মান্দা উপজেলা
নওগাঁয় বাংলা মদ খেয়ে তিন বন্ধুর মৃত্যু
নওগাঁর মান্দা উপজেলার পাকুরিয়া গ্রামে বাংলা মদ খেয়ে তিন বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকালে এই ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন- নিশাত আলী (১৭), শারিকুল ইসলাম পিন্টু (১৮) এবং আশিক হোসেন (১৮)।
তারা সবাই মান্দার উত্তরা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, বৃহষ্পতিবার বিকালে মান্দা উপজেলার পাকুরিয়া গ্রামে বন্ধুরা মিলে বাংলা মদ পান করে। এদের মধ্যে ওই তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর নিশাত আলী ও শারিকুল ইসলাম পিন্টুকে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। আর আশিক হোসেন ঘটনাস্থলে মারা যান।
ওসি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিষাক্ত অতিরিক্ত বাংলা মদ পানে তাদের মৃত্যু হয়েছে। লাশ মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। শুক্রবার ময়নাতদন্তের জন্য তাদের লাশ নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলেই তাদের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে মান্দা থানায় একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে।
৮ মাস আগে
নওগাঁয় বেড়িবাঁধ ভেঙে ১৫০০ পরিবার পানিবন্দি
নওগাঁর মান্দা উপজেলায় আত্রাই নদের ৪টি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্রায় ১ হাজার ৫০০ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। তলিয়ে গেছে ১ হাজার বিঘা জমির আউশ ও আমন ধানের খেত।
এরই মধ্যে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ।
এছাড়াও বন্যা নিয়ন্ত্রণ মূল বাঁধের বেশ কিছু এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন পাড়ের মানুষ।
এ অবস্থায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ টিকিয়ে রাখতে ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বস্তায় বালু ভরে আটকানোর চেষ্টা করছেন স্থানীয়রা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ নদের পানি বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ মূল বাঁধের বেশকিছু এলাকা চরম ঝঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদের পাড়ের মানুষ।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে বন্যায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
এ অবস্থায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ টিকিয়ে রাখতে ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বস্তায় বালু ভরে সোমবার সন্ধ্যা থেকে মেরামতের একটানা কাজ করছে শ্রমিকেরা। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তা এসব কাজ বাস্তবায়ন করছে উপজেলা প্রশাসন।
বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে নুরুল্লাবাদ ইউনিয়নের সাতটি গ্রাম। এ ইউনিয়নের নুরুল্লাবাদ ও পারনুরুল্লাবাদ এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ৪০০ পরিবার এবং ফকিন্নি নদীর তীরবর্তী এলাকায় আরও অন্তত ৬০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এছাড়া প্রসাদপুর ইউনিয়নের বাইবুল্যা ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কয়লাবাড়ী এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫০০ পরিবার।
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার সকাল থেকে আত্রাই নদী পানি বাড়তে শুরু করে। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত এ নদীর পানি বেড়ে এখন বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বুধবার পর্যন্ত এ নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। তবে ধারণা করা হচ্ছে কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে আরও কয়েকদিন পানি বাড়তে পারে।
নুরুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আত্রাই নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এ ইউনিয়নের সাতটি গ্রামের অন্তত এক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব গ্রামের পানিবন্দি মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, এরই মধ্যে বন্যা কবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বস্তায় বালু ভর্তি করে মেরামতের কাজ চলছে। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সার্বক্ষনিক তদারকি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যায় এখনো ৭০০০ পরিবার পানিবন্দি
কক্সবাজারে ২ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি
১ বছর আগে