সেন্ট্রাল হাসপাতাল
সেন্ট্রাল হাসপাতালের ডা. মিলিকে আত্মসমর্পণে হাইকোর্টের নির্দেশ
রাজধানীর গ্রিন রোডে অবস্থিত সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় নবজাতক ও মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চিকিৎসক বেগম মাকসুদা ফরিদা আক্তার মিলিকে চার সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি বিশ্বজিত দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসকের ‘অবহেলায়’ মারা যাওয়া নবজাতকের মায়ের মৃত্যু
এর আগে মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় নবজাতক ও মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন ডা. বেগম মাকসুদা ফরিদা আক্তার মিলি।
জানা যায়, সেন্ট্রাল হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহার (গাইনি) অধীনে গত ৯ জুন ভর্তি হয়েছিলেন মাহাবুবা রহমান আঁখি। কিন্তু সেদিন ডা. সংযুক্তা হাসপাতালে ছিলেন না। পরে তার দুই সহযোগী চিকিৎসক আঁখির সন্তান প্রসব করানোর চেষ্টা করেন। জটিলতা দেখা দেওয়ায় নবজাতককে এনআইসিইউতে রাখা হয়। একইসঙ্গে আঁখির অবস্থার অবনতি হলে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
পরে গত ১০ জুন বিকালে আঁখির নবজাতক সন্তান মারা যায়। এ ঘটনায় আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী ধানমন্ডি থানায় অবহেলা জনিত মৃত্যুর একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা, ডা. মুনা সাহা, ডা. মিলি, সহকারী জমির, এহসান ও হাসপাতালের ম্যানেজার পারভেজকে আসামি করা হয়।
এছাড়াও অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকেও আসামি করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর ১৫ জুন রাতে ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনা সাহাকে হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
১৮ জুন দুপুর ১টা ৪৩ মিনিটে ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাহবুবা রহমান আঁখিও।
ওই মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন ডা. বেগম মাকসুদা ফরিদা আক্তার মিলি।
আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল হাসপাতালে নবজাতকের মৃত্যু: অপারেশন থিয়েটার বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
আঁখি ও তার নবজাতকের মৃত্যুর জন্য সেন্ট্রাল হাসপাতাল দায়ী: ডা. সংযুক্তা সাহা
১ বছর আগে
আঁখি ও তার নবজাতকের মৃত্যুর জন্য সেন্ট্রাল হাসপাতাল দায়ী: ডা. সংযুক্তা সাহা
এবার ‘ভুল চিকিৎসা’য় মাহবুবা রহমান আঁখি ও তার নবজাতকের মৃত্যুর জন্য সেন্ট্রাল হাসপাতালকে দায়ী করেছেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সংযুক্তা সাহা।
আঁখি তার রোগী নয় দাবি করে তিনি বলেন, ‘সেন্ট্রাল হাসপাতাল আমাকে নিয়ে মিথ্যা বিবৃতি দিয়েছে।’
মঙ্গলবার সংযুক্তা সাহা তার বাড়িতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, ‘আঁখির ভর্তির সময় তারা আমার কাছ থেকে মৌখিক বা লিখিত সম্মতি নেয়নি।’
তিনি প্রশ্ন করেন যে ‘তার অপারেশনের সময় আমি বাংলাদেশে ছিলাম না... আমি সেখানে না থাকলে আমি কীভাবে দায়ী থাকব?’
আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসকের ‘অবহেলায়’ মারা যাওয়া নবজাতকের মায়ের মৃত্যু
আঁখির অপারেশনের সময় তার উপস্থিতি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন এই চিকিৎসক।
ডা. সাহা বলেন, ঘটনার আগ পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাকে নিয়ে গর্বিত ছিল। ‘তারা এখন তাদের অবহেলা আড়াল করার জন্য আমার সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে।’
তিনি আরও নিশ্চিত করেছেন যে মাহবুবা রহমান আঁখি তার নিয়মিত রোগী নন।
আঁখি ও তার শিশুর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ডা. সাহা তাদের আত্মার চির শান্তি কামনা করেন।
এর আগে, গত ১০ জুন আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী সুমন বাদী হয়ে ছয়জন চিহ্নিত ব্যক্তি এবং আরও বেশ কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ‘ভুল চিকিৎসার’ অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন, যার ফলে তাদের নবজাতকের মৃত্যু হয়েছিল।
মামলার বিবৃতিতে বলা হয়, আঁখি গত তিন মাস ধরে সেন্ট্রাল হাসপাতালের ডা. সংযুক্তা সাহার তত্ত্বাবধানে ছিলেন এবং তার অবস্থা স্বাভাবিক বলে জানা গেছে।
স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সাহা আঁখির পরিবারকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে তিনি নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তান প্রসব করবেন।
গত ১০ জুন রাত ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে ওই স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে প্রসব ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন আঁখি।
হাসপাতালে ভর্তির সময় ডা. সাহা উপস্থিত না থাকলেও তার সহকারী জানান, তিনি অপারেশন থিয়েটারে কাজ করছিলেন।
পরে গ্রেপ্তার হওয়া দুই চিকিৎসক ডা. শাহজাদী ও ডা. মুন্না হাসপাতালে ডেলিভারি পরিচালনা করেছিলেন, যা নবজাতকের মৃত্যুর কারণ বলে অভিযোগে বলা হয়।
এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ১৬ জুন সেন্ট্রাল হাসপাতালকে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট (আইসিইউ) এবং জরুরি বিভাগে অসন্তোষজনক পরিষেবার কারণে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তার অপারেশন থিয়েটারে কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে।
এছাড়া হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সংযুক্তা সাহাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে লিখিত অনুমোদন না দেওয়া পর্যন্ত হাসাপাতালটিতে কোনও বিশেষজ্ঞ পরিষেবা না দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
নবজাতকের মৃত্যুর পর গত ১৮ জুন ঢাকার ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আঁখি।
আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল হাসপাতালে নবজাতকের মৃত্যু: অপারেশন থিয়েটার বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
১ বছর আগে
সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসকের ‘অবহেলায়’ মারা যাওয়া নবজাতকের মায়ের মৃত্যু
রাজধানীর গ্রিন রোডের সেন্ট্রাল হাসপাতালে গত ১০ জুন ‘ভুল চিকিৎসা’ ও ‘অবহেলায়’ নবজাতকের মৃত্যুর পর এবার প্রসূতি মাহবুবা রহমান আঁখিও মারা গেছেন। রবিবার (১৮ জুন) দুপুর ২টার দিকে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. পারভেজ ইসলাম জানান, আঁখি গত কয়েকদিন ধরে ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এবং দুপুর ২টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে আগুনে পুড়ে ২ সন্তানসহ মায়ের মৃত্যু, আহত বাবা
এর আগে, অবহেলা ও ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গত ১৫ জুন সেন্ট্রাল হাসপাতালের দুই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার দুই চিকিৎসক হলেন- ডা. শাহজাদী ও ডা. মুন্না। তারা উভয়ই ধানমন্ডি এলাকার গ্রিন রোডে অবস্থিত সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক।
ওসি পারভেজ বলেন, আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী সুমন চিকিৎসকদের ভুল চিকিৎসার কারণে নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে ১০ জুন ৬ জন চিহ্নিত ব্যক্তি এবং আরও কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
তিনি আরও বলেন, মামলাযর পর ওই দুই চিকিৎসককে বেসরকারি হাসপাতালটি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার বিবৃতিতে বলা হয়, আঁখি গত তিন মাস ধরে সেন্ট্রাল হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সংযুক্তা সাহার তত্ত্বাবধানে ছিলেন এবং তার অবস্থা স্বাভাবিক বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে বিষাক্ত ট্যাবলেট খাইয়ে নিজ শিশুকন্যাকে হত্যা, মায়ের মৃত্যুদণ্ড
এর আগে ওই স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ আঁখির পরিবারকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে তিনি স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করবেন। গত ১০ জুন রাত ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে ডা. সংযুক্তা সাহার তত্ত্বাবধানে প্রসব ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন আঁখি।যদিও ডা. সংযুক্তা হাসপাতালে ভর্তির সময় উপস্থিত ছিলেন না।
তার সহকারী বলেছিলেন যে তিনি অপারেশন থিয়েটারে কাজ করছিলেন।
এদিকে গ্রেপ্তারকৃত চিকিৎসকেরা ডেলিভারি পরিচালনা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যার ফলে নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।
নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট (আইসিইউ) এবং জরুরি বিভাগে অসন্তোষজনক পরিষেবার কারণে ১৬ জুন সেন্ট্রাল হাসপাতালকে তার অপারেশন থিয়েটারের কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে।
এছাড়া হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সংযুক্তা সাহাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে লিখিত অনুমোদন না দেওয়া পর্যন্ত হাসপাতালটিতে কোনও বিশেষজ্ঞ পরিষেবা না দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ‘মারধরে’ মায়ের মৃত্যু, ছেলে গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
সেন্ট্রাল হাসপাতালে নবজাতকের মৃত্যু: অপারেশন থিয়েটার বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) এবং জরুরি বিভাগের সেবার মান সন্তোষজনক না হওয়ায় শুক্রবার সেন্ট্রাল হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এছাড়া হাসপাতালের গাইনোকোলজিস্ট ডা. সংযুক্ত সাহা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লিখিত অনুমোদন ছাড়া পরবর্তীতে সেন্ট্রাল হাসপতালে কোনো বিশেষজ্ঞ সেবা দিতে পারবেন না।
শুক্রবার (১৬ জুন) মাহবুবা রহমান আঁখির ভুল চিকিৎসার অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গঠিত টিমের পরিদর্শন পরবর্তী নির্দেশনায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
শুক্রবার বিকালে হাসপাতাল ও ক্লিনিক বিভাগের পরিচালক (ডিজিএইচএস) ডা. মো. দাউদ আদনান এবং এর উপ-পরিচালক ডা. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ঢামেক হাসপাতালে যুদ্ধাপরাধী হাজতির মৃত্যু
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগী আখির চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করবে এবং চিকিৎসার বিনিময়ে ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছ থেকে নেওয়া বিল ফেরত দেবে।
তার চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র এবং ডেলিভারি অপারেশনের সঙ্গে জড়িত চিকিৎসকদের বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) কাছে পাঠাতে হবে এবং পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৬ জন চিহ্নিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে দায়ের করা বিচারাধীন মামলা চালানোর জন্য সমস্ত খরচ বহন করবে এবং তাদের মধ্যে দুজনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে- ডা. শাহজাদী ও ডা. মুন্না।
ভুক্তভোগী পরিবারের যে কোনো ক্ষতিপূরণ দাবি বিদ্যমান আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি করতে হবে।
এসব নির্দেশনা আজ থেকেই কার্যকর হবে। এর কোনো ব্যতায় ঘটলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: হায়েনার কামড়ে হাত বিচ্ছিন্ন শিশুকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন তথ্যমন্ত্রী
সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা চালু করায় দেশের মানুষ খুশি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে