ডায়াগনস্টিক সেন্টার
সিরাজগঞ্জে ৩ হাসপাতাল মালিককে ২ লাখ টাকা জরিমানা
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের যৌথ অভিযানে তিনটি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিককে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া সুলতানা কেয়ার ভ্রাম্যমাণ আদালত এই জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জান গেছে, রবিবার (২৭ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বেলকুচি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনী, এনএসআই, সিভিল সার্জন অফিস ও উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে অভিযান চালায়।
এ অভিযান চলাকালে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখা, সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ না করা, স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফি বেশি রাখা ও কাগজপত্র সঠিক না থাকার অপরাধে বেলকুচি পৌর এলাকার চালা মহল্লার ঢাকা জেনারেল হাসপাতালকে এক লাখ টাকা, মুকুন্দগাঁতী বাজারের পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালকে ৫০ হাজার টাকা ও বেলকুচি প্রাইভেট হাসপাতালকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় এনএসআই’র যুগ্ম পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সেনাবাহিনীর ভারপ্রাপ্ত ক্যাম্প কমান্ডার, উপপরিচালক নাসির উদ্দিন, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১ মাস আগে
ঠাকুরগাঁওয়ের ১০২টি ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নবায়ন হয়নি
ঠাকুরগাঁও জেলায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা ১০২ টি। কিন্তু এর মধ্যে একটিরও লাইসেন্স নবায়ন করা হয়নি।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, ১০২টির মধ্যে লাইসেন্স নবায়নের জন্য কাগজপত্র জমা দিয়েছে মাত্র ১৩টি ক্লিনিক ও হাসপাতাল। এমনকি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৬টি ক্লিনিক ও হাসপাতাল লাইসেন্স নবায়নের জন্য কাগজপত্র জমা দিলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অজ্ঞাত কারণে তা আটকে রেখেছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁও চিনিকলের এমডিসহ ২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
আরও জানা যায়, আগের বছরগুলোতেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কারও লাইসেন্স নবায়ন করেনি। তবে বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সভাপতি জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, ‘এখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কিছু কিছু করে লাইসেন্স দিচ্ছে।’
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ঠাকুরগাঁও শহরে ও বিভিন্ন গ্রামেগঞ্জে ব্যাঙের ছাতার মতো অসংখ্য ক্লিনিক ও হাসপাতাল গঁজিয়েছে। মান বজায় রাখার বালাই নেই বেশিরভাগ ক্লিনিকের।
ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন অফিসের সংশ্লিষ্ট মেডিকেল অফিসার ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, লাইসেন্স ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলায় ৮/১০টির মতো অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এগুলো শিগগিরই বন্ধ করা হবে। এই সপ্তাহে হরিপুরের পশ্চিম বনগাঁ ও যাদুরাণী হাটের ২টি ক্লিনিক সিলগালা করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া, শহরের সুরক্ষা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক্স-রে কক্ষে গোডাউন, রাফী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট ব্যবহার ও গ্রিণ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ল্যাবের পাশে ল্যাট্রিন থাকায় জরিমানা করা হয়েছে। গত ৪ ফেব্রুয়ারি পীরগঞ্জের ৫টি ক্লিনিক অনিয়মের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অন্য উপজেলাতেও অভিযান শুরু করা হবে।
আরও পড়ুন: নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে ঠাকুরগাঁও চিনিকলে
তিনি আরও বলেন, ‘গোটা জেলায় অভিযান পরিচালনার জন্য লোকবল নেই। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগেরও দায়িত্ব পালন করা দরকার। তাছাড়া অভিযান পরিচালনার জন্য প্রশাসন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিভাগের সমন্বিত সহযোগিতাও প্রয়োজন।’
এদিকে শতাধিক ক্লিনিক ও হাসপাতালের বর্জ্য বিশেষ করে রোগীদের রোগ জীবাণুযুক্ত তুলা, গজ- ব্যান্ডেজ অপারেশনকৃত দূষিত পদার্থ, ব্যবহৃত সিরিঞ্জ ও কেমিকেল ইত্যাদি ধ্বংস করার কোনো ব্যবস্থা নেই। এগুলো যত্রতত্র ফেলে দিয়ে দায়িত্ব শেষ করা হচ্ছে।
