ভাঙচুর
ফরিদপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০, বাড়িঘর ভাঙচুর-লুটপাট
ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ২০টি গ্রামের হাজারো মানুষ অংশগ্রহণে এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ৬টার দিকে শুরু হয়ে বেলা পৌনে ১২টা পর্যন্ত উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বালিয়া বাজার এলাকার তিনটি স্থানে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে অন্তত ২০টি বসতবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে; লুটপাট করা হয়েছে গবাদি পশুসহ অন্যান্য মালামাল।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে গট্টি ইউনিয়নের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জাহিদ মাতুব্বর ও নুরু মাতুব্বরের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। সম্প্রতি এই বিরোধের জেরে উভয় নেতার সমর্থকদের কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে।
স্থানীয়দের দাবি, জাহিদ ও নুরু মাতুব্বর বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী সরকারের পতনের পর তারা বিএনপিতে যোগ দিয়ে গট্টি ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন।
৫ দিন আগে
উত্তাল ভাঙ্গা: থানাসহ চারটি সরকারি দপ্তরে হামলা-ভাঙচুর, আহত অনেকে
সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা। বিক্ষোভ রুপ নিয়েছে সহিংসতায়। থানা, উপজেলা পরিষদ, হাইওয়ে থানা, পৌরসভায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছেন বিক্ষুব্ধরা। আগুন দেওয়া হয়েছে মোটরসাইকেলে। এসব ঘটনার ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে সাংবাদিকদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
সোমবার ( ১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১টা থেকে ছড়িয়ে পড়ে সহিংসতা। পরে কয়েক হাজার বিক্ষুব্ধ জনতা ভাঙ্গা গোলচত্বরে অবস্থান নেন।
এর আগে, বেলা সাড়ে ১১টা থেকে গোলচত্বরের ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান নেন তারা। এ সময় সেখানে অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে পুলিশকে বিক্ষুব্ধদের কাউকে বাধা দিতে দেখা যায়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিক্ষোকারীদের সঙ্গে দুপুর ১ টার দিকে বিভিন্ন এলাকার কয়েক হাজার জনতা লাঠিশোটা, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিছিল নিয়ে যোগ দেন। পরক্ষণেই দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালানো হয়।
এ সময় ১০ থেকে ১২ জন আর্মড পুলিশের সদস্য দৌড়ে পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মসজিদে আশ্রয় নেন। উত্তেজিত জনতার ইটপাটকেলে রক্তাক্ত অবস্থায় দৌড়াতে দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের। পরে কিছু সময় ঘিরে রাখেন উত্তেজিত জনতা। একপর্যায়ে মাদ্রাসা ও মসজিদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে পুলিশ সদস্যদের রক্ষা করেন।
আরও পড়ুন: আসন পুনর্বিন্যাস: ফরিদপুরে টানা পঞ্চম দিনের মতো অবরোধ, সমন্বয়ক আটক
এরপর সেখান থেকে বিক্ষুব্ধরা থানার দিকে চলে যান। থানায় থাকা গাড়ি ও থানা ভাংচুর করেন। ভেতরে আটকা পড়েন পুলিশ সদস্যরা। পরে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন সেখানে থাকা মোটরসাইকেলে। পরে হাইওয়ে অফিস ও পৌরসভা কার্যালয়ে ভাংচুর চালানো হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন মাইটিভির ভাঙ্গা উপজেলা প্রতিনিধি সরোয়ার হোসেন।
এদিন সকাল থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা মাঠে অবস্থান নিলে সকাল সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। পরে বেলা সাড়ে ১১ টায় হঠাৎ করেই সেখানে জড়ো হোন বিভিন্ন এলাকার মানুষ।
জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্যা বলেন, ‘আমরা বিক্ষুব্ধদের শান্ত করার চেষ্টা করছি এবং নির্বাচন কমিশনে জানানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশন থেকে আমাদের বলা হয়েছে দ্রুত প্রতিবেদন দিতে। আমরা দ্রুত প্রতিবেদন দিলে আশা করি দুয়েকদিনের মধ্যে সমাধান হবে।’
ফরিদপুর-৪ আসনের অন্তর্ভুক্ত ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদি ইউনিয়নকে পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা) আসনের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে নির্বাচন কমিশন ৪ সেপ্টেম্বর গেজেট প্রকাশ করার পর থেকেই এই আন্দোলনের সূত্রপাত হয়।
এর প্রতিবাদে গত শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুটি মহাসড়কসহ (ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল) এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ শুরু করেন স্থানীয়রা। ওইদিন সন্ধ্যায় স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিয়ে তিনদিনের আল্টিমেটাম দেন বিক্ষুব্ধরা।
কিন্তু দাবি পূরণ না হওয়ায় মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিনদিন সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ করা হয়। এতে তীব্র ভোগান্তিতে পড়েন দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষ। এরপর শনিবার তিন দিনের সকাল সন্ধ্যা অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়।
পরে ঘোষণাকারী সর্বদলীয় ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক ও আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ম.ম. সিদ্দিক মিয়াকে আটক করে ডিবি পুলিশ। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নের অপরাধে গতকাল রোববার রাতে ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে পুলিশ।
৮০ দিন আগে
কাকরাইলে জাতীয় পার্টির অফিস ভাঙচুর-আগুন
ঢাকার কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অজ্ঞাতপরিচয়ের একদল লোক হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। শনিবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে।
হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ জানিয়েছে, তারা ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায়,জাতীয় পার্টি এবং গণঅধিকার পরিষদের একটি মিছিল কাকরাইলের জাতীয় পার্টির অফিসের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় উভয় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
পড়ুন: নুরের জ্ঞান ফিরেছে, উচ্চপর্যায়ের মেডিকেল বোর্ড গঠন
গণঅধিকার পরিষদ দাবি করেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লাঠিচার্জে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ তাদের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন।
নুর এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন।
৯৬ দিন আগে
ফরিদগঞ্জে চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু, হাসপাতাল ভাঙচুর
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে প্রাইভেট হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। স্বজনদের অভিযোগ, চিকিৎসকের অবহেলায় ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকালে উপজেলার কেরোয়া এলাকায় অবস্থিত ফরিদগঞ্জ ডায়াবেটিক ও জেনারেল (প্রাইভেট) হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত (বৃহস্পতিবার) রাতে ফরিদগঞ্জের কেরোয়া গ্রামের ইসহাক মিয়ার স্ত্রী কোহিনুর বেগম (৬৫) অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন। শনিবার সকালে তিনি মারা যান। স্বজনদের দাবি, চিকিৎসকের অবহেলার কারণেই কোহিনুর বেগমের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বাগ্বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে হাসপাতালের কিছু কর্মচারী স্বজনদের সঙ্গে স্বজনদের গায়ে হাত তোলে বলে অভিযোগ ওঠে। এতে উত্তেজিত স্বজনরা ও স্থানীয় কিছু লোক মিলে হাসপাতাল ভাঙচুর করেন।
খবর পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ, সাবেক পৌর মেয়র মঞ্জিল হোসেন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘটনার সময় হাসপাতালের ভেতরে প্রায় দুই শতাধিক রোগী ও স্বজন আটকা পড়েন এবং আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: বরিশালে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
মৃত রোগীর বাবা বিল্লাল হোসেনও আক্রমনকারীদেরকে নিবৃত্ত করতে ব্যর্থ হন বলে জানান।
মৃত কোহিনুর বেগমের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলেন, ‘রোগীকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাতে অনুমতি দেয়নি। একাধিকবার অনুরোধ করা হলেও হাসপাতালের অন্যতম পরিচালক ও সিনিয়র চিকিৎসক ডা. সাদিক হাসপাতালে আসেননি। চিকিৎসকের এসব অবহেলায় আমাদের রোগী মারা গেছেন।’
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. হুমায়ুন কবীর ইউএনবিকে বলেন, ‘আমি কয়েকবার রোগীকে দেখেছি। আমাদের কোনো অবহেলা ছিল না। উপজেলা পর্যায়ে যতটুকু সম্ভব আমরা চিকিৎসা সেবা দিয়েছি। শুক্রবার সকালে এই রোগীকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছিল কিন্তু তিনি সকালেই মারা যান।’
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) রাজিব চক্রবর্তী ইউএনবিকে বলেন, ‘খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে আমাদের পুলিশ সদস্যরা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাহায্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।’
১০৪ দিন আগে
গতদিনের ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনায় দুই বিভাগে আটক ৪৫
ফিলিস্তিনে ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলার প্রতিবাদে হঠাৎ বিক্ষোভ মিছিল থেকে দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ৪৫ জনকে আটকের কথা জানিয়েছে সিলেট ও খুলনা বিভাগের পুলিশ।
মঙ্গলবার (৮ মার্চ) সিলেট ও খুলনার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
সিলেট
সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল থেকে বাটা, কেএফসিসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সকাল ১১টা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে, লুট করা জুতা বিক্রির জন্য ফেসবুকে দেয়া হচ্ছে বিজ্ঞাপন। বিষয়টি নজরে আসলে ক্রেতা সেজে ওই পোস্টদাতাকে আটক করে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। আটক মামুনুল হক নগরীর সাদিপুর এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ভাঙচুর ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও আইনের আওতায় নিয়ে আসতে বিভিন্ন এলাকায় আমাদের টহল ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
২৪০ দিন আগে
ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ: ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪৯
সারা দেশে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন ভাঙচুর ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার দেশের বেশ কয়েকটি শহরে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে এসব ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) প্রধান উপদেষ্টার ভ্যারিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে এই তথ্য তুলে ধরা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলার তদন্ত চলছে এবং এই নিন্দনীয় কাজের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আরও মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
এতে আরও বলা হয়, দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে পুলিশ গত রাতে অপরাধীদের ধরতে অভিযান চালিয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে বিক্ষোভের সময় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করছে। এই সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের জন্য দায়ী সবাইকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ গ্রেপ্তার
তদন্তে সহায়তা করতে পারে—এমন তথ্য যাদের কাছে আছে তাদের সহযোগিতাও কামনা করা হয় বিবৃতিতে।
এতে বলা হয়, এই ধরনের হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা জননিরাপত্তা এবং আইনের শাসনের প্রতি অবমাননাকর। যারা সমাজের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায় তাদেরকে জবাবদিহির আওতায় আনতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বানও জানানো হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে শয়তান সংঘের সভায় হাতাহাতি, গ্রেপ্তার ৩
২৪০ দিন আগে
সিরাজগঞ্জে মন্দিরের ৬ প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ
রাতের অন্ধকারে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌর এলাকার চালা শাহজাদপুর মহল্লার দোল ভিটা মিলন সংঘ মন্দিরের ৬টি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ওই মন্দিরে থাকা গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতীসহ ৬টি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা।
এদিকে শনিবার (৫ এপ্রিল) মন্দিরের পাশের বাড়ির লোকজন দেখতে পেয়ে খবর দিলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
শাহজাদপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাণী সাহা ও সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব দত্ত জানান, এ মন্দিরে যুগ যুগ ধরে পূজা-অর্চনা হয়ে আসছে। এখানে কখনও হামলা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। এখানে মহল্লার সবার আন্তরিক সহযোগিতায় পূজা উদযাপন হয়ে থাকে।
কিন্তু শুক্রবার রাতের অন্ধকারে হঠাৎ কে বা কারা প্রতিমা ভাঙচুর করে চলে গেছে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দুষ্কৃতিকারীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান তারা।
আরও পড়ুন: গত বছর ‘প্রতিমা ভাঙা’ যুবক এবারও ভাঙল সরস্বতী প্রতিমা
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (অপারেশন) আবু সাঈদ বলেন, ‘মন্দিরে থাকা গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতীসহ ৬টি প্রতিমা ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করা হয়েছে।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং আলামতসহ সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে নেমেছে।’
২৪৩ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় বিশ্বকবির ম্যুরালে কালি, ভাঙচুর
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালি দিয়ে মুখ ঢেকে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পাশাপাশি তার নামের বানানও বিকৃত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ম্যুরালের কালি লাগানো একটি ছবি ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন রবীন্দ্রভক্তসহ সুশীল সমাজ।
কে বা কারা কবে কখন এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে, তা এখনও জানতে পারেনি বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
ম্যুরালটি কুষ্টিয়া-রাজবাড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমারখালীর প্রবেশপথ জিলাপীতলা এলাকায় অবস্থিত। তবে এখানে প্রশাসনের কোনোরকম নজরদারি নেই বলে অভিযোগ করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা।
