রাজধানীর গ্রিন রোডের সেন্ট্রাল হাসপাতালে গত ১০ জুন ‘ভুল চিকিৎসা’ ও ‘অবহেলায়’ নবজাতকের মৃত্যুর পর এবার প্রসূতি মাহবুবা রহমান আঁখিও মারা গেছেন। রবিবার (১৮ জুন) দুপুর ২টার দিকে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. পারভেজ ইসলাম জানান, আঁখি গত কয়েকদিন ধরে ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এবং দুপুর ২টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে আগুনে পুড়ে ২ সন্তানসহ মায়ের মৃত্যু, আহত বাবা
এর আগে, অবহেলা ও ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গত ১৫ জুন সেন্ট্রাল হাসপাতালের দুই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার দুই চিকিৎসক হলেন- ডা. শাহজাদী ও ডা. মুন্না। তারা উভয়ই ধানমন্ডি এলাকার গ্রিন রোডে অবস্থিত সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক।
ওসি পারভেজ বলেন, আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী সুমন চিকিৎসকদের ভুল চিকিৎসার কারণে নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে ১০ জুন ৬ জন চিহ্নিত ব্যক্তি এবং আরও কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
তিনি আরও বলেন, মামলাযর পর ওই দুই চিকিৎসককে বেসরকারি হাসপাতালটি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার বিবৃতিতে বলা হয়, আঁখি গত তিন মাস ধরে সেন্ট্রাল হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সংযুক্তা সাহার তত্ত্বাবধানে ছিলেন এবং তার অবস্থা স্বাভাবিক বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে বিষাক্ত ট্যাবলেট খাইয়ে নিজ শিশুকন্যাকে হত্যা, মায়ের মৃত্যুদণ্ড
এর আগে ওই স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ আঁখির পরিবারকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে তিনি স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করবেন। গত ১০ জুন রাত ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে ডা. সংযুক্তা সাহার তত্ত্বাবধানে প্রসব ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন আঁখি।যদিও ডা. সংযুক্তা হাসপাতালে ভর্তির সময় উপস্থিত ছিলেন না।
তার সহকারী বলেছিলেন যে তিনি অপারেশন থিয়েটারে কাজ করছিলেন।
এদিকে গ্রেপ্তারকৃত চিকিৎসকেরা ডেলিভারি পরিচালনা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যার ফলে নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।
নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট (আইসিইউ) এবং জরুরি বিভাগে অসন্তোষজনক পরিষেবার কারণে ১৬ জুন সেন্ট্রাল হাসপাতালকে তার অপারেশন থিয়েটারের কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে।
এছাড়া হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সংযুক্তা সাহাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে লিখিত অনুমোদন না দেওয়া পর্যন্ত হাসপাতালটিতে কোনও বিশেষজ্ঞ পরিষেবা না দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।