নিয়ম অনুযায়ী এই ধরনের বর্জ্য পুড়িয়ে ফেলার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা (ইনসিনেরেটর) থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু বাস্তবে শুধু ঠাকুরগাঁও ডায়াবেটিক ও স্বাস্থ্যসেবা হাসপাতাল ছাড়া আর কোথাও ইনসিনেরেটর নেই। এমনকি ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ইনসিনেরেটরটি নষ্ট হয়ে রয়েছে বহু বছর থেকে।
তবে জুলফিকার আলী ভুট্টো জানান, বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন মেডিক্যাল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চূড়ান্ত করা হয়েছে। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে এখানকার বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু হবে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল দুই দশক ধরে বন্ধ
৯ মাস আগে
বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স প্রাপ্তির জটিলতা দূর করার তাগিদ
স্বাস্থ্যসেবা খাতকে আরও উন্নত ও সমৃদ্ধ করতে বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স প্রাপ্তি ও নবায়ন প্রক্রিয়া সহজীকরণ, দীর্ঘসূত্রতা হ্রাস এবং লাইসেন্সের মেয়াদ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন এই উদ্যোক্তারা।
শনিবার বিকালে রাজধানীর মতিঝিলে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) কার্যালয়ে বেসরকারি ক্লিনিক, হসপিটাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও মেডিকেল ইক্যুইপমেন্টস বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির এক সভায় এই দাবি জানান খাতটির সঙ্গে জড়িত উদ্যোক্তারা।
আরও পড়ুন: আফ্রিকায় বাণিজ্যের বিরাট সম্ভাবনা দেখছে এফবিসিসিআই
এছাড়া স্থানীয় বাজারে চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য দেশের রপ্তানি বাজার ধরতে দেশেই মেডিকেল যন্ত্রপাতির কারখানা স্থাপন এবং দক্ষ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব দেন ব্যবসায়ী নেতারা।
এসময় এফবিসিসিআইর সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, নানা সীমাবদ্ধতার মাঝেও বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলো পেশাদারিত্বের সঙ্গে মানুষকে সেবা দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যসেবার আরও মান উন্নয়ন এবং শৃঙ্খলা নিশ্চিতে এই খাতের সুনির্দিষ্ট সমস্যাগুলো তুলে আনা দরকার।
এই খাতের ব্যবসায়ী নেতাদের মতামত বিশ্লেষণ করে এফবিসিসিআই সুনির্দিষ্ট ইস্যুগুলো নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবে বলে তিনি জানান।
এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, প্রয়োজনের তাগিদেই বড় শহর থেকে শুরু করে জেলা, উপজেলা পর্যায়েও বেসরকারি উদ্যোগে ক্লিনিক, হাসপাতাল এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে। এগুলো অনেকটা অনানুষ্ঠানিকভাবেই গড়ে উঠেছে। তাদের ধাপে ধাপে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবি এফবিসিসিআইয়ের
এসব প্রতিষ্ঠানগুলোকে বন্ধ না করে, তাদের ত্রুটি সংশোধন ও মান উন্নয়নে সময় নির্ধারণ করে দেওয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এছাড়া বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের শৃঙ্খলা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সমিতিকে আরও সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দেন এফবিসিসিআই সহসভাপতি শমী কায়সার।
পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবাবিষয়ক তথ্যভাণ্ডার (ডেটাবেজ) গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব দেন তিনি।
দেশের জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সমূহের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ এবং এফবিসিসিআইর পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন-অর-রশীদ বলেন, প্রতি বছর চিকিৎসা বাবদ প্রচুর অর্থ দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এখন সময় হয়েছে দেশের অভ্যন্তরে বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার।
ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবে, কিন্তু রোগীর সেবায় ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি।
স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মো. মোকাদ্দেছ আলী মজুমদার শাহীন জানান, বেসরকারি উদ্যোগে একটি ক্লিনিক কিংবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনার জন্য ১৪ থেকে ১৫টি লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হয় সরকারের বিভিন্ন সংস্থা থেকে।