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে অবহেলা-অযত্নে ম্যুরালটি পড়ে রয়েছে। আজকে সকালে এসে দেখি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালটির মুখে কালি লাগানো। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।’
আজ (শুক্রবার) সকালে সরেজমিনে গিয়ে ওই ব্যক্তির কথার সত্যতা মেলে। দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে রক্ষাণাবেক্ষণের অভাবে ম্যুরাল চত্ত্বরে জন্মেছে আগাছা ও লতাপাতা। চটে গেছে ম্যুরালের রঙ। সেখানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা থাকলেও তা অকেজো।
এছাড়া ম্যুরালে কবির মুখমণ্ডল কালো রঙে ঢাকা। রবীন্দ্রনাথ ও ঠাকুর বানান দুটিও ভেঙেচুরে বিকৃত করা হয়েছে।
আক্ষেপ করে কুমারখালীর রবীন্দ্র গবেষক রেফুল করিম বলেন, ‘যে স্থানে বসে রবীন্দ্রনাথ গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের সিংহভাগ রচনা করেছিলেন, সেখানকার মানুষের আজ বিকৃত মস্তিষ্কের পরিচয় উদ্ভাসিত হলো।’
স্থানীয় কবি ও সাহ্যিতিক লিটন আব্বাস বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ নন, এ কালি পুরো বাঙালি জাতির মু্খে লেগেছে। কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, তা তদন্ত করে প্রকাশ্যে আনার দাবি জানাচ্ছি।’
ম্যুরাল ভাঙার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিজয় কুমার জোয়ার্দার।
তিনি বলেন, ‘কে বা কারা কখন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালি লাগিয়েছে, তা এখনও জানতে পারিনি। অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’ তাছাড়া খুব শিগগিরই ম্যুরালটির সংস্কার করা হবে বলেও সেখানে উপস্থিতদের আশ্বস্ত করেন তিনি।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ বলেন, ‘খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটাতে পারে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
২৪৪ দিন আগে
বরগুনায় মাজার ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, আহত ২০
বরগুনার আমতলীর ইসমাইল শাহ মাজারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার (১৬ মার্চ) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে সোলায়মান, রেজাউল, বাদল মৃধা, দুলাল মৃধা, আবু বকর, আবুল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল নোমান, মো. মামুন, আবুল কালাম, জোবায়ের ও ফজলুল করিমকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানন, বরগুনার আমতলীর ইসমাইল শাহ মাজারে ২৮তম ওরশ গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় শুরু হয়। ওইদিন রাতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আমতলী উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী ও সাধারণ সম্পাদক গাজী বায়েজিদের নেতৃত্বে তাদের শতাধিক সমর্থক ও জনতা এসে মাজার কর্তৃপক্ষকে মাজার পুজা ও গান বাজনা বন্ধ করতে বলেন। কিন্তু মাজারের প্রধান খাদেম মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ওরশ বন্ধে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথাবার্তা চলাকালীন এক পর্যায় তার সমর্থক ও কিছু জনতা লাঠিসোটা নিয়ে মাজারে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে ওই ওরশে আসা হাজার হাজার ভক্ত ও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ এদিক ওদিক ছুটাছুটি করতে থাকেন। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত পৌনে তিনটায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে মাজার ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন
খবর পেয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারেক হাসান ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে মাজারের দুইটি বৈঠকখানা ও মাজারের মধ্যে সামিয়ানা পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রাসেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, ‘আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আমতলী শাখার সভাপতি ওমর ফারুক জেহাদী ও সাধারণ সম্পাদক গাজী বায়েজিদের নেতৃত্বে শতাধিক বিক্ষুব্ধ জনতা লাঠিসোঠা নিয়ে এসে মাজার ভাঙচুর করে। পরে মাজারে আগুন দেয়।
ইসমাইল শাহ মাজারের প্রধান খাদেম মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলের দাবী, মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী ও গাজী বায়েজিদের নেতৃত্বে তাদের শতাধিক সমর্থক লাঠিসোঠা নিয়ে এসে অতর্কিতভাবে মাজারে হামলা চালায় ও আগুন দেয়। এতে মাজারের ভেতরের গিলাব ও দুটি বৈঠকখানা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তারা ভক্তদের মারধর ও মাজারের বাক্সে থাকা টাকা পয়সা লুটপাট করেছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমতলী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক গাজী বায়েজিদ বলেন, ‘মুফতী মাওলানা ওমর ফারুকসহ আমাদের বেশ কিছু সমর্থক ও বিক্ষুব্ধ জনতা গিয়ে মাজারের প্রধান খাদেমকে পবিত্র রমজান মাসে মাজার পূজা ও গান-বাজনা করতে নিষেধ করেন। কিন্তু তিনি তা মানতে নারাজ। এক পর্যায় তার ভক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদীর গায়ে হাত তুলে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এতে জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে মাজারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।’
