বাংলা একাডেমি
বাংলা একাডেমি ও শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।
শনিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আন্দোলনকারীদের চিকিৎসার ব্যয় বহন করবে সরকার, বিতর্কিত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দ্রুত বাতিল
এছাড়া বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর এবং ভারতের কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের প্রথম সচিব (প্রেস) রঞ্জন সেনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগও বাতিল করা হয়েছে।
জনস্বার্থে শিগগিরই এ আদেশ কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কয়েকটি মন্ত্রণালয় ও রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে পাঁচজন সচিবকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের নিয়োগ বাতিল
বাতিল হলো ১৫ আগস্টের সরকারি ছুটি
৩ মাস আগে
বইমেলার সমাপ্তি: ৩১ দিনে ৬০ কোটি টাকার বিক্রি
২০২৪ সাল ‘লিপ ইয়ার’ হওয়ায় ফেব্রুয়ারি মাস ছিল ২৯ দিনে। পাশাপাশি বইমেলা ২ দিন বাড়ানো হয়েছিল। ফলে ৩১ দিনের দীর্ঘ বইমেলা ছিল এবারেরটি। গতকাল শনিবার ছিল মেলার শেষ দিন। এই মেলায় মোট ৩ হাজার ৭৫১টি নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে এবং সব মিলিয়ে প্রায় ৬০ লাখ দর্শনার্থী এসেছিলেন।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বইমেলার মূল মঞ্চে সমাপনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ও সন্তোষ প্রকাশ করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির প্রশাসন উপ-বিভাগের উপ-পরিচালক ড. সাহেদ মন্তাজ এবারের মেলার বিক্রির পরিসংখ্যান ও সার্বিক তথ্য তুলে ধরেন।
বইমেলার আয়োজক বাংলা একাডেমির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এবারের মেলায় বিক্রি ৬০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে, যা আগের বছর ছিল ৪৭ কোটি টাকা এবং ২০২২ সালে ছিল ৫২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: অমর একুশে বইমেলা-২০২৪ এর সময় বাড়ল ২ দিন
মেলায় মোট ৩ হাজার ৭৫১টি বইয়ের মধ্যে কবিতার বই ১ হাজার ২৬২টি, ছড়ার বই ১০৬টি, গবেষণা ৭৬টি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ৬৯টি, ইতিহাসের ৬৪টি, শিশুতোষ উপন্যাস ৭১টি, ভ্রমণবিষয়ক ৬৪টি বই, ৬১টি অনুবাদ, ৪৪টি বিজ্ঞানের বই, ৩৬টি সায়েন্স ফিকশন, ২৯টি রচনা, ধর্ম ক্যাটাগরির ৩৩টি, কমিকস ক্যাটাগরির ৩১টি, নাটক ৩৪টি, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ২৭টি, রাজনীতি বিষয়ক ২৯টি বই, স্বাস্থ্য বিষয়ক ২৯টি বই এবং অভিধান সম্পর্কিত ১৯টি বইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য ক্যাটাগরিতে ২২২টি বই প্রকাশিত হয়েছে।
অথচ বাংলা একাডেমি নিজেই ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার বই বিক্রি করেছে, যা ২০২৩ সালে ছিল ১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা এবং ২০২২ সালে ছিল ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: প্রেসক্লাব অব ইন্ডিয়ার সভাপতি গৌতম লাহিড়ীর বইয়ের মোড়ক উন্মোচনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি আটটি প্রকাশনা সংস্থাকে চারটি বিভাগে পুরস্কার বিতরণ করে যেখানে বিষয় ও মানের দিক থেকে সর্বাধিক সংখ্যক মানসম্পন্ন বই প্রকাশের জন্য কথাপ্রকাশ চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার-২০২৪ প্রদান করে।
এছাড়া শিল্প ও মানের দিক থেকে সেরা বই প্রকাশের জন্য প্রথমা প্রকাশ, জার্নিম্যান বুকস ও ঐতিহ্য প্রকাশনীকে মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার দেওয়া হয়।
ময়ূরপঙ্খী পাবলিকেশন শিশুদের জন্য সর্বোচ্চ সংখ্যক মানসম্পন্ন বই প্রকাশের জন্য রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কারে ভূষিত হয় এবং অন্যপ্রকাশ প্রকাশনী, নিমফিয়া পাবলিকেশন এবং বেঙ্গল বুকস শ্রেষ্ঠ অভ্যন্তরীণ ডিজাইনের জন্য কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার পায়।
আরও পড়ুন: ছুটির দিনে প্রাণবন্ত বইমেলার শিশুচত্বর
৮ মাস আগে
সরকারি আমলাকে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার দেওয়ার চলচ্চিত্র নির্মাতার প্রতিবাদ
