বাংলাদেশি পাসপোর্ট
২০২৪ সালে ভিসা ছাড়াই যেসব দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা
ভিসা ইন্টারভিউয়ের তারিখ পাওয়া থেকে শুরু করে সঠিক কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে দূতাবাসে ইন্টারভিউ পর্যন্ত যাওয়া রীতিমত খাঁড়া পাহাড় বেড়ে চূড়ায় উঠার মতো। ভিসা পাওয়ার এই ধকল সামলাতে যেয়ে মাঝপথে অনেকেই দেশের বাইরে ভ্রমণের ইচ্ছেটাই হারিয়ে ফেলেন। অন্যদিকে, এই সব ঝামেলা এক নিমেষেই উধাও হয়ে যায়, যখন সেই ভিসা করার কোনও বাধ্যবাধকতা থাকে না।
আজকের নিবন্ধে জানা যাবে সেই সব দেশগুলোর ব্যাপারে যেগুলোতে প্রবেশের জন্য আগে থেকে কোনও রূপ ভিসা বিড়ম্বনা নিতে হবে না বাংলাদেশি নাগরিকদের। প্রতি বছরের মতো এবারও বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন দেশের পাসপোর্টের র্যাঙ্কিং করেছে হেনলি পাসপোর্ট সূচক।
চলুন জেনে নিই, বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী নাগরিকরা কোন কোন দেশগুলো ভিসা ছাড়া, এবং অন-অ্যারাইভাল ভিসায় যেতে পারবেন।
২০২৪ সালে বাংলাদেশিরা ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন যেসব দেশে
বিভিন্ন দেশের অভিবাসন ব্যবস্থার সবচেয়ে আকর্ষণীয় কার্যনীতি হচ্ছে ভিসা-মুক্ত প্রবেশ। যেখানে বিদেশে প্রবেশের জন্য নির্দিষ্ট দেশের নাগরিকের আগে থেকে কোনও রকম ভিসা-প্রাপ্তির প্রয়োজন পড়ে না। এই নিয়মে ভ্রমণরতদের ভিসা ফি দিয়ে কোনও রূপ আনুষ্ঠানিক ভিসা প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হয় না।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ ১০ দর্শনীয় স্থান: শীতের ছুটিতে সাধ্যের মধ্যে ভ্রমণ
ঘুরে বেড়ানো বা ব্যবসা; যে কোনও উদ্দেশ্যেই এই সুবিধা নেওয়া যায়। তবে এইভাবে গন্তব্যের দেশটিতে অবস্থান করার একটি নির্দিষ্ট সময় সীমা থাকে, যা বিভিন্ন দেশের জন্য বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।
হেনলি পাসপোর্ট সূচক অনুসারে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ২২টি দেশে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন। এই দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের নিজ দেশের ভেতরে থেকে ভিসা প্রাপ্তির জন্য অগ্রীম আবেদন করতে হবে না। এমনকি বিমানবন্দর পেরিয়ে সেই দেশগুলোতে প্রবেশের সময়েও প্রয়োজন হবে না কোনও ধরনের আনুষ্ঠানিক অনুমতির।
আরও পড়ুন: আপনি কি মার্কিন ডলার না কিনে বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন?
