মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা
খুলনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক ভাই নিহত, অপর ভাই আহত
খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় রিফাত ইসলাম নামে মোটরসাইকেলের এক আরোহী নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা ছোট ভাই রোহান আহম্মদ গুরুতর আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বিকাল দিকে মহানগরীর শেরে এ বাংলা রোডে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তারা ১ নম্বর কাশেম সড়কের রবিউল ইসলামের ছেলে।
নিহত রিফাত ইসলাম ফেরিঘাট মোড় সংলগ্ন হানিফ কমপ্লেক্সের সেনেটারি গ্যালারিতে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২
এদিকে আহত রোহান খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এছাড়া রোহান একটি প্রিন্টিং প্রেসে কাজ করতেন।
স্থানীয়রা জানান, রিফাত ও রোহান দুই ভাই। সকালে তারা কাজের স্থানে যাওয়ার জন্য বের হন। নিরালা পার হয়ে হাজি বাড়ির সামনে পৌঁছালে জাহিদুর রহমান সড়কের দিক থেকে একটি বাইসাইকেল তাদের মোটরসাইকেলের সামনে এসে পড়ে।
ওই বাইসাইকেলের চালককে বাঁচাতে গিয়ে তারা দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাতের মৃত্যু হয়।
এদিকে রোহান আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মুক্তা রিফাতের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: মধুমতি সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২
কুড়িগ্রামে ঈদে ঘুরতে বের হয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল স্কুলছাত্রের
মধুমতি সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মধুমতি সেতুতে বেড়াতে এসে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা দিকে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত রাকেশ গাইন (২৩) নড়াইল সদর উপজেলার বাশঁভিটা গ্রামের কার্তিক গাইনের ছেলে।
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত রাকেশ গাইন ও তার বন্ধু প্রীতম বিশ্বাস বুধবার (২৬ এপ্রিল) বিকালে মোটরসাইকেলে লোহাগড়া উপজেলার কালনাস্থ মধুমতি সেতুতে ঘুরতে আসে।
ঘোরাঘুরি শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা দিকে নড়াইলে ফেরার সময় রাকেশ গাইন মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা খান ও পথচারী লোহাগড়া পোদ্দারপাড়ার তমালকে চাপা দেয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই রাকেশ গাইন মারা যায়।
আহত প্রীতম ও তমালকে আগে লোহাগড়া হাসপাতালে এবং পরে যশোর সদর হাসপাতাল ও ঢাকায় পাঠানো হয়।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দীন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় লোহাগড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। নিহত রাকেশের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ৩
জামালপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্রসহ নিহত ৩
ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২
ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক যুবক নিহত এবং আরও দুইজন আহত হয়েছেন।
নিহত মো. আল-আমিন (২৫) মো. খলিল মিয়ার ছেলে। তিনি টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার উফুলকি গ্রামের বাসিন্দা।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আল-আমিন তার দুই বন্ধুর সঙ্গে একই মোটরসাইকেলে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে শ্রীনগরের হাসারা এলাকায় আসলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় ছিটকে পড়ে যায় এবং গুরুতর আহত হয়ে রাস্তার পাশে পড়ে থাকেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ২
পথচারী সুমি আহমেদ তাদেরকে দেখতে পান। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাদের তিনজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আল-আমিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাকি দুই বন্ধুর একজন জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন এবং অন্যজনকে পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
কুড়িগ্রামে ঈদে ঘুরতে বের হয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল স্কুলছাত্রের
ঈদে ঘুরতে গিয়ে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নবম শ্রেণির ছাত্র নিহত হয়েছে। শনিবার (২২ এপ্রিল) রাত পৌনে ১০টার দিকে উপজেলায় রংপুর-কুড়িগ্রাম সড়কের ছিনাই বাজারের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. সহবান (১৫) একই উপজেলায় কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের মো. লিপটন ব্যাপারীর ছেলে।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ঈদ উপলক্ষে নিহত সহবান তার সমবয়সী আরও দুইজনকে মোটরসাইকেলে নিয়ে দাশের হাট বাজার থেকে ছিনাই বাজার যাচ্ছিল ঘুরতে। এ সময় ছিনাই বাজারের কাছে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে থাক্কা লেগে ঘটনাস্থলেই চালক সহবানের মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয় লোকজন নিহতের লাশ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে রাজারহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ হীল জামান জানান, দুর্ঘটনার খবর শুনেছি। খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় তরুণ ব্যবসায়ী নিহত
নাটোরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কলেজছাত্রের মৃত্যু
নাটোরের নলডাঙ্গায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার উপজেলার জগদীশপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ইমন হোসেন (১৯) সাধনপুর পঙ্গু নিকেতনের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানিয়েছেন, বুধবার মধ্য রাতে ইমন নলডাঙ্গা বাজার থেকে মোটরসাইকেলে গ্রামে ফিরছিল। পথে জগদীশপুর এলাকায় বৈদ্যুতিক পোলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে পাশের খাদে পড়ে যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: নাটোরে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু
নাটোরে জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩ মাসে ৫৭৯ জনের মৃত্যু: এসসিআরএফ
চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে সারা দেশে এক হাজার ৩০২টি সড়ক দুর্ঘটনায় এক হাজার ৪৮৪ জন নিহত ও দুই হাজার ৪৮৫ জন আহত হয়েছেন। এই হিসেবে প্রতিদিন গড়ে ১৪টি দুর্ঘটনায় ১৬ জনের (১৬ দশমিক ৪৮) মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির দিক থেকে মোটরসাইকেলের অবস্থান শীর্ষে।
আরও পড়ুন: ছয় মাসে রেলপথে দুর্ঘটনায় নিহত ২০৯: এসসিআরএফ
এ সময়ে ৫২৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা গেছে ৫৭৯ জন; যা মোট দুর্ঘটনা ও নিহতের যথাক্রমে ৪০ দশমিক ৪৭ ও ৩৯ দশমিক ০১ শতাংশ। দুই চাকার এ ক্ষুদ্র বাহনে গড়ে প্রতিদিন নিহত হয়েছে ৬ জনেরও (৬ দশমিক ৪৩) বেশি মানুষ।
ঢাকার গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন শিপিং এ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) পর্যবেক্ষণ ও জরিপ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে।
রবিবার (৯ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: এসসিআরএফের সভাপতি আশীষ ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর
১২টি বাংলা জাতীয় দৈনিক, ৫টি ইংরেজি জাতীয় দৈনিক, ৯টি অনলাইন নিউজপোর্টাল ও সংবাদ সংস্থা এবং ৬টি আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে সংগঠনটি জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে দুর্ঘটনা এড়াতে পদ্মা সেতুর ওপর মোটরসাইকেল চলাচলের নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা ও ঈদযাতায়াতে সকল মহাসড়কে এই বাহন নিষিদ্ধ ঘোষণার সুপারিশ করেছে এসসিআরএফ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্চে সর্বাধিক ৪৭৯টি দুর্ঘটনায় ৫৮৪ জন নিহত ও এক হাজার ১০২ জন আহত হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে সর্বনিম্ন ৩৯২টি দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা যথাক্রমে ৪১১ ও এক হাজার ১০২।
জানুয়ারিতে ৪৩১টি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৮৯ জনের। এ তিন মাসে সর্বাধিক ৪২১টি দুর্ঘটনা ঘটেছে মহাসড়কে; যা মোট দুর্ঘটনার ৩২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। সড়কে নিহতের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পথচারি।
এ সময়ে ৩৭০ জন পথচারি মারা গেছেন; যা মোট নিহতের ২৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ। তিন মাসে ২১১ নারী ও ২১০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
মোট প্রাণহানির মধ্যে নারী ও শিশুর অবস্থান যথাক্রমে ১৪ দশমিক ২১ ও ১৪ দশমিক ১৫ শতাংশ। এ সময়ে অন্যান্য গাড়িচালক ও সহকারি নিহত হয়েছেন ২০৯ জন; যা মোট প্রাণহানির ১৪ দশমিক ০৮ শতাংশ।
