ওবায়দুল হাসান
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের পদত্যাগ
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
শনিবার (১০ আগস্ট) আইন মন্ত্রণালয়ে তার পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে আসিফ নজরুলের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ভিডিও বার্তায় জানান।
ওই ভিডিও বার্তায় আসিফ নজরুল বলেন, 'প্রধান বিচারপতি তার পদত্যাগপত্র আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব তা পরবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে।’
আরও পড়ুন: আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতি নিয়োগ
তিনি বলেন, 'শুধু প্রধান বিচারপতি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন, অন্য কোনো বিচারপতি পদত্যাগপত্র জমা দেননি।’
দেশের সম্পদ ধ্বংস না করে রক্ষা করতে জনগণের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।
এর আগে দুপুর ১টার মধ্যে প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে আল্টিমেটাম দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
৩ মাস আগে
মামলা জট কমাতে হলে বিচারকের সংখ্যা বাড়াতে হবে: প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান জানিয়েছেন, মামলা জোট কমাতে হলে বিচারকের সংখ্যা বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যে পরিমাণ বিচারক থাকা দরকার সেই পরিমাণ বিচারক নেই, তাই মামলার জট থাকবেই।
শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত প্রাঙ্গণে আসা বিচার প্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দলগুলোকে সহনশীল হওয়ার আহ্বান প্রধান বিচারপতির
তিনি বলেন, দেশে ৯০ থেকে ৯৫ হাজার মানুষের জন্য মাত্র একজন বিচারক। এছাড়া সরকারকে বিচারকের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানান তিনি।
বিচাপতি আরও বলেন, মানুষ সামান্য বিষয়েও কারণে-অকারণে আদালতে মামলা করে, যা বাড়িতে বসেই সামাজিকভাবে সমাধান করা সম্ভব।
তিনি বলেন, মামলার জট কমাতে হলে আমাদের সামাজিক ও পারিবারিক বিচার বা সালিশে জোর দিতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ পারভেজ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানসহ বিচারক ও আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় ফখরুলের জামিন আবেদন খারিজ
৮ মাস আগে
দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন ওবায়দুল হাসান
দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন ওবায়দুল হাসান।
মঙ্গলবাল (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানা, সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী, আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন। সাবেক প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকিও শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
বিদায়ী প্রধান বিচারপতি অবসরে যাওয়ায় সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি এ নিয়োগ দেন।
গত ১২ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি হাসানকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
ওবায়দুল হাসান ২০০৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান এবং ২০১১ সালে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে তার নিয়োগ নিশ্চিত করা হয়।
আরও পড়ুন: শেষ কর্মদিবসে মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে কথা বললেন প্রধান বিচারপতি
২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি।
তিনি ১৯৫৯ সালের ১ জানুয়ারি নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার ছায়াশী গ্রামে ড. আখলাকুল হোসেন আহমেদ ও বেগম হোসনে আরা হোসেনের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন।
হাসানকে ২৫ মার্চ, ২০১২ তারিখে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করা হয় এবং ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি ১১টি রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতি হিসেবে ওবায়দুল হাসানের শপথ গ্রহণ ২৬ সেপ্টেম্বর
তার স্ত্রী নাফিসা বানু বর্তমানে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য (অর্থ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই দম্পতির ছেলে ব্যারিস্টার আহমেদ শাফকাত হাসান।
ওবায়দুল হাসানের ছোট ভাই সাজ্জাদুল হাসান নেত্রকোণা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এবং এর আগে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ওবায়দুল হাসান প্রাথমিকভাবে আইন বিভাগে অধ্যয়নের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৮৬ সালে ঢাকা জেলা আদালতে একজন অনুশীলনকারী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন এবং ১৯৮৮ সালে হাইকোর্টে নথিভুক্ত হন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেলেন ওবায়দুল হাসান
১ বছর আগে
প্রধান বিচারপতি হিসেবে ওবায়দুল হাসানের শপথ গ্রহণ ২৬ সেপ্টেম্বর
বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর শপথ নেবেন।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল অফিস ও রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের প্রটোকল অফিসার মুহাম্মদ মামুনুল হকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন।
বর্তমান প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর অবসরে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেলেন ওবায়দুল হাসান
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বিএসএস (অনার্স), এমএসএস (অর্থনীতি) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
পরে তিনি ১৯৮৬ সালের ১৮ মার্চ জেলা আদালত, ১৯৮৮ সালের ১৮ অক্টোবর হাইকোর্ট বিভাগে এবং ২০০৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধিত হন।
তিনি ২০০৯ সালের ৩০ জুন হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন এবং ২০১১ সালের ৬ জুন একই বিভাগের বিচারক নিযুক্ত হন।
তিনি ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে যোগদান করেন।
আরও পড়ুন: বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন
১ বছর আগে
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেলেন ওবায়দুল হাসান
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ২৫ সেপ্টেম্বর অবসরে যাচ্ছেন।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট অনুসারে, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস, এমএসএস ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৮৬ সালে আইনজীবী হিসেবে জেলা আইনজীবী সমিতির সনদ পান। তিনি ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের এবং ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
আরও পড়ুন: বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখুন: শেষ কার্যদিবসে প্রধান বিচারপতির আহ্বান
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সহকারী এটর্নি জেনারেল এবং ডেপুটি এটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে ২০০৯ সালের ৩০ জুন যোগদান করেন। ২০১১ সালের ৬ জুন একই বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তিনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে যোগ দেন।
অর্পিত সম্পত্তি আইন, হাইকোর্ট বিভাগে বিচারক নিয়োগসহ অসংখ্য রায় দেন তিনি।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান বিচারপতির সৌজন্য সাক্ষাৎ
বিচারাধীন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ প্রধান বিচারপতির
১ বছর আগে