চলুন, ভিসা ছাড়া গন্তব্যের দেশগুলো এক নজরে দেখে নেয়া যাক।
১. বাহামাস
২. বার্বাডোস
৩. ভুটান
৪. ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ
৫. কুক দ্বীপপুঞ্জ
৬. ডমিনিকা
৭. ফিজি
৮. গ্রেনাডা
৯. হাইতি
১০. জ্যামাইকা
১১. কিরিবাতি
১২. লেসোথো
১৩. মাদাগাস্কার
১৪. মাইক্রোনেশিয়া
১৫. মন্টসেরাট
১৬. নিউয়ে
১৭. রুয়ান্ডা
১৮. সেন্ট কিটস ও নেভিস
১৯. সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনস
২০. গাম্বিয়া
২১. ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
২২. ভানুয়াতু
আরও পড়ুন: ঢাকার পূর্বাচল ৩০০ ফিট সড়ক: কীভাবে যাবেন, কী দেখবেন
এখানে মাদাগাস্কার, রুয়ান্ডা, এবং ভানুয়াতু গত বছর পর্যন্ত বাংলাদেশিদের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসা চালু রেখেছিল। আর ওশেনিয়া মহাদেশের দ্বীপদেশ কিরিবাতি এ বছরে এই তালিকায় নতুন সংযোজন।
এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সময়- ৬ মাসের মেয়াদে ফ্রি ভিসায় থাকা যাবে বার্বাডোস, ডোমিনিকা, জ্যামাইকা, এবং মন্টসেরাট-এ। ফিজিতে ভ্রমণ করার জন্য বরাদ্দ রয়েছে সর্বোচ্চ ৪ মাস। ৯০ দিনের মেয়াদে অবস্থান করা যাবে কিরিবাতি, সেন্ট কিটস ও নেভিস এবং লেসোথো’তে, যেখানে বাহামা, গ্রেনাডা, এবং হাইতি’র ক্ষেত্রে বলা আছে ৩ মাসের কথা।
কুক আইল্যান্ড্স-এ ফ্রি ভিসার মেয়াদ ৩১ দিন, গাম্বিয়া, মাইক্রোনেশিয়া, রুয়ান্ডা, ভানুয়াতু, ও ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড্সে ৩০ দিন, এবং সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন্স-এ ১ মাস। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে থাকার সুযোগ আছে ৩০ থেকে ৯০ দিন। আর মাদাগাস্কার-এ অবস্থানের সময়সীমা সবচেয়ে কম; মাত্র ১৫ দিন।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে দেশের বাইরে কোথায় ঘুরতে যাবেন?
২০২৪ সালে বাংলাদেশিরা অন-অ্যারাইভাল ভিসায় যেতে পারবেন যেসব দেশে
এই অভিবাসন নীতিতে ভ্রমণকারীকে গন্তব্যের দেশে প্রবেশের ঠিক আগ মুহূর্তে ভিসা প্রদান করা হয়। এই ভিসা প্রদানের জায়গাটি হতে পারে সমুদ্র বন্দর, স্থল চেকপয়েন্ট অথবা বিমানবন্দর। এই প্রবেশাধিকার প্রাপ্তির জন্য তাদেরকে যাত্রা শুরুর আগে নিজেদের দেশে থাকা অবস্থায় কোনও আবেদন করতে হয় না।
কোনও কোনও দেশে প্রবেশের সময় এই অন-অ্যারাইভাল ভিসার জন্য ফি দিতে হয়। হেনলি পাসপোর্ট সূচক অনুসারে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ভিসা-অন-অ্যারাইভাল নিয়ে ১৮টি দেশে প্রবেশ করতে পারবে। আর এই জন্য ভিসাপ্রাপ্তির সময় তাদেরকে কোনও ভিসা ফি পরিশোধ করতে হবে না। তাছাড়া এই ভাবে ভিসা গ্রহণ প্রক্রিয়াতে কোনও ঝামেলা পোহাতে হয় না।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের তিনাপ সাইতার জলপ্রপাত ভ্রমণের উপায় ও খরচ
চলুন, এবার দেখে নেয়া যাক বিনামূল্যে অন-অ্যারাইভাল ভিসা সরবরাহকারী দেশগুলো।
১. বলিভিয়া
২. বুরুন্ডি
৩. কম্বোডিয়া
৪. কেপ ভার্দে দ্বীপপুঞ্জ
৫. কমোরো দ্বীপপুঞ্জ
৬. জিবুতি
৭. গিনি-বিসাউ
৮. মালদ্বীপ
৯. মৌরিতানিয়া
১০. মোজাম্বিক
১১. নেপাল
১২. সামোয়া
১৩. সেশেল্স
১৪. সিয়েরা লিওন
১৫. সোমালিয়া
১৬. তিমুর-লেস্তে
১৭. টোগো
১৮. টুভালু
আরও পড়ুন:
এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সময় তথা ৯০ দিন ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে- গিনি-বিসাউ, নেপাল, এবং বলিভিয়ায়। সামোয়া ও সেশেল্স-এ থাকা যাবে ৬০ দিন। কমোরো আইল্যান্ড্সে অবস্থানের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসার মেয়াদ ৪৫ দিন। জিবুতি ও মৌরিতানিয়ায় থাকা যাবে ৩১ দিন । মালদ্বীপ, কেপ ভার্দে, সোমালিয়া, মোজাম্বিক, সিয়েরা লিওন, তিমুর-লেস্তে, এবং কম্বোডিয়া বেড়ানোর জন্য পাওয়া যাবে ৩০ দিন, যেখানে বুরুন্ডি এবং টুভালু’র ক্ষেত্রে বলা হয়েছে ১ মাসের কথা।
আফ্রিকার দেশ ‘টোগো’তে অবস্থানের জন্য পাওয়া যাবে মাত্র ১৫ দিন।
আরও পড়ুন: দ্যা বেস ক্যাম্প বাংলাদেশ: গাজীপুরে রোমাঞ্চকর ক্যাম্পিং
২০২৪ সালে যেসব দেশে যেতে বাংলাদেশিদের ইটিএ প্রয়োজন হবে
ইটিএ-এর পূর্ণরূপ হচ্ছে ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন, যেটি মূলত ইলেকট্রনিকভাবে তথা অনলাইনে একজন ভ্রমণকারীর পাসপোর্টের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত থাকে। এক কথায় এটিও একটি ভিসা ফ্রি প্রবেশাধিকার। ডিজিটাল অনুমতিটি দেশের ভেতরে থেকে ঘরে বসেই অনলাইনে নিবন্ধন করার মাধ্যমে নিয়ে নেয়া যায়।
এমনকি এর জন্য আবেদনকারীকে সশরীরে নিজ দেশের অভিবাসন সেন্টারে উপস্থিত হওয়ার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। যেই দেশে ইটিএ কার্যকর আছে সেই দেশের অভিবাসন বিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেয়ে সহজেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়।
২০২৪-এ দুটি দেশে প্রবেশের জন্য বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ইটিএ প্রয়োজন হবে:
১. শ্রীলঙ্কা
২. কেনিয়া
আরও পড়ুন: ১০ হাজার টাকা বাজেটে দেশের বাইরে কোথায় ঘুরতে যাবেন?
পূর্বে শুধুমাত্র শ্রীলঙ্কা থাকলেও এ বছরই ইটিএ সেবা নিয়ে নতুন সংযোজন হলো কেনিয়া। এখন থেকে এই ডিজিটাল ছাড়পত্রের মাধ্যমে সমস্ত বিদেশি নাগরিক ৯০ দিনের জন্য কেনিয়াতে প্রবেশ করতে পারবে।
আর শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে এই অনুমতির সময়সীমা প্রাথমিকভাবে শ্রীলঙ্কায় প্রবেশের তারিখ থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত। এই সিঙ্গেল এন্ট্রির পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার ডাবল এন্ট্রির জন্যও ইটিএ রয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশি নাগরিকরা ইটিএ ইস্যু করার তারিখ থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে দুইবার শ্রীলঙ্কায় প্রবেশ করতে পারবেন।
অনুমোদন একবার হয়ে যাওয়ার পর ভিসাপ্রাপ্ত ব্যক্তি শ্রীলঙ্কায় প্রবেশের সময় যে কোনো চেকপয়েন্ট অনায়াসেই অতিক্রম করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ভারতের মেডিকেল ভিসা: আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ভিসা প্রসেসিং ফি
শেষাংশ
পর্যটন কিংবা ব্যবসা উভয় উদ্দেশ্যকে ঘিরে লাখ লাখ মানুষের থাকে হাজারও পরিকল্পনা। কিন্তু এর সবকিছুই গুড়েবালি করে দেয় সীমানা পেরনোর নিয়মনীতি। সেখানে এই ভিসামুক্ত ব্যবস্থা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশিদের জন্য এক বিরাট নিষ্কৃতি। এ দিক থেকে ২০২৪ সাল বাংলাদেশিদের জন্য সৌভাগ্যের বছরও বটে।
হেনলি পাসপোর্ট সূচক মতে ভিসা ছাড়া, অন-অ্যারাইভাল এবং ইটিএ সব মিলে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা মোট ৪২ টি দেশ ভ্রমণ করতে পারবে। তাই সময় এসেছে পাসপোর্ট দ্রুত রিনিউ করে নেওয়ার। কেননা এই সুযোগ লুফে নিতে হলে পাসপোর্টটি অবশ্যই নূন্যতম ছয় মাস মেয়াদী হতে হবে।
