৯০ বছর বয়সে সুন্দরী বেগম ঘুরে বেড়ান কাঠের লাঠির সাহায্যে। গত বছর পর্যন্ত সুন্দরীর এমন কোনো বাড়ি ছিল না যাকে তিনি নিজের বলতে পারবেন। তার এক ছেলে, এক মেয়ে ও নাতি-নাতনিদের নিয়ে প্রতিবেশির একটি ভাঙা বাড়িতে থাকতেন।
পাবনা সদর ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় গত বছর তাকে একটি বাড়ি ও এক টুকরো জমি দেওয়া হলে তার পরিবারের সংকটের অবসান ঘটে।
সুন্দরী বেগম বলেন, ‘যেহেতু আমি বাড়ি পেয়েছি, তাই কেউ আমাকে গৃহহীন বা নিঃস্ব বলতে পারবে না। (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) আমাকে বাড়িটি দিয়েছেন বলে আমি অনেক খুশি’। আল্লাহ তাকে দীর্ঘায়ু দান করুন।
২০২০-২১ অর্থবছরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মুজিববর্ষ উদযাপনের পর থেকে প্রকল্পটি হাজার হাজার দরিদ্র মানুষকে জমি ও আশ্রয় দিয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী ২২ হাজার পরিবারকে বিনামূল্যে বাড়ি-জমি দেবেন বুধবার
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় আরও ১২টি জেলা ও ১২৩টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করার পর আরও ২২ হাজার ১০১ জন এই প্রকল্পের সুবিধাভোগী হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের মাঝে আধা-পাকা ঘর বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
দেশের ১২টি জেলা ও ১২৩টি উপজেলা নিয়ে এ পর্যন্ত ২১টি জেলা ও ৩৩৪টি উপজেলা গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারমুক্ত হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন জেলায় ২২ হাজার ১০১টি বাড়ির চাবি ও দুই শতক জমির মালিকানার দলিল পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসব বাড়িতে প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার মানুষকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে।
মুজিববর্ষের পর ষষ্ঠবার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘর বিতরণকালে প্রধানমন্ত্রী তিনটি স্থানের উপকারভোগী ও স্থানীয় জনগণের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
এই তিনটি স্থান হলো- খুলনার তেরোখাদা উপজেলার বারাসত সোনার বাংলা পল্লী আশ্রয়ণ প্রকল্প সাইট, পাবনার বেড়া উপজেলার চাকলা আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প সাইট এবং নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানউল্লাহপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প সাইট।
মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ময়মনসিংহ, শেরপুর, দিনাজপুর, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, কুষ্টিয়া, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি এই ১২টি জেলা ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারমুক্ত হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: আরও ১২ জেলা ও ১২৩ উপজেলাকে গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী