এসএসসি রেজাল্ট
যেভাবে জানবেন এসএসসি পরীক্ষার ফল
২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে আজ বৃহস্পতিবার। অতীতের মতো ফল প্রকাশ উপলক্ষে এ বছর থাকছে না বিশেষ কোনো আনুষ্ঠানিকতা। অনাড়ম্বরভাবেই এবারের এসএসসির ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টায় এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ওই সময় থেকেই অনলাইন ও এসএমএসের মাধ্যমে বাংলাদেশের সব শিক্ষা বোর্ডের শিক্ষার্থীরা ফল জানতে পারবেন।
সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীনে ফল জানা যাবে এসএমএসের মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে পরীক্ষার্থীদের লিখতে হবে— SSC (স্পেস) বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর (স্পেস) রোল নম্বর (স্পেস) বছর। এরপর এসএমএসটি পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।
যেমন: ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে রোল নম্বর ১২৩৪৫৬ হলে এসএমএসটি হবে— SSC Dha 12345 2025।
মাদরাসা বোর্ডের শিক্ষার্থীদের ফলাফল জানাতে হলে প্রি-রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। প্রি-রেজিস্ট্রেশনের নিয়ম হচ্ছে— Dakhil লিখে স্পেস দিয়ে MAD লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর ও সাল লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
উদাহরণ: Dakhil MAD 123456 2025। ফলাফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই প্রি-রেজিস্ট্রেশন করা নম্বরে ফলাফল পৌঁছে যাবে।
এ ছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল জানতে হলে টাইপ করতে হবে— SSC TEC রোল নম্বর 2025 এবং পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।
অন্যদিকে, শিক্ষার্থীরা অনলাইনে www.educationboardresults.gov.bd এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ফল দেখতে পারবেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের EIIN নম্বর ব্যবহার করে সম্পূর্ণ রেজাল্টশিট ডাউনলোড করতে পারবে। প্রতিষ্ঠানের সম্পূর্ণ রেজাল্টশিট ডাউনলোড করতে www.dhakaeducationboard.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ১০ এপ্রিল থেকে ১৩ মে পর্যন্ত। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা হয়েছে ১৫ মে থেকে ২২ মে পর্যন্ত।
এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় নিয়মিত-অনিয়মিত মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৭০ জন। ২০২৪ সালের তুলনায় এবার প্রায় এক লাখ পরীক্ষার্থী কম ছিল।
১৪৮ দিন আগে
জিপিএ-৫ এ প্রথম স্থানে চট্টগ্রামে কলেজিয়েট স্কুল
এসএসসিতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ এর দিক থেকে এ বছর সেরা দশের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল।
১ হাজার ১০৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই প্রতিষ্ঠান সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করল। তবে প্রতিষ্ঠানটির এবারও জায়গা হয়নি শতভাগ পাসের তালিকায়।
কলেজিয়েট স্কুল থেকে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৪৭২ জন। যাদের মধ্যে একজন অকৃতকার্য হওয়ায় শতভাগ পাসের তালিকা থেকে সরে যায় প্রতিষ্ঠানটি। এ প্রতিষ্ঠান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪১০ জন। পাসের হার ৯৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
কলেজিয়েট স্কুলের পরেই জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটি থেকে ৪৭৩ জন এবারের পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ৪৬৮ জন। ৯৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ পাসের হার নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৭৪ জন।
এরপরেই ৪৬০ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৩৩১ জিপিএ-৫ পাওয়ায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুসলিম হাই স্কুল। তবে, এবার এই স্কুল শতভাগ পাসের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। জিপিএ-৫ এর দিক দিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে নাসিরাবাদ বালক উচ্চ বিদ্যালয়। এ স্কুল থেকে ৫১৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়ছে ২৬০ জন।
আরও পড়ুন:জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে মেয়েরা
নৌ-বাহিনী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৪৭৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ অর্জন করেছে ২৫৭ জন। এই প্রতিষ্ঠান জিপি-৫ প্রাপ্তির তালিকায় রয়েছে পঞ্চম স্থানে। সেরা তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটি থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪৩ জন।
চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ৩৩৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৩২ জন জিপিএ-৫ পাওয়ায় সেরাদের তালিকায় রয়েছে সপ্তম স্থানে। বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২৫ জন। সেরাদের তালিকায় তারা রয়েছে অষ্টম স্থানে।
এ ছাড়া, চট্টগ্রাম গভর্নমেন্ট হাই স্কুলের ২২৩ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পাওয়ায় সেরাদের তালিকায় তারা রয়েছে নবম স্থানে। দশম স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম জেলার বাইরের কক্সবাজার গভর্নমেন্ট হাই স্কুল। এ প্রতিষ্ঠান থেকে জিপিএ-৫ অর্জন করেছে ১৮৯ জন শিক্ষার্থী।
এর আগে, শুক্রবার (২৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড মিলনায়তনে ফলাফল ঘোষণা করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এবার ২১৬টি কেন্দ্রে ১ হাজার ১০৭টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮১৯ জন পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেয়। যা গতবারের চেয়ে ৪ হাজার ৭০৭ জন বেশি।
এর মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ২০ হাজার ৮৬ জন শিক্ষার্থী। সব মিলিয়ে গত বছরের তুলনায় পাসের হার এবং জিপিএ ৫ দুটোই কম। গত বছর পাসের হার ৮৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ থাকলেও এ বছর তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭৮ দশমিক ২৯ শতাংশে। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৪৫০ জন শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: পাসের হারের দিক দিয়ে এগিয়ে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড
৮৬০ দিন আগে