নার্স
হবিগঞ্জে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে নার্সের আত্মহত্যা!
হবিগঞ্জে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে এক নার্সের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। রবিবার শহরের ঘোষপাড়ার ভাড়া বাসার একটি কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত নীপা তালুকদার (২৩) সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার খাগাউড়া গ্রামের শ্যামল তালুকদারের মেয়ে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে গৃহবধূর আত্মহত্যা!
৩১ জানুয়ারি হবিগঞ্জ নার্সিং ইনস্টিটিউট থেকে ইন্টার্নি শেষ করে স্থানীয় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে কাজ করতেন তিনি।
পুলিশ সূত্র জানায়, ওই বাসার একটি কক্ষে অপর একজন সহকর্মীকে নিয়ে নীপা থাকতেন। রবিবার সকালে ডিউটি না থাকায় তাকে ঘরে একা রেখে অপর সহকর্মী ডিউটিতে যান। বেলা ৪টার দিকে বাসায় এসে দরজা বন্ধ পান।
অনেকে ডাকাডাকির পরও সাড়া না দেয়ায় এলাকায় লোকজন জড়ো হয়ে স্থানীয় মহিলা কাউন্সিলকে খবর দেন।
পরে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়।
এছাড়া পুলিশ একটি ডায়েরি উদ্ধার করেছে। কিন্তু আত্মহত্যার সঠিক কারণ জানা যায়নি।
সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সিদ্ধিরগঞ্জে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা, স্ত্রী ও শ্বাশুড়ি গ্রেপ্তার
শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’
১ বছর আগে
সাধারণ রোগীর মতো ১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে অন্যান্য সাধারণ রোগীর মতো ১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করিয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল ৮টায় ঢাকার শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় চক্ষু হাসপাতালের কাউন্টার থেকে ১০ টাকার টিকিট কিনতে প্রথমে নিচতলায় যান প্রধানমন্ত্রী।
এরপর তিনি চোখ পরীক্ষা করার জন্য মনোনীত চিকিৎসকের কাছে যান।
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নার্স, রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
তিনি তাদের খোঁজখবর নেন ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে তাদের সঙ্গে ছবি তোলেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর হাতে এসএসসির ফলাফল হস্তান্তর
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ রোল মডেল: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
রাজধানীতে ছাদ থেকে পড়ে নার্সের মৃত্যু
রাজধানীর সবুজবাগ এলাকায় শনিবার চারতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে এক নার্সের মৃত্যু হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স ফিরোজা পারভিন জানান, নিহত আতাউল করিম অপু (৫০) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নার্সিং স্টাফ ছিলেন।
তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বাসার ছাদে শরীরচর্চা করতে গেলে ভেজা ছাদ থেকে পিছলে পড়ে যান অপু।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, প্রতিবেশিরা তাকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সকাল ৯টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: হাজীগঞ্জে ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে যুবক নিহত
খুলনায় নির্মানাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে শ্রমিক নিহত
২ বছর আগে
প্রণোদনার দাবিতে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালককে অবরুদ্ধ করলেন নার্সরা
করোনার সময়ে প্রণোদনার টাকা না পেয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে অবরুদ্ধ করেছে নার্স-ওয়ার্ড বয় ও কর্মচারীরা।
