পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন
নির্বাচনের ঠিক আগে ট্রেনে আগুন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্তের চূড়ান্ত অভিপ্রায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ট্রেনে আগুন দেয়ার মতো জঘন্য অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করতে তারা কোনো প্রচেষ্টা ছাড়বেন না।
আজ এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনা হবে এবং অপরাধীকে দেশের আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হবে।’
মোমেন বলেন, জনগণের মধ্যে ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টির এই নির্লজ্জ প্রচেষ্টা গণতন্ত্রের চেতনা ও আসন্ন নির্বাচনে বাংলাদেশি নাগরিকদের উৎসাহী অংশগ্রহণের অপমানস্বরূপ।
তিনি বলেন, ‘এই যে ট্রেনে আগুন দেওয়ার কাজ, ভেতরে মানুষ জ্বলছে- সহিংসতার এই ধরণ আমরা আগেও দেখেছি। যা আমাদের সমগ্র সমাজের বিবেককে, অবশ্যই সমগ্র বিশ্বকে হতবাক করেছে।’
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট সেবায় ‘কল সেন্টার’ উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মোমেন বলেন, বাংলাদেশের জনগণ যখন উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহে প্রস্তুতি নিচ্ছে, ৫ জানুয়ারি (শুক্রবার) রাতে দুর্বৃত্তরা ইচ্ছাকৃতভাবে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, ট্রেনটি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের দিকে যাওয়ার সময় রাত ৯টার দিকে গোপীবাগ কাঁচা বাজার এলাকায় সংঘটিত এই পরিকল্পিত ও জঘন্য ঘটনার ফলে ২ শিশুসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
মোমেন বলেন, ‘বিদ্বেষপূর্ণ উদ্দেশ্য নিয়ে পরিকল্পিত এই নিন্দনীয় ঘটনা নিঃসন্দেহে আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের কেন্দ্রে আঘাত করেছে।’
তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনের ঠিক একদিন আগে এই ঘটনাটি দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উৎসব, সুরক্ষা ও নিরাপত্তাকে বাধাগ্রস্ত করার চূড়ান্ত অভিপ্রায়।’
মোমেন বলেন, এটি গণতন্ত্রের অপমান, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ওপর আক্রমণ এবং নাগরিক অধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘন।
আরও পড়ুন: অধ্যাপক ডা. স্বপ্নীলের মায়ের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
৯ মাস আগে
পারমাণবিক অস্ত্র সম্পূর্ণ নির্মূলে বৈশ্বিক অঙ্গীকার আরও জোরদারের আহ্বান মোমেনের
পারমাণবিক অস্ত্র সাধারণ ও সম্পূর্ণ নির্মূলের মাধ্যমে একটি নিরাপদ বিশ্ব নিশ্চিতকরণে অধিকতর আন্তর্জাতিক সংহতির আহ্বান জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) পারমাণবিক অস্ত্র সম্পূর্ণ নির্মূল বিষয়ক আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আয়োজিত এক উচ্চ পর্যায়ের সভায় এমন আহ্বান জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীতে যতদিন পরমাণু অস্ত্র থাকবে, ততদিন আমরা কেউ নিরাপদ নই। কারণ, পারমানবিক অস্ত্র সারা বিশ্বে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তে মৃত্যু ও ধ্বংস ঘটায়। কেবলমাত্র পারমাণবিক অস্ত্রের সম্পূর্ণ নির্মূলই মানব জাতির এই হুমকির বিরুদ্ধে সুনিশ্চিত সমাধান।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর, কিন্তু কিছু গোষ্ঠী তিক্ততা সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মোমেন
ড. মোমেন বিশ্বব্যপী পারমাণবিক অস্ত্রের সাধারণ ও সম্পূর্ণ নির্মূল এবং পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তির (ট্রিটি অন প্রহিবিশন অব নিউক্লিয়ার ওয়েপনস) বাস্তবায়নের প্রতি বাংলাদেশের সুদৃঢ় অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি এই চুক্তির সদস্য রাষ্ট্রসমূহের প্রথম বৈঠক, এতে গৃহীত রাজনৈতিক ঘোষণাপত্র ও ৫০-দফা কর্মপরিকল্পনাকে স্বাগত জানান এবং পারমাণবিক অস্ত্রধারি রাষ্ট্র ও নিউক্লিয়ার আমব্রেলা রাষ্ট্রসহ সকল রাষ্ট্র কর্তৃক পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
প্রদত্ত বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ঝুঁকির কথাও তুলে ধরেন। তা উদ্দেশ্যমূলক হোক বা দুর্ঘটনাজনিত হোক।
তিনি বলেন, এই বিধ্বংসী অস্ত্রগুলো পরিচালনা করার বহুমুখী চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান।
তিনি পরমাণু অস্ত্রধারী দেশগুলোকে সন্ত্রাসবাদী বা অন্য অননুমোদিত অপশক্তির হাতে পারমাণবিক অস্ত্র পড়ার ঝুঁকি এড়াতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ই-কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশনের উদ্বোধন করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পারমাণবিক প্রযুক্তির গবেষণায় অধিকতর বিনিয়োগ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং মানবজাতির স্বার্থে এর শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের সম্ভাবনা অন্বেষণের আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি পারমাণবিক অস্ত্রের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বন্ধ করে সেই অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা, টেকসই উন্নয়ন, শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রকল্পে ব্যবহারের আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী শান্তির সংস্কৃতি লালন, পরমাণুমুক্ত বিশ্বের জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা এবং নিরস্ত্রীকরণ আলোচনা পুনরায় শুরু করার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, সভাটিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের উপ রাষ্ট্রপ্রধান, মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূত ও অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভুল তথ্য-অপপ্রচার মোকাবিলা করতে প্রবাসীদের প্রতি মোমেনের আহ্বান
১ বছর আগে
ই-কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশনের উদ্বোধন করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের একটি সাইড ইভেন্টে ‘ই-কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশন’ উদ্বোধন করেন।
‘ই-কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশনের’ মাধ্যমে ‘ডিজিটাল বৈষম্যমুক্ত বিশ্বের রূপকল্প’ শীর্ষক সাইড ইভেন্টটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও এটুআইয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হয়।
গাম্বিয়া, উগান্ডা, ঘানা, সোমালিয়া, সাঁউ তুমি ও প্রিন্সিপির মন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, জাতিসংঘ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এবং এটুআইয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ই-কোয়ালিটি সেন্টারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে সাউথ-সাউথ সহযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিগত বিভাজন দূর করা।
বাংলাদেশ সরকারের প্রতিষ্ঠিত এই সেন্টারটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার, গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিশ্বের দেশগুলোর মাঝে প্রযুক্তিগত পার্থক্য দূরীকরণে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
আরও পড়ুন: মোমেনের সঙ্গে সিটিবিটিও নির্বাহী সচিবের বৈঠক অনুষ্ঠিত
এর উদ্দেশ্য হচ্ছে বৈশ্বিক প্রযুক্তি হস্তান্তর, গবেষণা এবং অর্থনৈতিক সহায়তার মাধ্যমে সমতামূলক ডিজিটাল ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে বাংলাদেশের ডিজিটাল ব্যবস্থার উন্নয়ন, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের যাত্রার বিষয়টি তুলে ধরেন।
উন্নয়নশীল দেশে প্রযুক্তি হস্তান্তরের প্রয়োজনীয়তা, দেশসমূহের মধ্যে সহযোগিতা, সমাজের সকল স্তরের মানুষের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা এবং ডিজিটাল বৈষম্য দূরীকরণের উপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইসিটি এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি অনুবিভাগের মাধ্যমে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিশ্চিতকরণ ও প্রয়োজনীয় উদ্ভাবনমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে যার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল ভিশন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
সুদৃঢ় অংশীদারত্ব, বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তি আত্মীকরণের মাধ্যমে ই-কোয়ালিটি সেন্টার ডিজিটাল বিভাজনমুক্ত মানবজাতি সৃজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে ই-কোয়ালিটি সেন্টারের কারিগরি ও ব্যবহারিক নানা দিক উপস্থাপন করা হয়।
উপস্থিত বিভিন্ন দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিগণ এই উদ্যোগের ব্যাপারে তাদের মতামত উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে কোনো টানাপোড়েন নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
তারা প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তিমূলক বন্টন, উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশসমূহের মধ্যে পারস্পারিক সহযোগিতা এবং নতুন ডিজিটাল বাস্তবতার চ্যালেঞ্জসমূহের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এ লক্ষ্যে ই-কোয়ালিটি সেন্টার কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এই অনুষ্ঠানে ইন্টারন্যাশনাল আইসিটি ইনোভেশন ফ্যাসিলিটির বিজয়ী প্রকল্পসমূহকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পুরস্কার বিতরণ করেন।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন।
জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের অংশগ্রহণে আরও একটি অনলাইন সেশন আয়োজন করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইসিটি এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মুনতাসির মামুন এবং অন্যান্য কর্মকর্তাগণ সেশনটিতে অংশগ্রহণ করেন।
দেশ ও বিদেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্যদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সাইড ইভেন্ট এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সাফল্যের সঙ্গে সমাপ্ত হয়।
