এক দফা দাবি
এক দফা দাবি: সারাদেশে সংঘর্ষে নিহত ৯৬
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা দাবি ভিত্তিতে চলমান আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে বিক্ষোভকারী, পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৯৬ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন ১ হাজার জনেরও বেশি।
ইউএনবি নিউজ ডেস্কে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গেছে, ঢাকা ও ফেনীতে ৯ জন করে, সিলেট ও নরসিংদীতে ৬ জন করে, সিরাজগঞ্জে ২৩ জন, লক্ষ্মীপুরে আটজন, বগুড়ায় পাঁচজন, রংপুরে চারজন, মাগুরা, পাবনা, কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জে তিনজন করে এবং জয়পুরহাট ও শরীয়তপুরে দুইজন করে মারা গেছেন। এছাড়া গাজীপুর, কক্সবাজার, ভোলা, হবিগঞ্জ, সাভার, কেরানীগঞ্জ ও বরিশালে একজন করে মারা গেছে।
এছাড়া সারাদেশে সংঘর্ষ ও হামলায় গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন এক হাজারের বেশি মানুষ।
ঢাকায় সংঘর্ষে অন্তত সাতজন নিহত ও আড়াই শতাধিক আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের ছাত্র তাওহিদুল (২২), ওবায়দুল্লাহ সিদ্দিক (২৩) ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রামিজউদ্দিন হাবিব রূপ।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আমাদের প্রতিবেদক জানান, মরদেহগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
এছাড়া সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত।
আরও পড়ুন: সোমবার থেকে ৩ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা
নরসিংদীর মাধবদী উপজেলায় আওয়ামী লীগের ছয় নেতাকর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
সংঘর্ষ চলাকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছূ সংখ্যক যানবাহন, আওয়ামী লীগের অফিস, থানা ও অন্যান্য স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রিসভার পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের প্লাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে সকাল থেকে বিক্ষোভে অংশ নেয় সাধারণ মানুষ।
প্ল্যাটফর্মটি শনিবার একটি বিশাল সমাবেশ থেকে অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দেয়। এর ফলে সকাল থেকে রাস্তায় যান চলাচল কম ছিল। শপিংমল ও দোকানপাটও বন্ধ ছিল।
ঘটনাস্থল থেকে প্রত্যক্ষদর্শী, আমাদের সংবাদদাতা ও ফটো সাংবাদিকরা জানান, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের মোকাবিলায় রাস্তায় নামলে পরিস্থিতি সহিংস হয়ে ওঠে।
অনেক জায়গায় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এর ফলে সহিংস সংঘর্ষে শিক্ষার্থীসহ অনেকে নিহত ও আহত হন।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, সিলেট, খুলনা, কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
ক্রমবর্ধমান এ সহিংসতার মধ্যে সরকার রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাজধানীসহ দেশের কয়েকটি স্থানে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করেছে।
ঢাকা মহানগরসহ দেশের সব বিভাগীয় সদর, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা ও উপজেলা সদরে কারফিউ জারি করা হয়।
এদিকে আন্দোলনকারীদের গুলি না করার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেছেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে অংশ নেওয়ার অধিকার সব নাগরিকের রয়েছে এবং জোর দিয়ে বলেছে, পুলিশকে অবশ্যই আইনি নির্দেশাবলী অনুসরণ করতে হবে।
একইসঙ্গে পুলিশকে পুলিশ রেগুলেশন অব বেঙ্গল (পিআরবি) কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারফিউ প্রত্যাখ্যান, লংমার্চ টু ঢাকা এগিয়ে সোমবার
সিরাজগঞ্জ ও কুমিল্লায় ১৪ পুলিশ নিহত
৩ মাস আগে
সোমবার থেকে ৩ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা দাবিকে কেন্দ্র করে সারাদেশে ব্যাপক সহিংসতার মধ্যে তিন দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।
রবিবার এক নির্বাহী আদেশে সোমবার, মঙ্গলবাল ও বুধবার তিন দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে গুলিতে ২ জন নিহত
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
তবে জরুরি পরিষেবা যেমন- হাসপাতাল, ওষুধ, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও অন্যান্য সেবা এর আওতার বাইরে থাকবে।
এর আগে সরকার এক নির্বাহী আদেশে ২১, ২২ ও ২৩ জুলাই সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। পরে তা আরও একদিন বাড়িয়ে করা হয় ২৪ জুলাই পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: এক দফা দাবি: সারাদেশে সংঘর্ষে নিহত ২৭
নরসিংদীতে আন্দোলনকারীদের উপর আ. লীগ কর্মীদের গুলি, পিটিয়ে ৬ কর্মীকে হত্যা, গুলিবিদ্ধ ৪
৩ মাস আগে
এক দফা দাবি: সারাদেশে সংঘর্ষে নিহত ২৭