বুধকার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পরিচালকের কক্ষে অবস্থান নেয় প্রতিষ্ঠানটির নার্স, ওয়ার্ড বয়সহ চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা। এসময় পাঁচশ বেডের এই হাসপাতালে রোগীদের সেবা বন্ধ থাকে।
পরে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিব) সভাপতির মধ্যস্থতায় করোনার প্রণোদনার অর্থ (আগামী ১০ দিনের মধ্যে) প্রদানের আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরে যান বিক্ষোভকারীরা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্স ও ওয়ার্ড বয় অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম মহাসচিব আফসানা আক্তার সান্তা জানান, যারা করোনায় সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের সেবা দিয়েছে তাদের জন্য সরকারি পক্ষ থেকে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা প্রতিষ্ঠানটির অনুকূলে বরাদ্দ করে গত বছরের জুলাইয়ে। কিন্তু আমাদের পরিচালকের খাম-খেয়ালির কারণে সেই টাকার মধ্যে ১ কোটি টাকা ফেরত চলে যায়। আমরা এই অযোগ্য পরিচালকের অপসারণ দাবি করছি, একই সাথে আমাদের ন্যায্য পাওনা পাওয়ার প্রত্যাশা করছি।
এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. সাইফুর রহমান জানান, টাকা বরাদ্দ পাওয়ার পর আমরা একটি কমিটি গঠন করি। সেই কমিটির তথ্যের ভিত্তিতে তালিকা তৈরি করে এজি অফিসে পাঠানো হলে সেখান থেকে জানানো হয় প্রয়োজনীয় অর্থ নেই। এ খবরেই কিছু স্টাফরা বিক্ষোভ করেছে।
তিনি জানান, প্রয়োজনীয় অর্থের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পত্র পাঠানো হয়েছে, আশা করছি দ্রুতই সমস্যা নিরসন হবে।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. আব্দুল জলিল জানান, বিক্ষোবের খবর পেয়ে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। পরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে ১০ দিনের সময় নেয়া হয়েছে। তারা এখন কাজে ফিরে গেছেন।
পড়ুন: খেলায় বাধা দেয়া নিয়ে ফরিদপুরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৩০
২ বছর আগে
নার্সের ওপর হামলা: ৩ পুলিশ সদস্য ক্লোজড
বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঢুকে সিনিয়র স্টাফ নার্স সাইফুল ইসলামের ওপর হামলা করায় ট্যুরিস্ট পুলিশের তিন সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ বরিশাল রিজিওন এর পুলিশ সুপার রেজাউল করিম।
তিনি জানান, নার্সের ওপর হামলার ঘটনায় সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় তিন পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করে ট্যুরিস্ট পুলিশের হেড কোয়াটারে সংযুক্ত করা হয়েছে। এরা হলেন- ট্যুরিস্ট পুলিশ বরিশাল জোনের ইন্সপেক্টর বুলবুল আহমেদ, কনস্টেবল জাভেদ ও মেহেদী।
প্রসঙ্গত, ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক বুধবার রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হলে তাকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এসময় রোগীর নাম জিজ্ঞাসা করা নিয়ে জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত সিনিয়র স্টাফ নার্স সাইফুল ইসলামের সঙ্গে তর্ক হয় ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক বুলবুলের সঙ্গে। এই নিয়ে এক পর্যায়ে নার্স সাইফুল ইসলামের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে হাসপাতালের নার্সরা দুই ঘন্টা কর্মবিরতি করলে প্রশাসনের আশ্বাসে তারা কাজে ফিরে যান।
আরও পড়ুন: শেবাচিম হাসপাতালের ব্রাদারকে মারধর, নার্সদের কর্মবিরতি
ফরিদপুরে ব্যাংক কর্মকর্তার নাচের ভিডিও ভাইরাল
২ বছর আগে
বিয়ানীবাজারে নার্সের রহস্যজনক মৃত্যু: স্বামী কারাগারে
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স নবনীতা দাসের (২৮)‘আত্মহত্যা’ নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না। নবনীতার স্বামীর দাবি তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন, অন্যদিকে তার বাবার দাবি তার মেয়েকে স্বামী সৌমেন দাশ (২৯) হত্যা করেছে।
নবনীতার বাবার করা আত্মহত্যায় প্ররোচণার মামলায় শনিবার নবনীতার স্বামীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নবনীতা সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার সাউদেরশ্রী গ্রামের সুব্রত কুমার দাশের মেয়ে।
এদিকে গ্রেপ্তারের পর নবনীতার স্বামী সৌমেন দাশ পুলিশকে জানান, তিনি অনার্সে পড়ছেন, এখনও তার কোনও চাকরি হয়নি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই মনোমালিন্য হত। নবনীতা এক মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তার আত্মহত্যার দিনই তিনি এ কথা জানতে পারেন।
তার স্বামী আরও জানান, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে তারা যে ভাড়া বাসায় থাকেন, তারই একটি ঘরে তিনি নবনীতাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তিনি নবনীতাকে উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় বলেন, নিহতের স্বামীর দাবি,নবনীতা আত্মহত্যা করেছেন। অপরদিকে, নবনীতার বাবা বাদী হয়ে বিয়ানীবাজার থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচণার মামলা দায়ের করেছেন। আমাদের তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিয়ানীবাজারে নার্সের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
নবনীতার সহকর্মীরা জানান, নবনীতা আত্মহত্যা করেছে নাকি কেউ তাকে হত্যা করেছে, তার সুষ্ঠু তদন্ত চান তারা।
অন্যদিকে, সৌমেনের পরিবারের বলছে তাদের ছেলের বৌ অভিমানে আত্মহত্যা করেছে। মিথ্যা মামলায় তার ছেলেকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের আগে থেকেই নবনীতা চাকরি সূত্রে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন নয়াগ্রামে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। প্রায় চার মাস আগে প্রেম করে একই গ্রামের সৌমেন দাশকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর সৌমেনের পরিবার তাদের মেনে নিলেও নবনীতার পরিবার এই বিয়ে মেনে নেয়নি। বিয়ের পর থেকে তারা নয়াগ্রামেই থাকতেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এসএসসি পরীক্ষার্থীর লাশ
কর্ণফুলী নদীতে নিখোঁজ স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার
৩ বছর আগে
শিগগিরই ৪ হাজার চিকিৎসক-নার্স নিয়োগ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় শিগগিরই ৪ হাজার চিকিৎসক এবং সমান সংখ্যক নার্স নিয়োগ দেয়া হবে বলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ডাক্তার নার্সরাও ক্লান্ত হয়ে গেছে। তারা আর কত কাজ করবে? নতুন ৪ হাজার চিকিৎসক আমরা নিচ্ছি, নার্সও ৪ হাজার নেয়া হচ্ছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে নেয়া হচ্ছে।’
সোমবার (২৬ জুলাই) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, এখন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে করোনাভাইরাস টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করা হবে।
পড়ুন: মাসে এক কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, গ্রামে ভ্যাকসিন নেয়া নিয়ে বয়স্কদের মধ্যে একটা অনীহা আছে, তাই ওয়ার্ড পর্যায়ে বয়স্ক লোকদের টিকা দয়োর ব্যবস্থা করা হবে। হাসপাতালে দেখা গেছে গ্রামের বয়স্ক লোকেরাই আছেন ৭০ শতাংশ, তাদের মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৯০ শতাংশ।
‘ভ্যাকসিনেট কার্যক্রম এখন আমরা ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও জেলা-উপজেলা লেভেলে বেশি জোর দিব। গ্রামের লোকেরা অনেক সময় পরীক্ষা করতে চায়না। তাদের টেস্ট করার বিষয়েও জোর দিব,’ বলেন মন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, হাসপাতালের ৯০ শতাংশ আসনে রোগী ভর্তি। তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, করে যাব। বঙ্গমাতা কনভেনশন সেন্টারে আমরা অচিরেই উদ্বোধন করছি। এরপর কোনো ভবনও নেই যে আমরা কিছু করব, হাসপাতাল স্থাপন করব।
