ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ৩০টির বেশি দেশে সম্প্রসারিত করবে যুক্তরাষ্ট্র
নির্দিষ্ট কিছু দেশের নাগরিকের ওপর যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল, তা আরও বাড়িয়ে ৩০টিরও বেশি দেশে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি দেশটির ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্যকে লক্ষ্য করে গুলির ঘটনার পর অভিবাসন নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তনের অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে ফক্স নিউজের উপস্থাপক লরা ইনগ্রাহামকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ক্রিস্টি নোম এ কথা জানান।
এর আগে, চলতি সপ্তাহের শুরুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নোম জানান, চলমান এই বিধিনিষেধ চলতি বছরের জুনে ট্রাম্প প্রশাসনের ঘোষিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হচ্ছে।
জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে এ বছরের জুন মাসে ১২ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। সেইসঙ্গে সাতটি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়।
আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেনের নাগরিকদের ওপর তখন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। আর বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার সীমিত করা হয়।
চলতি সপ্তাহেই ওই ১৯টি দেশের নাগরিকদের ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এই স্থগিতাদেশের ফলে দেশগুলোতে গ্রিন কার্ডের আবেদন থেকে শুরু করে নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদনসহ সব ধরনের অভিবাসন-সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।
তবে এই তালিকায় নতুন করে আর কোন কোন দেশ যুক্ত হবে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু না বলে তিনি জানান, বিষয়টি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মূল্যায়ন করছেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
১৯ দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের আবেদন স্থগিত
চলতি বছরের শুরুর দিকে যে ১৯টি দেশের নাগরিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল, সেসব দেশের নাগরিকদের গ্রিন কার্ডসহ সব ধরনের অভিবাসন আবেদন গ্রহণ আপাতত স্থগিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। সম্প্রতি দেশটির ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্যকে লক্ষ্য করে গুলির ঘটনার পর অভিবাসন নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তনের অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) অভিবাসন-সংক্রান্ত আবেদন প্রক্রিয়া ও অনুমোদনের দায়িত্বে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবা সংস্থা (ইউএসসিআইএস) তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নির্দেশনায় এ তথ্য জানায়।
এসব দেশের নাগরিকদের ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এই স্থগিতাদেশের ফলে দেশগুলোতে গ্রিন কার্ডের আবেদন থেকে শুরু করে নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদনসহ সব ধরনের অভিবাসন-সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে।
কবে এই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হবে, তা ইউএসসিআইএসের পরিচালক জোসেফ এডলোর ওপর নির্ভর করবে বলে স্মারকে উল্লেখ করা হয়েছে।
জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে চলতি বছরের জুন মাসে ১২ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। সেইসঙ্গে সাতটি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়।
সে সময় আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেনের নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। আর বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার সীমিত করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত এসব দেশের অভিবাসীদের বিরুদ্ধে তখন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। কিন্তু ইউএসসিআইএসের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন নিজ দেশে হোক বা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত, সব নাগরিকই বাড়তি নজরদারির আওতায় পড়বেন।
সংস্থাটি জানিয়েছে, বাইডেন প্রশাসনের সময় ওইসব দেশে থেকে যারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে, তাদের ‘অনুমোদিত সুবিধার সব আবেদন’ নতুন করে ব্যাপকভাবে যাচাই করা হবে।
নতুন নীতির নির্দেশিকা হিসেবে জারি করা সরকারি স্মারকে উল্লেখ করা হয়েছে, গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্যের ওপর হামলায় এক আফগান নাগরিককে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হামলায় এক সেনা নিহত এবং আরেকজন গুরুতরভাবে আহত হন। ওই ঘটনার পরই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
ইউএসসিআইএস বলেছে, ‘চিহ্নিত ঝুঁকি ও যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের ওপর হুমকি বিবেচনায় ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি বা এর পরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশের নাগরিকদের ব্যাপকভাবে পুনরায় যাচাই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। প্রয়োজন হলে তাদের ফের সাক্ষাৎকার, জরুরি মনে করলে একাধিক সাক্ষাৎকারও নেওয়া হতে পারে।’
