আদিলুর
জামিনে মুক্তি পেলেন অধিকারের আদিলুর ও ইলান
জামিনে মুক্তি পেয়েছেন মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক নাসিরউদ্দিন এলান।
সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ জানান, কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সন্ধ্যা ৭টা ৪ মিনিটে তারা বের হন।
আরও পড়ুন: আইসিটি মামলায় ‘অধিকারের’ আদিলুর ও নাসিরের ২ বছরের কারাদণ্ড
২০১৩ সালের ৫-৬ মে রাজধানীর মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে পুলিশের অভিযানের ‘বিকৃত প্রতিবেদন’ প্রকাশের মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আদিলুর রহমান ও নাসিরউদ্দিনকে গত ১০ অক্টোবর জামিন দেন হাইকোর্ট।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় দায়ের করা মামলায় আদিলুর রহমান ও নাসিরকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন।
আইসিটি আইনে এটিই প্রথম মামলা।
২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজত কর্মীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে ৬১ জন নিহত হয়েছে দাবি করে অধিকার তাদের ওয়েবসাইটে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
ওই বছরের ১০ আগস্ট গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম। পরে জিডিটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।
ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর আদিলুর রহমান ও নাসিরউদ্দিনের বিরুদ্ধে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ডিবির পরিদর্শক আশরাফুল আলম।
২০১৪ সালে আদালত দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।
গত ২৪ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হওয়ার পর চলতি বছরের ৭ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণার কথা ছিল।
রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ওই দিন রায় ঘোষণার তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত।
আরও পড়ুন: অধিকারের আদিলুর ও এলানকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট
সাজার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল আদিলুর-নাসিরের
১ বছর আগে
অধিকারের আদিলুর ও এলানকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট
মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ স্থগিত করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বিচারপতি এমদাদুল হক আজাদের একক বেঞ্চ এই জামিন আদেশ দেন। আদালতে আদিলুর-এলানের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র এ জে মোহাম্মদ আলী ও আইনজীবী মো. রুহুল আমিন ভূঁইয়া।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ‘৫৭ ধারার’ এই মামলায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিনকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালত। সেই সঙ্গে আসামীদের ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার পর আদিলুর রহমান খান ও এ এস এম নাসির উদ্দিনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: সাজার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল আদিলুর-নাসিরের
এর আগে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের দেওয়া দুই বছরের কারাদণ্ড চ্যালেঞ্জ করে সাজা বাড়াতে হাইকোর্টের আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
অন্যদিকে, এই মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে জামিন চান আদিলুর রহমান খান ও এ এস এম নাসির উদ্দিন এলান।
মঙ্গলবার আদিলুর ও এলানের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়।
মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান নিয়ে ২০১৩ সালের ১০ জুন মানবাধিকার সংস্থা অধিকার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে শাপলা চত্বরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে ৬১ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান নিয়ে অসত্য ও বিকৃত তথ্য প্রচারের অভিযোগে আদিলুর রহমান খান ও নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
এই মামলায় পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়, আদিলুর ও নাসির উদ্দিন ৬১ জনের মৃত্যুর ‘বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা’ তথ্যসংবলিত প্রতিবেদন তৈরি ও প্রচার করে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করেন, আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নের অপচেষ্টা চালান এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকার ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি দেশে-বিদেশে চরমভাবে ক্ষুণ্ন করেন। পাশাপাশি তারা মুসলমানদের মনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে বিরূপ মনোভাবের সৃষ্টি করেন, যা তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭(১) ও (২) ধারায় অপরাধ।
আরও পড়ুন: পিরোজপুর ১ ও ২ আসনে সীমানা পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত বৈধ: হাইকোর্ট
১ বছর আগে
অধিকারের আদিলুর ও নাসিরউদ্দিনের মুক্তি দাবি ফখরুলের
অবিলম্বে অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক নাসিরউদ্দিন এলানের মুক্তি দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আদিলুর রহমান খান বাংলাদেশে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সোচ্চার ছিলেন।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল এ দাবি জানান।
ফখরুল বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে মানবাধিকার কমিশন ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় এসব বিষয় তুলে ধরেন আদিলুর। আর এ কারণেই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া সাইবার ট্রাইব্যুনালের রায় ও তাদের বিরুদ্ধে সাজার নিন্দাও জানান বিএনপি নেতা।
তিনি আরও বলেন, আদিলুর একজন সাধারণ মানবাধিকার কর্মী নন। তিনি সারা বিশ্বে একজন মানবাধিকার কর্মী হিসেবে অত্যন্ত সুপরিচিত ও সম্মানিত।
আরও পড়ুন: সরকার কমিশন পাওয়ার জন্য ১০টি এয়ারবাস উড়োজাহাজ কিনছে: ফখরুলের অভিযোগ
ফকরুল বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টে প্রস্তাবে বলা হয়েছে- বাংলাদেশে মানবাধিকার নেই বললেই চলে। তারা বলেন- বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার খুবই খারাপ এবং পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে।
তিনি বলেন, এতে প্রমাণিত হয় বাংলাদেশের বিচার বিভাগ এখন পুরোপুরি সরকারের নিয়ন্ত্রণে। আজ কেউ ন্যায়বিচার পাচ্ছে না, মানুষ তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
অধুনালুপ্ত আইসিটি আইনের ৫৭ ধারার একটি মামলায় বৃহস্পতিবার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদিদুল রহমান ও নাসিরুদ্দিনকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
সাইবার নিরাপত্তা আইনকে খারাপ আইন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকারের সবকিছুই প্রতারণা। তারা মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু তারা বোঝে না যে মানুষ বোকা নয় তাদের প্রতারণা সবাই বোঝে।
ফখরুল বলেন, এই আইন (সাইবার নিরাপত্তা আইন) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের চেয়েও খারাপ। এ আইনে পুলিশ ওয়ারেন্ট ছাড়াই কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারে, কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে এবং মামলা করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা (সাংবাদিকরা) আমাদের চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এর একটা কারণ আছে। এই আইনে আপনি আটকা পড়েছেন, বাঁধা পড়েছেন, কেউ কথা বলতে পারবেন না।
তিনি বলেন, আমরা বলছি না যে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে। শুধু দেশ মুক্ত করুন, জাতিকে মুক্ত করুন।
তিনি বলেন, সরকার একটি শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ তৈরি করেছে। তাই গণতান্ত্রিক ও মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আমাদের সবাইকে দাঁড়াতে হবে।
মির্জা ফহকরুল ইসলাম আরও বলেন, জামালপুরের ডিসিকে প্রত্যাহার করাটা ধোকা দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে বিএনপি একা নয়: ফখরুল
বিচারব্যবস্থা সম্পূর্ণ সরকারের নিয়ন্ত্রণে: ফখরুল
১ বছর আগে