পড়ুন: ২১ কোটি টিকা আসছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আইভিআইয়ের সহযেগিতায় দেশেই টিকা উৎপাদন সম্ভব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, লকডাউন দিয়ে যদি মানাতে না পারি, জনগণ যদি সচেতন না হয়, তাহলে তো ভয়াবহ পরিণতি। হাসপাতালে জায়গা হবে না। ইকোনোমিতে অ্যাফেক্ট পড়বে। প্রোডাকশনে অ্যাফেক্ট করে যাবে।
‘লকডাউনের ৩-৪ দিন চলছে, রাস্তাঘাটে যেভাবে মানুষ বের হচ্ছে, গাড়ি-ঘোড়া চলছে, আমরা তাতে খুবই দুঃখিত। কারণ তাতে লকডাউন ব্রেক হচ্ছে। তারা নিজেদের ক্ষতি করছে,’ বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জরিমানা করা হচ্ছে, জেলেও পাঠানো হচ্ছে তারপরেও এটা মানছে না। কিন্তু এটা মানাতে হবে। এটা ছাড়া দেয়ার ইজ নো অল্টারনেটিভ।’
তিনি বলেন, লকডাউন মানাতে হবে। লকডাউন মানানোর জন্য যারা দায়িত্বে আছেন তাদেরকে আরও কঠোর হতে হবে।
৩ বছর আগে
শেরপুরে চিকিৎসক-নার্স সংকট, চিকিৎসাসেবা ব্যাহত
শেরপুরে চিকিৎসক, নার্স, লোকবলের সংকটে ধুকছে জেলার সবচেয়ে বড় চিকিৎসাকেন্দ্র ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল। পাঁচ উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতালগুলোর অবস্থাও একই। এই অবস্থায় অবিলম্বে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও লোকবল সংকট নিরসন করে রোগীদের কাঙ্খিত সেবা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সংগঠনের নেতারা।
আরও পড়ুনঃ চীনের ২০ হাজার ৮শ ডোজ টিকা পেল শেরপুর
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শেরপুরে প্রশাসনিক অনুমোদন পেলেও আর্থিক অনুমোদন না মেলায় ১০০ শয্যার বরাদ্দ দিয়েই চালাতে হচ্ছে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের কার্যক্রম। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে বর্তমানে কর্মরত চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ১৯ জন। অথচ ১০০ শয্যার জন্যই চিকিৎসকের অনুমোদিত পদ সংখ্যা ৩৬ জন। গুরুত্বপূর্ণ জরুরি বিভাগের তিন চিকিৎসকের সবগুলো পদ খালি, চার মেডিকেল অফিসারের দুই পদই শূন্য। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ১০টি পদও শূন্য রয়েছে। নার্সের ৮৯টি পদের মধ্যে শূন্য পদের সংখ্যা ১৭টি। এছাড়া আয়া, ওয়ার্ড বয়, পরিচ্ছন্নতা কর্মীর সংকট রয়েছে। বর্তমানে করোনা আক্রান্ত হয়ে দুই চিকিৎসক আট নার্সসহ ১৭ জন স্টাফ আইসোলেশনে রয়েছেন। তাছাড়া অন্য চার উপজেলার কোন হাসপাতালেই পাঁচ থেকে ছয় জনের বেশি চিকিৎসক নেই। যেখানে অনুমোদিত চিকিৎসকের পদ সংখ্যা ১৪ জন করে।
আরও পড়ুনঃ খুলনা বিভাগে করোনায় ৪৮ মৃত্যু, শনাক্ত ১৬৪২
হাসাপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. খাইরুল কবির সুমন জানান, শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আউটডোরে প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০ রোগী চিকিৎসা সেবা নেয় এবং ইনডোরে ৩০০ থেকে ৩৫০ রোগী ভর্তি থাকে। তার মধ্যে বতর্মানে ১০০ বেডের করোনা ইউনিটে প্রতিদিন ৮০ থেকে ৯০ জন রোগী ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। ১০০ শয্যার বরাদ্দ দিয়ে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল চালাতে গিয়ে ভর্তি রোগীদের ওষুধ ও খাবারের যোগান দিতেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ যশোরে ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গে ১৭ মৃত্যু
নাগরিক প্ল্যাটফরম জনউদ্যোগ শেরপুর কমিটির আহবায়ক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, চিকিৎসক-নার্স ও লোকবলের অভাবে হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন রোগীরা। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। এতে অনেক সময় তাদের আচরণও রুক্ষ হয়ে ওঠছে। অনেকটা জোড়াতালি দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা। এখন জেলার হাসপাতালগুলো যেন রেফার্ড হাসপাতালে পরিণত হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করি।
