খাদ্যগুদাম
শরীয়তপুরে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার বাসভবন থেকে ১৩ বস্তা সরকারি চাল জব্দ, ভবন সিলগালা
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার বাসভবন থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৩ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপর বাসভবনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
শনিবার (১১ নভেম্বর) সকাল দিকে উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল মাহমুদের বাসভবন থেকে এসব চাল জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন।
আরও পড়ুন: সরকারি চাল কালোবাজারে বিক্রির অপরাধে আটক ২
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, ভেদরগঞ্জ উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল মাহমুদের বাসায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল মজুদ রাখা হয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার সেখানে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসময় সেখান থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩০ কেজির ৩ বস্তা ও ৫০ কেজির ১০ বস্তাসহ মোট ১৩ বস্তা চাল এবং এক হাজার ১০০ খালি চালের বস্তা জব্দ করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে চালের বস্তাগুলো জব্দ করে বাসভবনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, খাদ্যগুদাম একটি স্পর্শকাতর জায়গা। এখানে সরকারের বিভিন্ন চাল মজুদ রাখা হয়।
তিনি আরও বলেন, সরকারি নির্দেশনা ছাড়া এখান থেকে একটি বস্তা চালও বাইরে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা নিজ বাসভবনে নিয়ে চালগুলো রেখেছেন।
তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি জানতে চাইলে এর কোনো সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি। এ কারণে চালগুলো জব্দের পর বাসভবনটি সিলগালা করে নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
এ বিষয়ে খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল মাহমুদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হয়নি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ১৪৮ মণ সরকারি চাল জব্দ, আটক ১
বাগেরহাটে জুট মিলে ১১৮৯ মেট্রিকটন সরকারি চাল জব্দ
১ বছর আগে
চট্টগ্রামে সরকারি খাদ্যগুদামে দুই প্রহরীর মারামারি, নিহত ১
চট্টগ্রামে সরকারি খাদ্যগুদামের দুই নিরাপত্তা প্রহরীর মধ্যে মারামারির ঘটনায় ওসমান গণি (৪০) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার মধ্যরাতে নগরীর ডবলমুরিং থানার দেওয়ানহাট (মনসুরাবাদ) খাদ্য গুদামে মারামারির ঘটনার পর হাসপাতালে মারা যান ওসমান গণি। এ ঘটনায় অপর নৈশপ্রহরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিহত ওসমান কক্সবাজার কক্সবাজারের মহেশখালীর তজু মিয়ার ছেলে।
সরকারি খাদ্য গুদামের ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর বলেন, গতকাল রাতে ডিউটিরত অবস্থায় দুই নিরাপত্তা প্রহরী মারামারি করেছে। এতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যজনকে পুলিশ আটক করে নিয়ে গেছে। তবে কি কারণে তারা মারামারি করছে বিষয়টি জানি না।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে ছুরিকাঘাতে বড় ভাই খুনের অভিযোগ
নিহতের ছোট ভাই আব্দুর গফুর বলেন, আমার ভাই গত ফেব্রুয়ারি মাসে বদলি হয়ে দেওয়ানহাট এলাকার খাদ্যগুদামে আসেন। কক্সবাজারে চাকরি করার সময় জিয়াউল হক নামে আরেক নিরাপত্তা প্রহরী আমার ভাইকে নানাভাবে উত্যক্ত করতো। এখানে আসার পর জিয়াউল হক আবারও তাকে নানা সময় উস্কানিমূলক কথা বলে তাকে ক্ষেপাতো। এ কারণে তিনি ঊর্ধ্বতন অফিসারের কাছে বিষয়টি জানালে গত মাসে আমার ভাইকে অন্য একটি রুমে সরিয়ে নেন কর্তৃপক্ষ। গতকাল রাতে আমার ভাই ডিউটি করছিলেন। এসময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে জিয়া আমার ভাইয়ের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করে আহত করে। পরে ওখানকার লোকজন এসে আমার ভাইকে উদ্ধার করে। এর কিছুক্ষণ পর তিনি বাথরুমে গেলে সেখানে মাথা ঘুরে পড়ে যায়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, রাতে খাদ্যগুদামের এক নিরাপত্তা প্রহরীকে পেটানো হয়েছে। এরপর তার মৃত্যু হয়েছে। লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় আমরা জিয়াউল হক নামে আরেক নিরাপত্তা প্রহরীকে গ্রেপ্তার করেছি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নিজ ঘরে ব্যাংক কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র খুন
১ বছর আগে