শুল্ক গোয়েন্দা
পোশাক রপ্তানির নামে ৩০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ ১০ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পোশাক রপ্তানির আড়ালে জালিয়াতির মাধ্যমে ৩০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ উঠেছে ঢাকার ১০ গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গণমাধ্যমকে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বশির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর জানান, ব্যাপক অনুসন্ধ্যানে টাকা পাচারের বিষয়টি প্রমাণ পেয়েছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। এসব কারসাজির সঙ্গে জড়িত আছে চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি সিএন্ডএফ এজেন্ট।
আরও পড়ুন: স্বর্ণ চোরাচালানে বছরে ৭৩ হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে: বাজুস
রপ্তানিকারক ১০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে-
ঢাকা সাভারের প্রজ্ঞা ফ্যাশন লিমিটেড, গুলশানের ফ্যাশন ট্রেড, ঢাকা উত্তরার এমডিএস ফ্যাশন, গাজীপুরের হংকং ফ্যাশনস লিমিটেড, বনানীর থ্রী স্টার ট্রেডিং, মিরপুরের ফরচুন ফ্যাশন, কচুক্ষেতের অনুপম ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেড, গাজীপুরের পিক্সি নিটওয়্যারস লিমিটেড, ঢাকা শাহবাগের স্টাইলাইজ বিডি লিমিটেড ও খিলখেতের ইডেন স্টাইল টেক্স।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অভিনব কায়দায় রপ্তানি জালিয়াতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পণ্যচালান বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে কিন্তু কিছু বৈদেশিক মুদ্রা প্রত্যাবাসিত হচ্ছে না এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস গোয়েন্দা পরিচালনা করেছে।
রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বিল অব এক্সপোর্ট জালিয়াতি করে অন্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্সপোর্ট মনিটরিং সিস্টেম (ইএক্সপি) ব্যবহার করে পণ্য রপ্তানি করেছে। যার বিপরীতে কোনো অর্থ দেশে ফিরে আসেনি বা সমুদয় রপ্তানি মূল্য বাবদ অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে।
তদন্তকালে ১০টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বিগত সময়ে ১ হাজার ২৩৪টি পণ্য চালান এমন জালিয়াতি করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। চালানের বিপরীতে পণ্যের পরিমাণ ১ হাজার ৯২১ মেট্রিক টন যার বিপরীতে ফেরতযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রার সম্ভাব্য পরিমাণ ৩ কোটি ৫৩ লাখ ৬৬ হাজার ৯১৮ মার্কিন ডলার।
প্রতিষ্ঠানগুলোর সংশ্লিষ্ট দলিলাদি পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানসমূহ টি-শার্ট, টপস, লেডিস ড্রেস, ট্রাউজার, বেবি সেট, পোলো শার্ট, প্রভৃতি পণ্য সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, কাতার, সৌদি আরব ও নাইজেরিয়া প্রভৃতি দেশে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে রপ্তানি দেখিয়ে অর্থ পাচার করেছে।
প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত বিল অব এক্সপোর্টের কোড ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছে বলে প্রমাণ পেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা।
১০ প্রতিষ্ঠানের বিল অব এক্সপোর্ট ও ইএক্সপি তথ্যের মধ্যে মিল পাওয়া যায়নি এবং সাউথ ইস্ট ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত ১০ প্রতিষ্ঠানের কোনোটিই ওই ব্যাংকে লিয়েন করা নয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির কারণে টাকা পাচার কমবে: মোমেন
সরকারের গণতন্ত্র হচ্ছে চুরি, লুট, টাকা পাচার ও মানুষ হত্যা করার গণতন্ত্র: ফখরুল
১ বছর আগে
শাহ আমানত বিমানবন্দরে ৬৩.১৭ লাখ টাকার স্বর্ণ জব্দ
চট্টগ্রামের হযরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোমবার একটি লাগেজ থেকে ৬৩ লাখ ১৭ হাজার টাকা মূল্যের ৭৩৬ গ্রাম সোনা জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শারজাহ ফ্লাইট থেকে ১.৩ কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ
জানা গেছে, সোমবার সকালে বিমানবন্দর টার্মিনালের আন্তর্জাতিক আগমনী কনভেয়ার বেল্টের কাছের যাত্রীবিহীন একটি লাগেজ থেকে ১২টি লম্বা দণ্ড আকৃতির ৭৩৬ গ্রাম (২৪ ক্যারেট) স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৬৩ লাখ ১৭ হাজার ৫৯৬ টাকা।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বশির আহমেদ বলেন, ব্যাগের ভেতর থেকে দরজার কব্জার মাঝখানে স্বর্ণের দণ্ড রেখে পাচারের সময় চালান জব্দ করা হয়েছে। তবে আমরা কাউকে আটক করতে পারিনি।
তিনি আরও বলেন, উদ্ধার করা স্বর্ণ বিমানবন্দর কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে স্বর্ণ জব্দ, দুবাইফেরত যুবক আটক
ঢাকা বিমানবন্দরে এক কেজি স্বর্ণ জব্দ, আটক ১
১ বছর আগে