অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মী
সুরক্ষা স্কিম: স্ব-নিযুক্ত বা অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মীরা যেভাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে রেজিস্ট্রেশন করবেন
প্রধানমন্ত্রী ১৭ আগস্ট আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মধ্য দিয়ে চূড়ান্তভাবে চালু করলেন সর্বজনীন পেনশন স্কিম-২০২৩। এই এক প্রকল্পের অধীনে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে দেশের সর্বস্তরের পেশাজীবী মানুষ। কৃষক, জেলে, কামার, কুমার, তাঁতী এবং শ্রমিকদের মতো স্ব-নিযুক্ত বা অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মীরাও বাদ যাচ্ছে না।এমনকি সুরক্ষা নামের সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র উপ-স্কিমটির মাধ্যমে এই উল্লেখযোগ্য শ্রেণিটিকে আনা হয়েছে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায়। দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা এই জনগোষ্ঠির আয়ের পরিমাণ বিবেচনা করে আলাদাভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে পেনশনের জন্য চাঁদা প্রদানের হার।এই স্ব-নিযুক্ত বা অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মজীবীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিম-এ রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি নিয়েই আজকের নিবন্ধ। তবে তার আগে চলুন, দেশের সব ধরনের আয়ের কর্মজীবীদের জন্য নির্ধারিত স্কিমের সাধারণ বিধিমালা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন: প্রগতি স্কিম: বেসরকারি চাকরীজীবীরা যেভাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিম-এ রেজিস্ট্রেশন করবেন
সর্বজনীন পেনশন স্কিম ২০২৩ সাধারণ বিধিমালা
দেশের সর্বসাধারণকে পেনশন প্রদানের লক্ষ্যে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ অনুযায়ী কিছু সাধারণ বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। এগুলো প্রতিটি ভিন্ন আয়ের পেশাজীবী মানুষের পেনশন অর্জনের পূর্বশর্ত।
- কমপক্ষে ১৮ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ বছর বয়সীরা এই স্কিম নিতে পারবেন। জাতীয় পরিচয়পত্র বা ন্যাশনাল আইডেন্টিটি কার্ড (এনআইডি) এর ভিত্তিতে এই বয়স সীমা যাচাই করা হবে।
- যাদের বয়স ৫০-এর বেশি, তারা বিশেষ বিবেচনায় শুধুমাত্র ১০ বছর মেয়াদের স্কিমটি নিতে পারবেন। টানা ১০ বছর কিস্তি অনুযায়ী চাঁদা প্রদানের সাপেক্ষে চাঁদা প্রদানের মেয়াদ উত্তীর্ণের পর থেকে তারা আজীবন পেনশন পাওয়ার জন্য উপযুক্ত হবেন।
- স্কিমে অংশগ্রহণের একমাত্র মাধ্যমে হচ্ছে অনলাইন নিবন্ধন। যারা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধা নিচ্ছেন, তারা সেই সুবিধাগুলো বাদ দেওয়ার শর্তে এই স্কিম নিতে পারবেন।
- স্কিম চালু হওয়ার সময় থেকেই প্রত্যেক নিবন্ধনকারীর নামে একটি আলাদা অ্যাকাউন্ট খোলা হবে। এখানে তার চাঁদা প্রদান, মেয়াদ ও পেনশন সংক্রান্ত যাবতীয় হিসাব লিপিবদ্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: প্রবাস স্কিম: প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেভাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে রেজিস্ট্রেশন করবেন
- পেনশন গ্রহণকালে গ্রহণকারীর মৃত্যু হতে পারে। এক্ষেত্রে তার মাসিক পেনশনগুলো তার নমিনি পাবেন। এই পেনশন প্রদান চলবে মুল পেনশন গ্রহণকারীর ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত। উদাহরণস্বরূপ, যদি পেনশন গ্রহণকারী ৭০ বছর বয়সে মারা যান, তাহলে তার নমিনি পরবর্তী ৫ বছর পর্যন্ত প্রতি মাসে পেনশন পাবেন।
- পেনশনপ্রাপ্তির লক্ষ্যে চাঁদা প্রদানের মেয়াদ চলাকালে স্কিমে নিবন্ধনকারী মৃত্যুবরণ করতে পারেন। এমতাবস্থায় তার জমাকৃত চাঁদা মুনাফাসহ প্রদান করা হবে তার নমিনিকে। উল্লেখ্য, এখানে প্রতিটি স্কিমে চাঁদা প্রদানের ন্যূনতম মেয়াদ ১০ বছর।
- স্কিমের বিপরীতে প্রদানকৃত চাঁদা নিবন্ধনকারীর নামে বিনিয়োগ হিসেবে জমা হবে। এই সেবা গ্রহণটি কর রেয়াতের অন্তর্ভূক্ত হবে। অর্থাৎ, পরবর্তীতে মাসিক পেনশন নেওয়ার সময় নিবন্ধনকারীকে অর্জিত পেনশনের ওপর কোনো আয়কর দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।
- মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি সেবা নেওয়ার সময় শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ ক্যাশআউট চার্জ এই স্কিমেরও জন্যও প্রযোজ্য হবে। সুতরাং, এমএফএস-এর মাধ্যমে চাঁদা দেওয়ার সময় চাঁদা প্রদানকারীকে সার্ভিস চার্জ বাবদ প্রতি হাজারে ৭ টাকা খরচ করতে হবে। উল্লেখ্য, অন্যান্য সরকারি সেবার মতো এই স্কিমেও এমএফএসের অভিন্ন সার্ভিস চার্জের বিধিটি প্রকাশিত হয় গত ১৬ আগস্ট।
আরও পড়ুন: সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
সুরক্ষা: স্ব-নিযুক্ত বা অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মজীবীদের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিম
কিস্তিতে কত টাকার বিনিময়ে কত টাকা পেনশন
মাসিক চাঁদার হার
১,০০০ টাকা
২,০০০ টাকা
৩,০০০ টাকা
৫,০০০ টাকা
চাঁদা প্রদানের মোট সময় (বছর)
সম্ভাব্য মাসিক পেনশন (টাকা)
৪২
৩৪,৪৬৫
৬৮,৯৩১
১,০৩,৩৯৬
১,৭২,৩২৭
৪০
২৯,২০০
৫৮,৪০০
৮৭,৬০১
১,৪৬,০০১
৩৫
১৯,১৮৭
৩৮,৩৭৪
৫৭,৫৬১
৯৫,৯৩৫
৩০
১২,৪৬৬
২৪,৯৩২
৩৭,৩৯৮
৬২,৩৩০
২৫
৭,৯৫৫
১৫,৯১০
২৩,৮৬৪
৩৯,৭৭৪
২০
৪,৯২৭
৯,৮৫৪
১৪,৭৮০
২৪,৬৩৪
১৫
২,৮৯৪
৫,৭৮৯
৮,৬৮৩
১৪,৪৭২
১০
১,৫৩০
৩,০৬০
৪,৫৯১
৭,৬৫১
সূত্র: বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, আগস্ট ১৩, ২০২৩
আরও পড়ুন: ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সকল নাগরিক সর্বজনীন পেনশন স্কিমে যোগ দিতে পারবে
স্ব-নিযুক্ত বা অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মজীবীরা যেভাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে রেজিস্ট্রেশন করবেন
প্রকৃতপক্ষে প্রতি শ্রেণী পেশার মানুষকেই স্কিম নেওয়ার জন্য ইউপেনশন ওয়েবসাইটে যেয়ে নিবন্ধন করতে হবে। সাইটের উপরে ডান দিকে পেনশনার রেজিস্ট্রেশন-এ ক্লিক করলে রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়াটি শুরু হবে। নিম্নে ধাপে ধাপে পুরো পদ্ধতিটি বিস্তারিত দেওয়া হলো:
প্রাথমিক শর্তাবলীতে সম্মতি
স্কিমে নিবন্ধনের জন্য কিছু প্রাথমিক যোগ্যতা রয়েছে, যেগুলো ইতোমধ্যে উপরের সাধারণ বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে। এই শর্তগুলোতে সম্মতি দেওয়া ব্যতীত নিবন্ধন শুরু করা যাবে না।
- স্বায়ত্তশাসিত বা রাষ্ট্রায়ত্ত্ব, সরকারি বা আধা-সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বা কর্মচারী হওয়া যাবে না।
- স্বায়ত্তশাসিত কিংবা সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো ধরনের সুবিধা প্রাপ্ত হওয়া যাবে না।
- সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি থেকে কোনো ধরনের সুবিধা প্রাপ্ত হওয়া যাবে না।
শর্তগুলোর নিচে ‘আমি সম্মত আছি’ বাটনে ক্লিক করলে পরের পাতায় যাওয়া যাবে। ভুল তথ্য দিয়ে নিবন্ধন করলে পুরো আবেদনটি বাতিল করা হবে। চাঁদা প্রদানের মেয়াদ চলাকালে নিবন্ধনকারীর সরবরাহকৃত তথ্যে কোনো ভুল পাওয়া গেলে, চাঁদা হিসেবে জমা করা অর্থ ফেরত দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: কী কী থাকছে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায়
পেশা বা কর্মের শ্রেণি বাছাই
এই ওয়েবপেজে উল্লেখিত ক্যাটাগরিগুলো থেকে স্ব-কর্ম বা অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মী নির্বাচন করতে হবে। এরপর পরিচয় যাচাইয়ের পালা, যেখানে ১০, ১৩ বা ১৭ অঙ্কের এনআইডি সংখ্যা এবং জন্ম তারিখ প্রবেশ করাতে হবে। যোগাযোগের তথ্যের জন্য দিতে হবে মোবাইল নাম্বার এবং ই-মেইল আইডি।
সঙ্গে সঙ্গেই যাচাইয়ের জন্য সরবরাহকৃত মোবাইল নাম্বার ও ই-মেইল ঠিকানায় একটি ওটিপি(ওয়ান-টাইম-পাসওয়ার্ড) চলে যাবে। এটি ওয়েবপেজের নির্ধারিত শূন্যস্থানে সঠিকভাবে বসাতে হবে। এরপর নিচের দিকে থাকা ক্যাপচাটি নির্ভূলভাবে পূরণ করলেই এই সেকশনের কাজ শেষ।
ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান
পূর্বে এনআইডি সংখ্যা দেওয়ার কারণে এই অংশে প্রার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট হয়ে যাবে। অর্থাৎ এনআইডি সংখ্যা, ছবি, বাংলা ও ইংরেজিতে প্রার্থীর সম্পূর্ণ নাম, তার পিতা ও মাতার নাম, এবং স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানার তথ্যগুলো পূরণ করা থাকবে। তবে জেলা-উপজেলা ও বিভাগের নামগুলো ড্রপডাউন লিস্ট থেকে বেছে সিলেক্ট করতে হবে।
পেশার তথ্য সরবরাহ
পেশার সেকশনে বিভিন্ন পেশার মাঝে স্ব-নিযুক্ত বা অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মীরা নিজের দক্ষতাটি সঠিক ভাবে বাছাই করে দিবেন। অতঃপর বার্ষিক আয়ের জায়গাতে উপার্জনের তথ্যটি সংখ্যায় টাইপ করে লিখতে হবে।
আরও পড়ুন: ২০২৩-২৪ অর্থবছর থেকে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করা হবে
স্কিমের চাঁদা নির্ধারণ
এই অংশে চাঁদার কিস্তি ও পরিমাণের কথা উল্লেখ করতে হবে। মাসিক, ত্রৈমাসিক ও বার্ষিকের মত তিনটি ভিন্ন উপায়ের মধ্য থেকে যে কোনো একটি প্রার্থী নিজের সুবিধা মত বেছে নিবেন।
চাঁদা পরিশোধের মাধ্যম
এখানে দিতে হবে ব্যাংকের যাবতীয় তথ্য। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হোল্ডারে যার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে চাঁদা পরিশোধ করা হবে, তার নাম ও অ্যাকাউন্ট নাম্বার দিতে হবে। সেই অ্যাকাউন্টটি সঞ্চয়ী নাকি চলতি, তা উল্লেখ করে দিতে হবে। তারপর ব্যাংকের রাউটিং নাম্বারের জায়গায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ৯ অঙ্কের রাউটিং নাম্বারটি প্রবেশ করাতে হবে।
এই ব্যাপারে সঠিক ধারণা না থাকলে পাশের ‘রাউটিং নম্বর জানা নাই’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এতে করে ছোট্ট একটি বক্স প্রদর্শিত হবে, যেখানে ব্যাংক ও তার শাখার নাম জানতে চাওয়া হবে। উপরে যে অ্যাকাউন্ট নাম্বারটি দেওয়া হয়েছে সেটি যে ব্যাংকে খোলা হয়েছিলো তার ও তার শাখার নাম এখানে দিতে হবে। শাখাটি প্রার্থীর কাছাকাছি যে উক্ত ব্যাংকের যে কোনো শাখা হলেও চলবে। তথ্যগুলো নির্ভূল ভাবে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাউটিং নাম্বারটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট হয়ে যাবে।
এক বা একাধিক নমিনির তথ্য প্রদান
এবার নমিনির তথ্য দেওয়ার পালা। এখানে নমিনির এনআইডি সংখ্যা ও জন্ম তারিখ দেওয়ার পর নিচের ‘নমিনি যুক্ত করুন’ বাটনে ক্লিক করে বাকি অংশ উন্মুক্ত করতে হবে। এখানে থাকবে নমিনির মোবাইল নাম্বার, প্রার্থীর সঙ্গে তার কি সম্পর্ক, এবং প্রার্থীর অংশের কতটুকু তাকে দেওয়া হবে তা। নমিনি শুধু একজন হলে প্রার্থীর নামে থাকা সব অর্থই তিনি পাবেন।
একাধিক নমিনির জন্য ‘আরও নমিনি যুক্ত করুন’ বাটনে ক্লিক করে প্রত্যেকের জন্য পৃথক পৃথক প্রাপ্যতার অংশ উল্লেখ করে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: সর্বজনীন পেনশন প্রকল্প বিল সংসদে পেশ
তথ্য যাচাই
সব শেষে পেছনের সবগুলো তথ্য এক নজরে প্রদর্শিত হবে। এগুলো সব ঠিক আছে কিনা তা ভালভাবে যাচাই করতে হবে এবং এটিই নিবন্ধনের শেষ ধাপ। অনলাইনে সফল ভাবে জমাকৃত আবেদনটি প্রয়োজনে ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করে রাখা যাবে।
সুরক্ষা স্কিমে পেনশনের চাঁদা জমা করার উপায়
অনলাইন পোর্টালে আবেদনের সময় যে মোবাইল নাম্বার ও ই-মেইল ঠিকানা দেওয়া হয়েছিলো, সেখানে নিবন্ধনকারীর চাঁদা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানানো হবে। প্রতি কিস্তির টাকা জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বরাবর নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পাঠাতে হবে। কোনো কারণবশত এই সময়ের মধ্যে নিবন্ধনকারী চাঁদা দিতে অপারগ হলে, পরবর্তী সর্বোচ্চ এক মাসের মধ্যে তিনি কোনো জরিমানা ছাড়া চাঁদা দিতে পারবেন। কিন্তু এই সময় পার হয়ে গেলে, পরবর্তী প্রতিটি দিনের জন্য তাকে ১ শতাংশ হারে জরিমানা দিতে হবে। এছাড়া তিনি তার স্কিম অ্যাকাউন্টটি সচল রাখতে পারবেন না।
শেষাংশ
দেশের স্ব-নিযুক্ত বা অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মীরা এভাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিম-এ রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যত স্বনির্ভর করে তুলতে পারেন। তথাকথিত সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বাইরে থেকেও এই বিশাল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠি অংশ নিচ্ছে দেশের সমৃদ্ধিতে। অর্থনীতির এই তাৎপর্যপূর্ণ ভিত্তিটিকে মজবুত করতেই সরকারে এই সুরক্ষা স্কিম। সুরক্ষার অভিভাবকত্বে কোন প্রতিষ্ঠান বা সংঘের অধীনে না থাকা এই কর্মজীবীদের বার্ধক্যকালীন নির্ভরযোগ্যতায় স্থিরতা দিতে পারে। সেই সঙ্গে হতে পারে নিকট ভবিষ্যতে বৃহৎ পরিসরে দেশের উন্নয়নের নিশ্চায়ক।
আরও পড়ুন: ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সকল নাগরিক সর্বজনীন পেনশন স্কিমে যোগ দিতে পারবে
১ বছর আগে