অভ্যন্তরীণ বাজার
আলু আমদানির বিপক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয়
অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় আলু আমদানির পরিকল্পনার বিরোধিতা করে মতামত দিয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীদের আলু আমদানির অনুমতি দিতে পারেনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে শনিবার (৭ অক্টোবর) ইউএনবিকে জানান, আগামী দুই মাস বা তার বেশি সময়ের জন্য দেশীয় ভোক্তাদের চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশে পর্যাপ্ত আলু মজুদ রয়েছে। তাই আলু আমদানির প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন: ফের রাশিয়ায় আলু সরবরাহ করবে বাংলাদেশ
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, নভেম্বরের শেষের দিকে নতুন জাতের আলু বাজারে আসতে শুরু করবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার কয়েকটি এলাকায় আগাম জাতের আলুর চাষ হয়েছে।
নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে এসব জেলা থেকে আগাম জাতের আলু পুরোদমে বাজারে আনার প্রস্তুতি নিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
দেশে কৃষিপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি নিতে হয়। তবে আলুসহ অন্যান্য কিছু কৃষিপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হয়।
আরও পড়ুন: আলুর সিন্ডিকেটকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি: কৃষিমন্ত্রী
বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে আলু আমদানি করা হবে: ভোক্তা অধিকারের ডিজি
১ বছর আগে
২০২২-২০২৩ অর্থবছরে শুল্ক অব্যাহতি বেড়েছে ১৭.৬৪ শতাংশ
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্যের দাম কমার কারণে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ব্যবসাগুলো ৬১ হাজার ৩২ কোটি টাকা শুল্ক অব্যাহতি পেয়েছে।
ভোক্তা অধিকার সংগঠনের নেতারা বলছেন, কিন্তু, যেসব ক্ষেত্রে শুল্ক অব্যাহতি রয়েছে ব্যবসায়ীরা প্রকৃতপক্ষে তাদের পণ্য অভ্যন্তরীণ বাজারে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করেন এবং মোটা অঙ্কের মুনাফা করেন।
এনবিআর প্রজ্ঞাপন ও বিশেষ বিধিবদ্ধ নিয়ন্ত্রক আদেশের (এসআরও) মাধ্যমে আমদানি শুল্কে এ অব্যাহতি দিয়েছে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসেন ইউএনবিকে বলেন, শুল্ক অব্যাহতি পেলেও ব্যবসায়ীরা স্থানীয় বাজারে ভোগ্যপণ্যের দাম কমায়নি।
তিনি এটিকে সরকারের বাজার মনিটরিং ব্যবস্থার ব্যর্থতা এবং বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ব্যবসার সিন্ডিকেশন বলে অভিহিত করেন।
আরও পড়ুন: বাজেটে বিদেশ থেকে আনা স্বর্ণের জন্য বিদ্যমান শুল্ক দ্বিগুণ করার প্রস্তাব
শুল্ক অব্যাহতি অর্থবছর ২২-এর তুলনায় অর্থবছর ২৩-এ ৯ হাজার ১৫২ কোটি টাকা বা ১৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেড়েছে। ওই বছর শুল্ক অব্যাহতি দেওয়া হয় ৫১ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা।
অংশীজনরা মনে করেন, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং স্থানীয় ব্যবসার সুরক্ষার জন্য অব্যাহতি বৃদ্ধি বাজারে বড় ইতিবাচক প্রভাব ফেলেনি।
মূলধনী সরঞ্জাম আমদানিতে শুল্ক অব্যাহতির একটি বড় অংশ দেওয়া হয়েছে। এ খাতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে ৯ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। এরপর ডিফেন্স স্টোরের জন্য ৫ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা অব্যাহতি পান ব্যবসায়ীরা।
২০২৩ অর্থবছরে মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে আমদানি-রপ্তানি পর্যায়ে শুল্ক আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা। আর অর্থবছর শেষে কর আদায় হয়েছে ৯২ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা।
লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় করলে এবং অব্যাহতি না দিলে এনবিআর ১৮ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা ঘাটতির সম্মুখীন হতো।
আরও পড়ুন: শুল্ক সমস্যা অমীমাংসিত রেখেই বাংলাদেশে আদানির বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
২০২৩ অর্থবছরে মূলধনী সরঞ্জাম আমদানিতে ৯ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা, ভোজ্যতেল আমদানিকারকরা ৩ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা, কাঁচামাল আমদানিকারকরা ১ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা, মোবাইল প্রস্তুতকারক ২ হাজার ২৪১ কোটি টাকা এবং ডিফেন্স স্টোর ৫ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা শুল্ক অব্যাহতি পেয়েছে।
এ ছাড়া পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি ৮২৭ কোটি টাকা, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে ৪ হাজার ৪১ কোটি টাকা, বিভিন্ন খাতে ৯ হাজার ৫০ কোটি টাকা (বিশেষ), ত্রাণ পণ্যে ৪০৫ কোটি টাকা, বিভিন্ন সময়ে ৫ হাজার ৬৭৬ কোটি টাকা শুল্ক রেয়াত হিসেবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে শুল্ক অব্যাহতির পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা। এ খাতে ২০২২ অর্থবছরে অব্যাহতির পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: ৩১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে তামাবিলসহ তিন শুল্কস্টেশন নির্মাণের উদ্যোগ
১ বছর আগে