লাইসেন্স প্রাপ্তি প্রক্রিয়াকে ওয়ান স্টপ সার্ভিসের আওতায় আনার আহ্বান জানান তিনি। সেইসঙ্গে লাইসেন্সের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ ও নতুন বাজার ধরতে কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের ভূমিকা রাখতে হবে: এফবিসিসিআই
৯ মাস আগে
খুলনায় ২৭০ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে লাইসেন্স আছে ৯৮টির
খুলনা মহানগরীতে লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে ১০টি। এছাড়া অনলাইনে শুধু আবেদনের ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এমন সংখ্যা ১৪।
লাইসেন্স পেলেও বছরের পর বছর নবায়ন না করেই ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চলছে এমন সংখ্যাও কম নয়। স্বাস্থ্য বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশ এবং সঠিক তদারকি না থাকায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির ব্যাপারে ছাড় না দেওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এসব অননুমোদিত ও লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল বন্ধ করে দিতে হবে।’
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, খুলনা শহরে ২৭০টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে। এর মধ্যে ২০২৪ সাল পর্যন্ত লাইসেন্স নবায়ন রয়েছে ৯৮ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের। এছাড়া নবায়ন হয়নি এমন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা ১৫৭। এর মধ্যে ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে ১০২টি ও ক্লিনিক ৫৫টি। এগুলোর মধ্যে ৪ বছর ধরে নবায়ন হয়নি এমন প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
আরও পড়ুন: যশোরের অভয়নগরে ৩টি ক্লিনিককে ১.৫৫ লাখ টাকা জরিমানা
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্র মতে, নগরীতে কোনো আবেদন ছাড়াই এমন লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে ১০টি। এর মধ্যে রয়েছে খুলনা শিশু হাসপাতাল (ক্লিনিক), খুলনা শিশু হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার (ডায়াগনস্টিক), খুলনা ডায়াবেটিক হাসপাতাল, ডায়াবেটিক সমিতি খুলনা (ডায়াগনস্টিক), সূর্যের হাসি নেটওয়ার্ক-১ (ডায়াগনস্টিক), সূর্যের হাসি নেটওয়ার্ক-২ (ডায়াগনস্টিক), জাপান মেডিকেল সেন্টার (খুলনা শাখা-১) এবং নিউ পথ মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র।
এছাড়া নগরীতে শুধু অনলাইনে আবেদন করেই বছরের পর বছর ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা করছে কিন্তু লাইসেন্স নেই এমন অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা ১৪। এর মধ্যে রয়েছে- বয়রা সেন্ট্রাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বয়ো ল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, নূরজাহান ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, কালিয়া ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কালিয়া ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, পাল্প ডেন্টাল সেন্টার, স্বাস্থ্য সেবা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগণস্টিক সেন্টার, স্বাস্থ্য সেবা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগণস্টিক সেন্টার, মাই মেডিকেল ল্যাব ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, জেনারেল ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড রির্সোস সেন্টার, বেস্ট কেয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার-১, বেস্ট কেয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার-২, রহিমা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার এবং শাবাব ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার।
আরও পড়ুন: খুলনায় নিবন্ধনহীন ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তালিকা করছে সিভিল সার্জন অফিস
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৯৮২ সালের মেডিক্যাল অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া কোনো হাসপাতাল, ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালানোর সুযোগ নেই। এসব বৈধ-অবৈধ অনেক হাসপাতালে প্রায়ই ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হয়ে থাকে।
ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সঙ্গে জড়িত এমন একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ক্লিনিকের জন্য লাইসেন্স প্রতি বছর নবায়ন করতে খরচ হয় ৫০ হাজার টাকা এবং ভ্যাট দিতে হয় ৭ হাজার ৫০০ টাকা। সব মিলে নবায়নে খরচ পড়ে ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা।