কথা সাহিত্যিক জাকির তালুকদারের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ফেরত দেওয়া নিয়ে সরগরম গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম । এরই মধ্যে একজন সরকারি আমলা কথাসাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাওয়ায় ক্ষোভ ও হতাশ হয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার মনজুরুল ইসলাম মেঘ।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমি ও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ই-মেইলে চিঠি দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
গত ২৪ জানুয়ারি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩ ঘোষণা করেছে বাংলা একাডেমি।
চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, বাংলা একাডেমি পুরস্কার-২০২৩ এ কথাসাহিত্যে পুরস্কারের জন্য নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীরের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি ড. জাহাঙ্গীর আলম নামে একজন সরকারি কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদা) হিসেবে কর্মরত।
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ আয়কারী ১০ দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্র
ই-মেইলে তিনি আরও বলেন, ‘২০১৯-২০২০ অর্থবছরে তথ্য মন্ত্রণালয় চলচ্চিত্র অনুদান দেয়। গেজেট নম্বর ১৫.০০.০০০০.০৪১.২৪.০০১.২০.১৩৮ ওই গেজেটের সিরিয়াল নম্বর ১৬ বিলডাকিনি চলচ্চিত্রের পরিচালক হিসেবে গেজেট ঘোষণার আগে তৎকালীন তথ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি আমার সাক্ষাৎকার নিয়ে আমার নাম মনজুরুল ইসলাম পরিচালক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অথচ জাল-জালিয়াতির মাধ্যম ড. জাহাঙ্গীর আলম তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরিচালকের পদ থেকে আমাকে বঞ্চিত করে উক্ত গেজেটের সিরিয়াল নম্বর ৩ এ উল্লেখিত ফজলুল কবীর তুহিনকে দিয়ে বিলডাকিনি ও গাংকুমারী নামে দুটি সিনেমা নির্মাণ করেছেন, যা চলচ্চিত্র অনুদান আইনবিরোধী। বিলডাকিনি চিত্রনাট্য আমার রচিত এবং আমার নামে কপিরাইট অধিদপ্তরে নিবন্ধিত হয়েছে। কপিরাইট নিবন্ধন নম্বর ঈজখ-২৩৪৫৮। অথচ নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীর আমার সৃজনশীল কর্ম অবৈধ ভাবে আংশিক পরিবর্তন করে সিনেমা নির্মাণ করে কপিরাইট আইন লঙ্ঘন ও সৃজনশীল কর্ম চুরির অপরাধ করেছেন। সরকারী অর্থ আত্মসাতের জন্য নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীর নিজের স্ত্রী খাতিজা বেগম মিতাকে বিলডাকিনি চলচ্চিত্রের নির্বাহী প্রযোজক এবং ঘনিষ্ঠবন্ধু আব্দুল মমিন খানকে প্রযোজক বানিয়ে সরকারি অর্থ উত্তোলন করেছেন। আব্দুল মমিন, তথ্য গোপন করে অসাধু পন্থা অবলম্বন করে যোগ্যতা ছাড়াই জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে চলচ্চিত্র অনুদান হস্তগত করেছেন, এই বিষয়ে বিগত ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ তারিখে সময় টিভির একটি সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। এছাড়াও জাতীয় গণমাধ্যম সমূহে বিলডাকিনি চলচ্চিত্রের অনিয়ম নিয়ে একাধিক সংবাদ প্রচারিত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আসছে ৭৪ দেশের ২৫২ সিনেমা
এ ঘটনার পর ন্যায় বিচার ও সৃজনশীল কাজের স্বীকৃতি ও প্রাপ্য সম্মান-অধিকার চেয়ে তিনি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে একাধিক চিঠি দিয়েছেন বলে জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশনা দিয়েছিলেন উল্লেখ করে মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘সেটির একটি রিসিভ কপি আমার কাছে আছে, বিষয়টি এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। আমার অপর একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্তের জন্য পুলিশ প্রশাসন আমার বক্তব্য নিয়েছেন, সেটির চূড়ান্ত ফলাফল এখনো আমি পাইনি।’
প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীর, যার বিরুদ্ধে সৃজনশীল জালিয়াতির বিষয়টি এখনো নিষ্পত্তি হয়নি, তাকে বাংলা একাডেমি কর্তৃক পুরস্কার দেওয়া হলে বাংলা একাডেমির সুনাম ক্ষুণ্ন ও সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে বলে মনে করেন এ চলচ্চিত্র পরিচালক। একই সঙ্গে তিনি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হতে পারেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
মনজুরুল ই-মেইলে পাঠানো প্রতিবাদে বলেন, ‘অতএব বিষয়টি আমলে নিয়ে বিলডাকিনি চলচ্চিত্র অনুদানে আমার অধিকার ও ন্যায় বিচার না হওয়া পর্যন্ত এবং নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীরের বাংলা একাডেমি পুরষ্কার প্রদান স্থগিত করে এবং কথাসাহিত্যে নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীরের পুরস্কার পাওয়ার বিষয়ে তার কথাসাহিত্যের মান বিচারের জন্য একটি নিরপেক্ষ কমিটি গঠন করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: ভারতের চলচ্চিত্র উৎসবে ‘মেঘের কপাট’ পেল ৩ পুরস্কার