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে মাজারটিতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
২৬২ দিন আগে
সারা দেশে সহিংস ভাঙচুর: সরকারকে কার্যকর ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান টিআইবির
ধানমন্ডি ৩২ ও প্রায় সারা দেশে গত দুইদিন সংঘটিত অস্বাভাবিক ভাঙচুর ও সহিংসতায় গভীর উদ্বেগ ও তা প্রতিরোধে সরকারের বিবৃতিনির্ভর নির্লিপ্ততায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদশে (টিআইবি)।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানায় টিআইবি।
উদ্ভূত পরিস্থিতিকে গণতান্ত্রিক উত্তরণ, সুশাসন ও রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে শুধু বিবৃতি দিয়ে দায়িত্ব সম্পন্ন করা নয়, সরকারের কার্যকর ভূমিকা অপরিহার্য বলেও মনে করে সংগঠনটি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, দলীয়করণ ও পরিবারতন্ত্রের সীমাহীন লালসা-তাড়িত কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সবচেয়ে বেশি অপূরণীয় ক্ষতি করেছে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার দোসররা। বহুমাত্রিক অধিকার হরণের শিকার আপামর দেশবাসীর ক্ষোভের মাত্রা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে পলাতক শেখ হাসিনা ও তার দেশি-বিদেশি সহযোগীদের নির্লজ্জ ও ষড়যন্ত্রমূলক প্রচারণার প্রেক্ষিতে।
আরও পড়ুন: বইয়ের প্রচ্ছদ থেকে ‘আদিবাসী’ গ্রাফিতি বাদ দেওয়ায় টিআইবির উদ্বেগ
তাই বলে আইনসিদ্ধ প্রতিক্রিয়ার পথ অনুসরণ না করে দেশব্যাপী যে প্রতিশোধপ্রবণ ভাঙচুর ও সহিংসতা চলেছে, তা কোনোভাবেই প্রহণযোগ্য হতে পারে না, এটি জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ সর্ম্পকে দেশ-বিদেশে ইতিবাচক কোনো বার্তা দিবে না।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘আগে থেকে সহিংস কর্মসূচির ঘোষণা থাকার পরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা ও তার সঙ্গে সহায়ক হিসেবে দায়িত্বপালনরত সেনাবাহিনী, তথা সরকার কার্যকর নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আশঙ্কাজনকভাবে নির্লিপ্ততার পরিচয় দিয়েছে। পরবর্তিতে ঘটনাটি ‘অনাকাক্সিক্ষত ও অনভিপ্রেত’ এমন বিবৃতি দিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টাও লক্ষণীয়।’
তিনি বলেন, ‘কর্তৃত্ববাদের দীর্ঘ ১৬ বছরের পুঞ্জীভূত বিশাল জঞ্জাল অপসারণ করে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদিচ্ছা হয়তো বিতর্কের ঊর্ধ্বে, তবে তার প্রয়োগে সুচিন্তিত ঝুঁকি নিরসন কৌশলের ওপর ভিত্তি করে যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো কতটা সক্রিয়, সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর কারণে এই প্রশ্ন যৌক্তিকভাবে উত্থাপিত হতে পারে। তাই শুধু দায়সারা বিবৃতি দিয়ে নয়, যেকোনো পরিস্থিতি আইনসিদ্ধভাবে মোকাবিলায় সরকারের দৃশ্যমান ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘এমনটি অব্যাহত থাকলে নজিরবিহীন আত্মত্যাগের বিনিময়ে সূচিত ‘নতুন বাংলাদেশের’ অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের পথ রুদ্ধ হয়ে পড়বে। একইসঙ্গে গণতান্ত্রিক উত্তরণ, সুশাসন এবং বিশেষ করে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতার সম্ভাবনাকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে খাদের কিনারায় ঠেলে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘মনে রাখা দরকার, শেখ হাসিনাসহ কর্তত্ববাদের সকল দোসরদের সুনির্দিষ্ট অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা ‘নতুন বাংলাদেশর’ স্বপ্নপূরণের সর্বোচ্চ প্রাধান্যপ্রাপ্ত করণীয়। তবে, এ জন্য প্রতিশোধপ্রবণ ও আত্মঘাতী মব-জাস্টিস নয়, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইনের পথ অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক।’
একই সঙ্গে ভিন্নমত পোষণকারীদের মামলা দিয়ে হয়রানির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে সকলের গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষায় রাষ্ট্র ও সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নেবে এবং সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজন সহনশীলতার পরিচয় দেবে— এমন প্রত্যাশাও করে টিআইবি।
আরও পড়ুন: সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৪ ভিন্নমত-গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্বের ঝুঁকি সৃষ্টি করবে: টিআইবি
২৯৯ দিন আগে