এছাড়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নবায়ন করতে খরচ পড়ে ২৫ হাজার টাকা। যার ভ্যাট হয় ৩ হাজার ৭৫০ টাকা। এর বাইরে ট্রেড লাইসেন্স, পরিবেশগত ছাড়পত্র, নারকোটিক পারমিট, কর সার্টিফিকেট, ভ্যাট সার্টিফিকেট এবং ফায়ার সার্ভিসের ক্ষেত্রে নবায়নে আলাদা টাকা খরচ করতে হয়। সেই হিসাবে ওই দুইটি নবায়নের জন্য খরচ ধরলে এক বছরে ১৫৭ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মোট সরকার রাজস্ব আয় হবে ৫৭ লাখ ২৩ হাজার ২০০ টাকা।
খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. মনজুরুল মুরশিদ বলেন, ‘লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছি। অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
খুলনা সিভিল সার্জন ডা. মো. সবিজুর রহমান বলেন, ‘খুলনা জেলায় ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অনিয়ম পাওয়ায় এ পর্যন্ত ৫-৬টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার ১৪টি
লাইসেন্সবিহীন ও অবৈধ ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারেরর বিরুদ্ধে অভিযানের পাশাপাশি যাদের লাইসেন্স আছে কিন্তু শর্ত অনুযায়ী পরিচালনা করছেন না তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, খুলনা জেলায় অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার কতগুলো আছে সে বিষয়ে খোঁজ নিতে একটি টিম মাঠে কাজ করছে।
খুলনা জেলা প্রশাসকের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘খুলনায় চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম, অনুমোদনহীন ল্যাব পরিচালনা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অপারেশন পরিচালনার নগরীতে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও লাইসেন্সের কাগজপত্রে ত্রুটি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানা যায়, একটি হাসপাতাল পরিচালনার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বৈধ সনদ, নিয়মিত নবায়ন, নারকোটিক পারমিট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), পরিবেশগত ছাড়পত্র, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (ক্ষতিকর ও অক্ষতিকর) সংক্রান্ত ছাড়পত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সত্যায়িত কপি সংরক্ষণ করতে হয়।
বিশেষ সেবার ক্ষেত্রে প্রতিটির শয্যা সংখ্যা, সেবা প্রদানকারী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের নাম-ঠিকানা, ছবি, বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন, বিশেষজ্ঞ সনদ, নিয়োগ ও যোগদান বা সম্মতিপত্রের প্রয়োজন হবে।
এছাড়া, চিকিৎসা সাহায্যকারীদের তালিকা, যন্ত্রপাতির তালিকা, বর্তমানে যেসব অস্ত্রোপচার ও এ সম্পর্কিত যন্ত্রপাতির তালিকা হাসপাতাল প্রধানের সইসহ সংরক্ষণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
১০ মাস আগে
অবৈধ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ফের অভিযানে নামছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
অবৈধ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে ফের অভিযানে নামছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আগামীকাল সোমবার থেকে সারাদেশে একযোগে এ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এ বিষয়ে জেলা পর্যায়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: অবৈধ ক্লিনিক বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফের অভিযান
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জরুরি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর।
তিনি বলেন, আমরা গত বছর যেসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নেই, মেয়াদোত্তীর্ণ ও অনিয়ম করছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছি। ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে ফের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের তথ্য পাচ্ছি।
তিনি বলেন, যারা এসব অনিয়মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আমরা আবারও ব্যবস্থা নেব। আগামীকাল থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ফের অভিযানে নামবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। একযোগে সারাদেশে এ অভিযান পরিচালিত হবে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে উচ্ছেদ অভিযানে হামলায় ইউএনও-ওসিসহ আহত ১০, আটক ৩
১০৬৬ রোহিঙ্গা ডেঙ্গু আক্রান্ত, ব্যবস্থাপনা কঠিন বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
১ বছর আগে
কুমিল্লায় এক সপ্তাহে ৪৮ হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধ
নানা অনিয়মের অভিযোগে কুমিল্লায় গত এক সপ্তাহে ৪৮টি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে।
এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশেরই লাইসেন্স নেই বলে জানিয়েছেন কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অনিবন্ধিত ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
তিনি জানান, বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সংশোধনের সময় দেয়া হলেও তারা সময় মত তাদের অনিয়ম সংশোধন করতে পারেনি বলে এগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। এর মধ্যে আটটি হাসপাতাল এবং অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টার হিসেবে পরিচালিত হয়ে আসছিল।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় যে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে এর মধ্যে লাকসামে ৯টি, চান্দিনাতে চারটি, নাঙ্গলকোটে তিনটি, বুড়িচংয়ে দুটি, হোমনাতে দুটি, মনোহরগঞ্জে দুটি, দাউদকান্দিতে আটটি, সদর একটি, বড়ুরাতে তিনটি, মেঘনাতে দুটি, দেবিদ্বারে দুটি, লালমাইতে দুটি ও চৌদ্দগ্রামে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে।
এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়েছে।
কুমিল্লা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন বলেছেন, এই ধরনের অভিযান চলমান থাকবে। আমরা লাইসেন্স নিয়ে যেমন কাজ করছি, তেমনি প্রতিটি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান ডাক্তার এবং নার্সসহ অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোতেও শর্ত মানা হচ্ছে কিনা সে বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করা হবে।
আরও পড়ুন: অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি আরও জানান, স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন স্বাস্থ্য সেবার মান নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা হবে, আমরা সে অনুযায়ী কার্যক্রম চালু রাখবো।
বিভিন্ন সময়ে পরিচালিত অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, বেশির ভাগ বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে গিয়ে দেখা গেছে তাদের লাইসেন্স স্বয়ংসম্পূর্ণ না। কেউ কেউ লাইসেন্সের আবেদনই করেন নি। কেউ আবার অনলাইনে আবেদন করেই তাদের কাজ শেষ বলে মনে করছেন।
অবহেলা করে জানতেও চাইছেন না কেন তাদের অনুমোদন দিচ্ছে না স্বাস্থ্য বিভাগ।
অপর দিকে বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকগুলো পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্সের শর্ত মানছেন না। সেবা দিচ্ছেন অপর্যাপ্ত এবং অদক্ষ জনবল দিয়ে। কর্মকর্তারা বলছেন, বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে অপরিচ্ছন্নতা ও রোগীর প্রতি অবহেলার চিত্র প্রমাণিত হয়েছে।
এছাড়া, ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলোতে গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত বিল আদায় এবং অদক্ষদের দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর প্রমাণও মিলেছে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত দাবি টিআইবির
২ বছর আগে
খুলনার ৭০ শতাংশ হাসপাতাল-ক্লিনিক নিবন্ধনহীন
চিকিৎসা দেয়ার নামে প্রতারণা, জালিয়াতি, রোগী হয়রানি, অতিরিক্ত বিল, ভুয়া সার্টিফিকেট প্রদানসহ বিভিন্নভাবে ফেঁসে যাচ্ছে দেশের অনেক হাসপাতাল। প্রায় একই অবস্থা খুলনার বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকেও।
৪ বছর আগে
খুলনায় নিবন্ধন নেই অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিকের
খুলনায় অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতাল, প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারেরই নিবন্ধন নেই। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে অনলাইনে নামমাত্র নিবন্ধনের আবেদন করে ব্যবসা পরিচালনা করছে এসব প্রতিষ্ঠান।
৪ বছর আগে
করোনায় আক্রান্ত হয়েও চিকিৎসা প্রদান, ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষণা
করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরও ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখে করোনা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে।
৪ বছর আগে
ফরিদপুরে হাসপাতাল থেকে কর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরে প্রভাতী ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড হাসপাতালের একটি কক্ষ থেকে সোমবার সকালে হাসপাতালের এক কর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
৫ বছর আগে