৯ মাস আগে
অমর একুশে বইমেলায় বোমা হামলার হুমকি আনসার আল-ইসলামের
অমর একুশে বইমেলায় বোমা হামলার হুমকি দিয়ে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক নুরুল হুদাকে চিঠি দিয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম।
এ ঘটনায় বাংলা একাডেমির নুরুল হুদা বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডাকযোগে বাংলা একাডেমির কার্যালয়ে চিঠিটি পাঠানো হয়। পরে বাংলা একাডেমির নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম সেটি থানায় নিয়ে যান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘রাজধানীর দুটি হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে বলে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালককে চিঠি দিয়েছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল-ইসলাম। এসব কার্যক্রম বন্ধ করা না হলে অমর একুশে বইমেলায় বোমা হামলা চালানো হবে বলে জানিয়েছে তারা।’
আরও পড়ুন: জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল আনসারের নায়েবে আমির গ্রেপ্তার: সিটিটিসি
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ জিডি করেছে। আমরা প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছি।’
নুরুল হুদা বলেন, ‘ঘটনাটি জানতে পেরেছেন। কিন্তু সে সময় আমি অফিসের বাইরে ছিলাম। আমরা শাহবাগ থানায় জিডি করেছি।’
অমর একুশে বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ডাকযোগে চিঠিটি পাঠানো হয়। আমরা চিঠিটি থানায় পাঠিয়েছি। তারা (পুলিশ) বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।’
আরও পড়ুন: পেপার স্প্রে দিয়ে জঙ্গি ছিনতাই: নাটোর আদালতে বিপুল নিরাপত্তায় আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের আরিফ
১ বছর আগে
বাংলা একাডেমি কলঙ্কিত অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘অন্যায়ভাবে’ বিভিন্ন স্টল বন্ধ করে এবং বইমেলায় কিছু বই প্রদর্শনের অনুমতি না দিয়ে বাংলা একাডেমি কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলা ভাষার প্রসার ও চিন্তার অবাধ অনুশীলন এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে বাংলা একাডেমি এখন অন্যায়ভাবে বিভিন্ন স্টল এবং কিছু বই প্রদর্শনের অনুমতি না দিয়ে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছে।’
রবিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বাংলা একাডেমির এমন আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, কথা বলার অধিকার, মুক্তচিন্তা, লেখার এবং মানুষের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা এই ২১ ফেব্রুয়ারি নতুন করে শপথ নেব।’
ফাহাম আব্দুস সালামের লেখা ‘বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধান’, জিয়া হাসান রচিত ‘উন্নয়ন বিভ্রম’ এবং ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের ‘অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অভাবনীয় কথামালা’-এই তিনটি বই নিয়ে আপত্তি তুলে বাংলা একাডেমি প্রকাশনা সংস্থা আদর্শ প্রকাশনীকে চলমান অমর একুশে বইমেলায় অংশ নিতে দেয়নি।
আরও পড়ুন: একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
‘বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধান’- গ্রন্থের লেখক ফাহাম আব্দুস সালাম মির্জা ফখরুলের জামাতা।
দেশের স্বাধীনতার ৫১ বছর পরও জাতি তার গণতান্ত্রিক ও অন্যান্য অধিকার থেকে বঞ্চিত এবং চিন্তা, বাক ও লেখার স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে দুঃখ প্রকাশ করেন ফখরুল।
তিনি অভিযোগ করেন, দেশে এখন স্বৈরাচারী সরকার শাসন করছে যারা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমন-পীড়ন করছে। সারাদেশে প্রায় ৪০ লাখ মানুষকে মিথ্যা ও ভুতুড়ে মামলায় ফাঁসানো অবস্থায় আমাদের অনেক নেতাকর্মী এখনও কারাগারে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ক্ষমতাসীন দল একদলীয় শাসন কায়েমের জন্য মারাত্মক চক্রান্ত করছে।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে এসে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘জাতিকে আবার ঐক্যবদ্ধ করতে এবং গণতন্ত্র ও সকল হারানো অধিকার পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে আমরা ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপন করতে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: ২৫ ফেব্রুয়ারি সব জেলায় পদযাত্রা, আন্দোলন অব্যাহত রাখবে বিএনপি
