অসদাচরণ
জনগণের সঙ্গে অসদাচরণের জন্য দোষী সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আইএসপিআর
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেনা সদস্যদের অসদাচরণের কিছু ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ ধরনের ঘটনা সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত, যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কখনোই সমর্থন করে না।
উল্লেখ্য, দোষী সেনা সদস্যদের চিহ্নিত করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দোষী সাব্যস্ত সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ডিজিএফআইয়ের নতুন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ফয়জুর রহমান: আইএসপিআর
২ মাস আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে নারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতি চেয়ারম্যানের অসদাচরণ, বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্কের প্রতিবাদ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলায় সংঘটিত সাম্প্রতিক একটি ঘটনার প্রতি বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্ক এর দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।
সোমবার (১৯ জুন) ভোলাহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাববুল হোসেন উন্মুক্ত জনসভায় ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে তাবাসসুমের উদ্দেশে অপেশাদার ও অশোভন বক্তব্য প্রদান করেন।
তার এ অশালীন বক্তব্যে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস উইমেন নেটওয়ার্ক-এর সকল সদস্য সংক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন। কারণ জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মচারীগণের সমন্বয়েই সরকারি সকল কর্মকাণ্ড বাস্তবায়িত হয়।
সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ মাঠ পর্যায়ের কর্মচারীবৃন্দ জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, ভূমি ব্যবস্থাপনা, আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন, নির্বাচন ও পরীক্ষা পরিচালনা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ উন্নয়নমূলক বহুবিধ কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে, নারী কর্মচারীগণ তাদের দক্ষতা, বিচক্ষণতা, দৃঢ়তা এবং সাহসিকতার সঙ্গে অসংখ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তাদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখছেন।
আরও পড়ুন: উইমেন লিডার অব দ্য ইয়ার-২০২৩ হলেন শেয়ারট্রিপের সাদিয়া হক
সরকারি দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় একজন উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মানহানিকর অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি প্রদর্শন করায় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সরকারি কর্মচারীদের সমন্বয়ে বিঘ্ন সৃষ্টি হবে এবং সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত হবে।
রাববুল হোসেন একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে যে সকল উক্তি করেছেন তা অশোভন এবং অভদ্রজনোচিত। তাছাড়া তিনি একজন নারীর প্রতি যে ধরনের অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করেছেন তা বাঙালি সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের প্রতিও চরম অবমাননাকর।
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপ্রাপ্ত নারী কর্মচারীর প্রতি উক্ত জনপ্রতিনিধির এরকম অসংবেদনশীল ও অশোভন আচরণ অগ্রহণযোগ্য ও নিন্দনীয়। এরুপ আচরণ ও উক্তি মাঠ পর্যায়ে কর্মরত সরকারি কর্মচারীদের কর্মোদ্দীপনার প্রতিবন্ধকতার কারণ হতে পারে।
এরকম পরিস্থিতি ও আচরণের প্রতি বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্ক-এর পক্ষ হতে তীব্র নিন্দা জানানো হচ্ছে। এরূপ আচরণ একজন দায়িত্বরত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮ অনুযায়ী অসদাচরণের শামিল।
তার অসদাচরণের বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষ আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন- বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্ক এমনটাই প্রত্যাশা করে।
এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে একদিকে মাঠ পর্যায়ের কর্মচারীগণ তাদের সম্মান ও মনোবল সমুন্নত রেখে পেশাদারিত্বের সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালনে তৎপর থাকবে এবং পাশাপাশি এ জাতীয় নেতিবাচক মনোভাবসম্পন্ন যে কোনো ব্যক্তি নারীর প্রতি সংবেদনশীল ও দায়িত্বশীল আচরণ করতে সচেতন হবেন।
আরও পড়ুন: এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর নতুন ভিসি রুবানা হক
যুক্তরাষ্ট্রের উইমেন বিল্ডিং পিস অ্যাওয়ার্ডের চূড়ান্ত তালিকায় রানী ইয়ান
১ বছর আগে