জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা
শুরু হয়েছে জিপি এক্সেলারেটরের ‘জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা’
তরুণ উদ্যোক্তাদের সম্ভাবনার বিকাশ ঘটাতে ‘জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা’ শীর্ষক রিজিওনাল ডিজাইন বুটক্যাম্প শুরু করেছে গ্রামীণফোনের ফ্ল্যাগশিপ স্টার্টআপ ইনোভেশন প্ল্যাটফর্ম জিপি এক্সেলারেটর।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত সংগঠক, স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠাতা, জিপি এক্সেলারেটরের (জিপিএ) অ্যালামনাই, সংশ্লিষ্ট শিল্পের বিশেষজ্ঞ ও প্রশিক্ষকগণসহ নানা খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব ও অংশীজনদের উপস্থিতিতে এই আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়।
আঞ্চলিক পর্যায়ে আয়োজনটির সফল ও কার্যকরী বাস্তবায়ন নিশ্চিতে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে জিপি এক্সেলারেটরকে সহযোগীতা করছে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড।
‘জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা’ শীর্ষক এই আয়োজন মূলত আঞ্চলিক পর্যায়ে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা ও স্থানীয়ভাবে নানা সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণে উৎসাহিত করবে।
আরও পড়ুন: অগ্রণী ব্যাংকের স্মার্ট ব্যাংকিং অ্যাপের মাধ্যমে নগদে ওয়ালেটে অ্যাড মানি চালু
৩০ জন কমিউনিটি বিল্ডারের সমন্বয়ে ও দেশের ২০টি অঞ্চলে পিচ সেশনের মাধ্যমে আয়োজনটি সেরা ২০ জন ‘আইডিয়াপ্রেনর’ খুঁজে বের করবে এবং তাদেরকে পুরস্কৃত করবে।
মূলত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী এবং সম্ভাবনাময় তরুণ উদ্যোক্তাদেরকে মাথায় রেখে এই আয়োজনটি ডিজাইন করা হয়েছে।
উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নতুন ব্যবসায়িক উদ্যোগ গ্রহণে আগ্রহী তরুণদেরকে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা অর্জন, নেটওয়ার্কিং এবং ফান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে সহযোগীতা ও দিকনির্দেশনা প্রদান করবে রিজিওনাল ডিজাইন বুটক্যাম্প। এই প্রচেষ্টা বাংলাদেশের যুব জনসংখ্যার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে স্মার্ট নেশন হওয়ার লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন: সময়ানুযায়ী ফ্লাইট পরিচালনায় সেরা এয়ারলাইনের স্বীকৃতি পেল নভোএয়ার
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সামি আহমেদ, গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
২০১৫ সালে কার্যক্রম চালুর পর থেকে দেশের স্টার্টআপ খাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে জিপি এক্সেলারেটর। এটি ৫০টি স্টার্টআপের মাধ্যমে ৫ লাখ মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে।
এর আওতায় নানা সম্ভাবনাময় স্টার্টআপের বাজারমূল্য ১০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ৫০ লাখ মার্কিন ডলারেরও বেশি ভ্যালুয়েশন অর্জন করেছে। এ থেকে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে জিপি এক্সেলারেটরের অবদান অনুধাবন করা যায়।
আরও পড়ুন: দারাজ এর ‘৯-এর উল্লাস’ ক্যাম্পেইন শুরু
১ বছর আগে