দুর্ঘটনার সড়কভিত্তিক পর্যবেক্ষণ
প্রতিবেদনে সড়কভিত্তিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, তিন মাসে সর্বাধিক ৪২১টি দুর্ঘটনা ঘটেছে মহাসড়কে; যা মোট দুর্ঘটনার ৩২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। আঞ্চলিক সড়কে ঘটেছে ৩২৭টি; যা মোট দুর্ঘটনার ২৫ দশমিক ১১ শতাংশ। গ্রামীণ সড়কে দুর্ঘটনার সংখ্যা ও হার যথাক্রমে ২৮৭ ও ২২ দশমিক ০৪ শতাংশ এবং শহরের সড়কে দুর্ঘটনার সংখ্যা ও হার যথাক্রমে ১৮৯ ও ১৪ দশমিক ৫১ শতাংশ। বাকি ৭৮টি (৬ দশমিক ০১ শতাংশ) দুর্ঘটনা ঘটেছে অন্যান্য স্থানে।
আরও পড়ুন: রেল দুর্ঘটনায় ২০১৯ সালে ৪২১ জনের প্রাণহানি: এসসিআরএফ
দুর্ঘটনার সময়ভিত্তিক পর্যবেক্ষণ
প্রতিবেদনে সময়ভিত্তিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, তিন মাসে সবচেয়ে বেশি ৩৭৬টি দুর্ঘটনা ঘটেছে সকালে; যা মোট দুর্ঘটনার ২৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
দুপুরে ও রাতে ঘটেছে যথাক্রমে ৩৬৪টি ও ২৪৭টি; যা মোট দুর্ঘটনার যথাক্রমে ২৭ দশমিক ৯৫ ও ১৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এছাড়া ১৬৩টি ঘটেছে বিকালে; যা মোট দুর্ঘটনার ১২ দশমিক ৫১ শতাংশ। অন্যান্য সময়ে ঘটেছে বাকি ১৫২টি (১১ দশমিক ৬৭ শতাংশ) দুর্ঘটনা।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে ১২ জনের মৃত্যু: এসসিআরএফ
দুর্ঘটনার ১৬টি কারণ
পর্যবেক্ষণে সড়ক দুর্ঘটনার ১৬টি কারণ চিহ্নিত করেছে এসসিআরএফ। সেগুলো হলো- ১. ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন। ২. অদক্ষ ও অসুস্থ চালক। ৩. গাড়ির বেপরোয়া গতি। ৪. প্রচলিত আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে ওভারটেকিং। ৫. নিয়োগপত্র, সাপ্তাহিক ছুটি ও কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট না থাকায় চালক ও সহকারিদের মানসিক অবসন্নতা। ৬. বিভিন্ন স্থানে সড়কের বেহাল দশা। ৭. জাতীয় মহাসড়ক ও আন্ত:জেলা সড়কে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক। ৮. দূরপাল্লার সড়কে বাণিজ্যিকভাবে বিপুলসংখ্যক মোটরসাইকেল চলাচল। ৯. মহাসড়কে স্বল্পগতির তিন চাকার যানবাহন চলাচল। ১০. তরুণ ও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের মোটরসাইকেল চালানো। ১১. বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি ও সংশ্লিষ্ট অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারির অনিয়ম-দুর্নীতি। ১২. দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা। ১৩. সাধারণ মানুষের সচেতনতার ঘাটতি ও ট্রাফিক আইন সম্পর্কে ধারণা না থাকা। ১৪. চালক ও পথচারিদের ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতা। ১৫. প্রচলিত আইন প্রয়োগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের শিথিলতা এবং ১৬. বিভিন্ন টার্মিনাল ও সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি।
আরও পড়ুন: সড়কপথে ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে এসসিআরএফের ১২ সুপারিশ
রাজধানীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহত
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ধোলাইপাড় হানিফ ফ্লাইওভারের ঢালে বুধবার মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক শিক্ষার্থী নিহত ও অপর একজন আহত হয়েছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া জানান, লাশ জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহত আহসান হোসাইন (২১) ঢাকার জুরাইন এলাকার বাসিন্দা। তিনি নবারুণ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
এ ঘটনায় রাগিব আখইয়ার ফাতিন (২৪) নামে এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
বুধবার (২৯ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ধোলাইপাড় হানিফ ফ্লাইওভারের ঢালে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ১০টার দিকে আহসান হোসাইন মারা যান।
আহসানের মা রোকসানা পারভিন বলেন, ‘তাদের বাড়ি জুরাইন কুসুমবাগ এলাকায়। আহসান নবারুণ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে প্রথম বর্ষে পড়তেন। বিকালে বন্ধুর সঙ্গে নীলক্ষেতে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হন তিনি। সন্ধ্যায় ছেলের সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে আসি।’
ফাতিনের চাচাতো ভাই সাইম নেওয়াজ জানান, ফাতিন নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তারা জুরাইন খন্দকার রোডে থাকেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, নিহত ২
