আনিছুর রহমান
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কমিশন জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছে: ইসি আনিছুর
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান।
তিনি বলেন, তাদের কাছে সব প্রার্থীই সমান। যিনি নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙবেন তার বিরুদ্ধেই অ্যাকশন নেওয়া হবে। এমনকি প্রার্থিতাও বাতিল করা হতে পারে। ইতোমধ্যে নির্বাচন সুষ্টু করতে প্রশাসনে অনেক রদবদল করা হয়েছে। এটা কোনো পাতানো নির্বাচন নয়।
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ৩টার দিকে সুনামগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কমিশনার আনিছুর রহমান এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, আমরা বিদেশি কোনো চাপে নেই। বরং দেশি-বিদেশি প্রায় ২ হাজার পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আবেদন করেছে এবং সব দূতাবাসও নির্বাচন মনিটরিং করবেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোটারেরা কোনো প্রকার বাধা ছাড়া ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকেই ভোট দিতে পারবেন। কেউ ভোট দানে বাধা সৃষ্টি করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনপি নির্বাচনে আসা প্রসঙ্গে বলেন, এখন আর নির্বাচনে আসার সুযোগ নেই। নির্বাচনী ট্রেন ছেড়ে গেছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমেদ ছিদ্দীকী, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শফিউর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার মো. এহসান শাহ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করতে চিঠি দিয়েছে ইসি
কারচুপি ঠেকানো রিটার্নিং অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব: সিইসি
১১ মাস আগে
নির্বাচন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না: ইসি আনিছুর
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান বলেছেন, 'নির্বাচন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য নির্বাচন করতে হবে, না হয় সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে। নিশ্চয়ই এটা আমাদের কাম্য হতে পারে না।'
বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জের নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরসমূহের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আনিছুর বলেন, 'একটি দল' নির্বাচনে আসলে নির্বাচন পেছানোর বিষয় বিবেচনা করা যাবে। 'তারা (দলের নাম নেননি) নির্বাচনে আসলে আমরা বিবেচনা করব। আমাদের সুযোগ আছে পেছানোর, কারণ পরে যথেষ্ট সময় আছে। তবে এখন পর্যন্ত কারো কাছ থেকে ওইরকম তথ্য পাইনি।'
নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শতভাগ দল নিয়ে নির্বাচন করার পরিকল্পনা আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'শতভাগ কখনোই আসেনি, ইতিহাস বলে। অধিকাংশ দল নির্বাচন করে, সেটাই তখন নির্বাচনী আমেজ চলে আসে। আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বরাবরই আহ্বান জানাচ্ছি, আমাদের নিবন্ধিত ৪৪টা দলের সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।'
বিএনপি নির্বাচনে না আসলে প্রভাব পড়ার কোনও আশঙ্কা আছে কিনা এমন প্রশ্নে ইসি আনিছুর রহমান বলেন, ‘গণমাধ্যমে আসা তথ্য অনুযায়ী ৭০ ভাগ দল নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা উঠছে। ৭০ ভাগ যদি হয়ে থাকে, যদিও কত ভাগ সেটি নির্বাচন কমিশন বিশ্লেষণ করেনি। যদি ৭০ ভাগই অংশ নিয়ে থাকে তবে নির্বাচনে প্রভাব পড়ার কোনও কারণ নেই।’
নির্বাচনী পরিবেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্ন হওয়ার মতো কিছু দেখছি না। যেহেতু একটা চলমান রাজনৈতিক কর্মসূচি আছে, সেটাকে কেন্দ্র করে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু ঘটনা হয়েছে। সেটার সাথে নির্বাচনকে মেলানো ঠিক হবে না। এটা নির্বাচনকে উপলক্ষ করেই হচ্ছে, কিন্তু নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্ন করছে এমন কিছু পরিলক্ষিত হয়নি।'
১ বছর আগে
সব দলের অংশগ্রহণ ইসির ওপর নির্ভর করে না: আনিছুর রহমান
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নির্বাচন কমিশনের উপর নির্ভর করে না।
তিনি বলেন, সংসদ নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করবে কি-না, তা রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে। এর সঙ্গে নির্বাচন কমিশন তথা আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।’
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউসে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। বর্তমানে তিনি তিন দিনের সফরে কিশোরগঞ্জে রয়েছেন।
এসময় আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে বদ্ধপরিকর এবং আমরা তা করব। গত দেড় বছরে সব দলকে একাধিকবার আমরা আহ্বান জানিয়েছি। এখনও তা অব্যাহত রয়েছে। আমরা বারবার আহ্বান জানাচ্ছি যেন তারা নির্বাচনে আসেন।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আইনের মাধ্যমে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে: সিইসি
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে হলে তা নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্তের ওপর। এক্ষেত্রে আমাদের হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগ নেই।’
নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘আমরা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। ধীরে ধীরে আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে।’
কিশোরগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসারের সম্মেলনকক্ষে জেলা, উপজেলা নির্বাচন অফিসারের অংশগ্রহণে জাতীয় পরিচয়পত্র ও প্রবাসী ভোটার নিবন্ধনসংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন মো. আনিছুর রহমান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, জেলা নির্বাচন অফিসার মো. আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।
পরে বিকাল ৩টায় কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে যান কমিশনার।
আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর জেলার হাওরবেষ্টিত উপজেলা মিঠামইন ও অষ্টগ্রামের সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করার কথা রয়েছে তার।
১৯ সেপ্টেম্বর সকালে নিকলী উপজেলার সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। পরে দুপুরে নিকলী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে সব দল কখনো অংশ নেয় না: ইসি আলমগীর
নির্বাচন নিয়ে খেলতে ইসি ‘অচেনা’ দুটি দলকে নিবন্ধন দিয়েছে: ফখরুল
১ বছর আগে