মাইলেজ
বাজাজ পালসার এন-২৫০: বাংলাদেশের প্রথম ২৫০ সিসি বাইক
সেরা গতির বাইকটি অধিকারে থাকা আর আভিজাত্য ও দুঃসাহসিকতার যুগপৎ উন্মাদনা যেন একে অন্যের পরিপূরক। আর এই মর্যাদাকে আরও বাড়িয়ে দিতেই যেন দেশের সড়কে চলমান বাইকের সর্বোচ্চ ইঞ্জিন ক্ষমতার সীমা উন্নীত করা হয়েছে ৩৭৫ সিসিতে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, ২৭ নভেম্বর সোমবার চালু হলো বাজাজ পালসার এন-২৫০।
এর মধ্যে দিয়ে ২৫০ সিসির ইঞ্জিন দক্ষতার মাইলফলক স্পর্শ করল বাংলাদেশ অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রি। চলুন, এর বিভিন্ন ফিচার, দাম, এবং সুবিধা-অসুবিধাগুলোর বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
বাজাজ পালসার এন-২৫০ এর ফিচার
ইঞ্জিন ও ট্রান্সমিশন
পালসারটি এন-২৫০ শক্তি পায় একটি সিলিন্ডার ও ৪-স্ট্রোক ইঞ্জিন থেকে। ইঞ্জিনটিকে পরিচালনা করে ২টি ভালভসহ একটি অত্যাধুনিক এসওএইচসি (সিঙ্গেল ওভারহেড ক্যামশ্যাফ্ট)।
এই মডেলের সঙ্গে থাকছে ৫-স্পিড কনস্ট্যান্ট মেশ গিয়ারবক্স। এছাড়া মোটরসাইকেলটি বিএস৬-২.০ নিঃসরণ মান মেনে চলে, যা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকরণে বাজাজের প্রতিশ্রুতিকে ন্যায্যতা দান করে।
আরও পড়ুন: উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হোম অফিস যেভাবে সাজাবেন
মাইলেজ ও জ্বালানি দক্ষতা
একবারে ১৪ লিটার জ্বালানি ভরতে পারে, যার প্রতি লিটারে এটি মাইলেজ পায় ৩৫ কিলোমিটার। এর সঙ্গে মডেলটি শক্তি এবং জ্বালানি দক্ষতার মধ্যে একটি সর্বোত্তম ভারসাম্য বজায় রাখে।
চ্যাসিস ও সাসপেনশন
এন-২৫০ স্পোর্টস নেকেড বাইকের ক্যাটাগরির অন্তর্গত, যেখানে আবরণে রয়েছে সতর্কতার সঙ্গে তৈরি একটি শক্তিশালী চেসিস।
৩৭ মিলিমিটারের টেলিস্কোপিক ফ্রন্ট সাসপেনশন এবং নাইট্রোক্স রিয়ার সাসপেনশনসহ মনোশক যে কোনো ঝাকুনি শোষণ করতে এবং একটি মসৃণ ও নিয়ন্ত্রিত রাইড প্রদানে ভূমিকা রাখে।
মাত্রা ও ক্ষমতা
১৪-লিটার জ্বালানি ধারণ ক্ষমতা একে দীর্ঘ পথ চলার প্রশ্রয় দেয়। এটি ৭৯৫ মিলিমিটার-এর স্যাডল উচ্চতা, ১৬৫ মিলিমিটার গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স, ১৩৫১ মিলিমিটার হুইলবেস। সব মিলিয়ে পুরো বডিটির ওজন ১৬২ কেজি।
লাইটিং ব্যবস্থা
এলইডি হেডলাইট ও টেইল লাইট থেকে শুরু করে টার্ন সিগন্যাল ল্যাম্প এবং ডিআরএল (ডেটাইম রানিং লাইট) পর্যন্ত প্রতিটি উপাদান সর্বোত্তম দৃশ্যমানতা প্রদানের জন্য ডিজাইনকৃত।
দূরত্ব, ও কম জ্বালানি সংক্রান্ত আশঙ্কাজনক নির্দেশকগুলো সর্বদা রাইডারকে বাইকের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে অবহিত রাখে।
আরও পড়ুন: কীভাবে এল বাংলা ক্যালেন্ডার: দিনলিপি গণনার ইতিবৃত্ত
টায়ার ও ব্রেক
এন-২৫০ এর ব্রেকিং সিস্টেমে একটি ৩০০ মিলিমিটার ফ্রন্ট ডিস্ক এবং একটি ২৩০ মিলিমিটার রিয়ার ডিস্ক রয়েছে। এছাড়াও, একটি ডুয়াল-চ্যানেল এবিএস সিস্টেম সুবিধা দিচ্ছে ইঞ্জিন কিল সুইচ ও পাস সুইচের।
টিউবলেস টায়ার (সামনে: ১০০/৮০-১৭, এবং পিছনে: ১৩০/৭০-১৭) যে কোনো রাস্তায় এর বডিকে শক্ত গ্রিপে ধরে রাখে। এই টায়ার এবং অ্যালয় হুইলগুলোর সংমিশ্রণ (সামনে: ৪৩১.৮ মিলিমিটার, ও পেছনে: ৪৩১.৮ মিলিমিটার) বাইকের তৎপরতা ও স্থিতিশীলতায় অবদান রাখে।
মোটর ও ব্যাটারি
চেইন ড্রাইভ এবং ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন ৮ হাজার ৭৫০ আরপিএম-এ সর্বোচ্চ ২৪.৫ হর্সপাওয়ার শক্তি প্রদান করতে সক্ষম। ৬ হাজার ৫০০ আরপিএম-এ ২১.৫ নিউটন মিটার্স পর্যন্ত টর্ক বল এর যে কোনো জড়তাকে কাটিয়ে উঠতে পারে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের শীর্ষ ১০ পুলিশ কুকুরের প্রজাতি
কি কি সুবিধা থাকছে বাইকটিতে
নিরাপত্তার নিশ্চয়তা
এর ইঞ্জিন কিল সুইচ এবং পাস সুইচের ডুয়াল-চ্যানেল এবিএস সিস্টেম রাইডারের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার এক নতুন মাত্রা। এই সংমিশ্রণটি ধীরে সুস্থে থামার বিষয়টি নিশ্চিত করে, বিধায় থেমে থাকা বা চলন্ত উভয় অবস্থাতেই রাইডারের আত্মবিশ্বাস অটুট থাকে।
জ্বালানি বান্ধব
১৪-লিটার জ্বালানি ক্ষমতা এবং প্রতি লিটারে ৩৫ কিলোমিটার এর সামগ্রিক মাইলেজ, এন-২৫০কে শক্তি এবং জ্বালানি দক্ষতার মাঝে দারুণ এক ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি মোটরযানটিকে আরোহীদের কাছে একটি লাভজনক পছন্দ হিসেবে উপস্থাপন করে।
বাইকের উপস্থিতি ও অবস্থা নির্দেশক
হেডলাইট, টেইল লাইট এবং টার্ন সিগন্যাল ল্যাম্পসহ উন্নত এলইডি লাইটিং সিস্টেম যে কোনো জায়গায় এর দৃশ্যমানতা বাড়ায়। এই লাইটিং জ্বালানি কমে আসা ও দূরত্ব নির্দেশক সম্বলিত গাড়ির বর্তমান অবস্থার ব্যাপারে রাইডারদেরকে সঠিক জানান দেয়।
গ্রিপিং টায়ার ও ব্রেক
এর ফ্রন্ট ডিস্ক, রিয়ার ডিস্ক এবং ডুয়াল-চ্যানেল এবিএস সিস্টেমের সমন্বয় নিয়ন্ত্রিত ব্রেকিংয়ের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। টিউবলেস টায়ার ও অ্যালয় হুইলগুলোর অন্তর্ভুক্তির কারণে যে কোনো রাস্তায় একে আরোহীর সেরা পছন্দে পরিণত করবে।
আরামদায়ক
স্প্লিট-সিট ডিজাইন, অ্যাডজাস্টেবল উইন্ডস্ক্রিন এবং প্যাসেঞ্জার ফুটরেস্ট বাইকে চড়ার সময় একটি আরামপ্রদ অভিজ্ঞতা দেয়। এলইডি-আলো ঘড়ি শুধুমাত্র একটি কার্যকরী উদ্দেশ্যেই কাজ করে না বরং গাড়ির সামগ্রিক নান্দনিকতায়ও গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন করে।
আরও পড়ুন: ব্লু জোন রহস্য: রোগহীন দীর্ঘজীবী সম্প্রদায়ের খোঁজে
বাইকটির কিছু অসুবিধা
দ্রুততায় গতির নিরবচ্ছিন্নতার ঘাটতি
সুপারবাইকটি প্রতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার অতিক্রম করার সময় নির্দিষ্ট গতি বজায় রাখার ক্ষেত্রে অস্থিরতা অনুভূত হয়। এটি দ্রুততার ক্ষেত্রে রাইডারের আত্মবিশ্বাস এবং নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করতে পারে। বিশেষ করে যারা হাইওয়েতে বাহনটির ক্ষীপ্রতা পরখ করতে চান, এই সীমাবদ্ধতা তাদের জন্য আশঙ্কার কারণ হতে পারে।
পুরনো মডেলের সঙ্গে সাদৃশ্য
২৫০ সিসি ইঞ্জিনের পূর্বসূরি এন-১৬০ এর মতো একই টায়ার রাখার সিদ্ধান্ত ক্রেতাদের যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ হতে পারে। একটি ২৫০ সিসি বাইক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ শক্তি পরিচালনা করতে এবং সর্বোত্তম গ্রিপ প্রদানের জন্য স্বাভাবিক ভাবেই একটি শক্তিশালী টায়ার কনফিগারেশনের দাবি রাখে। পূর্বসূরির মতো একই টায়ার ব্যবহার করাটা বাইকের চূড়ান্ত কর্মক্ষমতার সঙ্গে রীতিমত আপস করার শামিল।
ইঞ্জিনের সীমাবদ্ধতা
বহু প্রত্যাশিত এই যানটির ইঞ্জিনে মাত্র ২টি ভালভ দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে, যা সত্যিই এক অনাকাঙ্ক্ষিত ত্রুটি হিসেবে দেখা যেতে পারে। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে একটি ৪-ভালভ ইঞ্জিন কনফিগারেশনকে প্রায়শই পাওয়ার ডেলিভারি সর্বাধিক করার জন্য আদর্শ হিসেবে ধরা হয়। ২টি ভালভের সীমাবদ্ধতা বাইকটির সঙ্গের অন্যান্য মোটরসাইকেলের সঙ্গে এর প্রতিযোগিতা করার ক্ষমতাকে আশঙ্কাজনকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
আরও পড়ুন: বিআরটিএ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স যেভাবে করবেন
৫-স্পিড গিয়ারবক্সের পুনরাবৃত্তি
৬-স্পিড কনফিগারেশনে আপগ্রেড করার পরিবর্তে ঐতিহ্যবাহী ৫-স্পিড গিয়ারবক্সের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্তটি নিঃসন্দেহে একটি বড় সুযোগ হাত ছাড়া করা। ৬-স্পিড গিয়ারবক্স ক্রমবর্ধমানভাবে এই ধরনের মোটরসাইকেলের জন্য অটোমোবাইল শিল্পে আদর্শ মান হয়ে উঠছে। এই অতিরিক্ত একটি মাত্র গিয়ারের অনুপস্থিতি বাইকের বহুমুখিতাকে সীমিত করতে পারে, বিশেষ করে দীর্ঘ ভ্রমণের সময়।
ব্লুটুথ সংযোগের অনুপস্থিতি
তথ্য-প্রযুক্তির যুগে যেখানে ডাটা স্থানান্তর বিক্রয় বাড়ানোর সেরা নির্ণায়ক, সেখানে ব্লুটুথ সংযোগের অনুপস্থিতি এই নতুন পালসারের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য ত্রুটি। আধুনিক যানবাহন মানেই এখন রাইডারদের ন্যাভিগেশন, যোগাযোগ এবং বিনোদনের জন্য তাদের ডিভাইসগুলোকে নির্বিঘ্নে সংযুক্তকরণ। এই বৈশিষ্ট্যের অভাব সামগ্রিক রাইডিং অভিজ্ঞতা বাড়ানোর নিদারুণ সুযোগকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
বাইকটির মূল্য
লাল, নীল এবং কালো; এই তিনটি রঙের সঙ্গে নতুন চালুকৃত পালসারটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯৯৯ টাকা। সেমি-ডিজিটাল মিটারে পুরনো ধাচের নির্দেশক কাটা এবং ২-ভালভ ইঞ্জিন ইতিমধ্যেই এন-২৫০-এর থেকে কম সিসি সম্পন্ন দেশের অন্যান্য বাইকগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমান বাজারে এখনো সরাসরি কোনো প্রতিযোগী না থাকলেও এই বিষয়গুলো দামের ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে।
এছাড়া কোনো কারণে ত্রুটি দেখা দিলে তার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যথেষ্ট টুল পাওয়া যাবে কি না তাতেও রয়েছে পর্যাপ্ত সন্দেহের অবকাশ। এরপরেও সুষ্পষ্ট ভাবে মূল্যটির তুলনা করার জন্য এর সমজাতীয় বাইকগুলোর বাজারে নামা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
পরিশেষে
দীর্ঘ যাত্রার প্রমোদ অভিযানে রোমাঞ্চপ্রিয়রা নির্দ্বিধায় বাজি ধরতে পারেন এন-২৫০-এর ওপর। তবে প্রকৃত পালসার প্রেমীরা খুব সহজেই ধরে ফেলতে পারবেন এন-১৬০-এর সঙ্গে সাদৃশ্যটা। এই নিরিখে দুয়েকটি পরিবর্তনের জন্য এমন বিনিয়োগের ব্যাপারে তাদের দ্বিতীয়বার চিন্তা করা উচিৎ।
এছাড়া দ্রুততার সময় এর গতির নিরবচ্ছিন্নতার ঘাটতিটা একটি গুরুত্বপূর্ণ ত্রুটি। তাই তরুণদের মধ্যে যাদের মোটরযানের সর্বশেষ গতির অভিজ্ঞতা নিতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য এই বাইক বেছে নেওয়া বিপজ্জনক হতে পারে।
আরও পড়ুন: পুরুষদের ফরমাল পোশাক ও স্যুট বানানোর জনপ্রিয় কিছু দেশি ব্র্যান্ড