আরও পড়ুনঃ রামেকের করোনা ইউনিটে একদিনে ১৪ মৃত্যু
হাসপাতাল সূত্রগুলো জানায়, করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রে অক্সিজেনের সংকট না থাকলেও আইসিইউ না থাকায় মুমূর্ষু রোগীদের নিবিড় পরিচর্যা করা যায় না। সেক্ষেত্রে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কিংবা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে নেওয়ার পথেই কয়েকজন রোগীর মৃত্যু ঘটেছে। তিনটি ভেন্টিলেটর এবং চারটি হাইফ্লো নজেল ক্যানুলা থাকলেও লোকবলের অভাবে সেগুলো ঠিকমতো চালু করা যাচ্ছে না।
চিকিৎসকরা জানান, এমনিতেই চিকিৎসক এবং লোকবলের সংকট রয়েছে। সেক্ষেত্রে ভেন্টিলেশন কিংবা হাইফ্লো নজেল ক্যানুলার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হলে অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসা সংকট আরও বাড়বে। এজন্য বিশেষ প্রয়োজনীয় মুহূর্ত ছাড়া সেগুলো ব্যবহার করা যায় না।
আরও পড়ুনঃ খুলনায় করোনা ও উপসর্গে ১৭ মৃত্যু
চিকিৎসক, নার্স ও লোকবল সংকটের কারণে হাসপাতালে রোগীদের কাঙ্খিত সেবা দিতে না পারার কথা কথা স্বীকার করেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. এ.কে.এম. আনওয়ারুর রউফ। তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে বারবার অবহিত করা হলেও শূন্যপদ পূরণ হচ্ছে না। চিকিৎসক ও লোকবল পেলে হাসপাতালের সেবার মান আরও বাড়বে এবং কাঙ্খিত সেবা দেওয়া সম্ভব হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে সংকটের মধ্যেও করোনা রোগী এবং সাধারণ রোগীদের যথাসম্ভব আন্তরিকতার সঙ্গে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
৩ বছর আগে
হাসপাতাল থেকে ভারতফেরত ১০ করোনারোগী পালিয়েছে
যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে ভারতফেরত ১০ জন করোনা রোগী পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার সকাল থেকে রবিবার দুপুরের মধ্যে তারা হাসপাতাল থেকে পালিয়েছে।
আরও পড়ুন: জুনের আগে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হবে না: বিশেষজ্ঞ মতামত
হাসপাতালের নার্স ও কর্মচারীদের অবহেলার কারণে তারা পালিয়ে যেতে পেরেছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। এতে করে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দাবি করে বলছেন, মাত্র দুইজন রোগী পালিয়েছেন।
আর সিভিল সার্জন বলছেন, হাসপাতাল থেকে পালানো রোগীদের দেয়া নাম ঠিকানা যদি ঠিক থাকে তবে অবশ্যই তাদের খুঁজে বের করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: সরকার গণপরিবহন চালুর চিন্তা ভাবনা করছে: কাদের
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ব্রাদার তারক চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, গত শনিবার সকাল ১০টা ৫৭ মিনিটের দিকে ভারতফেরত কিছু রোগী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর রবিবারও রোগী আসেন। সব মিলিয়ে ২ দিনে ১০ জন করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের সবাইকে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় করোনা ওয়ার্ডে পাঠানো হয়।
হাসপাতালের ভর্তি রেজিস্ট্রার মতে, ভর্তি রোগীরা হলো যশোর শহরের খালধার রোডের বিশ্বনাথের স্ত্রী মালা দত্ত (৫০), শহরের বিমান অফিস মোড়ের আবুল কাসেমের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৫৭), সদর উপজেলার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা বেগম(১৯), একই গ্রামের একরামের স্ত্রী রোমা (৩০), প্রতাপকাঠি গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে মমিন, রামকান্তপুর গ্রামের গোলাম রব্বানীর স্ত্রী নাসিমা বেগম (৫০), বাঘারপাড়া উপজেলার রায়পুর গ্রামের ফজর আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪৫), ঝিনাইদাহ জেলার কালীগঞ্জের মনোতষের স্ত্রী শেফালী রানী, খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার রামরাইল গ্রামের আহম্মদ সানার ছেলে আমিরুল সানা ও একই জেলার রুপসা এলাকার শের আলীর ছেলে সোহেল (১৭)।
