সহযোগি
পোশাক শিল্পের রপ্তানি-আমদানিতে কাস্টমস হাউজের সহযোগিতার আহ্বান বিজিএমইএর
পোশাক শিল্পের কাস্টমস সংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধানে সহযোগিতা করতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিজিএমইএ।
বুধবার (১৫ মে) কাস্টমস হাউজ চট্টগ্রাম কার্যালয়ে এর কমিশনার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি এস এম মান্নানের নেতৃত্বে বিজিএমইএর একটি প্রতিনিধিদল।
বৈঠকে আমদানিকৃত ওভেন ফেব্রিক্সের চালান ছাড়করণে ও রপ্তানির জন্য প্রস্তুত পণ্য চালান জাহাজীকরণে ওজন নিয়ে সমস্যা, ডকুমেন্টেশন সমস্যা এবং আমদানিকৃত পণ্য চালান খালাসকালে এইচএস কোড সংক্রান্ত জটিলতাসহ কাস্টমস সম্পর্কিত পরিষেবাগুলোতে বিদ্যমান জটিলতা এবং চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: বিজিএমইএ সভাপতির মা মারা গেছেন
পোশাক শিল্পের সার্বিক কার্যক্রম নিরবিচ্ছিন্নভাবে ও মসৃণভাবে পরিচালনা করার জন্য কাস্টমস সংক্রান্ত পরিষেবাগুলো আরও দ্রুততর এবং সহজতর করা, আমদানিকৃত কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি দ্রুত খালাসসহ ব্যবসায়িক প্রক্রিয়াগুলো সহজীকরণের ওপর জোর দেন বিজিএমইএ সভাপতি।
তিনি বলেন, পোশাক শিল্পের রপ্তানি-আমদানি কার্যক্রমে কাস্টমসে যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয় সেগুলো মোকাবিলা করতে গিয়ে শিল্পের উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। যার ফলে ব্যবসায়িক প্রক্রিয়াগুলোতেও অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব হয়।
তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার এ সময়ে বিশ্বব্যাপী পোশাকের চাহিদা ও ব্যয় কমলেও শিল্পের উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে। এ অবস্থায় বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে কাস্টমস প্রক্রিয়াগুলোকে সহজীকরণ, দ্রুততর ও হয়রানিমুক্ত করতে হবে।
বৈশ্বিক ফ্যাশন বাজারে প্রতিযোগিতামূলক থাকার জন্য লিড টাইম কমানোর ওপর গুরুত্ব প্রদান করেন বিজিএমইএ সভাপতি।
এস এম মান্নান বলেন, বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতামূলক থাকার জন্য ও শিল্পে টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে এ খাতে সরকারের নীতি সহায়তা প্রদান অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
রপ্তানির নামে অর্থ পাচারের নিন্দা করে তিনি বলেন, বিজিএমইএ কখনোই এ ধরনের কাজ সমর্থন করে না। যারা দেশের অর্থনীতি নিয়ে ছিনিমিনি খেলে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
যারা রপ্তানি বাধাগ্রস্ত করে এবং রপ্তানিকারকদের হয়রানি করে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে কাস্টমস হাউজ চট্টগ্রামের কমিশনারকে আহ্বান জানান বিজিএমইএ সভাপতি।
পোশাকখাতের সুবিধার্থে অনতিবিলম্বে কাস্টমস সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করে কাস্টমস পরিষেবাগুলোকে আরও সহজীকরণ, দ্রুততর ও হয়রানিমুক্ত করার জন্য কাস্টমস হাউজ চট্টগ্রামকে আহ্বান জানান বিজিএমইএ প্রতিনিধিরা।
এ সময় কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান বলেন, পোশাক শিল্পের টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য কাস্টমস হাউজ চট্টগ্রাম একটি অনুকূল ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য একনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলের সুপারিশগুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে বলে জানান তিনি।
বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলে ছিলেন- প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহসভাপতি (অর্থ) মো. নাসির উদ্দিন, সহসভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব, সহসভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী এবং বিজিএমইএর পরিচালক এম. আহসানুল হক, মোহাম্মদ মুসা, গাজী মো. শহীদউল্লাহ্, শোভন ইসলাম, হারুন অর রশিদ, মোহাম্মদ সোহেল সাদাত, মো. আশিকুর রহমান (তুহিন), শামস্ মাহমুদ, মো. মহিউদ্দিন রুবেল, মো. নুরুল ইসলাম, বিজিএমইএর প্রাক্তন প্রথম সহসভাপতি এস.এম. আবু তৈয়ব, নাসির উদ্দিন চৌধুরী, মঈনউদ্দিন আহমেদ (মিন্টু), প্রাক্তন পরিচালক এম. মাহাবুব চৌধুরী, অঞ্জন শেখর দাশ, সাইফ উল্লাহ মনসুর, এ.এম. শফিউল করিম (খোকন)।
