বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় ‘এসেন্স অব এএমএল অ্যান্ড সিএফটি ফর সাসটেইনেবল গ্রোথ অব এমএফএস সেক্টর’ শীর্ষক এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউ’র প্রধান আবু হেনা মো. রাজি হাসান।

আরও পড়ুন: আন্ত:মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেনের সার্ভিস চার্জ প্রত্যাহারের দাবি মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিকাশের চিফ এক্সটারনাল অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার অ্যান্ড চিফ অ্যান্টি মানি লন্ডারিং অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স অফিসার মেজর জেনারেল (অব.) শেখ মো. মনিরুল ইসলাম।

তিনি এন্টি মানি লন্ডারিং অ্যান্ড কমব্যাটিং ফিন্যান্সিং অব টেরোরিজম (এএমএলসিএফটি) নীতিমালা মেনে চলতে বিকাশের নেয়া পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন। পাশাপাশি এমএফএস খাতের টেকসই উন্নয়ন ধরে রাখতে সব সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের এএমএলসিএফটি এবং রেগুলেটরি নীতিমালা মেনে চলার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।

আরও পড়ুন: মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতাদের আন্তলেনদেন চালু

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আরএফ হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সার্ভিস ডিপার্টমেন্টের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, বিএফআইউ’র নির্বাহী পরিচালক এসকান্দার মিয়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সার্ভিস ডিপার্টমেন্টের জেনারেল ম্যানেজার মো. মেজবাউল হক, বিএফআইইউ’র ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শওকাতুল আলম এবং বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর।

বিকাশ, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ব্র্যাক ব্যাংকের প্রায় ১৭৫ কর্মকর্তা এ ভার্চুয়াল কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন: বিকাশে পাঠানো রেমিটেন্সে মিলছে ১ শতাংশ ক্যাশ বোনাস

আবু হেনা মো. রাজি হাসান বলেন, ‘মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে বিএফআইইউ’র যে নীতিমালা ও নির্দেশনা আছে তা যথাযথভাবে পালন করে এএমএলসিএফটি নিশ্চিত করা সম্ভব। বিকাশ দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে এসব নীতিমালা যথাযথভাবে মেনে চলছে এবং আশা করি ভবিষ্যতেও এ চর্চা অব্যহত রাখবে।’

একই সাথে তিনি সব এমএফএস প্রতিষ্ঠানকে বিএফআইইউ প্রদত্ত এএমএলসিএফটি নীতিমালা মেনে চলার বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দেন।

আরও পড়ুন: মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে না থেমেই বিকাশে টোল পরিশোধ

কর্মশালায় ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আরএফ হোসেন বলেন, কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে বিকাশ ব্যাপক হারে কৌশল, প্রক্রিয়া এবং প্রযুক্তিগত বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে এবং মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে।

বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বলেন, ‘এএমএলসিএফটি কমপ্লায়েন্স আমাদের প্রতিষ্ঠানের সংস্কৃতি। এমএফএস খাতের টেকসই উন্নয়নের পাশাপাশি গ্রাহকের আস্থা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ নিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি।’

আরও পড়ুন: কুইজ খেলে সাড়ে ২২ লাখ টাকা পেলেন বিকাশের ৪৫০০ গ্রাহক