বেগমগঞ্জ উপজেলা
নোয়াখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিক্ষার্থীসহ ৩ জনের মৃত্যু
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় পৃথক ঘটনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পল্লী বিদ্যুতের দুই লাইনম্যানসহ এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) সকাল ও দুপুরের দিকে উপজেলার আমিন বাজার এলাকা ও মীরওয়ারিশপুর এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দুই লাইনম্যান মো. ইব্রাহিম (২২) ও মো. জাকির হোসেন (২৮) এবং বেগমগঞ্জ টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের দশম শ্রেণির ছাত্র সাব্বির আহমেদ (১৭)।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানায়, জাকির দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার আমিনবাজার এলাকায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের কাজ করতে গেলে পানিতে পড়ে থাকা ছেঁড়া তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।
অপরদিকে, লাইনম্যান ইব্রাহিম বিকেল ৫টার দিকে একই উপজেলার মীরওয়ারিশপুর এলাকায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন চালু করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।
অন্যদিকে, সাব্বির তার বসতঘরের মালামাল বন্যার পানিতে নষ্ট হওয়ার থেকে বাঁচানোর জন্য পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঘরের মালামাল সরানোর সময় মাল্টিপ্লাগের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।
নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম (ওএন্ডএম) মো. মাহবুবুর রহমান দাবি করেন, বন্যার কারণে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাবস্টেশন আগে থেকেই বন্ধ। সোমবার সকালের দিকে বেশ কয়েকজন গ্রাহক অফিসে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করতে খুবই দুর্ব্যহার এবং চাপ সৃষ্টি করে। পরে দুপুরের দিকে বন্যার লাইন পরীক্ষা করতে গিয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) ছেঁড়া তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই লাইনম্যান ঘটনাস্থলে মারা যান।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, নিহদের লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই ভাইয়ের মৃত্যু
৩ মাস আগে
মায়ের কবরের পাশেই সমাহিত হলেন সিরাজুল আলম খান
বেগমগঞ্জ উপজেলার আলীপুর গ্রামে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খান।
শুক্রবার (১০ জুন) বিকালে দ্বিতীয় জানাযা শেষে বেগমগঞ্জের আলিপুর গ্রামে সাহেব বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যদায় মা সৈয়দা জাকিয়া খাতুনের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।
প্রথমে বায়তুল মোকাররম মসজিদে ও বাদ আসর বেগমগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খান আর নেই
এরপর তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী মায়ের শাড়িতে মুড়িয়ে মায়ের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল আলমের দাফনের আগে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন।
শুক্রবার দুপুরে পৈতৃক ভিটায় সিরাজুল আলমের লাশ আনা হয়। সেখানে এলাকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
জানাজায় হাজারো মানুষ অংশ নেয়। এ সময় প্রিয় নেতার লাশ দেখে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ‘দাদাভাই’ হিসেবেও পরিচিত ছিলেন সিরাজুল আলম খান।
১৯৬১ সালে ছাত্রলীগের সহসাধারণ সম্পাদক হন সিরাজুল আলম খান। ১৯৬৩ সালে তিনি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৭২ সালে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গঠিত হয় তার উদ্যোগে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম খানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
সংসদ সদস্য আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
১ বছর আগে