এবং মার্কিন সরকারকে তাইওয়ানের নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: তাইওয়ানের পর দ. কোরিয়া গেলেন পেলোসি
১৯৪৯ সালে গৃহযুদ্ধের পর তাইওয়ান ও চীন বিভক্ত হয়। দ্বীপটি কখনই গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের অংশ ছিল না, তবে মূল ভূখণ্ডের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির দাবি, প্রয়োজনে জোর করে চীনের সঙ্গে একত্রিত হতে বাধ্য।
চীনা নেতা শি জিনপিংয়ের সরকার দ্বীপের কাছে যুদ্ধবিমান ও বোমারু বিমান উড়িয়ে তাইওয়ানকে ভয় দেখানোর প্রচেষ্টা জোরদার করেছে।
আমেরিকান ও ইউরোপীয় রাজনীতিবিদরা তাইওয়ানের নির্বাচিত সরকারের প্রতি সমর্থন প্রদর্শনের জন্য সফর করেছেন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের তাইওয়ানের সঙ্গে যেকোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক বিনিময় বন্ধ করা উচিত’ এবং ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা’ বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে ভুল সংকেত পাঠানো থেকে বিরত থাকা উচিত।
আরও পড়ুন: তাইওয়ানকে কখনো ছুড়ে ফেলবে না যুক্তরাষ্ট্র: পেলোসি
চীনের হুমকির মধ্যেই তাইওয়ান পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্পিকার
১ বছর আগে