রেড পিরামিড
বিশ্বসেরা ১০ পিরামিড: চিরন্তন কিংবদন্তির খোঁজে
মানব সভ্যতার অবাক চাহনির সামনে সহস্রাব্দ ধরে দাঁড়িয়ে আছে অবিঃশ্বাস্য উচ্চতা এবং রহস্যময় কাঠামোর পিরামিডগুলো। সেই চাহনিতে কখনও ছিল মহাপরাক্রমশালী দেবতার জন্য প্রার্থনা, কখনও বা ছিল বহির্জাগতিক প্রাণীর জন্য ভয়।প্রকৃতপক্ষে, পৃথিবীর আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এই স্থাপনাগুলো প্রাচীন সভ্যতার চাতুর্য এবং প্রকৌশল দক্ষতার প্রমাণ। চিরন্তন এই কিংবদন্তির প্রতিটি ধূলিকণায় নিরন্তর স্পন্দিত হচ্ছে চিত্তাকর্ষক সব গল্প। সেই গল্পের খোঁজে প্রতিদিনই হাজার হাজার পর্যটক ছুটে যায় সেই অকৃত্রিম আদিমের স্বাদ নিতে। তেমনি বিশ্বের ১০টি অনন্য পিরামিড নিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের নিবন্ধ। চলুন, বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক এই অতিকায় সভ্যতার ব্যাপারে।
পৃথিবীর সেরা ১০টি পিরামিড
গিজার গ্রেট পিরামিড
মিশরের কায়রোর পশ্চিমে গিজা মালভূমিতে অবস্থিত এই পিরামিডের আরও একটি নাম খুফুর পিরামিড বা চিওপসের পিরামিড। গিজা পিরামিড কমপ্লেক্সের এই অংশটির মূল উচ্চতা ছিল প্রায় ৪৮১ ফুট। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষয় ও বাইরের আবরণে পাথর অপসারণের ফলে এর উচ্চতা নেমে এসেছে প্রায় ৪৫৪ ফুটে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকলে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন যেসব দেশে
ঐতিহাসিকদের মতে এই গ্রেট পিরামিড পুরাতন রাজ্যের চতুর্থ রাজবংশের ফেরাউন খুফুর শাসনামলে তথা ২ হাজার ৬১৩ থেকে ২ হাজার ৪৯৪ খ্রিস্টপূর্বের সময়ে নির্মিত হয়েছিল। গিজা মালভূমিতে অবস্থিত ৩টি পিরামিডের মধ্যে এটি প্রাচীনতম এবং বৃহত্তম। এটি মূলত ফারাও খুফুর পরিবার ও রাজকীয় কর্মকর্তাদের জন্য মন্দির ও সমাধি হিসেবে ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে পিরামিডটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট মেমফিস এবং এর নেক্রোপলিসের অংশ।
খাফরের পিরামিড
মিশরের গিজা মালভূমিতে গ্রেট পিরামিডের নিকটেই সগর্বে নিজের উপস্থিতি জানান দেওয়া এই পিরামিডের আরেক নাম শেফ্রেনের পিরামিড। ৭০৬ ফুটের ভিত্তির উপর প্রায় ৪৪৮ ফুট উচ্চতায় দাঁড়িয়ে থাকা এই স্থাপনাটির নির্মাণ হয়েছিল ফেরাউন খাফরের শাসনামলে। গ্রেড পিরামিডের ন্যায় এর নির্মাণকালটিও চতুর্থ রাজবংশের সময়। খাফরকে খুফুর উত্তরসূরি বলে মনে করা হয়।
পিরামিডটি মূলত খাফরের সমাধি হিসেবে নির্মিত হয়েছিল। সমাধির নকশায় তার পূর্বসূরিদের পিরামিডের স্পষ্ট ছাপ দেখা যায়। পিরামিডের নিচের অংশটি পালিশ করা চুনাপাথরে আবদ্ধ। পিরামিড কমপ্লেক্সের বিশেষ আকর্ষণ হলো স্ফিংস। এটি হলো সিংহের দেহ এবং মানুষের মুখ সম্বলিত বিশাল এক মূর্তি। একে ফেরাউন খাফরের প্রতিনিধি হিসেবে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে পর্যটক ও ভ্রমণকারীদের করণীয়
১ বছর আগে