আরও পড়ুন: করোনার ১ম ডোজের টিকাদান সোমবার থেকে স্থগিত
করোনা ওয়ার্ডের দায়িত্বরত সিনিয়র নার্স লাবনী বিশ্বাস বলেন, ভারত থেকে করোনাভাইরাসে আক্রন্ত হয়ে আসা ১০ জন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিল। কিন্তু রবিবার সকালের পর থেকে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক বলছেন, করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট উদ্বেগ তৈরি করেছে। ফলে পালিয়ে যাওয়া রোগীরা যদি ভারতীয় ভেরিয়েন্টের বাহক হন তাহলে তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এছাড়াও ভাইরোলজিস্টরা বলেছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী যদি কোনো পরিবারে থাকে তাহলে তার মাধ্যমে প্রথমে তার পরিবার ও আশপাশের লোকজনও আক্রান্ত হতে পারেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেন, ভারত থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোনো রোগী হাসপাতালে আনা হলে তা পুলিশ স্কট করে দিয়ে যাবে। একইসাথে তাদের পাসপোর্ট পুলিশ হাসপাতালে জমা করবে। কিন্তু তার কোনোটাই করা হয়নি। কোনো রোগী যাতে পালাতে না পারে সে জন্য বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার বিষয়ে আমি পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলবো।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, রোগী পালানোর কথা শুনে আমি রবিবার সকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালে গিয়েছিলাম। যে ১০ জন রোগী পালিয়েছে তাদের নাম ঠিকানা সঠিক থাকলে তাদেরকে খুঁজে বের করা সম্ভব হবে। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে।
যশোর কোতয়ালী থানার ওসি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করোনা রোগী পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আমাদের কিছুই জানায়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি দেখা হবে।
৩ বছর আগে
ধর্ষণের অভিযোগে পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে নার্সের মামলা
বিয়ের আশ্বাসে টানা দুই বছর ধর্ষণের অভিযোগে রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভার মেয়র ও বিএনপি নেতা আল মামুন খানের বিরুদ্ধে এক সিনিয়র নার্স মামলা দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী নার্স ঢাকার জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউটে কর্মরত রয়েছেন।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে গৃহবধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’: আটক ৫
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৯ সালে দুর্গাপুর থানার বাসিন্দা ওই নার্স পুঠিয়ার একটি ক্লিনিকে কাজ করতেন। সে সময় মামুন তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর তিনি প্রায়ই তাকে ধর্ষণ করতেন। সম্প্রতি মেয়েটি বিয়ের জন্য মামুনকে চাপ দিলে মামুন তাকে এড়িয়ে যেতে থাকেন। রবিবার দুপুরে বিয়ের দাবিতে ভিকটিম মামুনের পুঠিয়া সদরের চেম্বারে উপস্থিত হলে তাকে নির্যাতন করে বের করে দেয়া হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। রাতে থানায় তিনি মামলা করেন।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় বিয়ের আশ্বাসে মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণ, ইমাম গ্রেপ্তার
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী জানান, মেয়েটি নিজেই বাদী হয়ে এজাহার দিয়েছেন। ধর্ষণের বর্ণনা দিয়েছেন। পরে থানায় তার এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: বিয়ানীবাজারে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, আটক ২
৩ বছর আগে