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার প্রকাশিত ওই স্মারকে সংস্থাটি আরও জানায়, কাদের ব্যাপারে পুনরায় পর্যালোচনা করা হবে, সে বিষয়ে ৯০ দিনের মধ্যে তারা অগ্রাধিকারমূলক একটি তালিকা তৈরি করবে। প্রয়োজন হলে তাদের অভিবাসন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা অন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছেও পাঠানো হবে।
গুলির ওই ঘটনার পর থেকে ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ও দেশটিতে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক অভিবাসীদের ওপর বাড়তি নজরদারির জন্য একাধিক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
তবে সমালোচকেরা বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এসব পদক্ষেপ সমষ্টিগতভাবে অভিবাসীদের ওপর শাস্তি আরোপের সামিল।
৩ দিন আগে
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছেন ট্রাম্প
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশদুটির নিরাপত্তা ও যাচাই-বাছাইয়ের ঝুঁকি পর্যালোচনার ওপর ভিত্তি করে এমন সিদ্ধান্ত আসতে যাচ্ছে।
পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডন এমন খবর দিয়েছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক তিনটি সূত্রের বরাতে খবরে বলা হয়েছে, ‘এই দুই দেশের বাইরেও অনেক দেশ এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় পড়তে পারে। তবে সেই সব দেশের নাম জানা যায়নি। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই এই নিষেধাজ্ঞা আসতে যাচ্ছে।’
প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের সময় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ সাতটি দেশের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। পরবর্তীতে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ২০২১ সালে এই নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের জাতীয় চেতনার ওপর কালো দাগ।’
এতে শরণার্থী হিসেবে ও বিশেষ অভিবাসন ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ছাড়পত্র পাওয়া কয়েক হাজার আফগান বিপাকে পড়তে পারেন। ২০ বছর ধরে চলা আফগান যুদ্ধে মার্কিন সামরিক বাহিনীর হয়ে কাজ করার কারণে তারা তালেবানের প্রতিশোধের শঙ্কার মধ্যে আছেন।
আরও পড়ুন: কানাডা-মেক্সিকোর পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর, ঘোষণা ট্রাম্পের
নিরাপত্তা ঝুঁকি শনাক্তে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে যাওয়া বিদেশিদের যাচাই-বাছাই আরও কঠোর করতে গেল ২০ জানুয়ারি একটি নির্বাহী আদেশ সই করেন ট্রাম্প।
যেসব দেশের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ করা রয়েছে, সেই তালিকায় আফগানিস্তানের নাম থাকবে বলে জানিয়েছে সূত্র। পাকিস্তানকেও এই তালিকায় রাখতে সুপারিশ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিচার মন্ত্রণালয়, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ও জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালকের কার্যালয় কোনো সাড়া দেয়নি।
একটি সূত্র জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী হিসেবে পুনর্বাসনে ও বিশেষ ভিসা প্রক্রিয়ায় যেসব আফগান ছাড়পত্র পেয়েছেন, মারাত্মক যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে তাদের। বিশ্বের যে কোনো দেশের নাগরিকের চেয়ে অনেক বেশি যাচাইয়েরে মধ্যে পড়তে হবে এসব আফগানকে।
আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, ‘ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থেকে বিশেষ অভিবাসন ভিসাধারী আফগানদের অব্যাহতি চাচ্ছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু তাদের এই দাবি হয়ত মেনে নেওয়া হবে না।’
দুই দশকের যুদ্ধ শেষে ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এরপর দেশটিতে ক্ষমতায় আসে তালেবান সরকার। যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসনের জন্য বিশেষ অভিবাসন ভিসায় প্রায় দুই লাখ আফগান নাগরিকের আবেদন অনুমোদন করা হয়েছে কিংবা মার্কিন শরণার্থী ও বিশেষ অভিবাসন ভিসা আবেদন স্থগিত হয়ে আছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে মার্কিন সামরিক সহায়তা স্থগিত করেছেন ট্রাম্প
তারা আফগানিস্তান ও ৯০টি দেশে আটকা পড়ে আছেন। তাদের মধ্যে পাকিস্তানে রয়েছেন ২০ হাজার। ২০ জানুয়ারি শরণার্থী আবেদন অনুমোদন ও তাদের ফ্লাইটের জন্য বিদেশি সহায়তা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
২৭৫ দিন আগে
ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, বাধা কাটল দ. কোরিয়ায় প্রবেশের
সরকারের নিরবচ্ছিন্ন কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলস্বরুপ সম্প্রতি বাংলাদেশের নাগরিকদের ওপর আরোপিত ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
১৭৬৩ দিন আগে
মোমেনের সাথে জয়শঙ্করের টেলিফোনালাপ, চলতি মাসেই যৌথ কমিশনের সভা
বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রী পর্যায়ে যৌথ পরামর্শ কমিশনের (জেসিসি) পরবর্তী সভা ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে চলতি মাসেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
১৯১৬ দিন আগে
জুলাইয়ে অর্ধশতাধিক শহরে যাত্রীবাহী ফ্লাইট পরিচালনা করবে এমিরেটস
বিশ্বের ৫২টি শহরে বুধবার থেকে যাত্রীবাহী ফ্লাইট চালানোর ঘোষণা দিয়েছে এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইন্স।
১৯৮৫ দিন আগে
করোনাভাইরাসে চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮০
চীনে নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮০ জনে দাঁড়িয়েছে। আর এ ভাইরাসের বিস্তার রোধে ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে নতুন বছরের ছুটি আরও ৩ দিন বাড়িয়েছে দেশটির সরকার।
২১৪০ দিন আগে