জনগণের আশা-আকাঙ্খা পূরণে সংবিধান সংশোধন করতে হবে: ফখরুল
১ বছর আগে
আতফুল হাই শিবলী পরোপকারী মানুষ ছিলেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘প্রয়াত অধ্যাপক ড. আতফুল হাই শিবলী খুব পরোপকারী মানুষ ছিলেন। অন্যের উপকার করতে পারলে খুশি হতেন। মানুষের সঙ্গে সহজেই মিশতে পারতেন এবং আপন করে নিতেন।’
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান মিলনায়তনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ইতিহাস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আতফুল হাই শিবলী স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন, আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, ‘শিবলীর মনটা ছিল অনুসন্ধিৎসু। ছোট বোনের স্বামী হলেও তিনি ছিলেন আমার সহকর্মী ও বন্ধুর মতো। শিবলী একজন পরিপূর্ণ ও সফল মানুষ ছিলেন। তিনি যখন করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে অসুস্থ ছিলেন তখনও অন্যের উপকারের জন্য চিন্তা করতেন। সবসময় হাসি মুখে থাকতেন। তার মতো মানবোপকারী মানুষকে হারানো আমাদের পরিবার এবং দেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু স্বদেশে ফিরে আসার পরই আমাদের নবযুগের সূচনা হয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ইতিহাস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে আতফুল হাই শিবলীর স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন, জাতীয় অধ্যাপক ডা. শাহলা খাতুন, অধ্যাপক আতফুল হাই শিবলীর সহধর্মিণী নাজিয়া শিবলী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা খাতুন এবং আতফুল হাই শিবলীর সহকর্মী ও ছাত্র-ছাত্রীরা।
অধ্যাপক আতফুল হাই শিবলীর স্মৃতিচারণ করে অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, তিনি শিক্ষক হিসেবে, গবেষক হিসেবে, প্রশাসক হিসেবে, নীতির প্রশ্নে অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। মানুষকে তিনি সহজেই আপন করে নিতেন।
এছাড়া আতফুল হাই শিবলীর প্রচারবিমুখতা ও কর্তব্যনিষ্ঠা সকলের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ হতে পারে বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ইতিহাস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে প্রকাশিত আতফুল হাই শিবলী স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন।
অনুষ্ঠানে শেষাংশে প্রয়াত আতফুল হাই শিবলীর রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
আরও পড়ুন: ডা. এস এ মালেকের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
সিলেট-শিলচর উৎসবে যোগ দিতে আসাম গেলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
কাজী নজরুলকে ‘জাতীয় কবি’ ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ কেন নয়: হাইকোর্ট
কবি কাজী নজরুল ইসলামকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক এবং কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালককে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন। আইনজীবী নিজেই রুলের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, আবুল কালাম আজাদ দাউদ।
এর আগে গত ২২ জুন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীর পক্ষে আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন এ রিট করেন। তিনি জানান, কাজী নজরুল ইসলাম মৌখিকভাবে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে পরিচিত হলেও লিখিতভাবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নেই। বলা হয়ে থাকে, ১৯২৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর কলকাতার আলবার্ট হলে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে সর্বভারতীয় বাঙালিদের পক্ষ থেকে কবিকে জাতীয় সংবর্ধনা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নজরুলকে ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে মুখে মুখে তিনি জাতীয় কবি। কিন্তু আজ পর্যন্ত সরকারিভাবে তাকে ‘জাতীয় কবি’ হিসাবে ঘোষণা করে কোনো প্রজ্ঞাপন বা গেজেট প্রকাশ করা হয়নি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। কারণ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি কোনো মৌখিক বিষয় নয়।
আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন বলেন, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ২৪ মে কবিকে বাংলাদেশে আনা হয়। বসবাসের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ধানমন্ডিতে তাকে একটি বাড়ি দেয়া হয়। বাংলাসাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাকে ডি-লিট উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
আরও পড়ুন: কবি নজরুলের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী বুধবার
এরপর ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দিয়ে সরকারি আদেশ জারি করা হয়। ১৯৭৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তাকে ‘একুশে পদক’ দেয়া হয়। সবকিছুরই ছবি, তথ্যসহ লিখিত দলিল আছে। কিন্তু নির্মম সত্য এটিই যে, ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে সরকারি ঘোষণার কোনো লিখিত দলিল বা প্রমাণ নেই।
বাংলাদেশের দু’টি আইনে জাতীয় কবি হিসেবে নজরুলের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বিভিন্ন সরকারি আয়োজনে তাকে জাতীয় কবি হিসেবে উল্লেখও করা হয়। কিন্তু সবই পরোক্ষ স্বীকৃতি। এমন স্বীকৃতি কালের পরিবর্তনে মুছে যেতে পারে। আগামীর প্রজন্ম একদিন হয়তো না-ও জানতে পারে যে, আমাদের জাতীয় কবির নাম কাজী নজরুল ইসলাম।
এছাড়া নজরুলকে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণার দাবিতে কবি পরিবারের পক্ষ থেকে বার বার দাবি তোলা হয়েছে। নজরুল গবেষক এবং সাহিত্য-সংস্কৃতি সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকেও দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু অদ্যাবধি এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তাই দেশের সচেতন নাগরিক এবং উচ্চ আদালতের আইনজীবী হিসেবে রিট করা হয়েছে।
রিটকারী আইনজীবীরা হলেন- মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন, মো. জোবায়দুর রহমান, আল রেজা মো. আমির, মো. রেজাউল ইসলাম, কে এম মামুনুর রশিদ, মো. আশরাফুল ইসলাম, শাহীনুর রহমান, মো. রেজাউল করিম এবং মো. আলাউদ্দিন।
এর আগে গত ৩১ মে ১০ আইনজীবীর পক্ষে আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। নোটিশ পাঠানোর পরও কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় গত ২২ জুন হাইকোর্টে এই রিট আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: কবি নজরুলের গান-কবিতা মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে: শিক্ষামন্ত্রী
২ বছর আগে
বাংলা একাডেমি রবীন্দ্র পুরস্কার পেলেন ড. আতিউর রহমান
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড.আতিউর রহমান বাংলা একাডেমি রবীন্দ্র পুরস্কার ২০২১ পেয়েছেন।
রবিবার এ উপলক্ষে বাংলা একাডেমি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির সচিব এএইচএম লোকমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির পরিচালক নুরুন্নাহার খানম।
আতিউর রহমান বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালির স্বাতন্ত্র্য ও আভিজাত্যের ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রেখেছেন। বাঙালির নান্দনিক চর্চাকেও তিনি এগিয়ে নিয়ে গেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন ১৫ ব্যক্তি
ড. আতিউর বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ শুধু একজন লেখকই নন, একজন মহান অর্থনীতিবিদও। তিনি কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নের কথা অনবরত বলেছেন।
তিনি সমাজের বঞ্চিত মানুষকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, আত্মনির্ভরশীলতার পথ খুঁজেছেন। তাই তার আর্থ-সামাজিক চিন্তাধারাকে আরও তুলে ধরতে হবে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বাংলা ভাষাকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: বাংলা একাডেমির সাহিত্য পুরস্কার ও ফেলোশিপ প্রদান
বাংলা একাডেমির ‘গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার’ ঘোষণা
২ বছর আগে
বই মেলার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে ক্লাউড সার্ভিস দিচ্ছে হুয়াওয়ে
আইসিটি প্রযুক্তি, সেবা ও অবকাঠামো প্রদানকারী হুয়াওয়ে ভার্চুয়াল অমর একুশে বইমেলা চালু করার জন্য বাংলা একাডেমিকে ক্লাউড সল্যুশন দিয়েছে। এখন থেকে বইপ্রেমীরা বইমেলা সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য দেখতে পারবেন এই ওয়েবসাইটে।
