৫০টি স্থাপনা
সিরাজগঞ্জে যমুনা তীর ভাঙনে ৫০টি স্থাপনা ভেসে গেছে
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে যমুনার ভয়াবহ ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে খিদ্রচাপড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ও আশপাশের এলাকার অর্ধশতাধিক বাড়ি।
রবিবার (০২ জুলাই) বিদ্যালয়টির দুটি কক্ষ চোখের পলকে যমুনাগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: আবারও ভাঙন ঝুঁকিতে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ
স্থানীয়দের অভিযোগ, বেলকুচি উপজেলার মেহেরনগর থেকে চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুর স্পার বাঁধ পর্যন্ত যমুনার ভয়াবহ ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজে গাফিলতি ও প্রকল্প এলাকার কাছাকাছি স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে এই ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে।
গত কয়েকদিন যমুনায় পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করায় জিও ব্যাগ নিক্ষেপ বন্ধ থাকায় দুইদিন ধরে ভাঙনের তীব্রতাও বৃদ্ধি পাওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফরিদ আহম্মেদ নয়ন জানান, ১৯৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ১৪২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রায় ৬৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০০৮ সালে বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন ও আশ্রয় কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়।
এ বছর বর্ষা মৌসুম শুরু হতে না হতেই বিদ্যালয় ভবনটি ভাঙনের হুমকির মুখে পড়ায় ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও কোনো কাজ হয়নি।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের পাঠদান করার মতো আর কোন জায়গা রইলো না।
বড়ধুল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি সুজন সরকার বলেন, যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে এলাকাবাসী ঘরবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হারাচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙন, অর্ধশতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলিন
তিস্তার পানি কমলেও দেখা দিয়েছে ভাঙন
১ বছর আগে