এক দফা দাবিতে গণবিক্ষোভের মধ্যে সারাদেশে বিক্ষোভকারী, পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২৭ জন নিহত নিহয়েছেন। এ সময় বিপুল সংখ্যক মানুষ আহত হয়েছেন।
আমাদের জেলা সংবাদদাতারা এ পর্যন্ত ফেনীতে ৬ জন, নরসিংদীতে ছয়জন, সিরাজগঞ্জে চারজন, পাবনায় তিনজন, মাগুরায় একজন, কিশোরগঞ্জে তিনজন, মুন্সীগঞ্জে দুজন ও সিলেটে একজন মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন।
এছাড়া সারাদেশে সংঘর্ষ ও হামলায় গুলিবিদ্ধসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় আ.লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৩ শিক্ষার্থী নিহত
প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের প্লাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে সকাল থেকে বিক্ষোভে অংশ নেন সর্বস্তরের মানুষ।
প্ল্যাটফর্মটি শনিবার একটি বিশাল সমাবেশ থেকে অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দেয়। এর ফলে সকাল থেকে রাস্তায় যান চলাচল কম ছল। শপিংমল ও দোকানপাটও বন্ধ ছিল।
ঘটনাস্থল থেকে প্রত্যক্ষদর্শী, আমাদের সংবাদদাতা ও ফটো সাংবাদিকরা জানান, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের মোকাবিলায় রাস্তায় নামলে পরিস্থিতি সহিংস হয়ে ওঠে।
অনেক জায়গায় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এর ফলে সহিংস সংঘর্ষে শিক্ষার্থীসহ অনেকে নিহত ও আহত হন।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, সিলেট, খুলনা, কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
ক্রমবর্ধমান এ সহিংসতার মধ্যে সরকার রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাজধানীসহ দেশের কয়েকটি স্থানে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করেছে।
ঢাকা মহানগরসহ দেশের সব বিভাগীয় সদর, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা ও উপজেলা সদরে কারফিউ জারি করা হয়।
এদিকে আন্দোলনকারীদের গুলি না করার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেছেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে অংশ নেওয়ার অধিকার সব নাগরিকের রয়েছে এবং জোর দিয়ে বলেছে, পুলিশকে অবশ্যই আইনি নির্দেশাবলী অনুসরণ করতে হবে।
একইসঙ্গে পুলিশকে পুলিশ রেগুলেশন অব বেঙ্গল (পিআরবি) কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: সিলেটে গুলিতে ২ জন নিহত
নরসিংদীতে আন্দোলনকারীদের উপর আ. লীগ কর্মীদের গুলি, পিটিয়ে ৬ কর্মীকে হত্যা, গুলিবিদ্ধ ৪
৩ মাস আগে
এক দফা দাবি: আন্দোলনকারীরা এখন শাহবাগে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিসভার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
রাজধানীর শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের এক দফা দাবিতে আন্দোলন ঘোষণার পর শাহবাগ অভিমুখে পদযাত্রা করেন হাজার হাজার জনগণ।
আরও পড়ুন: শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের সমাগম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারীরা তাদের এক দফা দাবি ঘোষণা করে এটিকে ‘শিক্ষার্থীদের দাবি’ বলে অভিহিত করেছেন।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিশাল সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলমসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্য সমন্বয়করা।
শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল খুলে দিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটামও দিয়েছেন তারা।
অসহযোগ আন্দোলনের পয়েন্ট ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, রবিবার থেকে তারা আন্দোলন বাস্তবায়ন করবেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর, পুলিশসহ আহত ২
বরিশালে পুলিশ ও বক্স ও আমর্ড ব্যাটালিয়নের গাড়ি ভাঙচুর, আহত ৪
৩ মাস আগে
৪৮ ঘণ্টার অবরোধ আজ সকালে যান চলাচলের মধ্য দিয়ে শুরু
বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলো তাদের এক দফা দাবি আদায়ে চাপ সৃষ্টি করতে আরও ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ আজ রবিবার (১২ নভেম্বর) সকালে সড়কে যান চলাচলের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে।
সকাল ৬টায় শুরু হওয়া অবরোধ শেষ হবে মঙ্গলবার সকাল ৬টায়।
উত্তেজনা ও সহিংসতার আশঙ্কা সত্ত্বেও ঢাকার রাস্তায় গণপরিবহন ও যাত্রীদের উপস্থিতি আগের অবরোধের তুলনায় বেড়েছে বলে মনে হচ্ছে।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান, গাবতলী, নটরডেম কলেজের কাছে, রূপনগর, সূত্রাপুর ও মিরপুরে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধকে সামনে রেখে গতকাল রাত ৮টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত সাতটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
একই সময়ে গাজীপুর ও বরিশালে একটি পিকআপ ভ্যান ও একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরুর আগেই ঢাকায় দুটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন
এরই মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ায় আজ সকালে অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের নিয়ে নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটে যেতে দেখা গেছে।
ঢাকার রাস্তায় অধিক সংখ্যক রিকশা এবং অল্প সংখ্যক ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা বেড়েছে।
শনিবার এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অবরোধ সফল করার জন্য দেশবাসী ও বিএনপি সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানান।
সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমের যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ওষুধ বহনকারী যানবাহন এই অবরোধের আওতাবহির্ভূত থাকবে।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ অবরোধে দেশের অর্থনীতিতে মন্দা
বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলের তৃতীয় সপ্তাহের অবরোধ শুরু রবিবার
১ বছর আগে
নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ চলছে
নির্দলীয় সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের এক দফা দাবিতে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মীর অংশগ্রহণে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির মহাসমাবেশ শুরু হয়েছে।
শনিবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন এবং বর্তমান সরকারের পদত্যাগসহ আগামী নির্বাচনের জন্য বর্তমান সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
আরও পড়ুন: কাকরাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে বিএনপির ২০০ নেতা-কর্মী আটক
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মী।
দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের নির্দেশ অমান্য করে শুক্রবার বিকালে কয়েক হাজার বিরোধী দলীয় নেতাকর্মী নয়াপল্টনে জড়ো হয়ে রাতভর অবস্থান করেন।
ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড এবং দলের শীর্ষ নেতাদের প্রতিকৃতি নিয়ে সারা দেশ থেকে বিরোধী দলের অনুসারীরা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
ফকিরাপুল থেকে কাকরাইল মসজিদ পর্যন্ত সড়ক ও গলিগুলোতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের উপচে পড়া ভিড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সমাবেশের বিস্তৃত জনতা আশেপাশের সড়ক, রাস্তা, গলি এবং নানা স্থানে ছড়িয়ে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: শনিবারের সমাবেশকে সামনে রেখে বিএনপি নেতা-কর্মীরা নয়াপল্টনে জড়ো হতে শুরু করেছে
১ বছর আগে
বিএনপি এক দফার দাবিতে থাকলে নির্বাচনী বাস মিস করবে: সালমান এফ রহমান
বিএনপি এক দফার দাবিতে থাকলে নির্বাচনী বাস মিস করবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি তাদের এক দফার দাবি আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে, কারণ জনগণ তাদের সঙ্গে নেই।’
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকার দোহার জয়পাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় সালমান এফ রহমান বলেন, আপনারা যে আন্দোলন শুরু করেছেন সেটা কখনও সফল হবে না। কারণ জনগণ আপনাদের সঙ্গে নেই।
তাই এসব বাদ দিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনী বাস ধরার পরামর্শ দিয়েছেন সালমান এফ রহমান।
বিদেশিরা বর্তমান সরকারকে আগামীতে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না, বিএনপি নেতাদের এই ধরনের মন্তব্যকে বিভ্রান্তিকর গুজব-আখ্যায়িত করে সালমান এফ রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' এর সুযোগ নিয়ে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রোপাগান্ডা ছড়াতেই ব্যস্ত।
তাদের এসব গুজব থেকে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: দেশটাকে আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্রীড়াক্ষেত্রে পরিণত করতে চায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই হবে, কেউ অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচন থেমে থাকবে না। বিদেশিদের একটাই চাওয়া তা হচ্ছে, বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ হোক। তাদের চাওয়া এবং সরকারের চাওয়া এক। স্বাধীন নির্বাচন কমিশনও অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন উপহার দিতে বদ্ধপরিকর।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি আন্দোলন করছে ফেসবুক ও ইউটিউবে। বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। তবে তাদের ষড়যন্ত্র ধূলিসাৎ হয়েছে।