১১ মাস আগে
‘মাইলেজ’ জটিলতায় চট্টগ্রাম থেকে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ
রেলওয়ে রানিং স্টাফ কর্মচারী ইউনিয়নের আন্দোলনের কারণে এবার চট্টগ্রাম থেকে সারাদেশে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
মাইলেজ জটিলতা নিরসনের দাবিতে ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করছেন না রেলওয়ে রানিং স্টাফরা। এর ফলে বিপাকে পড়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে যমুনা এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন বিকল, ঢাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের ট্রেন চলাচল বন্ধ
আন্দোলনের ফলে এর আগে চট্টগ্রামের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ৮টি ডেমু ট্রেনের যাত্রা বাতিল করে রেল কর্তৃপক্ষ।
২৫ জুলাই মঙ্গলবার থেকে বন্ধ হয় পণ্য পরিবহণকারী ট্রেনের চলাচল। এর আগে রবিবার (২৩ জুলাই) হতে চট্টগ্রাম থেকে রেলওয়ে রানিং স্টাফ কর্মচারী ইউনিয়ন এই কর্মবিরতি শুরু করেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, চালকের সংকটের কারণে অনেক দিন ধরে ট্রেনে করে পণ্য পরিবহন পরিচালনা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এর মধ্যে চালকদের বাড়তি কাজ না করার সিদ্ধান্তে নতুন করে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। এ আন্দোলন বেশিদিন স্থায়ী থাকলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
রেলওয়ের রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির সভাপতি রফিক চৌধুরী বলেন, মাইলেজ ভাতা ১৮৬২ সাল থেকে দেওয়া হচ্ছে। মাইলেজ ভাতা না দিলে লোকোমাস্টাররা (চালক) কেন বাড়তি কাজ করবেন?
তিনি আরও বলেন যে তারা এখন থেকে ৮ ঘণ্টা ডিউটি করবেন।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী একজন রানিং স্টাফ (চালক, সহকারী চালক, গার্ড, টিকেট চেকার) ট্রেনে দায়িত্ব পালনশেষে তার নিয়োগপ্রাপ্ত এলাকায় (হেডকোয়ার্টার) হলে ১২ ঘণ্টা এবং এলাকার বাইরে (আউটার স্টেশন) হলে ৮ ঘণ্টা বিশ্রামের সুযোগ পান।
তবে রেলওয়ের স্বার্থে কোনো রানিং স্টাফকে তার বিশ্রামের সময়ও কাজে যুক্ত করলে বাড়তি ভাতা-সুবিধা দেওয়া হয়। যা রেলওয়েতে মাইলেজ সুবিধা হিসেবে পরিচিত।
শ্রমিক-কর্মচারী সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, রেলওয়েতে রানিং স্টাফের পদ ২ হাজার ২০০ জন। কাজ করেন মাত্র ৯০০ জন। রানিং স্টাফরা অতিরিক্ত কাজ করেই ট্রেন চলাচল সচল রেখেছেন। কিন্তু অতিরিক্ত কাজের মজুরি না পেলে একজন শ্রমিক কেনো কাজ করবেন? তাই রবিবার থেকে রানিং স্টাফরা নির্ধারিত কর্মঘণ্টার বাইরে অতিরিক্ত কাজ না করার সিদ্ধান্ত নেয়।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জাফর আলম বলেন, লোকাল রুটে কয়েকটি ট্রেনের যাত্রা বাতিল হলেও আন্তঃনগরসহ গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলোর যাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অত্যাধিক গরমে ফের লাইন বেঁকে ট্রেন চলাচল বন্ধ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মালবাহী ট্রেনের ৭ বগি লাইনচ্যুত, আপ লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ
১ বছর আগে