প্রবাস স্কিম
জাতীয় পেনশন স্কিম: প্রবাসীদের আকৃষ্ট করছে না প্রবাস স্কিম
প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছ থেকে কম সাড়া পাচ্ছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ (এনপিএ)।
১ কোটি ৪৯ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশির মধ্যে মাত্র ২০৯ জন জাতীয় পেনশন স্কিমের প্রবাস স্কিমে তাদের কিস্তির টাকা জমা দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৭ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন স্কিমে প্রায় ৮ হাজার ২৩১ জন তাদের অর্থ জমা দিয়েছেন।
এর মধ্যে প্রগতি স্কিমের আওতায় ৪ হাজার ৩৭১ জন, সুরক্ষায় ২ হাজার ৭৪১ জন, সমতা স্কিমে ৯১০ জন এবং প্রবাসে ২০৯ জন তাদের চাঁদা দিয়েছেন।
পেনশন কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘অনেকেই রেজিস্ট্রেশন করছেন। কিন্তু আমরা এই রেজিস্ট্রেশন সংখ্যাকে প্রকৃত সংখ্যা হিসেবে বিবেচনা করি না। আমরা দেখছি কতজন লোক নির্দিষ্ট কর্মসূচির বিপরীতে অর্থ জমা করেছে।’
আরও পড়ুন: সমতা স্কিম: স্বল্প আয়ের ব্যক্তিরা যেভাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিম-এ রেজিস্ট্রেশন করবেন
সুরক্ষা স্কিম: স্ব-নিযুক্ত বা অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মীরা যেভাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে রেজিস্ট্রেশন করবেন
১ বছর আগে
প্রবাস স্কিম: প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেভাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে রেজিস্ট্রেশন করবেন
দেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হলো সর্বজনীন পেনশন স্ক্রিম। গত ১৩ আগস্ট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ প্রজ্ঞাপনটি জারি করে। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকালে প্রধানমন্ত্রী পেনশন প্রকল্পটির শুভ উদ্বোধন করেন। সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের আয়ের ধরন যাচাই করে তাদেরকে ৪টি ভিন্ন প্রধান ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে: বেসরকারি কর্মচারী, ব্যবসায়ী অথবা অ-প্রাতিষ্ঠানিক কর্মী, স্বল্প আয়ের ব্যক্তি এবং প্রবাসী বাংলাদেশি। আজকের নিবন্ধে এই প্রবাসী বাংলাদেশিরা কীভাবে সর্বজনীন পেনশন 'প্রবাস' স্কিম-এ নিবন্ধন করবেন- তার বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
সর্বজনীন পেনশন স্কিম ২০২৩-এর সাধারণ নিয়ম
বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশিদের গড় আয়ু বৃদ্ধির রেশ ধরে বয়স্ক নাগরিকদের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে নির্ভরশীলতার হার, যা ভবিষ্যতে আশঙ্কাজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে। অন্যদিকে, আর্থিক অস্থিরতা নেতিবাচকভাবে প্রভাব ফেলে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর উৎপাদনশীলতায়। এই তাৎপর্যবহুল বিষয় দু’টির সমাধানকল্পেই উদ্ভূত হয়েছে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩-এর।
আরও পড়ুন: কী কী থাকছে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায়
প্রকল্পের আওতাভূক্ত সর্বসাধারণের জন্য প্রযোজ্য সাধারণ নিয়মাবলী:
- জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) এর ভিত্তিতে ১৮ বছর বয়স থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত সকল বাংলাদেশি নাগরিক এই প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। পঞ্চাশোর্ধ নাগরিকরা বিশেষ বিবেচনায় স্কিমে অংশ নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে তারা শুধুমাত্র ১০ মেয়াদী স্কিমটা নিতে পারবেন। ১০ বছর চাঁদা প্রদান শেষে উপনীত বয়স থেকে তিনি আজীবন পেনশন পাবেন।
- আগ্রহীরা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নিবন্ধন করে যে কোনো একটি স্কিমে অংশ নিতে পারবেন। ইতোমধ্যে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতাভুক্তদের এই পেনশন স্কিমে অংশ নিতে হলে তাদের পূর্ববর্তী ভোগ করা সুবিধাদি বাদ দিতে হবে।
- বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিরাও এ কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন। প্রবাসীদের এনআইডি না থাকলে, পাসপোর্ট দিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন। তবে যত দ্রুত সম্ভব এনআইডি প্রস্তুত করে জমা দিতে হবে।
- কর্মসূচি শুরুর সময় থেকে প্রত্যেক চাঁদাদানকারীর জন্য একটি আলাদা পেনশন অ্যাকাউন্ট খোলা হবে।
- পেনশন চলাকালে ৭৫ বছর বয়স হওয়ার আগেই পেনশন গ্রহণকারীর মৃত্যু হতে পারে। এক্ষেত্রে তার মনোনীত উত্তরাধিকারকে বাকি সময়ের পেনশনগুলো প্রদান করা হবে।
- কমপক্ষে ১০ বছরের প্রকল্প সম্পন্ন করার আগে চাঁদাদানকারীর মৃত্যু হতে পারে। এ অবস্থায় চাঁদা হিসেবে জমা করা সমুদয় অর্থ মুনাফাসহ তার মনোনীত উত্তরাধিকারকে ফেরত দেওয়া হবে।
- পেনশনের জন্য দেওয়া চাঁদা বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হবে, তবে তা কর রেয়াতের আওতাভুক্ত হবে। অর্থাৎ, পরবর্তীতে মাসিক পেনশনের ওপর কোনো আয়কর ধার্য হবে না।
- সরকারি বিভিন্ন সেবা গ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে ধার্য করা ক্যাশআউট চার্জ শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ এই কর্মসূচির জন্যও প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ, মোবাইলের মাধ্যমে পেনশনের চাঁদা দেওয়ার সময় চাঁদাদানকারীকে প্রতি হাজারে ৭ টাকা সার্ভিস চার্জ দিতে হবে।
উল্লেখ্য, মোবাইল আর্থিক সেবার মাধ্যমে এই প্রকল্পে অভিন্ন সার্ভিস চার্জের বিষয়টি নির্ধারিত হয় ১৬ আগস্ট।
আরও পড়ুন: সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রবাস স্কিম: প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিম ২০২৩
প্রবাস স্কিম/প্যাকেজে কত টাকার কিস্তিতে মাসিক কত টাকা পেনশন পাবেন
মাসিক চাঁদার হার
৫,০০০ টাকা
৭,৫০০ টাকা
১০,০০০ টাকা
চাঁদা প্রদানের মোট সময় (বছর)
মাসিক পেনশন (টাকায়)
মাসিক পেনশন (টাকায়)
মাসিক পেনশন (টাকায়)
৪২
১,৭২,৩২৭
২,৫৮,৪৯১
৩,৪৪,৬৫৫
৪০
১,৪৬,০০১
২,১৯,০০১
২,৯২,০০২
৩৫
৯৫,৯৩৫
১,৪৩,৯০২
১,৯১,৮৭০
৩০
৬২,৩৩০
৯৩,৪৯৫
১,২৪,৬৬০
২৫
৩৯,৭৭৪
৫৯,৬৬১
৭৯,৫৪৮
২০
২৪,৬৩৪
৩৬,৯৫১
৪৯,২৬৮
১৫
১৪,৪৭২
২১,৭০৮
২৮,৯৪৪
১০
৭,৬৫১
১১,৪৭৭
১৫,৩০২
সূত্র: বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, আগস্ট ১৩, ২০২৩
আরও পড়ুন: ২০২৩-২৪ অর্থবছর থেকে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করা হবে
প্রবাসী বাংলাদেশিদের সর্বজনীন পেনশন 'প্রবাস' প্যাকেজে নিবন্ধন পদ্ধতি
