মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা
জুলাইয়ে সড়কে ঝরেছে ৪১৮ প্রাণ, মোটরসাইকেলেই বেশি
গত জুলাই মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪৪৩টি। এতে প্রাণ ঝরেছে ৪১৮ জনের এবং আহত হয়েছেন ৮৫৬ জন। এর মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন সবচেয়ে বেশি ১০৯ জন, যা মোট নিহতের ২৬.০৮ শতাংশ।
বেসরকারি সংস্থা রোড সেফটি ফাউন্ডেশন মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে জুলাই মাসে সড়ক দুর্ঘটনার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, জুলাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে নারী ৭২ জন, যা মোট নিহতের ১৭.২২ শতাংশ এবং শিশু রয়েছে ৫৩টি, ১২.৬৭ শতাংশ।
সবচেয়ে বেশি ঘটেছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। ১৩১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহতও হয়েছেন সবচেয়ে বেশি মানুষ,১০৯ জন; যা মোট নিহতের ২৬.০৮ শতাংশ। আর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার মোট দুর্ঘটনায় ২৯.৫৭ শতাংশ।
দুর্ঘটনায় অন্যান্যভাবে নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ৯২ জন পথচারী (২২ শতাংশ), যানবাহনের চালক ও সহকারী ৫৬ জন (১৩.৪০ শতাংশ), ৪টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৬ জন এবং ২১টি রেল ট্র্যাক দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
যানবাহনভিত্তিক নিহতের চিত্র
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেলচালক ও আরোহী মিলিয়ে নিহত হয়েছেন ১০৯ জন। এ ছাড়া বাসের যাত্রী ৪১ জন (৯.৮০ শতাংশ), ট্রাক-পিকআপের আরোহী ৩০ জন (৭.১৭ শতাংশ), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স আরোহী ২০ জন (৪.৭৮ শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী (সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান) ১০৮ জন (২৫.৮৪ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-পাখিভ্যান-মাহিন্দ্র) ১২ জন (২.৮৭ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল-রিকশা আরোহী ৬ জন (১.৪৪ শতাংশ) নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৭৮
দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাসমূহ ঘটেছে ভোরে ৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ, সকালে ২৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ, দুপুরে ২১ দশমিক ৮৯ শতাংশ, বিকালে ১৭ দশমিক ১৫ শতাংশ, সন্ধ্যায় ১১ দশমিক ০৬ শতাংশ এবং রাতে ১৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
সবচেয়ে ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৬ দশমিক ৪১ শতাংশ, আর সবচেয়ে কম ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ৭ দশমিক ২২ শতাংশ। ঢাকা বিভাগে ১১৭টি দুর্ঘটনায় ১০৫ জন নিহত হয়েছেন। একক জেলা হিসেবে ঢাকা জেলায় ৪৭টি দুর্ঘটনায় ৩৪ জন নিহত হয়েছেন। রাজধানীতে ২৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ৩৮ জন আহত হয়েছেন।
সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের মতে, সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণসমূহ হলো: ১. ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন ২. ত্রুটিপূর্ণ সড়ক ৩. বেপরোয়া গতি ৪. চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা ৫. বেতন-কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট না থাকা ৬. মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল ৭. তরুণ-যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো ৮. জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা ৯. দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ১০. বিআরটিএ-র সক্ষমতার ঘাটতি এবং ১১. গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি।
সুপারিশ
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন দুর্ঘটনা কমাতে বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরেছে। এগুলো হলো- ১. দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে ২. চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে ৩. বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে ৪. পরিবহন মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে ৫. মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা পার্শ্ব রাস্তা (সার্ভিস রোড) তৈরি করতে হবে ৬. পর্যায়ক্রমে সকল মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে ৭. গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে ৮. রেল ও নৌ-পথ সংস্কার করে সড়ক পথের উপর চাপ কমাতে হবে ৯. টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে ১০. সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
১০৮ দিন আগে
চাঁদপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
চাঁদপুর সদর উপজেলায় বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় রুবেল হোসেন শিশির (১৮) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।
রবিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাবুরহাট-পেন্নাই সড়কের কাছে ময়দান খোলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রুবেল ৩ নম্বর কল্যাণপুর ইউনিয়নের আমানুল্লাহপুর গ্রামের দিঘিরপাড় এলাকার নজরুল ইসলাম স্বপনের ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, রুবেল সম্প্রতি বাবুরহাট স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেছেন। গতকাল (রবিবার) নানার কাছ থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই দুর্ঘটনার শিকার হয়। এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল (রবিবার) দুপুরে রুবেল তার নানার মোটরসাইকেলে করে সদরের লালদিয়া এলাকা থেকে বাবুরহাট যাওয়ার পথে হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ডাববোঝাই ভ্যানের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খেলে তিনি ছিটকে পড়ে যান। মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার তীব্রতায় তার মস্তিষ্ক বের হয়ে আসে।
দীর্ঘ সময় রাস্তার পাশে রুবেলের মরদেহ পড়ে থাকলেও স্থানীয়রা কেউ তাকে হাসপাতালে নিতে সাহস পাননি।
পরে এক সিএনজি অটোরিকশাচালক মানবিক কারণে তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কায় নিহত ১
এরপর চিকিৎসক ডা. মাহমুদুল হাসান সুমন জানান, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই রুবেলের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে স্বজনরা হাসপাতালে গিয়ে আহাজারি শুরু করেন।
চাঁদপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ‘হাসপাতালে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।’
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহার মিয়া ইউএনবিকে জানান, পরিবারের অনুরোধে ময়নাতদন্ত ছাড়াই শেষ বিকালে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
১১৬ দিন আগে
গাংনীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ১
মেহেরপুরের গাংনীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও একজন।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার মেহেরপুর–কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের তেরাইল ওলিনগর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— গাংনী উপজেলার ওলিনগর গ্রামের কাতর মোল্লার ছেলে মন্টু মোল্লা (৫০) এবং তেরাইল গ্রামের পূর্বপাড়া এলাকার রতন আলির ছেলে রনি (১৮)।আহত হয়েছেন— ছাতিয়ান গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে মোস্তাক হোসেন (২০)। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বনি ইসরাইল জানান, মন্টু মোল্লা একটি দোকান থেকে চা পান করে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় মেহেরপুরগামী একটি দ্রুতগতির মোটরসাইকেল তাকে সজোরে ধাক্কা দেয়। ধাক্কায় তিনি গরুবোঝাই একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলির নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন। মোটরসাইকেলে থাকা তিনজনই গুরুতর আহত হন।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ট্রাক্টরের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত, চালক-হেলপার আটক
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মন্টু মোল্লাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে রনি ও মোস্তাককে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে রাত সাড়ে ১০টার দিকে রনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আহত মোস্তাক হোসেনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওসি বনি ইসরাইল জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনায় জড়িত মোটরসাইকেল ও চালককে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
১৩৯ দিন আগে
মুন্সীগঞ্জে মহাসড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ যুবক নিহত
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই যুবক নিহত হয়েছেন। তারা সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই ছিলেন বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে উপজেলার ভবেরচরের দড়িবাউশিয়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হচ্ছেন— মাহমুদুল হাসান (৩১) ও মেহেদী হাসান (৩০)। মাহমুদুল চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার বহরী গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে এবং মেহেদী একই উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
নিহত মাহমুদুল হাসান ছিলেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। তিনি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করতেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
প্রত্যক্ষদর্শী মতলবের মাজহারুল ইসলাম সোহান জানান, মতলব দক্ষিণ থেকে মোটরসাইকেলে চড়ে মাহমুদুল ও মেহেদী ঢাকা যাচ্ছিলেন। পথে ভবেরচর দড়ি বাউশিয়া এলাকায় পৌঁছালে তিশা পরিবহনের একটি বাস পেছন থেকে এসে তাদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এর ফলে সড়কের ওপর ছিটকে পড়ে একজন সেখানেই নিহত হন। অপরজনকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানে তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন।
এ ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশ গজারিয়া থানায় একটি মামলা করেছে বলেও জানান তিনি।
১৫৩ দিন আগে
মানিকগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত, মহাসড়ক অবরোধ
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে একটি মোটরসাইকেলের পেছনে দ্রুতগতির আরেকটি মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নিশাদ (২৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও দুজন। ঘটনার পর ক্ষুব্ধ জনতা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করলে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট।
শুক্রবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ফলসাটিয়া অক্সিজেন রিসোর্টের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে নিশাদ নামে এক যুবক মারা যান। গুরুতর আহত দুজন তাসলিমা (৪০) ও আহাদকে (৪৫) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় অক্সিজেন রিসোর্টের সামনে হাইওয়ে পুলিশ একটি মোটরসাইকেলকে সংকেত দিয়ে থামায়। ওই মোটরসাইকেল থামার পরপরই দ্রুতগতিতে আসা আরেকটি মোটরসাইকেল পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে উভয় মোটরসাইকেলের তিনজন সড়কে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায় তিন ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে ক্ষুব্ধ জনতা। এতে সড়কের উভয় পাশে সৃষ্টি হয় কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট; দুর্ভোগে পড়েন যানজটে আটকে পড়া যাত্রীসাধারণ।
এরপর রাত ৯টার দিকে যৌথবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে গাছের সঙ্গে ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বসুন্ধরা রিসোর্টের সামনে হাইওয়ে পুলিশ প্রতিদিনই গাড়ি থামিয়ে কাগজপত্র দেখার নামে অর্থ আদায় করে। আজকের দুর্ঘটনাও সেই চেকপোস্টের কারণেই হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
বরংগাইল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘সড়কে কাগজপত্র তল্লাশি চললেও আমরা কোনো অবৈধ অর্থ আদায় করি না। দুর্ঘটনায় আহতদের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে, বাকি দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
১৯৪ দিন আগে
নওগাঁয় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
নওগাঁর সাপাহারে বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফরহাদ হোসেন (২০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন।
শনিবার (৩ মে) দুপুরে মানিকুড়া-জবই বিল অঞ্চলিক সড়কের সৈয়দপুরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফরহাদ পত্নীতলা উপজেলার মধুইল আলিয়া মাদরাসা পাড়া এলাকার সায়েম আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ফরহাদ ও তার দুই বন্ধু রিফাত ও শিশির মিলে জবই বিল ঘুরতে যাওয়ার উদ্দেশে সাপাহার জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে মোটরসাইকেল ভাড়া করে। যাওয়ার পথে উপজেলার মানিকুড়া-জবই বিল আঞ্চলিক সড়কের সৈয়দপুর নামক স্থানে অতিরিক্ত গতির কারণে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই ফরহাদ নিহত হন।
আরও পড়ুন: সাভারে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নারীসহ নিহত ৩
মোটরসাইকেলে থাকা ফরহাদের দুই বন্ধু রিফাত ও শিশির আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখানে রিফাত ও শিশিরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আজিজ বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
২১৫ দিন আগে
বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে ঘুরতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন এসএসসি পরীক্ষার্থী
দিনাজপুরের বিরামপুরে বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বেরিয়ে পিকআপের ধাক্কায় মো. হাসান আলী নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের বিরামপুরের দোয়েল মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে হাসানের বন্ধু নাঈম হোসেনও আহত হয়েছে। এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক।
নিহত হাসান হোসেন (১৬) পৌর শহরের থানা পাড়া এলাকার মিলন হোসেনের ছেলে। আহত নাঈম একই এলাকার নিয়ামত হক ভোলার ছেলে। নিহত হাসান এবার বিরামপুরের আমানুল্লাহ স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন।
আরও পড়ুন: চোরাই মোটরসাইকেল-দেশীয় অস্ত্রসহ রাজধানীতে ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার
স্থানীয়রা জানায়, রবিবার সকাল ১১টার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে দুই বন্ধু বিরামপুর শহরে ঘুরতে যায়। এ সময় গোবিন্দগঞ্জ থেকে একটি মালবাহী পিকআপভ্যান উপজেলার দোয়েল মোড় এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেলটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এ সময় হাসান আলী ছিটকে রাস্তায় পড়ে পিকআপের চাকার চাকায় পিষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. তাহাজুল ইসলাম জানান, হাসানকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। মাথায়, বুকে ও কোমরে গুরুতর আঘাতেই হাসানের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছেন তিনি।
ওসি মমতাজুল হক জানান, সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসান নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সড়ক পরিবহন আইনে এ ঘটনায় মামলা করা হবে। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
২২৮ দিন আগে
চাঁদপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২
চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় সোহেল ও ইমরান নামে দুই যুবক নিহত হয়েছেন।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) চাঁদপুর সদরের সরকারি টেকনিক্যাল স্কুলের সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়ে সোহেলের। গুরুতর আহত অবস্থায় ইমরানকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হলে রবিবার (১ ডিসেম্বর) রতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মারা যান।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন রোধে সরকারের কার্যক্রম শুরু
সোহেল খান ফরিদগঞ্জের বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের সেকদি গ্রামের খান বাড়ির ছেলে এবং মো. ইমরান একই এলাকার মৃত লিটন খানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, তারা দুজনে মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় একটি ভ্যানগাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগলে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে লেগে উল্টে পড়ে। এ সময় ঘটনাস্থলেই সোহেলের মৃত্যু হয় এবং ইমরান গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান ইউএনবিকে বলেন, সোহেলকে আনার আগেই মৃত্যু হয়। আর আহত ইমরানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেকে পাঠানো হয়।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) রাজিব চক্রবর্তী ইউএনবিকে বলেন, সোহেলের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারতকে ব্যান্ডউইথ নেওয়ার অনুমতি দেয়নি বিটিআরসি
৩৬৭ দিন আগে
গাইবান্ধায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় জামাই-শ্বশুর নিহত
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় জামাই ও শ্বশুরের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে উপজেলার বকচর ফায়ার সার্ভিস অফিসের সামনে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দনগর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৪০) ও তার মেয়ের জামাই কোমরপুর গ্রামের শামীম মণ্ডল (২৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে মোটরসাইকেলে করে বগুড়া থেকে গোবিন্দগঞ্জ যাচ্ছিলেন জাহিদুল ইসলাম ও শামীম মণ্ডল। মহাসড়কের লেন পরিবর্তন করার সময় রোড ডিভাইডারের জন্য ফাঁকা রাখা জায়গায় স্লিপ খেয়ে মোটরসাইকেলসহ দুজনেই ছিটকে পড়ে গুরুতর হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করে যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
৪৫৫ দিন আগে
রাজশাহীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত, আহত ২
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সেলিম নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার কামারপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রসহ নিহত ২
নিহত সেলিম উপজেলার রায়ঘাটি গ্রামের আসাদের ছেলে।
আহতরা একই গ্রামের মুনতাজের ছেলে শাকিল ও রহিমের ছেলে দেলোয়া। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, সেলিম, শাকিল ও দেলোয়ার একসঙ্গে তিনজন মোটরসাইকেল করে দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার সাবাইহাট বাজারে যাওয়ার পথে কামারপাড়া বাজারে পৌঁছালে অপরদিক হতে আসা ইঞ্জিনচালিত একটি ভটভটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে তারা গুরুতর আহত হয়।
স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় তাদের মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সেলিমকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপর দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
মোহনপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের অফিসার নিতাই চন্দ্র বলেন, কামারপাড়া বাজারে সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করি।
এ বিষয়ে মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরিদাস মন্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: জকিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
৫৮২ দিন আগে