আরও পড়ুন: সাধ্যের মধ্যে মালদ্বীপের বিকল্প হতে পারে এশিয়ার যেসব ট্যুরিস্ট স্পট
৯ মাস আগে
বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকলে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন যেসব দেশে
হেনলি পাসপোর্ট সূচকের ২০২৩ সালের তৃতীয় কোয়ার্টারে গবেষণায় বাংলাদেশের পাসপোর্ট ১৯৯ টি দেশের পাসপোর্টের মধ্যে ৯৭তম অবস্থানে। বছরের শুরুতে সূচকের প্রথম সংস্করণে বাংলাদেশ ১০১তম স্থানে ছিল। অর্থাৎ পূর্ববর্তী র্যাঙ্কিং থেকে ৪টি অবস্থান পেরিয়ে উপরে উঠে এসেছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট। হেনলি পাসপোর্ট সূচক মূলত ভিসা ছাড়াই দেশগুলো কতগুলো দেশে যেতে পারে তার উপর ভিত্তি করে পাসপোর্টের মূল্যায়ন করে থাকে। চলুন, এবারের র্যাঙ্কিং অনুসারে, বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই কতগুলো দেশে যেতে পারছেন তা দেখে নেয়া যাক।
২০২৩-এ যে দেশগুলোতে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা
ভিসা ফ্রি
এটি বিদেশ ভ্রমণের জন্য এমন এক অনুমতি, যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট দেশের নাগরিক আগে থেকে কোন রকম ভিসা-প্রাপ্তির প্রয়োজন ছাড়াই বিদেশে প্রবেশ করতে পারেন। ভিসা-মুক্ত (Visa Free) এন্ট্রি নামে পরিচিত এই নিয়মের মধ্যে ভ্রমণকারিদের কোনরূপ ভিসা ফি প্রদান করে আনুষ্ঠানিক ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয় না। অথচ পর্যটন, ব্যবসা বা পারিবারিক নানা উদ্দেশ্যে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য গন্তব্যের দেশটিতে প্রবেশ করতে পারেন। এই সময়কালটি বিভিন্ন দেশের জন্য বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। সাধারণত এক সপ্তাহ থেকে সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত হতে পারে।
২০২৩ সালে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়া ১৮টি দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন। এই দেশগুলো বাংলাদেশি নাগরিকদের বিভিন্ন সময়সীমার জন্য ভিসা-মুক্ত প্রবেশের অনুমতি দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ভ্রমণকারীদের ভ্রমণের আগে বা সেই দেশে প্রবেশকালে কোনরূপ ভিসার নেয়ার ঝামেলায় যেতে হয় না।
আরও পড়ুন: প্রবাসী বাংলাদেশিরা কিভাবে ই-পাসপোর্ট করবেন: দেশের বাইরে থেকে পাসপোর্ট নবায়নের উপায়
বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকলে ভিসা ছাড়া যেসব দেশে প্রবেশ করা যাবে সেগুলো হলো-
ওশেনিয়া
১. কুক দ্বীপপুঞ্জ
২. ফিজি
৩. মাইক্রোনেশিয়া
৪. নিউ
ক্যারিবিয়ান
১. বাহামাস
২. বার্বাডোজ
৩. ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ
৪. ডমিনিকা
৫. গ্রেনাডা
৬. হাইতি
৭. জ্যামাইকা
৮. মন্টসেরাট
৯. সেন্ট কিট্স এবং নেভিস
১০. সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইন্স
১১. ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
আরও পড়ুন: অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদনে ভুল হলে সংশোধনের নিয়ম
এশিয়া
১. ভুটান
আফ্রিকা
১. লেসোথো
২. গাম্বিয়া
২০২৩-এ যে দেশগুলো বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের আগমনী ভিসা সরবরাহ করবে
অন-অ্যারাইভাল ভিসা