চুয়াডাঙ্গায় কুকুরকে বাঁচাতে নবদম্পতির মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা, স্বামী নিহত
চুয়াডাঙ্গায় বিয়ের চতুর্থ দিন মোটরসাইকেলে নিজ স্ত্রী ও শ্যালকের স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে কুকুরকে বাঁচাতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল স্বামীর। গুরুতর আহত হয়েছেন স্ত্রী।
নিহত শামীম (২২) সদরের বেগমপুর ইউনিয়নের ফুরশেদপুর গ্রামের মৃত শফির ছেলে, শামিমের স্ত্রী সোনিয়া খাতুন (১৮) এবং তার শ্যালকের স্ত্রী শেফালী খাতুন (২০)।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শামীম মোটরসাইকেল নিয়ে বলদিয়া গ্রাম থেকে হিজলগাড়ী বাজারের দিকে আসছিলেন। এ সময় হিজলগাড়ী-বলদিয়া সড়কের কেরুর কৃষি খামারের কাছে কুকুরের সঙ্গে ধাক্কায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা লাগলে শামীম, সোনিয়া এবং শেফালী গুরুতর আহত হন। এ সময় পথচারীরা তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শামীমকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত, আহত ২
জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর শামীমকে মৃত ঘোষণা করা হয়। সোনিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া আহত শেফালী খাতুন শঙ্কামুক্ত।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবীর বলেন, এক দম্পত্তি ঘোরাঘুরির সময় কুকুরকে বাঁচাতে গিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই স্বামীর মৃত্যু হয়ে।
তিনি আরও বলেন, আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: সিলেটে পিকআপের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
রাজধানীর হাতিরঝিলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় চালক নিহত
রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিটকে পড়লে চালক নিহত হয়।
নিহতের নাম মো. ইসহাক।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক থেকে ছিটকে পড়লে চালক আহত হয়।
পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত আড়াইটার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে মোটরসাইকেল উল্টে দুই কলেজছাত্র নিহত
ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রাক-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২
ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ বন্ধুর মৃত্যু
কেরানীগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই যুবক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার রাজেন্দ্রপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতেরা হলেন- অনিক (১৮) ও শাওন (১৯)। তারা রাজধানীর মুগদা মুসলিমবাগ এলাকার বাসিন্দা ছিলো।
জানা যায়, তিন মোটরসাইকেলে করে ছয় বন্ধু মাওয়া ঘাটে ইলিশ মাছ খেতে যান। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় পৌঁছলে, একটি মালবাহী ট্রাককে সাইড দিতে গিয়ে তাদের একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে রেলিংয়ে ধাক্কা লাগে। এসময় ওই মোটরসাইকেলের আরোহী অনিক ও শাওন গুরুতর আহত হন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
হাসাড়া হাইওয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক শামীম আল মামুন জানান,রাত প্রায় ১২ টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। রাতে খবর পেয়ে আহত দুই বন্ধু কে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল নিয়ে ভর্তি করানো হয়।পরে সেখানেই তাদের মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, এব্যাপার শুক্রবার বিকালে হাসাড়া হাইওয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজ করা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেলটি পুলিশ জব্দ করে।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া জানান,হাসপাতালে আনার পর আহত অনিককে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অপর আহত শাওন চিকিৎসারত অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত তিনটায় মারা যান।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার দুপুরে ঢামেকের মর্গ থেকে ময়নাতদান্ত রিপোর্ট শেষে দুই বন্ধুর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তন্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু