শোকাহত
নিউইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ইউসুফের পরিবার শোকাহত
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বাফেলোতে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার আবু সালেহ মো. ইউসুফ জনির বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১২টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জেনার স্ট্রিটে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন কানাইঘাট ঝিঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের তিনচটি গ্রামের সাবেক মেম্বার নুরুল হকের ছেলে ইউসুফ জনি ও কুমিল্লা জেলার বাবুল উদ্দিন।
বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত আবু সালেহ ইউসুফ জনির মৃত্যুর সংবাদ তার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনরা জানার পর পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১০ মাস পূর্বে স্ত্রী এবং দুই মেয়ে শিশুকে নিয়ে স্থায়ী বসবাসের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান ইউসুফ জনি। সেখানে একটি পেইন্টিং কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন তিনি। তার পরিবারের সদস্যরা সিলেট শহরের মেজরটিলায় বসবাস করে আসছেন। ইউসুফ জনির মৃত্যুর সংবাদ প্রথমে তার পরিবারের কাছে জানান যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত কানাইঘাটের দুলাল আহমদ।
৩ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে সবার বড় ছেলে ইউসুফ জনি। নিহতের সিলেট শহরের বাসায় চলছে শোকের মাতম। নিহত দু’জনের লাশ নিইউয়র্ক পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ফের নিহত ২
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বাফেলো শহরে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, হত্যার শিকার ইউসুফ জনি ও বাবুল উদ্দিন বাফেলোর জেনার স্ট্রিটে ১০০ ব্লকে একটি বাসার রঙয়ের কাজে ছিলেন। এ সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত বাবুল উদ্দিনের কাছে চাঁদা দাবি করে।
চাঁদা না দেওয়ায় তারা বাবুল উদ্দিনকে ছুরিকাঘাত করলে তাকে রক্ষা করতে ইউসুফ জনি এগিয়ে যান। ওই সময় আততায়ী বন্দুকধারীরা তাদের দু’জনকে গুলি করে হত্যা করে। তারা দু’জনই কিছুদিন আগে বাফেলোতে স্থান পরিবর্তন করেছিলেন বলে জানা গেছে।
বাফেলো পুলিশের মুখপাত্র মাইকেল জে ডিজর্জ বলেন, শনিবার (২৭ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১২টার জেনার স্ট্রিটে ১০০ ব্লকে গুলির খবর পায় পুলিশ। পরে পুলিশের সোয়াট টিমও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পুলিশ দু’জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করলেও এ ঘটনায় জড়িতদের বিষয়ে কিছুই জানায়নি।
এই হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে বাফেলো বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। পাশাপাশি প্রবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।
প্রবাসীরা জানিয়েছেন, শোকসন্তপ্ত দুই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে তারা হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করবেন বলে জানান।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় কনসার্ট হলে বন্দুক হামলায় নিহত ৬০ ও আহত ১৪৫, আইএসের দায় স্বীকার
৬ মাস আগে
শ্রমিক নেতা নিহত হওয়ার ঘটনায় বিজিএমইএ গভীরভাবে শোকাহত
বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশন গাজিপুর জেলা কমিটির সভাপতির মৃত্যুতে মঙ্গলবার গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
এর আগে গত সোমবার (২৫ জুন) টঙ্গীর বাগানবাড়ি এলাকায় গাজিপুর জেলা কমিটির সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম (৪৫ বছর) নিহত হন।
আরও পড়ুন: শিল্পের প্রবৃদ্ধি ছাড়া ৭.৫% জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন অসম্ভব: বিজিএমইএ সভাপতি
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তিনি বলেন, পোশাক শিল্পে শ্রমিক ভাই-বোনদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
বিজিএমইএ সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম নিহত হওয়ার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: আরএমজি শিল্পের উচ্চ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারের নীতিগত সহায়তা চান বিজিএমইএ সভাপতি
এলডিসি উত্তোরণে বাংলাদেশকে সহায়তায় ইইউ’র প্রতি বিজিএমইএ প্রধানের আহ্বান
১ বছর আগে