আরও পড়ুন: ভুল তথ্য-অপপ্রচার মোকাবিলা করতে প্রবাসীদের প্রতি মোমেনের আহ্বান
১ বছর আগে
মোমেনের সঙ্গে সিটিবিটিও নির্বাহী সচিবের বৈঠক অনুষ্ঠিত
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির একটি মৌলিক দিক হলো সাধারণ ও সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণের প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য হওয়ার পর থেকে জাতিসংঘের নিরস্ত্রীকরণ কূটনীতিতে ধারাবাহিকভাবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে।
শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি ইউএনজিএ ভবনে সিটিবিটিও (কমপ্রিহেনসিভ নিউক্লিয়ার টেস্ট-ব্যান ট্রিটি অর্গানাইজেশন) লিয়াজোঁ অফিসে ৭৮তম ইউএনজিএ অধিবেশনের সাইডলাইনে সিটিবিটিও নির্বাহী সচিব ড. রবার্ট ফ্লয়েডের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: মোমেনের সঙ্গে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত
সিটিবিটিও'র নির্বাহী সচিব এখনো সিটিবিটি সই না করা অন্যান্য দেশকে চুক্তিতে সম্মত হতে উৎসাহিত করতে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।
দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ২০০০ সালে সিটিবিটি সই ও অনুমোদন করে।
আরও পড়ুন: মোমেনের সঙ্গে নেদারল্যান্ডের বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রীর বৈঠক
এসিডি’র পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে বৈশ্বিক পদক্ষেপের আহ্বান মোমেনের
১ বছর আগে
মোমেনের সঙ্গে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বৈদেশিক নীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ও মন্ত্রী তায়ে আতস্কে-সেলাসি।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন নিউইয়র্কে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তারা দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
ড. মোমেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার দূরদর্শীতায় বাংলাদেশ কৃষি উৎপাদনে বিপ্লব ঘটিয়ে খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: সবার সহযোগিতা ছাড়া সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিতে পারবে না সরকার: মোমেন
এ বিষয়ে তিনি ইথিওপিয়ায় কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে, কৃষিতে বাংলাদেশের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে উভয় দেশ লাভবান হতে পারে বলে অভিমত দেন।
ইথিওপিয়ার মন্ত্রী বাংলাদেশের অসাধারণ অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও গভীর করতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, শুধু কৃষি ক্ষেত্রে নয়- গার্মেন্টস, ফার্মাসিউটিক্যাল, তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি সাধন করেছে। বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ বিপুল জনশক্তি রয়েছে, যা ইথিওপিয়া কাজে লাগাতে পারে।
আরও পড়ুন: এসিডি’র পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে বৈশ্বিক পদক্ষেপের আহ্বান মোমেনের
প্রতিবেশি দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে বিনিয়োগ রিটার্ন সবচেয়ে বেশি উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশে ইথিওপিয়ার বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ইথিওপিয়ার সহযোগিতা চান। তিনি ইথিওপিয়ার সঙ্গে সরাসরি বিমান চালুর প্রস্তাব করেন।
ইথিওপিয়ার মন্ত্রী এসব বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে বলে জানান।
আরও পড়ুন: মোমেনের সঙ্গে নেদারল্যান্ডের বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রীর বৈঠক
১ বছর আগে
এসিডি’র পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে বৈশ্বিক পদক্ষেপের আহ্বান মোমেনের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন চলমান রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে এবং এই মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ ভবনে অনুষ্ঠিত ১৮তম এশিয়া কো-অপারেশন ডায়লগের (এসিডি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৈঠকে ড. মোমেন বলেন, মিয়ানমারের প্রায় ১২ লাখ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছে।
তারা যাতে দ্রুত নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে সেজন্য সমাধান খুঁজে বের করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: এসডিজি বাস্তবায়নে বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব জোরদার করুন: এসডিজি শীর্ষ সম্মেলনে মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, রোহিঙ্গারা যদি তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে না পারে, যদি তাদের নিজ দেশে স্বাভাবিক জীবনযাপনের সুযোগ দেওয়া না হয়, তাহলে এই বিপুল জনগোষ্ঠী এশিয়াসহ অন্যান্য অঞ্চলেও নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকিতে পরিণত হতে পারে।
