দুর্ভোগে
খানাখন্দে ভর্তি সিলেট-জকিগঞ্জ-বিয়ানীবাজার সড়ক, দুর্ভোগে ১৫ লাখ মানুষ
সিলেটের পাঁচ উপজেলার মানুষের প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম সিলেট-গোলাপগঞ্জ-জকিগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার সড়ক। এ সড়ক দিয়ে ১৫ লাখ মানুষ চলাচল করেন। পাশাপাশি সুতারকান্দি (শেওলা) স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানির বিভিন্ন পণ্য পরিবহন করা হয় এ সড়ক দিয়ে। কিন্তু এই এলাকায় ছোট-বড় গর্তের কারণে ভয়ঙ্কর সড়কে পরিণত হয়েছে। আর সেই কারণে হেলেদুলে চলছে যানবাহন।
কখনো কখনো এসব গর্তে মালবাহী গাড়ি আটকা পড়ে দীর্ঘ যানজটে নাকাল হন যাত্রীরা। দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে এ অবস্থা চলতে থাকলেও সড়কটি সংস্কার না করায় সীমাহীন দুর্ভোগ নিয়ে পাঁচটি উপজেলার প্রায় ১৫ লাখ মানুষকে চলাচল করতে হয়।
জানা গেছে, সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, জকিগঞ্জ, কানাইঘাট ও মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার লাখ লাখ মানুষের যাতায়াতের জন্য সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে কচুরিপানায় নৌ চলাচল ব্যাহত: সীমাহীন দুর্ভোগে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা
দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সংস্কারের অভাবে পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ধীরগতিতে যান চলাচলের কারণে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগছে দ্বিগুণ।
দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সড়কের এমন দশা থাকলেও কর্তৃপক্ষকে সড়কটি মেরামত করতে উদ্যোগী হতে দেখা যায়নি। যে কারণে সাধারণ লোকজনের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
চারখাই এলাকার বারইগ্রামের বাসিন্দা জাহিদ আহমদ বলেন, এই সড়ক দিয়ে স্কুল ও কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী ও নানা শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষ শহরে আসা-যাওয়া করেন। শহরে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা সড়কে যাতায়াত করতে মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হন।
বিয়ানীবাজার চেম্বার অব কমার্সের সহসভাপতি এনাম উদ্দিন বলেন, এটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এই সড়ক দিয়ে পাঁচ থানার মানুষ যাতায়াত করেন। কিন্তু সংস্কারের অভাবে সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগ নিয়ে যাতায়াত করতে হয়।
বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব বলেন, আমি এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জোর দাবি জানাচ্ছি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে যেন সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সড়কের এই অংশের কার্পেটিং উঠে কিছু গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। একই অবস্থা বিয়ানীবাজার-চন্দরপুর-সিলেট, বিয়ানীবাজার-কালিজুরি-সিলেট সড়কেও।
এলজিইডির তত্বাবধানে থাকা এই রাস্তা দুটি বিভাগীয় শহরের সঙ্গে বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করেন এ অঞ্চলের মানুষ। কিন্তু গত কয়েক বছর থেকে রাস্তাগুলোও বিপজ্জনক হয়ে ওঠেছে।
আরও পড়ুন: ডুমুরিয়ায় এক বছরেও শেষ হয়নি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ, দুর্ভোগে মানুষ
সুনামগঞ্জে ২ দিনের বাস ধর্মঘটে দুর্ভোগে যাত্রীরা
১ বছর আগে