প্রবাসীসহ অন্য সকল ক্যাটাগরিভুক্ত বাংলাদেশি নাগরিককে প্রথমেই যেতে হবে ইউপেনশন ওয়েবসাইটে। এরপর সরাসরি ক্লিক করতে হবে পেনশনার রেজিস্ট্রেশনে।
পরিচয় ধরন নিশ্চিতকরণ
নিবন্ধন প্রক্রিয়ার প্রথম পাতায় প্রার্থীর পরিচয়ের ধরন নিশ্চিত করতে হবে। এখানে প্রার্থীকে অবশ্যই কোনও সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা রাষ্ট্রায়ত্ত কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী হওয়া যাবে না। এই স্কিম-বহির্ভূত কোনও ধরনের সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো সুবিধা প্রাপ্ত হওয়া যাবে না। এমনকি যারা ইতোমধ্যে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় কোনো ধরনের ভাতা গ্রহণ করছেন, তারাও এই নিবন্ধন করতে পারবেন না।
এই সবগুলো ধরন যাচাই করে ‘আমি সম্মত আছি’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এখানে উল্লেখ্য যে, ভুল তথ্য দিয়ে করা আবেদন বাতিল করা হবে। এমনকি এর ভিত্তিতে পরবর্তীতে পেনশনের জন্য চাঁদা দেয়া হলে সেই অর্থ ফেরত দেওয়া হবে না।
আয়ের ক্যাটাগরি নির্বাচন
এরপরের ওয়েবপেজটি প্রার্থীর ক্যাটাগরি নির্বাচনের। প্রবাসীরা এগুলোর মধ্য থেকে প্রবাস ক্যাটাগরিটি নির্বাচন করবেন। সেই সঙ্গে তাকে ১০, ১৩ বা ১৭ অঙ্কের এনআইডি সংখ্যা এবং জন্ম তারিখ প্রবেশ করাতে হবে। মোবাইল নাম্বার এবং ই-মেইল আইডির জায়গায় সব সময় ব্যবহৃত নাম্বার ও ই-মেইল ঠিকানা দিতে হবে। কেননা এগুলোতে নিবন্ধন এবং পরবর্তীতে চাঁদা ও পেনশন সংক্রান্ত যাবতীয় বার্তা পাঠানো হবে। তথ্যগুলো সতর্কতার সঙ্গে পূরণ করে নিচের দিকে থাকা ক্যাপচা পূরণ করে পরের পাতায় চলে যেতে হবে।
এ সময় প্রার্থীর মোবাইল নাম্বারে ও ই-মেইল ঠিকানায় একটি ওটিপি (ওয়ান-টাইম-পাসওয়ার্ড) আসবে। এটি অনলাইন ফর্মে নির্দিষ্ট জায়গায় নির্ভুলভাবে সরবরাহ করার পরই পরবর্তী ধাপে যাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: সংসদে সার্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তন বিল পাস
ব্যক্তিগত তথ্যাবলী
এবার আসবে ব্যক্তিগত তথ্যের ওয়েবপেজ। এখানে এনআইডি সংখ্যা, ছবি, বাংলা ও ইংরেজিতে পুরো নাম, পিতা ও মাতার নাম, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা সবকিছু এনআইডি অনুসারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসবে।
বার্ষিক আয়ের ঘরটিতে সংখ্যা লিখে পূরণ করতে হবে। বিভাগ, জেলা ও উপজেলার নাম ড্রপডাউন লিস্ট থেকে নির্বাচন করতে হবে। পেশা বাছাইয়ের ঘরে উল্লেখিত পেশাগুলো ভেতর থেকে নিজের পেশাটি নির্বাচন করে দিতে হবে। সব তথ্য পূরণ শেষ হলে পরের ‘স্কিম তথ্য’-এর পাতায় যেতে হবে।
স্কিম তথ্য
স্কিম তথ্যের এই পাতায় মাসিক চাঁদার পরিমাণ ও চাঁদা পরিশোধের ধরন নির্ধারণ করা হবে। মাসিক, ত্রৈমাসিক ও বার্ষিক-এই তিন চাঁদা পরিশোধের ধরন থেকে প্রার্থী নিজের সুবিধাজনক অপশনটি বাছাই করতে পারবেন।
চাঁদা পরিশোধের মাধ্যম
এবার ব্যাংক তথ্যের ধাপে প্রার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম ও নাম্বার লিখতে হবে। সঞ্চয়ী অথবা চলতি থেকে প্রার্থীর নিজের হিসাবটি বাছাই করতে হবে। রাউটিং নাম্বার দেয়ার ক্ষেত্রে নাম্বারটি জানা না থাকলে পাশের ‘রাউটিং নম্বর জানা নাই’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
এ সময় ছোট্ট একটি বক্স পপআপ হবে, যেখানে ব্যাংক ও ব্যাংকের শাখার নাম চাওয়া হবে। এই তথ্যগুলো যথাযথভাবে পূরণ করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রাউটিং নম্বরটি সংযুক্ত হয়ে যাবে। এরপরের পাতাটি হচ্ছে নমিনি বা প্রার্থীর মনোনীত উত্তরাধিকারের তথ্যের পাতা।
আরও পড়ুন: সর্বজনীন পেনশন প্রকল্প বিল সংসদে পেশ
নমিনি পাতা
এখানে নমিনির এনআইডি নাম্বার ও জন্ম তারিখ দিতে হবে। তারপর নমিনি ‘যুক্ত করুন’-এ ক্লিক করলে নমিনির বিস্তারিত তথ্যের অংশটুকু উন্মুক্ত হবে। এখানে মোবাইল নাম্বার, নমিনির সঙ্গে সম্পর্ক এবং নমিনির প্রাপ্যতার হারের তথ্য দিতে হবে। চাইলে এখানে একাধিক নমিনিও যুক্ত করা যাবে। এক্ষেত্রে ‘আরও নমিনি যুক্ত করুন’-এ ক্লিক করে একই পদ্ধতিতে একাধিক নমিনি যুক্ত করতে হবে। তথ্য দেয়া সম্পন্ন হলে ‘সম্পূর্ণ ফরম’ ধাপে চলে যাওয়া যাবে।
যাবতীয় তথ্য যাচাইকরণ
নিবন্ধনের এই শেষ ধাপে আগে পূরণ করা ব্যক্তিগত, স্কিম, ব্যাংক ও নমিনি সব তথ্যগুলো দেখানো হবে। এগুলো সঠিক আছে কি না তা সতর্কতার সঙ্গে যাচাই করে তাতে সম্মতি দিলেই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এ সময় প্রার্থী সম্পূর্ণ আবেদনটি ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করতে পারবেন।
প্রবাস স্কিম বা প্যাকেজে পেনশনের চাঁদা জমা দেয়ার কিছু নিয়ম
আবেদনপত্রে দেয়া মোবাইল নাম্বার ও ই-মেইল-এ প্রার্থীর চাঁদার হার এবং মাসিক চাঁদা দেওয়ার তারিখ জানিয়ে দেয়া হবে। প্রতি কিস্তির চাঁদা জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দিতে হবে। যে কোনও বৈধ চ্যানেল ব্যবহার করে ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড দিয়ে প্রার্থী স্ব স্ব বৈদেশিক মুদ্রায় চাঁদা জমা দিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সকল নাগরিক সর্বজনীন পেনশন স্কিমে যোগ দিতে পারবে
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চাঁদা না দেয়া হলে জরিমানা মুক্ত চাঁদা দেওয়ার জন্য পরবর্তী সর্বোচ্চ এক মাস পাওয়া যাবে। এক মাস পার হয়ে গেলে পরবর্তী প্রতিদিনের জন্য ১ শতাংশ হারে জরিমানা দিয়ে অ্যাকাউন্ট সচল রাখতে হবে।
প্রবাসী ব্যক্তি দেশে ফিরে এলে টাকায় চাঁদা প্রদান করবেন। আর চাঁদার মেয়াদ শেষের পর পেনশনটাও তারা পাবেন টাকায়। এছাড়া একেবারে দেশে ফিরে এলে প্রয়োজনে স্কিমও পরিবর্তন করে ফেলতে পারবেন।
শেষাংশ
প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য এক নির্ভরযোগ্য নিরাপত্তা বেষ্টনী এই সর্বজনীন পেনশন 'প্রবাস' স্স্কিম। সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা ডিজিটালকরণ করায় নিবন্ধনসহ যাবতীয় তথ্য নথিভূক্তকরণ নিরবচ্ছিন্নভাবে সম্পন্ন করার সম্ভব হবে। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বজনীন পেনশন স্ক্রিম ২০২৩-এর সুষ্ঠু সেবা নিতে পারবেন দেশের যে কোনো নাগরিক। সেই সঙ্গে সমাধান হবে পেনশন সংক্রান্ত পূর্বের সব রকম সমস্যা। এতে কেবল একটি নির্দিষ্ট স্তরের জনগোষ্ঠীর অবস্থার উত্তোরণ হবে- তা নয়, বরং নতুন নাগরিকরাও সাগ্রহে নিজেদেরকে সংযুক্ত করবেন এই প্রকল্পের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: প্রগতি স্কিম: বেসরকারি চাকরীজীবীরা যেভাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিম-এ রেজিস্ট্রেশন করবেন
১ বছর আগে