চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানায়, রবিবার মধ্যরাত পর্যন্ত ২ হাজার ৭৪৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
নববর্ষের ছুটিতে নিজ নিজ শহর বা বিভ্ন্নি পর্যটন স্পটগুলোতে ঘুরতে যাওয়া প্রায় এক কোটি চীনা নাগরিকের চলতি সপ্তাহেই ফেরার কথা থাকলেও, মানুষের ভিড়ে ট্রেন ও বিমানে ভাইরাস আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর এজন্যই নববর্ষের ছুটি আরও ৩ দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্কুলগুলোও বন্ধ রাখা হবে বলে সরকারি এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: লক্ষ্মণ, প্রতিরোধ ও আরও তথ্য
এছাড়া হংকংয়ে ৫ জন, ম্যাকাওতে ২ জন এবং তাইওয়ানে ৩ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর জানিয়েছে সরকার।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মধ্যে- থাইল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, নেপাল, ফ্রান্স এবং অস্ট্রেলিয়াতেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন, শিকাগো, সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া এবং অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে।
কানাডায়ও প্রথমবারের মতো এই ভাইরাসে আক্রান্ত একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। ৫০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি সম্প্রতি চীনের উহান থেকে জিয়াংজু এবং সেখান থেকে টরেন্টো গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: মাস্ক পরে কি সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব?
রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় চলমান পরিস্থিতিকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।