রোহিঙ্গা সঙ্কটের ইস্যু আলোচ্যসূচির শীর্ষে রাখতেও তিনি বৈঠকে অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, এসিডির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্তিমূলক আঞ্চলিক উন্নয়ন এবং এশীয় দেশগুলোর ঐক্যকে আরও শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি এসিডি’র পৃষ্ঠপোষকতায় মানবসম্পদ উন্নয়নে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণের প্রস্তাব করেন, যাতে এশিয়ার বিশাল মানবসম্পদকে এই অঞ্চলের উন্নয়ন চাহিদা মেটাতে কাজে লাগানো যায়।
আরও পড়ুন: মোমেনের সঙ্গে সিয়েরা লিওনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীরে আগ্রহ প্রকাশ
ড. মোমেন বিশ্বের ক্রমবর্ধমান ও জটিল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর বহুপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক আঞ্চলিক উন্নয়ন এবং এশীয় ঐক্যকে শক্তিশালী করার জন্য এসিডির মিশনের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে খাদ্য, পানি, জ্বালানি এবং স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের আগ্রহের কথা জানান।
বৈঠকে এসিডি’র সেক্রেটারি জেনারেল, বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ এসিডি সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মোমেনের সঙ্গে নেদারল্যান্ডের বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রীর বৈঠক
১ বছর আগে
মোমেনের সঙ্গে ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী শার্লি আয়োরকার বচওয়ে দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের এক পার্শ্ব বৈঠকে তারা আগামীতে দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে শার্লি আয়োরকার বচওয়ে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি পুষিয়ে নিতে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে একটি একক সিদ্ধান্ত নিতে এবং আগামী জলবায়ু সম্মেলনে তা তুলে ধরার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: এসডিজি বাস্তবায়নে বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব জোরদার করুন: এসডিজি শীর্ষ সম্মেলনে মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামে বাংলাদেশের নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকা এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি পূরণের লক্ষে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং ‘লস এন্ড ড্যামেজ ফান্ড’ চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নয়নের কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বাংলাদেশে বিনিয়োগের আকর্ষণীয় সুযোগ গ্রহণ করতে বিশেষ করে ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
ঘানাতে বাংলাদেশ মিশন স্থাপন অথবা অনারারি কনসাল জেনারেল নিয়োগের অনুরোধ জানান ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. মোমেন ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
আরও পড়ুন: ‘বন্ধু পরামর্শ দিতে পারে’: মোমেন
গায়ানার পক্ষে আইসিজে রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ: মোমেন
১ বছর আগে
‘উন্নয়ন ও গণতন্ত্র রক্ষার গুরুত্ব বিষয়ে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছি’: মোমেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট কাউন্সেলরের সাক্ষাৎ
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের ফাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের কাউন্সেলর ডেরেক শোলে।
সাক্ষাতের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (পূর্বে টুইটার) বলেন, ‘আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষার গুরুত্ব বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছি।’
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ সফরের আগে ডেরেক শোলে বলেছিলেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের 'বিশাল সম্ভাবনা' দেখছে এবং তা বাড়ানোর আরও সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: আজরা জেয়া
এসডিজি বাস্তবায়নে বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব জোরদার করুন: এসডিজি শীর্ষ সম্মেলনে মোমেন
১ বছর আগে
আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান মোমেনের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশ ও আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে অনাবিষ্কৃত বাণিজ্য সুযোগ কাজে লাগানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম বাংলাদেশ ২০২৩-এ আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।
মোমেন আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে বিশেষ করে ফার্মাসিউটিক্যালস, টেক্সটাইল, জ্বালানি, নীল অর্থনীতি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির (আইসিটি) মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোর সঙ্গে শক্তিশালী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় বাংলাদেশের দূরদর্শী 'লুক আফ্রিকা' নীতির ওপরও আলোকপাত করা হয়, যা আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে কৌশলগত অঙ্গীকারের প্রতিনিধিত্ব করে।