এই অনুমতিপত্রটি অন-অ্যারাইভাল ভিসা (On Arrival Visa) বা ভিসা অন অ্যারাইভাল (Visa on Arrival) নামে পরিচিত। এটি এমন এক ধরনের ছাড়পত্র, যেটি যোগ্য ভ্রমণকারীদের গন্তব্যের দেশে প্রবেশের আগ মুহুর্তে প্রদান করা হয়। গন্তব্যের দেশে যাওয়ার মুহুর্তে প্রবেশস্থল তথা বিমানবন্দর, স্থল চেকপয়েন্ট বা সমুদ্র বন্দরে এই ভিসা ইস্যূ করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ভ্রমণকারীদের ভ্রমণের আগে নিজেদের দেশে থাকা অবস্থায় আগমনী ভিসার জন্য আবেদন করতে হয় না।
অন-অ্যারাইভাল ভিসার জন্য ভ্রমণকারীদের তাদের গন্তব্যের দেশ কর্তৃক নির্ধারিত কিছু শর্তাবলি পূরণ করতে হয়। এই শর্তাবলি বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শীর্ষ ১৫টি ঐতিহ্যবাহী স্থান
যেসব দেশ বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের আগমনী ভিসা সরবরাহ করে থাকে, সেগুলো হলোঃ
ওশেনিয়া
১. সামোয়া
২. টুভালু
৩. ভানুয়াতু
এশিয়া
১. কম্বোডিয়া
২. মালদ্বীপ
৩. নেপাল
৪. তিমুর-লেস্তে
আমেরিকা
১. বলিভিয়া
আরও পড়ুন: পুরাতন পাসপোর্ট নবায়নের উপায়
আফ্রিকা
১. বুরুন্ডি
২. কেপ ভার্দে দ্বীপপুঞ্জ
৩. কোমোরো দ্বীপপুঞ্জ
৪. জিবুতি
৫. গিনি-বিসাউ
৬. মাদাগাস্কার
৭. মৌরিতানিয়া
৮. মোজাম্বিক
৯. রুয়ান্ডা
১০. সেশেল্স
১১. সিয়েরা লিওন
১২. সোমালিয়া
১৩. টোগো
২০২৩-এ কোন দেশগুলোতে ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের ইটিএ ভিসা করতে হবে |
আরও পড়ুন: শিশুদের ই-পাসপোর্টের নিয়ম: কীভাবে আপনার অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের পাসপোর্ট করবেন
ইটিএ ভিসা
ইটিএ (ETA) মানে ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন, যেটি মূলত ভিসা ছাড়া বিদেশ ভ্রমণকারীদের জন্য একটি ডিজিটাল এন্ট্রি পারমিট। এই দ্রুত অনলাইন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাধারণত স্বল্প মেয়াদে দেশান্তরের অনুমতি লাভ করা যায়।
এই সুবিধাটি বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য প্রদান করছেন শ্রীলঙ্কার সরকার। এর আবেদন প্রক্রিয়াটি শ্রীলঙ্কার অভিবাসন বিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকেই সম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন করা যায়। এর জন্য আবেদনকারীদের সশরীরে অভিবাসন সেন্টারে উপস্থিত থাকার কোনও প্রয়োজন নেই।
ইটিএর সময়সীমা প্রাথমিকভাবে শ্রীলঙ্কায় আগমনের তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তবে এটি সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত বাড়ানো যায়। প্রতি ভিজিটে ইটিএ যোগ্য নাগরিকদের দেশে ৩০ দিন পর্যন্ত ভ্রমণের সুযোগ দেয়।
শ্রীলঙ্কা ইটিএ ডাবল এন্ট্রিরও অনুমতি দিয়ে থাকে। এর মানে হচ্ছে- বাংলাদেশি নাগরিকরা ইস্যু করার তারিখ থেকে ১৮০ দিন সময়সীমার মধ্যে দু’বার শ্রীলঙ্কায় প্রবেশ করতে পারবেন।
এই ডিজিটাল ছাড়পত্রটি ইলেকট্রনিকভাবে ভ্রমণকারীর পাসপোর্টের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। একবার অনুমোদিত হয়ে যাওয়ার পর ভিসাধারী ব্যক্তি শ্রীলঙ্কায় আগমনের সময় যে কোন চেকপয়েন্ট অনায়াসেই পেরুতে পারবেন।
২০২৩-এ কোন দেশগুলোতে ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের ই-ভিসা করতে হবে|
আরও পড়ুন: আপনি কি মার্কিন ডলার না কিনে বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন?
ই-ভিসা
ই-ভিসা (E-Visa) বা ইলেকট্রনিক ভিসা (Electronic Visa) হলো ভিসা যুক্ত দেশগুলোতে প্রবেশের জন্য ভিসার বিকল্প হিসেবে কাজ করা একটি ডিজিটাল ছাড়পত্র। ই-ভিসার আবেদন অনলাইনে সম্পন্ন করার পর আবেদনকারীর ই-মেইলে ভিসা পাঠিয়ে দেয়া হয়।
ই-ভিসা এবং ইটিএ ভিসার মধ্যে সুক্ষ্ম কিছু পার্থক্য আছে। ই-ভিসা মূলত সেই সমস্ত দেশগুলোর জন্য, যেখানে প্রবেশের জন্য ভিসার প্রয়োজন হয়। আর ইটিএ ভিসা হলো সেই দেশগুলোর জন্য যেখানে ভিসার দরকার নেই। ইটিএ মূলত স্বল্পকালীন থাকার জন্য সেই দেশগুলোতে প্রবেশের অনুমতি পাওয়ার একটি দ্রুত এবং সহজতর উপায়।
ই-ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া সাধারণ ভিসার আবেদন করার মতোই। এই ক্ষেত্রে, ইটিএর আবেদনের মতোই আবেদনকারীকে ভিসা আবেদন কেন্দ্রে যেতে হয় না। ভিসার অর্থ প্রদানসহ আবেদনের যাবতীয় কাজ অনলাইনেই সম্পন্ন করা যায়।
আবেদন মঞ্জুর হওয়ার পর একটি ই-মেইলের মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত ভিসা আবেদনকারীকে পাঠিয়ে দেয়া হয়। অতঃপর সেটি প্রিন্ট করে সঙ্গে নিয়ে দেশত্যাগ করতে হয়। ভিসা যাচাইয়ের কাজ অনলাইনেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হয়। কিন্তু অতিরিক্ত নিরাপত্তার স্বার্থে ভ্রমণকারীর নিকট ভিসার কাগজ চাওয়া হয়ে থাকে। তাই ভ্রমণের সময় মেইলকৃত নথির প্রিন্ট কপি সঙ্গে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: যেভাবে পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধন করবেন
মোট ২৭টি দেশ বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য ই-ভিসা ইস্যু করে।
১. অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা
২. আজারবাইজান
৩. বেনিন
৪. কম্বোডিয়া
৫. কলম্বিয়া
৬. জিবুতি
৭. ইথিওপিয়া
৮. গ্যাবন
৯. জর্জিয়া
১০. গিনি
১১. কেনিয়া
১২. কুয়েত
১৩. কিরগিজস্তান
১৪. মালয়েশিয়া
১৫. মলদোভা
১৬. মায়ানমার
১৭. ওমান
১৮. পাকিস্তান
১৯. কাতার
২০. সাও টোমে এবং প্রিনসিপে
২১. সুরিনাম
২২. তাজিকিস্তান
২৩. তুর্কি
২৪. উগান্ডা
২৫. উজবেকিস্তান
২৬. জাম্বিয়া
২৭. জিম্বাবুয়ে
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়
শেষ কথা
হেনলি পাসপোর্ট সূচকের ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশি পাসপোর্টের অবস্থান ইতিবাচক ধরা যেতে পারে। বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে ভিসা ছাড়াই ১৮টি দেশ ভ্রমণ উপভোগ্য বটে। তবে যে বিষয়টি খেয়াল রাখা জরুরি তা হলো- এই ভিসা-মুক্ত দেশগুলো ভ্রমণের জন্য পাসপোর্টে কমপক্ষে ছয় মাসের বৈধতা থাকা বাঞ্ছনীয়। সর্বসাকূল্যে, এই র্যাঙ্কিং বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য নিঃসন্দেহে একটি বৃহত্তর ভ্রমণের সুবিধা। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতায় পর্যুদস্ত দেশগুলো এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
১ বছর আগে