কঠোর নিরাপত্তা
কঠোর নিরাপত্তায় রূপপুরে পৌঁছাল ইউরেনিয়ামের পঞ্চম চালান
কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল বা ইউরেনিয়ামের আরেকটি চালান ঈশ্বরদীর রূপপুরে পৌঁছেছে। এ নিয়ে ইউরেনিয়ামের ৫ম চালান এসে পৌঁছাল রূপপুরে।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে দিকে ইউরেনিয়াম বহনকারী গাড়িবহর প্রকল্প এলাকায় প্রবেশ করে।
এর আগে সর্বশেষ চালান গত শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকালে রূপপুরে পৌঁছায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ঈশ্বরদী সার্কেল) বিপ্লব কুমার গোস্বামী। তিনি জানান, ইউরেনিয়াম বহনকারী গাড়িবহর ভোরে রাজধানী ঢাকা থেকে রওনা হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে নাটোরের বনপাড়া ও পাবনার ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া হয়ে রূপপুর প্রকল্প এলাকায় পৌঁছায়।
আরও পড়ুন: ইউরেনিয়ামের চতুর্থ চালান পৌঁছাল রূপপুরে
এর আগে ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে এসে পৌঁছায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জ্বালানির প্রথম চালান। পরেরদিন ২৯ সেপ্টেম্বর বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জ্বালানি নেওয়া হয় প্রকল্প এলাকায়। ৫ অক্টোবর বিকালে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়। এর মাধ্যমে পারমাণবিক ক্লাবে প্রবেশ করে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: বিশেষ নিরাপত্তায় রূপপুর যাচ্ছে ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান
ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান গ্রহণ, পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের ক্লাবে বাংলাদেশ
১ বছর আগে
নির্বাচন ঘিরে খুলনা সিটিতে কঠোর নিরাপত্তা বলয়
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে ভোটগ্রহণকে ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৮ হাজার ৩০০ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নগরীতে টহল দিচ্ছে বিজিবির ১১ প্লাটুন সদস্য। নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্র ও নগরীর নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবেন পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৮ হাজার ৩০০ জন সদস্য।
নির্বাচনী মাঠে থাকবেন ৪৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে বসানো হচ্ছে ২ হাজার সিসিটিভি ক্যামেরা
ভোট কেন্দ্রগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে ২ হাজার ৩০০টি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। প্রায় ৩ হাজারইভিএম মেশিন প্রয়োজন হচ্ছে।
এতে দুটি সংস্থার ২০ জন বেসরকারি ও নির্বাচন কমিশনের ১০ জন পর্যবেক্ষক থাকবেন।
কেসিসি নির্বাচনে এবার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৮ জন ভোটার। নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের ২৮৯টি ভোটকেন্দ্র এবং ১ হাজার ৭৩২টি বুথ স্থাপন করা হচ্ছে।
ভোটগ্রহণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকবেন ৫ হাজার ৭৬০ জন কর্মকর্তা।
কেসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন-আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক (নৌকা), জাতীয় পার্টি মনোনীত মো. শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মো. আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা) ও জাকের পার্টি মনোনীত এসএম সাব্বির হোসেন (গোলাপফুল) এবং একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক (দেয়াল ঘড়ি)।
এছাড়া সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এর মধ্যে নগরীর ১৩নং ওয়ার্ডে এস এম খুরশিদ আহমেদ টোনা এবং ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে জেড এ মাহমুদ ডন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঁঞা বলেন, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচনী এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্নের লক্ষ্যে সকল ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। খুলনা বিভাগীয় ক্রীড়া কমপ্লেক্স থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে সরঞ্জাম পাঠানো কার্যক্রম চলছে।
তিনি আরও জানান, সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমি অডিটোরিয়ামে।
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন চলছে, শেষ হবে শনিবার
রাত পোহালে বরিশাল সিটি নির্বাচন
১ বছর আগে