আরও পড়ুন: লিবিয়ার বন্যার্তদের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে আজ
এতে বাণিজ্য ও অর্থনীতি, শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি ও আইসিটি, বিমান ও সামুদ্রিক সংযোগ, স্বাস্থ্যসেবা, চুক্তিভিত্তিক চাষ, জনগণ থেকে জনগণের মধ্যে যোগাযোগ এবং কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা মওকুফসহ সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র তুলে ধরা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশগুলোর একটি।
ভিশন ২০৪১ অর্জন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর ওপর বাংলাদেশের গুরুত্ব তার উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের গতিপথের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, আফ্রিকার নতুন বাজারগুলো বাংলাদেশি উদ্যোগের জন্য দরজা খুলে দিয়েছে, যা রপ্তানি গন্তব্যে বৈচিত্র্য এনেছে।
আরও পড়ুন: দৃঢ় রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতিসহ বাংলাদেশের উত্তরণ আনন্দের উপলক্ষ হবে: ওইসিডি
মোমেন বলেন, চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ ও আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার সম্ভাবনা আশাব্যঞ্জক।
তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারির শুরুতে অনুষ্ঠিতব্য আমাদের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আফ্রিকার দেশগুলোর যেকোনো নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাবে বাংলাদেশ।
আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশের মন্ত্রী, উচ্চ পর্যায়ের সরকারি প্রতিনিধি এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এই সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের সঠিক পথ বেছে নিলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল: ড্যান নেগ্রিয়া
১ বছর আগে
খাদ্য, জ্বালানি ও রোহিঙ্গা ইস্যুর মতো বিষয়ে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভের সঙ্গে আলোচনা করবে ঢাকা
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের নির্ধারিত ৭ সেপ্টেম্বরের বাংলাদেশ সফরে উভয় দেশ খাদ্য, সার, জ্বালানি ও রোহিঙ্গা সংকটের মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘ইউক্রেন সংকটের পর থেকে সারা বিশ্বে যে জটিল পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করব। আমাদের যে সমস্যাগুলো আছে তা আমরা তুলে ধরব।’
রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেন ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য রাশিয়াকে অনুরোধ করতে পারে।
মঙ্গলবার ঢাকায় রুশ দূতাবাস জানিয়েছে, উভয় দেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করবে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে মতবিনিময় করবে।
আরও পড়ুন: রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভের সঙ্গে মোমেনের বৈঠক ৭ সেপ্টেম্বর
এর আগে গত বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সময় ধরে দায়িত্ব পালন করা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভের সফরকালে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা ইস্যু উত্থাপন করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি যেদিন এখানে আসবেন সেদিন আমাদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। আমাদের অনেক দ্বিপক্ষীয় বিষয় আলোচনা করার আছে। আমাদের রোহিঙ্গা ইস্যুও আছে।’
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন বলে জানান তিনি।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর শেষে ৯-১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন।
মূলত ২৪ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত আইওআরএ (ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশন) কাউন্সিলের ২২তম মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে ল্যাভরভের গত বছরের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সফরটি বাতিল করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও ইইউ’র সঙ্গে সংযুক্ত নয়: রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ টেলিফোনে কথা বলেন ও উভয় দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন এবং এই সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
টেলিফোনে আলাপকালে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সময় জটিলতার কারণে ঢাকায় আসতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং শিগগিরই সফরের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুসারে, মোমেন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সহযোগিতার জন্য রাশিয়াকে ধন্যবাদ জানান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
আরও পড়ুন: পুতিন-শি জিনপিং বৈঠক, বিচ্ছিন্ন রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য রাজনৈতিক উৎসাহ
১ বছর আগে