বর্তমান পরিস্থিতির কথা আমলে নিয়ে, অমর একুশে বইমেলা ২০২২ উপলক্ষে বাংলা একাডেমি এই ওয়েবসাইটটি চালু করেছে যাতে করে দর্শক ও আগ্রহী বইপ্রেমীরা ভার্চুয়ালি বইমেলা উপভোগ করতে পারেন এবং বইমেলা সম্পর্কিত তথ্য ও অন্যান্য সুবিধা পান। ওয়েবসাইটটির জন্য ক্লাউড সাপোর্ট দিচ্ছে হুয়াওয়ে আর ভার্চুয়াল প্লাটফর্মটি পরিচালনা করবে সিইএমএস।
বইপ্রেমীরা এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বইমেলা, স্টল, বই, অনুষ্ঠান, কার্যক্রম ও স্টলগুলোর অবস্থান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। এছাড়া তথ্য সঞ্চয় করে রাখা, প্রিয় লেখক কখন মেলায় আসবেন তা জানতে এবং স্টলের সঙ্গে সরাসরি চ্যাটও করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।
আরও পড়ুন: বাজারে উন্মোচিত ‘স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা’
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি) কবি নুরুল হুদা বলেন, ‘পুরো দেশ ডিজিটাল সেবার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এবং সরকার এই রূপান্তরের সাহায্যে এগিয়ে আসছে। তদানুসারে, বাংলা একাডেমি এই বছর অমর একুশে বইমেলার জন্য একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে যাতে প্রত্যেকে বইমেলা বিষয়ক প্রয়োজনীয় তথ্য ডিজিটালভাবে অ্যাক্সেস করতে পারেন। এটাকে বাস্তবে রূপ দিতে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়ার জন্য আমি হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানাই।’
হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কমিউনিকেশনস ডিপার্টমেন্টের পরিচালক, ইউয়িং কার্ল বলেন, ‘বরাবরই বাংলাদেশের আইসিটি সেক্টরের উন্নয়নে কাজ করছে হয়াওয়ে এবং হয়াওয়ে ক্লাউড প্ল্যাটফর্মের মতো বিশ্বের সবচেয়ে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি প্রবর্তনের মাধ্যমে দেশের সেবা করছে। আমাদের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে, অমর একুশে বইমেলা ভার্চুয়াল সাইটের সুবিধার্থে ক্লাউড পরিষেবা প্রদান করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা বিশ্বাস করি এই ওয়েবসাইট বইমেলায় একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে এবং বাংলা একাডেমিকে নানাভাবে সাহায্য করবে।’
পুরো অভিজ্ঞতা পেতে এই ওয়েবসাইটে নিজের নাম, ঠিকানা, ইমেইল এর মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে যার জন্য কোন চার্জ হবে না। যে কোন বই অনলাইনে অর্ডার করার সুযোগও থাকছে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। তবে আপাতত ক্যাশ অন ডেলিভারি সুবিধা থাকলেও খুব শিগগিরই অনলাইন পেমেন্ট সুবিধা সংযুক্ত হবে।
আরও পড়ুন: হুয়াওয়ে মালয়েশিয়ার ইনোভেশন সেন্টার উদ্বোধন
২ বছর আগে
একুশে বইমেলা- ২০২২ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বইপ্রেমী ও প্রকাশকদের বার্ষিক অনুষ্ঠান অমর একুশে বইমেলা-২০২২ উদ্বোধন করেছেন।মঙ্গলবার বিকেলে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বাংলা একাডেমিতে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে দেশের সবচেয়ে বড় বইমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এবারের মেলা বসছে রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও এর পার্শ্ববর্তী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। মেলা চলবে ১৫ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, তবে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে এর মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে।
বইমেলা সাপ্তাহিক ছুটির দিন (শুক্র ও শনিবার) এবং সরকারি ছুটির দিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রাত ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন না। এছাড়া ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২১’ পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
তার পক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ১১টি ক্যাটাগরিতে ১৫ জনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। প্রত্যেক পুরস্কারপ্রাপ্তকে তিন লাখ টাকার চেক, একটি ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেয়া হয়।
কবিতার জন্য আসাদ মান্নান ও বিমল গুহ, উপন্যাসের জন্য ঝর্ণা রহমান ও বিশ্বজিৎ চৌধুরী, প্রবন্ধ/গবেষণার জন্য হোসেনউদ্দিন হোসেন এবং অনুবাদের জন্য আমিনুর রহমান ও রফিক-উম-মুনীর চৌধুরী পুরস্কার পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: একুশে বইমেলায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে: ডিএমপি
২ বছর আগে