ঘূর্ণাবর্ত
সিরাজগঞ্জে যমুনায় ভেসে গেছে স্পার বাঁধের ৪০ মিটার
যমুনা নদীর পানি বাড়তে থাকায় ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হয়ে ধসে গেছে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর ১নং সলিড স্পারের অন্তত ৪০ মিটার এলাকা।
শুক্রবার (৭ জুলাই) ভোরে কাজীপুর যমুনা নদীর মেঘাই-এর ১ নম্বর সলিড স্পার এলাকায় এ ধস দেখা দেয়।
এতে ওই এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে যমুনা তীর ভাঙনে ৫০টি স্থাপনা ভেসে গেছে
এছাড়া এ বাঁধটি পুরোপুরি ধসে গেলে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত কয়েকদিন ধরে যমুনায় পানি বৃদ্ধির ফলে প্রবল স্রোতে ও ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়ে শুক্রবার (৭ জুলাই) ভোরে মেঘাই ১ নম্বর সলিড স্পারের কিছু অংশ ধস দেখা দেয়।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় সলিড স্পারের প্রায় ৪০ মিটার ধ্বসে গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে জিও ব্যাগ ফেলে ধস ঠেকানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সেইসঙ্গে বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
মাহবুবুর রহমান বলেন, যমুনার ভয়াবহ ভাঙন থেকে কাজীপুর উপজেলাকে রক্ষার জন্য তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমের প্রচেষ্টায় ১৯৯৭ সালে মেঘাই খেয়াঘাট এলাকায় ৩০০ মিটার এই স্পার বাঁধটি নির্মাণ করা হয়।
পরবর্তীতে ২০১২ ও ২০১৩ সালে স্পারটির মূল অংশের ১৫০ মিটার ধসে যাওয়ার পর মাটির অংশটুকু রক্ষায় সিসি ব্লক ফেলে ঠেকানো সেই অংশের ৪০ মিটার ধসে শুক্রবার ভোরে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, স্পার বাঁধটি পুরোপুরি ধসে গেলে কাজীপুর থানা, উপজেলা খাদ্য গুদাম, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, কাজীপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসহ উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে পড়বে।
তবে স্পার বাঁধটি সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলে কাজীপুর উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী অনিক ইসলাম জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: আবারও ভাঙন ঝুঁকিতে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ
তিস্তার পানি কমলেও দেখা দিয়েছে ভাঙন
১ বছর আগে