এই সময় তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, 'আওয়ামী লীগ সমর্থকদের কাছে ভোট চাওয়া ছাড়াও নিরপেক্ষ ও বিরোধীদের কাছে গিয়েও ভোট চাইতে হবে। ভোট দেওয়ার যেমন স্বাধীনতা আছে, তেমনি ভোট চাওয়ারও স্বাধীনতা আছে। উন্নয়নের নানা চিত্র সবার কাছে তুলে ধরে নৌকার জন্য ভোট চাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।'
বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইলে এবং দলমত নির্বিশেষে সব ভোটারদের কাছে যেতে পারলে নৌকার জয় সুনিশ্চিত জানিয়ে আগামী নির্বাচনে করণীয় সম্পর্কে নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন সালমান এফ রহমান।
বিগত ১৫ বছরে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে সরকার বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে। দেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হওয়ার পথে ধাবমান। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদেরকেও এগিয়ে যেতে হবে।
নারীদের জন্য সরকারের বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করার জন্য উপস্থিত নেতা-কর্মীদের অনুরোধ করেন দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেত্রীবৃন্দ।
আরও পড়ুন: অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধরে রাখতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
বিএনপি অংশগ্রহণ না করলেও নির্বাচন থেমে থাকবে না: সালমান এফ রহমান
১ বছর আগে
আমাদেরও এক দফা দাবি, শেখ হাসিনাকে ছাড়া নির্বাচন হবে না: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না।
‘আমাদের এক দফা এক দাবি, তা হলো শেখ হাসিনার অধীনে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন। যেখানে বিএনপির এক দফা দাবি শেখ হাসিনার পদত্যাগ, আমাদের দাবি উল্টো।’
বুধবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত যৌথ ‘শান্তি সমাবেশে’ বিএনপির এক দফা সরকার পতনের আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে এ কথা বলেন কাদের।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগের কোনো কথা বলেনি ইইউ: ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, ‘বিএনপির এক দফা দাবি শেখ হাসিনার পদত্যাগ। শেখ হাসিনাকে ছাড়া আমাদের নির্বাচন হবে না। বিএনপি জানে তারা নির্বাচনে হেরে যাবে। শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তার মুখে তারা ভেসে যাবে। তারা শেখ হাসিনার জনপ্রিতার হিংসা করে।’
তিনি আরও বলেন, আমাদের এক দফা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন এবং এই লক্ষ্য অর্জনে তারা কাজ করে যাচ্ছে।
কাদের বলেন, উন্নয়ন হাসিনার অপরাধ। তার অপরাধ তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির এক দফা দাবি সংবিধানের পরিপন্থী: শাহরিয়ার আলম
বিএনপির একটি স্বপ্নের মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা এখন আবার স্বপ্ন দেখছে। ‘তারা কী স্বপ্ন দেখছে? শেখ হাসিনার পদত্যাগ।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা (বিদেশি প্রতিনিধি দল) অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চান। আমরাও তা চাই। যে কেউ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করলে তা প্রতিহত করা হবে।’
দলের নেতাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন পর্যন্ত খেলা চলবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে কোনো অপশক্তি তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারবে না।’
তিনি দলের নেতাদের নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি পালন করতে বলেন এবং সব সহযোগী-সংগঠনের নেতাদের সমাবেশ করার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় আ. লীগের শান্তি সমাবেশে হাজারো মানুষের সমাগম
১ বছর আগে
বিএনপির এক দফা দাবি সংবিধানের পরিপন্থী: শাহরিয়ার আলম
বিএনপির এক দফা দাবি সংবিধানের পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
তিনি বলেন, ‘সংবিধান পরিপন্থী যেকোনো দাবি অব্যাহত রাখা ইঙ্গিত করে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি 'ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের' পরিকল্পনা করছে।
বুধবার এক টুইটে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমরা তা হতে দেব না। আমরা শান্তি ও স্থিতিশীলতার বিষয়ে আপস করব না।’
আরও পড়ুন: বিএনপির ‘এক দফা’ কোনো গুরুত্ববহন করে না: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো যৌথভাবে বর্তমান সরকারের পদত্যাগের দাবিতে 'এক দফা' আন্দোলনের ঘোষণা দেবে। তারা দাবি করে আসছেন যেন আগামী জাতীয় নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সম্মেলন করার কথা রয়েছে দলটির। সম্মেলন থেকে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক দফা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে তো সংলাপে ডাকা হয়নি: তথ্যমন্ত্রী
গোপনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি: সালমান এফ রহমান
১ বছর আগে