মে মাস
বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম
মে মাসের জন্য ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের খুচরা মূল্য বাড়িয়েছে সরকার। পাশাপাশি বিদ্যুৎকেন্দ্রের খুচরা গ্যাসের দামও বাড়ানো হয়েছে।
এপ্রিলের শেষ দিন নতুন দামসহ একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
১ মে থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: বগুড়ার শিবগঞ্জে পুড়েছে তেলের গুদাম
দেখা যায়, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১০৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০৭ টাকা, পেট্রোল প্রতি লিটার আড়াই টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২৪ টাকা ৫০ পয়সা এবং অকটেন ১২৬ টাকা থেকে আড়াই টাকা বাড়িয়ে ১২৮ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে নতুন এই দাম নির্ধারণ করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
গত ৭ মার্চ প্রথম স্বয়ংক্রিয় মূল্য কার্যকর হয়।
এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোলিয়ামের দামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ১ মার্চ দেশব্যাপী জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণে গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে 'জ্বালানি মূল্য নির্দেশিকা' জারি করে সরকার।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্থানীয় মূল্য বাড়বে-কমবে এবং প্রতি মাসে সরকার এক মাস মেয়াদে এ ধরনের দাম ঘোষণা করবে।
এদিকে পৃথক প্রজ্ঞাপনে বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাসের দামও বাড়িয়েছে সরকার।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে প্রতি ঘনমিটারে ১৫ টাকা ৫০ পয়সা এবং ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে প্রতি ঘনমিটারে ৩১ টাকা ৫০ পয়সা দিতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগামী ১ মে অর্থাৎ আগামীকাল বুধবার থেকে এ দাম কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: সয়াবিনের খোলা তেলের দাম কমলেও বেড়েছে বোতলজাত তেলের
ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব ব্যবসায়ীদের
৬ মাস আগে
মে মাসে ৪৯১ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪০৮: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
চলতি বছরের মে মাসে দেশে ৪৯১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৮ জন নিহত এবং আহত হয়েছেন ৬৩১ জন। নিহতের মধ্যে ৬৭ জন নারী এবং ৭৮ জন শিশু।
এই সময়ে ১৫৬টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৪১ জন নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ৩৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১০৪ জন পথচারী নিহত হয়েছেন। যা মোট নিহতের ২৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এছাড়া যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭২ জন। যা মোট নিহতের ১৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
এছাড়া মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩১ দশমকি ৭৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ভোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় শ্বশুর-জামাইসহ নিহত ৩
শুক্রবার (৯ জুন) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার তথ্যের ভিত্তিতে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
এই সময়ে ৬টি নৌ-দুর্ঘটনায় চার জন নিহত ও দুই জন নিখোঁজ রয়েছেন। ২৫টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত এবং ছয় জন আহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনায় যানবাহন ভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যান অনুসারে, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১৪১ জন (৩৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ), বাসযাত্রী ছয় জন (১ দশমিক ৪৭ শতাংশ), ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি-ট্যাঙ্কার আরোহী ৩৬ জন (৮ দশমিক ৮২ শতাংশ), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স আরোহী ১৮ জন (৪ দশমিক ৪১ শতাং), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-মিশুক) ৬৮ জন (১৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-করিমন-মাহিন্দ্র-ইটভাঙ্গা মেশিন গাড়ি) ১৫ জন (৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান আরোহী ২০ জন (৪ দশমিক ৯০ শতাংশ) নিহত হয়েছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৬৫টি (৩৩ দশমিক ৬০ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ২০১টি (৪০ দশমিক ৯৩ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৭৩টি (১৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে, ৪৮টি (৯ দশমিক ৭৭ শর্তাংশ) শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে চারটি (শূন্য দশমিক ৮১ শতাংশ) সংঘটিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য নিহত
বনানীতে ট্রাকের ধাক্কায় শ্রমিক নিহত, আহত ১
১ বছর আগে