কাস্টম হাউস চট্টগ্রামের পক্ষ থেকে বৈঠকে ছিলেন- জয়েন্ট কমিশনার মো. তারেক হাসান, জয়েন্ট কমিশনার মোহাম্মদ নাজিউর রহমান মিয়া, ডেপুটি কমিশনার ইমাম গাজ্জালীসহ আরও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এছাড়াও বৈঠকে ছিলেন সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আকতার হোসেনসহ পোশাক শিল্পের মালিকরা।
আরও পড়ুন: চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে বিসিসিসিআইয়ের সহযোগিতা চায় বিজিএমইএ
পোশাক শিল্পখাত ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় অর্জনে দৃঢ়ভাবে প্রত্যয়ী: বিজিএমইএ সভাপতি
৭ মাস আগে
ঢাকা-জাকার্তা জ্বালানি ও কৃষি সহযোগিতা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই
জ্বালানি খাতে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া।
এছাড়া দুই দেশের মধ্যে কৃষি সহযোগিতার বিষয়েও আরেকটি দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারকও সই করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউএনডিপি-এসএমই ফাউন্ডেশনের সমঝোতা স্মারক সই
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দেশটির রাজধানী জাকার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি দুই দেশের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
এসময় দেশটির বাজারে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের প্রবেশ সহজ করার জন্য ইন্দোনেশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জ্বালানি খাতে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সইয়ের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশে আধুনিক ও নবায়ণযোগ্য শক্তির উৎস এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য প্রচলিত জ্বালানির দীর্ঘমেয়াদী বিক্রি ও সরবরাহ প্রসার করা।
কৃষির উদ্দেশ্য হলো উৎপাদন, বিপণন, প্রযুক্তি হস্তান্তর প্রসার এবং কৃষি ক্ষেত্রে ইতিবাচক অভিজ্ঞতা বিনিময়ে সহযোগিতা বাড়ানো।
সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ তিন বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
তিনি বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণের মধ্যে ভারসাম্যহীনতার কথা উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: শিল্প উন্নয়নে সহযোগিতা করতে ডিসিসিআই ও বিএসসিআইসি’র সমঝোতা স্মারক সই
তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়ার বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে এই ব্যবধান কমানো যেতে পারে।
আসিয়ান অঞ্চলে ইন্দোনেশিয়াকে বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে মন্ত্রী মোমেন বলেন, এখনও দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।
দুই দেশের মধ্যে শিগগিরই দ্বিপক্ষীয় অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার ব্যাপারে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সহযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতাসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার জন্য বাংলাদেশের আহ্বান এবং বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের (রোহিঙ্গাদের) প্রত্যাবাসনসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কথাও তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারসুদি।
বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে সাংস্কৃতিক মিল এবং জনগণের মধ্যে একটি ঐতিহাসিক বন্ধন রয়েছে উল্লেখ করে তিনি দুই দেশের মধ্যে একটি শক্তিশালী ও আরও প্রাণবন্ত সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের নতুন উপায় খোঁজার ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: সমুদ্র বিজ্ঞান গবেষণায় আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতায় সমঝোতা স্মারক সই
এছাড়া, মন্ত্রীরা জ্বালানিও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর সম্ভাবনার ওপরও জোর দেন।
৪৩তম আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন এবং ১৮তম ইস্ট-এশিয়া সামিটে অংশ নিতে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর আমন্ত্রণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন জাকার্তা সফর করছেন।
তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চল এবং এর বাইরের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের অংশগ্রহণে দুটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশগ্রহণ করছেন।
১ বছর আগে