যৌথ কর্মপরিকল্পনা
বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের যৌথ কর্মপরিকল্পনা শিগগিরই চালু
বাংলাদেশ ও ডেনমার্ক টেকসই উন্নয়নের জন্য সবুজ ও পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি এবং বিনিয়োগে অংশীদার হতে সম্মত হয়েছে।
উভয় পক্ষই বাংলাদেশে আরও বেশি ডেনিশ বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশে ব্যবসা করার সুবিধার উন্নতির ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।
শুক্রবার কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় বাংলাদেশ-ডেনমার্ক রাজনৈতিক পরামর্শে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
রাজনৈতিক পরামর্শে গত বছর দুই দেশের মধ্যে সই হওয়া টেকসই ও সবুজ কাঠামোর আওতায় ২০২৩-২০২৮ সময়ের জন্য বাংলাদেশ-ডেনমার্ক যৌথ কর্মপরিকল্পনা অনুমোদন করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ডেনমার্কের ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন অ্যান্ড গ্লোবাল ক্লাইমেট পলিসি ড্যান জর্জেনসেনের ১২-১৩ জুন বাংলাদেশ সফরের সময় যৌথ কর্মপরিকল্পনাটি চালু করা হবে।
আরও পড়ুন: ডেনমার্কে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর তীব্র নিন্দা বাংলাদেশের
ডেনমার্ক নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি দক্ষতা, সার্কুলার অর্থনীতি, টেকসই নগরায়ন, টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, মেরিটাইম, আইসিটি এবং ব্লু ইকোনমি খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা আরও গভীর করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন নীতি বিষয়ক স্টেট সেক্রেটারি লোটে মাচন রাজনৈতিক পরামর্শে নিজ নিজ পক্ষের নেতৃত্ব দেন।
বাংলাদেশের পক্ষ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশেষ করে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ডেনমার্কের বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা, সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে ডেনমার্কে আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ, ডিজিটাল অর্থনীতি এবং স্টার্টআপ ইত্যাদি বিষয়ে সহযোগিতার গুরুত্বের ওপর জোর দেয়।
উভয় পক্ষ বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উন্নয়ন এবং রোহিঙ্গা সংকট, ইন্দো-প্যাসিফিক, ইউক্রেনে যুদ্ধ এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহ পারস্পরিক স্বার্থ ও উদ্বেগের বিভিন্ন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতে মতবিনিময় করেছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ের টিউলিপ বাগান পরিদর্শনে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ও ইফাদের কান্ট্রি ডিরেক্টর
তারা জাতিসংঘ ও অন্যান্য ফোরামের বিভিন্ন নির্বাচনে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
রাজনৈতিক আলোচনার পর পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং ডেনিশ স্টেট সেক্রেটারি ফর ট্রেড অ্যান্ড গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটি লিনা গ্যান্ডলোস হ্যানসেন সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং বাংলাদেশে ডেনিশ বিনিয়োগ বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
ডেনমার্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহীদুল করিম, বাংলাদেশে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রুপ পিটারসেন (ভার্চুয়ালি), বাংলাদেশে ডেনমার্কের মনোনীত রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস মোলার এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (পশ্চিম ইউরোপ ও ইইউ) কাজী রাসেল পারভেজ প্রমুখ রাজনৈতিক আলোচনায় যোগ দেন।
আরও পড়ুন: ডেনমার্কে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস উদযাপন
১ বছর আগে