কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
ঢাকার সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ফাতাহ কর্মকর্তার, ইসরায়েলকে থামাতে আরো বেশি পদক্ষেপের আহ্বান
গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ইসরায়েল সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থন কামনা করেছেন ঢাকায় সফররত ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ফাতাহর কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিবরিল রাজৌব।
মহাসচিব আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) সমর্থনসহ ফিলিস্তিনের সমর্থনে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থানের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রবিবার (২৪ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সফররত জিবরিল রাজৌব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মহাসচিব গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘাত নিয়ে মতবিনিময় করেন।
মহাসচিব গাজা ও পশ্চিম তীরে চলমান ইসরাইলি নৃশংসতার ফলে নজিরবিহীন গণহত্যা, অবকাঠামো ধ্বংস এবং মানবিক সহায়তা প্রাপ্তির সুযোগ সীমিত হওয়ার ফলে গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে সে সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
সাক্ষাৎকালে মহাসচিব গাজায় নতুন বসতি স্থাপন এবং গাজা, পশ্চিম তীর ও এর বাইরেও ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ আরোপের মাধ্যমে যুদ্ধোত্তর গাজার জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর অবৈধ নতুন সংযুক্তি পরিকল্পনা সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরাইলের তাণ্ডব ঠেকাতে বিশ্বের ব্যর্থতায় প্রধানমন্ত্রীর দুঃখ প্রকাশ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজা উপত্যকায় কঠিন মানবিক পরিস্থিতিতে শিশু ও নারীসহ বেসামরিক হতাহত এবং কষ্টের জন্য গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তিনি এই যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি সমন্বিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন। গাজা ও পশ্চিম তীরে পর্যাপ্ত মানবিক প্রবেশাধিকারসহ অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বানও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি মহাসচিবকে আশ্বস্ত করে বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ফিলিস্তিন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় অবস্থান অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরব দেশগুলোর ঐকমত্য অর্জনে গাজায় যুদ্ধ অবসানে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহাসচিবের প্রতি আহ্বান জানান।
তারা বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের মধ্যে ঐতিহ্যগত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও উন্নয়নে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এর আগে সকালে ফাতাহ মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ফিলিস্তিনে মানবিক বিপর্যয় সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: গাজায় গণহত্যা মানব সভ্যতার কলঙ্কজনক অধ্যায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৭ মাস আগে
পাবনার ৯০ বছর বয়সী বৃদ্ধাকে বাড়ি দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
৯০ বছর বয়সে সুন্দরী বেগম ঘুরে বেড়ান কাঠের লাঠির সাহায্যে। গত বছর পর্যন্ত সুন্দরীর এমন কোনো বাড়ি ছিল না যাকে তিনি নিজের বলতে পারবেন। তার এক ছেলে, এক মেয়ে ও নাতি-নাতনিদের নিয়ে প্রতিবেশির একটি ভাঙা বাড়িতে থাকতেন।
পাবনা সদর ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় গত বছর তাকে একটি বাড়ি ও এক টুকরো জমি দেওয়া হলে তার পরিবারের সংকটের অবসান ঘটে।
সুন্দরী বেগম বলেন, ‘যেহেতু আমি বাড়ি পেয়েছি, তাই কেউ আমাকে গৃহহীন বা নিঃস্ব বলতে পারবে না। (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) আমাকে বাড়িটি দিয়েছেন বলে আমি অনেক খুশি’। আল্লাহ তাকে দীর্ঘায়ু দান করুন।
২০২০-২১ অর্থবছরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মুজিববর্ষ উদযাপনের পর থেকে প্রকল্পটি হাজার হাজার দরিদ্র মানুষকে জমি ও আশ্রয় দিয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী ২২ হাজার পরিবারকে বিনামূল্যে বাড়ি-জমি দেবেন বুধবার
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় আরও ১২টি জেলা ও ১২৩টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করার পর আরও ২২ হাজার ১০১ জন এই প্রকল্পের সুবিধাভোগী হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের মাঝে আধা-পাকা ঘর বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
দেশের ১২টি জেলা ও ১২৩টি উপজেলা নিয়ে এ পর্যন্ত ২১টি জেলা ও ৩৩৪টি উপজেলা গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারমুক্ত হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন জেলায় ২২ হাজার ১০১টি বাড়ির চাবি ও দুই শতক জমির মালিকানার দলিল পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসব বাড়িতে প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার মানুষকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে।
মুজিববর্ষের পর ষষ্ঠবার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘর বিতরণকালে প্রধানমন্ত্রী তিনটি স্থানের উপকারভোগী ও স্থানীয় জনগণের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
এই তিনটি স্থান হলো- খুলনার তেরোখাদা উপজেলার বারাসত সোনার বাংলা পল্লী আশ্রয়ণ প্রকল্প সাইট, পাবনার বেড়া উপজেলার চাকলা আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প সাইট এবং নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানউল্লাহপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প সাইট।
মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ময়মনসিংহ, শেরপুর, দিনাজপুর, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, কুষ্টিয়া, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি এই ১২টি জেলা ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারমুক্ত হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: আরও ১২ জেলা ও ১২৩ উপজেলাকে গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে