দুই হাত
‘দুই হাত নেই, পা দিয়ে লিখেই রাব্বি পেল জিপিএ ৫’
শাররীক প্রতিবন্ধী রফিকুল ইসলাম। দুর্ঘটনায় তার দুই হাত হারিয়েছে। কিন্তু তার ইচ্ছা শক্তি প্রবল। তাই পা দিয়ে লিখেই এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে রাব্বি।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী হাজী তোবারাক আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় রাব্বি।
আরও পড়ুন: জিপিএ-৫ এ প্রথম স্থানে চট্টগ্রামে কলেজিয়েট স্কুল
রাব্বি ভাটিয়ারী ইউনিয়নের বজলুর রহমানের ছেলে। সে ২০১৬ সালে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিদ্যুৎস্পর্শে তার দুইটি হাত কাটা যায়।
হাজী তোবারক আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি রবি চন্দ্র দাশ বলেন, শুধু মনোবল আর অদম্য ইচ্ছাশক্তিই তাকে এনে দিয়েছে সুস্থ ও স্বাভাবিক শিক্ষার্থীদের মতোই সাফল্য।
তিনি আরও বলেন, পা দিয়ে লিখে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়াতে বাবা-মা, শিক্ষকসহ স্থানীয়দের মুখ উজ্জ্বল করেছে রাব্বি।
রাব্বির বাবা বজলুর রহমান বলেন, আমার ছেলের মনোবল ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্জন করেছে কৃতিত্ব। অগণিত মানুষের দোয়া ও ভালোবাসা আমার ছেলের সঙ্গে আছে।
রাব্বি তার অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেন, আমি যে শারীরিক প্রতিবন্ধী সেটা কখনো আমি চিন্তা করিনি। আমার মনোবল সবসময় শক্ত ছিল। যার কারণে মানুষের দোয়া ও ভালোবাসায় আমি ভালো রেজাল্ট করেছি।
ভাটিয়ারী হাজী তোবারক আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কান্তি লাল আচার্য্য বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ার পরেও রাব্বি অন্যান্য শিক্ষার্থীদের চেয়ে ভালো ফলাফল করায় আমরা মুগ্ধ। সে জীবনে অনেক বড় হোক এই প্রত্যাশাই করি।
তিনি আরও বলেন, রাব্বির মনোবল দেখে কখনো মনে হতো না সে শারীরিক প্রতিবন্ধী। সে অত্যন্ত মেধাবী। তার মেধা, মনোবল ও মানুষের দোয়ার কারণে আজ সে এ প্লাস পেয়েছে। তাই আমি বিত্তবানদের অনুরোধ করব রাব্বির পড়ালেখায় সহযোগিতা যেন তারা এগিয়ে আসেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বোর্ডে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমেছে
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২৩: জিপিএ-৫ এর সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে
৫ মাস আগে
নারী ও পুরুষ সভ্যতার দুই হাত: সিমিন হোসেন
মহিলা ও শিশু প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি বলেছেন, সভ্যতার দুইটি হাত, একটি পুরুষ অন্যটি নারী। কাউকে পেছনে ফেলে কেউ অগ্রসর হয় না।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রথম অফিস করছেন নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা
তিনি বলেন, নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কাজগুলো এগিয়ে নিয়ে যাব।
তিনি আরও বলেন, আমি নারী ও শিশু নিয়ে অনেক আগে থেকেই কাজ করি। সেজন্য আমার খুবই ভালো লাগার জায়গা এটি।
আরও পড়ুন: আমি পেশায়-নেশায় সবকিছুর মধ্যে কৃষক: কৃষিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কর্মপরিকল্পনা তো একটা থাকবে। কিন্তু সেটি একশ দিন বা সে রকম কিছু না। কারণ এটি চলমান একটি কাজ। সেহেতু সেভাবেই আমরা কাজগুলো এগিয়ে নিয়ে যাব।
আরও পড়ুন: চলমান কাজগুলো শেষ করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ: ইয়াফেস ওসমান
৯ মাস আগে
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই হাত হারানো শিশুকে দেড় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন নয়: হাইকোর্ট
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই হাত হারানো ঢাকার ধামরাইয়ের বর্ণমালা স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মো. শেখ সাদিকে কেন ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি করে সোমবার (১২ জুন) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মো. শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
এছাড়া সাত দিনের মধ্যে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কারাগারে ‘চিকিৎসক নিয়োগ বিধিমালা’ চূড়ান্তে ১ মাস সময় দিলেন হাইকোর্ট
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, মো. শেখ সাদি ধামরাই বর্ণমালা স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছিল। গত বছরের ১৫ জুলাই দুপুর ১২টার সময় মো. শেখ সাদি ধানসিঁড়ি আবাসিক এলাকায় অবস্থিত একটি পুকুরে গোসল করতে যায়। সে গোসল করার জন্য পুকুরে ঝাঁপ দেয়, এসময় পানির ওপর ঝুলন্ত বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়ে তার উভয় হাতে আগুন ধরে যায়। তার চিৎকারে আশপাশে থাকা লোকজন তাকে উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে পাঠান।
তিনি বলেন, শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তার জীবন বাঁচাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের চিকিৎসক শেখ সাদির উভয় হাত কাঁধ থেকে কেটে ফেলে দেয়। দুর্ঘটনাস্থলে ও তার আশপাশে বিভিন্ন সময় পল্লী বিদ্যুতের তার ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। স্থানীয় লোকজন অনেকবার বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ধামরাই জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারকে ওই এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ তার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।
আরও পড়ুন: অর্পিত সম্পত্তির তদারকি-লিজের ক্ষমতা ডিসিদের: হাইকোর্ট
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ধামরাইয়ের অবহেলায় শেখ সাদি তার উভয় হাত হারিয়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কোনোভাবেই ঘটনায় দায়দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারে না।
মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, গত ২ মার্চ শেখ সাদির বাবা বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি আবেদন করে। কিন্তু কোনো জবাব না পেয়ে গত ২ মে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড বরাবর ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
নোটিশের জবাব না পেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
রিটে শেখ সাদির চিকিৎসা খরচ বাবদ বিশ লাখ টাকা, দুর্ঘটনার কারণে যন্ত্রণা ও দুভোর্গের জন্য দশ লাখ টাকা, কর্মক্ষমতা হারানো বাবদ এক কোটি বিশ লাখ টাকা বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কাছে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দাবি করা হয়েছে। এছাড়া ভবিষ্যতে শেখ সাদির চিকিৎসার সকল খরচ বহন এবং ভবিষ্যতে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করতে হবে। পড়াশুনার জন্য বিশেষায়িত সুবিধা এবং ভবিষ্যতে শেখ সাদিকে পুনবার্সনের ব্যবস্থা করারও দাবি করা হয়েছে এই রিটে।
আরও পড়ুন: তাফসির আউয়ালকে বিদেশ যেতে বাধা না দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
১ বছর আগে