বেগমগঞ্জ উপজেলার আলীপুর গ্রামে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খান।
শুক্রবার (১০ জুন) বিকালে দ্বিতীয় জানাযা শেষে বেগমগঞ্জের আলিপুর গ্রামে সাহেব বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যদায় মা সৈয়দা জাকিয়া খাতুনের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।
প্রথমে বায়তুল মোকাররম মসজিদে ও বাদ আসর বেগমগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খান আর নেই
এরপর তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী মায়ের শাড়িতে মুড়িয়ে মায়ের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল আলমের দাফনের আগে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন।
শুক্রবার দুপুরে পৈতৃক ভিটায় সিরাজুল আলমের লাশ আনা হয়। সেখানে এলাকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
জানাজায় হাজারো মানুষ অংশ নেয়। এ সময় প্রিয় নেতার লাশ দেখে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ‘দাদাভাই’ হিসেবেও পরিচিত ছিলেন সিরাজুল আলম খান।
১৯৬১ সালে ছাত্রলীগের সহসাধারণ সম্পাদক হন সিরাজুল আলম খান। ১৯৬৩ সালে তিনি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৭২ সালে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গঠিত হয় তার উদ্যোগে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম খানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক